নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৩ এএম, ১৪ অগাস্ট, ২০২০
একটি দেশ স্বাধীনতা পেলেই কি স্বাধীন হতে পারে? স্বাধীনতার সাত দশক পর পাকিস্তানের কোনো বোধ বুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিক এমন প্রশ্ন তুলতেই পারেন। কারণ আজ স্বাধীনতার ৭৪ তম বার্ষিকীতেও বিশ্বে ব্যর্থতম রাষ্ট্রের তকমা লাগানো পাকিস্তানের গায়ে। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পর সাত দশক পেরিয়ে গেছে। অথচ এখনো অস্তিত্বের সংকটে পাকিস্তান। বর্তমানে বিশ্বে ব্যর্থ রাষ্ট্রের প্রতীক এই দেশ। কেউ কেউ আবার একে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের আখ্যাও দিয়ে থাকেন। কিন্তু কেন তাদের এ অবস্থা? স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও কেন উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য নেই পাকিস্তানের?
পাকিস্তানের মাত্র একদিন পর ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীন হয় ভারত, অথচ ভারত এখন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক পরাশক্তি। তার অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশের তালিকায় পাকিস্তানকে খুঁজেই পাওয়া যায় না। প্রতিবেশী দুটো দেশের কেন এমন উল্টো চিত্র?
বিশ্লেষকরা বলেন, এর কারণ স্বাধীন হওয়ার পরে ভারত খুব দ্রুত গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে শুরু করে। পাকিস্তান সে পথ নেয়নি। ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫২ সালেই সাধারণ নির্বাচনে যায় ভারত। নতুন সরকার গঠিত হয়। কিন্তু পাকিস্তান স্বাধীনতার ২৩ বছর পর ১৯৭০ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচনের মুখ দেখে। দীর্ঘ দিন গণতন্ত্রের পথে না হাঁটায় স্বাধীনতার পর প্রায় দু’দশক ধরে পাকিস্তানে রাষ্ট্রক্ষমতার হাতবদল হয়েছে কোনও নির্দিষ্ট নীতি না মেনে। রাষ্ট্রচালনায় জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে অযথা দেরি হওয়ায় সেনাবাহিনী শাসন ক্ষমতায় নাক গলানোর সুযোগ পেয়ে যায়।
বিশ্লেষকরা বলেন, পাকিস্তানের ব্যর্থতার মূল কারণ হলো, এটা কোনো আদর্শভিত্তিক রাষ্ট্র নয়। যেকোন দেশ, প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তিরও সাফল্য পেতে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেটি হলো নীতি বা আদর্শ। এই বিষয়টিই নেই পাকিস্তানে।
জাতিগত দমন-পীড়নও পাকিস্তানের ব্যর্থতার বড় কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই দেশটির শাসকগণ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালীদের ওপর বৈষম্যমূলক আচরণ করতে শুরু করে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান একের পর এক ব্যর্থতার রেকর্ড গড়ে চলেছে।
পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের জনগোষ্ঠী এখনও বিভিন্নভাবে বৈষম্যমূলক আচরণের স্বীকার হচ্ছে। দেশটির নারীরাও প্রতিটি ক্ষেত্রে বঞ্চনার স্বীকার হচ্ছে। আর নারী জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে রেখে কোন দেশই সফল হতে পারেনি।
সামরিক শাসন পাকিস্তানের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ। স্বাধীনতার পর থেকে বেশিরভাগ সময়ই সেনাবাহিনী দেশটিতে নেতৃত্বে ছিল। বলা হয়ে থাকে, দেশটির কোন সরকারই সেনাবাহিনীর ইচ্ছা ছাড়া ক্ষমতায় আসতে পারেনি। তাছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচিত সরকারই তাদের মেয়াদ শেষ করতে পারেনি পাকিস্তানে। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই বিভিন্ন কারণে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।
পাকিস্তানের আরেকটি বড় সমস্যা হলো জঙ্গিবাদ। দেশটির সেনাবাহিনীই জঙ্গিদের লালন করে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশ্বের সভ্য দেশগুলো যখন নিজেদের ভূখণ্ড জঙ্গিমুক্ত রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, পাকিস্তান সেখানে জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। শীর্ষ জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেনকেও পাওয়া গিয়েছিল দেশটির আবোটাবাদ এলাকায়। যার পাশেই ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ঘাঁটি।
ইসলামের ওপর ভিত্তি করে পাকিস্তানের অভ্যুদয় ঘটলেও এর বিভিন্ন কর্মকান্ডই ইসলাম পরিপন্থী। তাছাড়া এটা গণতান্ত্রিক নাকি একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। যখন যিনি ক্ষমতায় আসেন, তিনিই তার খেয়াল খুশিমতো পাকিস্তান পরিচালনা করেন। নওয়াজ শরীফ ও তার দল যখন শাসন ক্ষমতায় ছিল তারা তাদের মতো দেশ চালিয়েছে। আবার দুর্নীতিবাজ বলে বিশ্বব্যাপী পরিচিত ভুট্টো পরিবার যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন একভাবে পাকিস্তান চলেছে। সাবেক ক্রিকেটার ও পাকিস্তান তেহরিক এ ইনসাফের প্রধান ইমরান