ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সারি সারি লাশ হাসপাতালে, আতঙ্কে নিচ্ছে না স্বজনরা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:২০ পিএম, ০১ জুন, ২০২০


Thumbnail

খুব দ্রুততার সঙ্গে বিশ্বের পরবর্তী করোনাভাইরাসের ভয়াবহ বিপর্যয়ের স্থানে পরিণত হতে চলেছে ভারতের সবচেয়ে ধনী শহর মুম্বাই। ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত মুম্বাইয়ে করোনার ভয়াবহ প্রকোপ চলছে। দেশটির মোট করোনা রোগীর এক চতুর্থাংশই মুম্বাইয়ের, বর্তমানে ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রোগীতে উপচে পড়ছে শহরের হাসপাতালগুলো। মর্গে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। তাই মৃতদেহ ওয়ার্ডেই বেডের ওপর রেখে দেয়া হয়েছে। তার পাশেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে আক্রান্ত রোগীদের।

স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে। হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে সারি সারি লাশ পড়ে আছে। শয্যা সঙ্কটে রোগীদের মেঝেতে ঘুমানোর নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাস আক্রান্ত কিনা সেব্যাপারে প্রমাণ দেখাতে না পারায় বিনা-চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন রোগীরা। প্রত্যেকদিন নতুন নতুন ওয়ার্ড করা হচ্ছে। কিন্তু সন্ধ্যা হতে না হতেই সেসব ওয়ার্ড করোনা রোগীতে ভরে যাচ্ছে।

মুম্বাইয়ের হাসপাতালের কর্মীরা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা করোনা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ায় জনবলের অভাবে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসাসেবাও বন্ধ হয়ে গেছে।

সেন্ট্রাল মুম্বাইয়ের সরকারি কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সাদ আহমেদ বলেন, `আমরা প্রত্যেকদিন নতুন নতুন ওয়ার্ড চালু করছি। কিন্তু দিনের শেষে কভিড-১৯ রোগী দিয়ে সেগুলো পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এখানে অত্যন্ত খারাপ অবস্থা। হাসপাতালের সব ওয়ার্ডই কভিড-১৯ ওয়ার্ড এবং ধারণক্ষমতার পুরোটাই রোগী দিয়ে পরিপূর্ণ।

করোনাভাইরাস মহামারির প্রাথমিক এপিসেন্টার নিউইয়র্ক এবং ইউরোপে থাকলেও বর্তমানে তা ঘুরছে ব্রাজিল এবং ভারতের দিকে। দুবর্ল স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো এবং নিম্নমানের জীবনযাত্রার কারণে করোনাভাইরাসের উর্বর ভূমি হয়ে উঠছে ভারত। এরই মধ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ভারত।

গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মুম্বাইয়ের সরকারি লোকমান্য তিলক হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে করোনাভাইরাসে মৃতদের দেহ পড়ে আছে। পাশের শয্যায় করোনা রোগীরা। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ডিনকে সরিয়ে দেয়। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালের ওয়ার্ডে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালের নার্স মাধুরী রামদাস গৈকার বলেন, `গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে লাশের স্তুপ হয়েছে। কারণ অনেক পরিবার সংক্রমণের ভয়ে মরদেহ নিতে অস্বীকার করেছে। আমরা লাশের সব কাগজপত্র প্রস্তুত করে রেখেছি। কিন্তু সেগুলো কেউই নিয়ে যাচ্ছে না। ভাইরাসটির কারণে চারপাশে তীব্র ভীতিকর পরিবেশ বিরাজ করছে, যা ভারতে নতুন একটি অস্পৃশ্য শ্রেণি তৈরি করেছে।`

মুম্বাই শহরে কমপক্ষে ৪৭ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ হাজার ২০০ জন। ভারতে যে পরিমাণ মানুষ মারা গেছেন তার মধ্যে এক চতুর্থাংশ এই মুম্বাইয়ে। প্রতিদিন হাজার হাজার না হলেও শত শত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছু ভিডিও প্রকাশ হয়। তাতে দেখা যায়, করোনা রোগীরা ভর্তি আছেন, চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন ওয়ার্ডে বিছানার ওপর পড়ে আছে সারিবদ্ধ মৃতদেহ। এসব মৃতদেহ কোথায় রাখা হবে তা নিয়ে হাসপাতালগুলোই শুধু হিমশিম খাচ্ছে এমন নয়। একই অবস্থা দাহ করার স্থানগুলো এবং মর্গেও। এতে স্বাস্থ্যখাতের কি অবস্থা তা পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে। চিকিৎসক ও নার্সদেরও নাভিশ্বাস উঠেছে এ অবস্থায়।

মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালের আইসিইউয়ের প্রধান শ্রুতি ট্যান্ডন বলেছেন, `আমি যে হাসপাতালে কাজ করি, তাতে কোনো মর্চুয়ারি নেই। দু’জন মানুষ মারা গেছেন। কিন্তু পরের দিন সকাল না হওয়া পর্যন্ত সেই মৃতদেহ বেডের ওপরই পড়ে ছিল। কারণ, ওই মৃতদেহ দাহ করতে না নেয়া পর্যন্ত তা সরানো যাচ্ছিল না। সব দিক দিয়েই আমরা চাপে রয়েছি। এ এক ভয়াবহ অবস্থা।`

সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস,এবিসি।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলো আফ্রিকার দেশ বাহামাস

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে উত্তর আফ্রিকার দেশ বাহামাস। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বেশ কিছু রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। 

বুধবার (০৮ মে) কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বাহামাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, তারা 'এই বিষয়ে ক্যারিবিয়ান সম্প্রদায়ের ঐকমত্যে' যোগ দিয়েছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহামা ১৯৭৩ সালে স্ব-নিয়ন্ত্রণের একটি আইনের মাধ্যমে একটি স্বাধীন জাতি হয়ে ওঠে। তাই, বাহামা ফিলিস্তিনি জনগণের স্ব-নিয়ন্ত্রণের আইনি অধিকারকে সমর্থন করে। 


ফিলিস্তিন   আফ্রিকা   বাহামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলকে রাফায় হামলার সবুজ সংকেত দিলো আমেরিকা

প্রকাশ: ১২:১৯ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজার সীমান্তবর্তী শহর রাফায় হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলকে সবুজ সংকেত দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন অনুমোদন পেয়েই ইসরায়েল রাফা সীমান্ত ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে।

সোমবার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করার কথা ঘোষণা করার পর ইসরায়েল ওই হামলা শুরু করে। 

ইসরায়েল বলছে, যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে তাদের মূল দাবিগুলো এতে মানা হয়নি। আর হামাস বলেছে, তারা অনেক ছাড় দিয়েছে। ইসরায়েল যদি হামলা অব্যাহত রাখে, তবে তারা যুদ্ধবিরতি আলোচনা থেকে সরে যাবে।

বাইডেন প্রশাসনের মুখপাত্ররা বলেছেন, ইসরায়েলের রাফা অভিযান বৈধ। তবে তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, হামলার ব্যাপ্তি যদি বেড়ে যায় এবং তা যদি গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর কাজে বাধার সৃষ্টি করে, তবে এই মূল্যায়ন বদলে যাবে।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, 'ইসরায়েলি কর্মকর্তারা আমাদের যা বলেছেন তা হল- গত রাতের এই অভিযান ছিল সীমিত। এর লক্ষ্য ছিল হামাসের অস্ত্র চোরাচালান এবং তহবিল সংগ্রহের সক্ষমতা ধ্বংস করা।' 

পৃথক এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, 'এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, এটি একটি সীমিত অভিযান। তবে এরপর কী হবে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।' 

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে আমরা বড় ধরনের সামরিক অভিযান দেখতে চাই না। এটিকে বড় সামরিক অভিযানের সূচনা বলা যেতে পারে।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের একটি কথা খুবই সত্য। তা হলো- হামাস এখনও রাফার গাজার দিকটির নিয়ন্ত্রণ করছে। এর মাধ্যমে হামাস রাজস্ব সংগ্রহ করছে। হামাস যাতে অর্থ সংগ্রহ করতে না পারে, সেজন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। 


ইসরায়েল   রাফা   হামলা   সবুজ সংকেত   আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

করোনা টিকা প্রত্যাহার করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিখ্যাত ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা বৈশ্বিকভাবে নিজেদের সব করোনা টিকা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি, ব্রিটেনের আদালতে ১০ কোটি পাউন্ড ক্ষতিপূরণের মামলা হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা গ্রহণের কারণে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগে বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মামলার কার্যক্রম চলার মধ্যেই এই ঘোষণা দিলো কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে কোম্পানিটি বলছে, করোনা মহামারির সময়ে যে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ছিল এখন আর তা নেই। 'করোনা ভাইরাস' নামের যে ভাইরাসটির বিস্তার প্রতিরোধে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে ২০২০ সালের শেষ দিকে যে টিকা বাজারে এনেছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সেই ভাইরাসটি এখন প্রায় নিষ্ক্রিয়, এমনকি মূল ভাইরাসটি থেকে যেসব ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছে সেগুলোও এখন আর প্রাণঘাতী নয়।

বাজারে বর্তমানে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বৈশ্বিকভাবে টিকার আর সেই চাহিদাও নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কোম্পানির সব অংশীদারদের ইতোমধ্যে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

গত ফেব্রুয়ারিতে এক নথিতে অবশ্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছিল যে টিকা গ্রহণের পর টিটিএস বা থ্রম্বসিস উইথ থ্রম্বোসিটোপেনিয়া সিনড্রোম নামের এক প্রকার শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে, তবে তা খুবই বিরল।

টিটিএস হলো এমন একটি শারীরিক জটিলতা, যার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত জমাট বেঁধে যায় এবং প্ল্যাটিলেট কমে যায়। যুক্তরাজ্যে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয়ে ২০২০ সালের টিকাদান কর্মসূচির শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

মঙ্গলবারের বিবৃতিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়ার পর এক বছরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ ব্যবহার করা হয়েছে পৃথিবীজুড়ে। এসব টিকার ডোজ প্রাণ বাঁচিয়েছে বিশ্বের ৬৫ লাখেরও বেশি মানুষের। বিভিন্ন দেশের সরকার আমাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে এবং করোনা মহামারি দূর করতে যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তা বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত।


করোনা টিকা   অ্যাস্ট্রাজেনেকা   ব্রিটেন   আদালত   কোভিড টিকা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পের বেআইনি নথি মামলা স্থগিত

প্রকাশ: ১০:৩৭ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে গোপনীয় নথি রাখার মামলা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

আগামী ২০ মে এই মামলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিচারক ক্যানন তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দিয়েছেন। 

বিচারক জানিয়েছেন, তার আদালতে প্রচুর মামলা জমা রয়েছে। তাই তিনি ২০ মে ট্রাম্পের মামলার শুনানি শুরু করতে পারছেন না। কবে এই মামলা শুরু হবে তার কোনও তারিখও তিনি দেননি। ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখনই ক্যাননকে বিচারক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল।

আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। ট্রাম্প সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী। তার আগে এই মামলা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কম। 

ক্যানন তার পাঁচ পাতার নির্দেশে বলেছেন, এখন নতুন তারিখ জানানো অবিবেচকের মতো কাজ হবে।

ট্রাম্পের আইনজীবীরা চাইছেন, তার বিরুদ্ধে করা বিভিন্ন ফৌজদারি মামলা পিছিয়ে যাক। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যেন কোনও মামলা না ওঠে।

নিউ ইয়র্কে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একটা মামলা চলছে। সেখানে অভিযোগ হল, ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে তার একটি সম্পর্কের কথা গোপন রাখার জন্য স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্প সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

মঙ্গলবার ম্যানহাটনের আদালতে এই মামলার শুনানি হয়েছে। সেখানে স্টর্মি ড্যানিয়েলস বলেছেন, তার অর্থ পেতে দেরি হচ্ছিল। তাই তিনি চুক্তি ভেঙে দেন। তারপর তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে ট্রাম্পের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বিবৃতি দেন। আদালতে ট্রাম্পও উপস্থিত ছিলেন। 


ট্রাম্প   বেআইনি নথি   মামলা   স্থগিত   আদালত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ এখন ইউরোপেও, নেদারল্যান্ডসে ১৪০ শিক্ষার্থী আটক

প্রকাশ: ০৯:৫৭ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের পর ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমনকি, গ্রিসে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে দেশটির পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ করেন সাধারণ মানুষ। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (৭ মে) নেদারল্যান্ডসের আমস্টারড্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪০ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

মঙ্গলবার ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের রাস্তায় নেমে আসেন শত শত মানুষ। এদিন দেশটির পার্লামেন্টের সামনে ইসরায়েলবিরোধী স্লোগান দেন তারা। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। আন্দোলনকারীরাও পুলিশের ওপর চড়াও হন। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা।

এদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে নতুন করে হামলা ও মানবিক সহায়তা বন্ধের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে প্যারিসের সাইন্স পো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করে এমন সংস্থাগুলোর সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানান তারা।

একইদিন নেদারল্যান্ডসের আমস্টারড্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ক্যাম্প ভেঙে দেয় ডাচ পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় প্রায় অর্ধশত বিক্ষোভকারীকে। এছাড়া অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাসে প্রায় ২০টি তাঁবু গেড়ে বসেন বিক্ষোভকারীরা। ফিলিস্তিনদের সমর্থনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেন তারা।

বিক্ষোভে উত্তাল স্পেনও। গাজায় হামলা বন্ধের পাশাপাশি তেল আবিবের সঙ্গে মাদ্রিদের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানান কম্পুলটেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন হয়েছে ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক এমনকি অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজসহ যুক্তরাজ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েও।

গত ১৭ এপ্রিল ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে। এই সময়ে ইসরায়েলকে সহায়তা বন্ধের দাবি জানাতে গিয়ে আটক হয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিণত হয়েছে রণক্ষেত্রে। তবুও দমে যাননি শিক্ষার্থীরা। পুলিশের দমন-পীড়ন, ধরপাকড় উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।


ইসরায়েল   বিক্ষোভ   ইউরোপ   নেদারল্যান্ডস   শিক্ষার্থী   আটক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন