ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীন-ভারত যুদ্ধের দামামা; কার শক্তি কত?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:১০ এএম, ০২ জুন, ২০২০


Thumbnail

প্রায় মাসখানেক ধরে লাদাখ সীমান্তে মুখোমুখি ভারত ও চীনের সৈন্যদল। দুই দেশের সেনারা ইতিমধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে সেই ভিডিও ভাইরালও হয়েছে। সেই রেশ ধরে উঠে গেছে ‘যুদ্ধ যুদ্ধ’ রব। শুধু সামাজিক মাধ্যমেই যে যুদ্ধের ধোঁয়া তোলা হচ্ছে, তা কিন্তু নয়। বরং সীমান্তে নিজেদের ঘাঁটিতে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ করা শুরু করে দিয়েছে দুই দেশই। ফলে পরিস্থিতি যে আরও খারাপ দিকে যাচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য। দুই দেশের সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসার ও কূটনৈতিকরা যদিও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আলোচনা চালাচ্ছেন, কিন্তু অন্তরালে তারা ঠিকই যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছেন। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে ঘোষণাই দিয়ে ফেলেছেন। সীমান্তে নিজেদের ঘাঁটিতে আর্টিলারি, ইনফ্রান্ট্রি কমব্যাট ভেহিকেল ও আরও অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করে ফেলেছে চীন। আর ভারতও একাধিক ভারী যুদ্ধ ক্ষেপণাস্ত্র সীমান্তে নিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় একটু দেখে নেওয়া যাক সামরিক শক্তিতে কোন দেশ কত শক্তিশালী-

পিডব্লিউআর ব়্যাঙ্কিং

সামরিক শক্তির এই ব়্যাঙ্কিংয়ে ভারতের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে আছে চীন। যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়ার ঠিক পরে, অর্থাৎ তিন নম্বারে আছে চীন আর ভারত আছে চার নাম্বারে।

সক্রিয় সেনাসদস্য

১৩৮ টি দেশের মধ্যে পিআরডব্লিউ ইনডেক্সে তৃতীয় স্থানে থাকা চীনের মোট ২১ লক্ষ ২৩ হাজার সেনাসদস্য রয়েছে, ভারতের রয়েছে ১৪ লক্ষ ৪৪ হাজার সেনাসদস্য। তবে রিজার্ভ সৈন্যর সংখ্যায় ভারত এগিয়ে৷ চীনের পাঁচ লাখ ১০ হাজারের বিপরীতে তাদের রয়েছে ২১ লাখ রিজার্ভ সৈন্য।

প্রতিরক্ষা বাজেট

প্রতিরক্ষা বাজেটে চীনের ধারে কাছেও নেই ভারত। প্রতিরক্ষা খাতে চীনের বাজেট ২৩৭০ কোটি ডলারের এবং ভারতের মাত্র ৬১০ কোটি ডলারের।

যুদ্ধজাহাজ

চীনের ৭৭৭টি আর ভারতের রয়েছে ২৮৫টি যুদ্ধজাহাজ।

সাবমেরিন

সাবমেরিনের সংখ্যার দিক থেকেও ভারত অনেক পিছিয়ে। চীনের ৭৪টির বিপরীতে ভারতের আছে ১৬টি সাবমেরিন।

বিমানবাহী জাহাজ

চীনের ২টি, ভারতের ১টি।

ট্যাঙ্ক

ভারতের ট্যাঙ্ক চীনের চেয়ে অনেক বেশি। চীনের আছে ৩৫০০টি ট্যাঙ্ক আর ভারতের ৪২৯২টি।

সাঁজোয়া যান

চীনের সাঁজোয়া যানবাহনের সংখ্যা ৩৩ হাজার, ভারতের আট হাজার ৬৮৬।

এয়ারক্রাফট

এখানেও চীন এগিয়ে। চীনের ৩২১০টির বিপরীতে ভারতের রয়েছে ২১২৩টি এয়ারক্রাফট।

যুদ্ধবিমান

চীনের যুদ্ধবিমান ভারতের দ্বিগুণেরও বেশি। চীনের ১২৩২টি আর ভারতের ৫৩৮টি।

হেলিকপ্টার

চীনের আছে ৯১১টি হেলিকপ্টার আর ভারতের ৭২২টি।

স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি

এখানে দু দেশের তুলনাই হয় না। চীনের আছে ৩৮০০, ভারতের মাত্র ২৩৫।

ফিল্ড আর্টিলারি

এখানে ভারত কিছুটা এগিয়ে। চীনের ৩৮০০-র বিপরীতে তাদের রয়েছে ৪০৬০টি ফিল্ড আর্টিলারি।

রকেট প্রজেক্টর

চীনের ২৬৫০, ভারতের ২৬৬৷ সুতরাং এখানে চীন প্রায় দশগুণ এগিয়ে।

ডেস্ট্রয়ার

চীনের ৩৬টি, অন্যদিকে ভারতের ১০টি।

ফ্রিগেট

চীনের ৫২, ভারতের তার ঠিক চার ভাগের এক ভাগ, অর্থাৎ ১৩টি।

রণতরি

রণতরি চীনের ৫০টি, ভারতের ১৯টি।

বিমানবন্দর

চীনের আছে মোট ৫০৭টি বিমানবন্দর আর ভারতের ৩৪৭টি।

নৌবন্দর এবং টার্মিনাল

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ চীন প্রায় সব জায়গার মতো এখানেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশের চেয়ে এগিয়ে। চীনের২২টির বিপরীতে তাদের রয়েছে মোট ১৩টি বন্দর ও টার্মিনাল।

উপকূলীয় টহল

চীনের ২২০, ভারতের ১৩৯।

 

সূত্র : গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ডটকম



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সরকার নির্বাচন: বড় বিপর্যয়ের মুখে ঋষি সুনাকের দল

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ ১টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ১০৭টি কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেখানে। সবার চোখ লন্ডন শহরের মেয়র পদের ফলাফলের দিকেও। তবে এই নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কিয়ার স্টারমারের লেবার পার্টি। অপরদিকে গত চার দশকে নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি। খবর বিবিসি।

এমনকি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিও ফলাফলের বিশ্লেষণে হারিয়ে দিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টিকে। শনিবার (৪ মে) স্থানীয় সময় বেলা ২টা পর্যন্ত ১০৭টি কাউন্সিলের মধ্যে ১০৩টি কাউন্সিলের ফলাফল প্রকাশিত হয়। সবশেষ ফলাফলে দেখা যায়, লেবার পার্টি ১ হাজার ৬১টি কাউন্সিলর পদে জয় লাভ করেছে। ৫০৮টি কাউন্সিলর পদে জয় পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। অপরদিকে ৫০৪টি কাউন্সিলর পদ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি।

লন্ডনের মেয়র পদের দিকেও রয়েছে সবার চোখ। এখানে টানা দুবার নির্বাচিত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খান পুনরায় বিজয়ী হলে তিনি হবেন লন্ডন শহরের মেয়র পদে হ্যাটট্রিক করা প্রথম কোনো মেয়র। অপরদিকে কনজারভেটিভ পার্টির সোসান নির্বাচিত হলে তিনি হবেন লন্ডন শহরের প্রথম নারী মেয়র।

নির্বাচনে ভরাডুবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক গণমাধ্যমে বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে লেবার পার্টি বড় জয় পেলেও আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণ কনজারভেটিভ পার্টিকেই ভোট দেবে। কারণ, কনজারভেটিভ পার্টি আলোকিত ব্রিটেন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। অপরদিকে স্থানীয় নির্বাচনে ভালো করা লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জনগণ জানিয়ে দিয়েছেন তারা পরিবর্তন চান।

উল্লেখ্য, স্থানীয় নির্বাচনে ভালো ফলাফল করায় ঋষি সুনাককে উদ্দেশ্য করে আগাম জাতীয় নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি।


যুক্তরাজ্য   স্থানীয় সরকার নির্বাচন   বিপর্যয়   ঋষি সুনাক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিজ্জর হত্যা ইস্যুতে মুখ খুললেন জয়শংকর

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

খালিস্তান নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার ঘটনায় ৩ ভারতীয়কে গ্রেফতার করেছে কানাডা পুলিশ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

তিনি বলেন, তিন ভারতীয়কে গ্রেফতারের বিষয়টি তিনি দেখেছেন। এখন কানাডা তাদের বিষয়ে আমাদের কোনো তথ্য সরবরাহ করবে কিনা তার জন্য অপেক্ষায় আছি। অভিযুক্তরা কোনো গ্যাংয়ের হয়ে কাজ করতে পারে। তবে পুলিশ কী বলে সে বিষয়ের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।

জয়শঙ্কর আরও বলেন, 'আমরা আমাদের অভিমত তাদের (কানাডা) জানিয়েছি। কারণ তারা ভারত থেকে সংগঠিত অপরাধ বিশেষ করে পাঞ্জাবের কর্মকাণ্ডকে কানাডা থেকে পরিচালিত করার সুযোগ দিয়েছে।' 

জয়শঙ্কর বরাবরই বলে আসছেন, কানাডায় শিখ সন্ত্রাসবাদীরা অনেক দিন থেকেই ভারতবিরোধী প্রচার চালিয়ে আসছে। ভারত তাদের আন্দোলনের বিরোধিতায় কানাডা সরকারকে সক্রিয় হতে অনুরোধ করেছে। কিন্তু ট্রুডো সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার দরুন তারা তা করছে না।

ভারতের অভিযোগ, নিজ্জর হত্যা সম্পর্কে কানাডা আজও কোনো তথ্য ভারতকে দেয়নি। অথচ ভারত বারবার তা জানানোর দাবি করে আসছে। কানাডার অভিযোগ, ভারত ওই হত্যায়  হাত থাকার খবর অস্বীকার করে চলেছে। তারা তদন্তে কোনো সহযোগিতাই করতে চাইছে না।

এর আগে, সম্প্রতি কানাডার এডমন্টন শহর থেকে ওই তিন ভারতীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন করণ ব্রার (২২), কমলপ্রীত সিং (২২) ও করণপ্রীত সিং (২৮)। আদালতের নথি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। তারা তিন থেকে পাঁচ বছর সে দেশে রয়েছে।

তাদের গ্রেফতারের বিষয়ে কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয় ভার্মা বলেন, তিনজনকে গ্রেফতারের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক তথ্য রাখছি। এটা কানাডার অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের পুলিশ অবশ্যই স্বচ্ছতার মাধ্যমে তদন্তে সাক্ষেপে প্রতিবেদন তৈরি করবে। 

গত বছরের জুনে শিখ নেতা ৪৫ বছর বয়সী নিজ্জরকে কানাডায় হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ ঘটনায় ভারত সরকারকে দায়ী করেন। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। 


নিজ্জর   হত্যা   এস জয়শঙ্কর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের স্বীকার ফিলিস্তিনি নারী

প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

জার্মানির রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত উন্নয়ন সংস্থার একজন ফিলিস্তিনি নারী কর্মী এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে যে কারাগারে তাকে মারধর ও নির্যাতন করা হচ্ছে। রোববার (৫ মে) এক প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জার্মান এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের জন্য কাজ করেন ৩৪ বছর বয়সী বারা ওদেহ। গত ৫ মার্চ কাজ থেকে ছুটি পেয়ে জার্মানি থেকে রামাল্লায় তার বাড়িতে ফেরার সময় ইসরায়েলি সীমান্তরক্ষীরা তাকে আটক করে। এরপর থেকে তাকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই তিন মাসের জন্য কারাগারে আটকে করে রাখা হয়।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন বন্দী অধিকার গোষ্ঠী ইসরায়েলি কারাগারে, বিশেষ করে সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, ইসরায়েলের পদ্ধতিগত নির্যাতনের বিষয়ে সতর্কতা বাড়িয়েছে।


ইসরায়েল   কারাগার   নির্যাতন   ফিলিস্তিনি নারী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের গুলি

প্রকাশ: ০৩:৫১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এরই মধ্যে দেশটির ৪৫টি অঙ্গরাজ্যের ১৪০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন প্রশাসনের ব্যাপক ধরপাকড় সত্ত্বেও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে বিক্ষোভকারীরা। গত ১৭ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই বিক্ষোভের সূচনা হয়। এরই মধ্যে বিক্ষোভ আমেরিকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপ, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভ চলছে।

এদিকে, আন্দোলনের সূচনা হওয়া কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের একজন সদস্য গুলি ছুড়েছেন। তবে এতে কেউ আহত হননি। ওই সময় সেখান থেকে আরও ১১২ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, শনিবার কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবন থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে গিয়ে ঘটনাচক্রে একজন পুলিশ সদস্য গুলি ছুড়েছেন। গুলিটি পরে পাশের একটি দেয়াল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র সার্জেন্ট তারিক শেপার্ড বলেন, “প্রতি বছর গড়ে আটটি দুর্ঘটনাজনিত গুলির ঘটনা ঘটে থাকে। প্রতিটি ঘটনাই তদন্ত করে দেখা হয়।”

এদিকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানহাটন ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষ পুলিশের সাহায্য চাওয়ার পর ওই ক্যাম্পাস থেকে ১১২ জন বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হলে শিক্ষার্থীরা বেরিকেড দিয়েছিল। সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার সময় একজন পুলিশ সদস্য কয়েক ফুট দূর থেকে দেয়ালে গুলি ছুড়েছেন। ওই দেয়ালের আশেপাশে কোনও শিক্ষার্থী ছিল না। তবু ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমাদের ধারণা, গুলি ছোড়ার ঘটনাটি দুর্ঘটনাবশত ঘটেছে।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা হ্যামিলটন হল নামের একটি স্কুলভবন দখল করে নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট মিনোচে শফিক নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগকে তলব করেন। এরপর পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে সেখানে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্নাতক চূড়ান্ত সেমিস্টারের পরীক্ষার আর কয়েক সপ্তাহ বাকি রয়েছে। এই সময়ে সীমিত পরিসরে ক্যাম্পাস খোলা থাকবে এবং সকল পরীক্ষা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে নিউইয়র্ক পুলিশ হ্যামিলটন হলে অভিযানের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হ্যামিলটন হলের সিঁড়িতে বিক্ষোভকারীরা চেয়ার ও ডেস্ক ফেলে রেখেছে। সেগুলো সরিয়ে নিচ্ছে পুলিশ।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিবিসিকে বলেছিলেন, পুলিশ তাদের ওপর আক্রমণাত্মক আচরণ করছে। তবে নিউইয়র্ক পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকার শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ। বিক্ষোভকারীদের হটাতে মারমুখী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইতোমধ্যে দুই হাজার চার শতাধিক বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  


ইসরায়েলবিরোধী   বিক্ষোভ   কলাম্বিয়া   বিশ্ববিদ্যাল   পুলিশ   গুলি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রচণ্ড পেট ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে, বের হলো মোবাইল ফোন!

প্রকাশ: ০৩:৩২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ এক মাস ধরে পেটে ব্যথায় ভুগছিলেন এক কারাবন্দি। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা তার পেটে আস্তো একটি মোবাইল ফোন দেখতে পায়। এরপর অস্ত্রোপচার করে সেটি বের করা হয়। 

ঘটনাটি ভারতের কর্ণাটকের শিবমোগা কেন্দ্রীয় কারাগারে এক বন্দির। বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করে সেই মোবাইল ফোন বের করেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে ওই কয়েদি সুস্থ রয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খুনের দায়ে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ৩৮ বছরের পরশুরাম কোনো উপায়ে একটি মোবাইল ফোন যোগার করেন। কিন্তু কারাগারের রুটিন তল্লাশির সময় মহাবিপদে পড়েন তিনি। কারারক্ষীদের থেকে বাঁচতে ফোনটিকে অন্য কোথায় লুকানোর বদলে গিলে ফেলেন এই কয়েদি।

কোনো ঝুঁকি না-নিয়ে ওই বন্দিকে বেঙ্গালুরুতে পাঠানো হয় গত ১ এপ্রিল। ভর্তি করা হয় পরশুরামকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে। ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক বুঝতে পারেন, পেটের ভেতরে আস্ত একটা মোবাইল ফোন রয়েছে। পরে গত ২৫ এপ্রিল পরশুরামের অস্ত্রোপচার হয় ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে। দীর্ঘ ৭৫ মিনিট ধরে অপারেশন শেষ মোবাইলটি বের করা হয়। 

হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চীনা ফোনটি আকারে ছোট হওয়ায় সেটি খাদ্যনালি দিয়ে পরশুরামের পাকস্থলীতে চলে গিয়েছিল। প্রায় ২০ দিন মোবাইল ফোনটি পেটের মধ্যে ছিল।

এদিকে কারাগারে মোবাইল রাখার অভিযোগে পরশুরামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তুঙ্গানগর থানার পুলিশ। 


হাসপাতাল   মোবাইল ফোন   কারাবন্দি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন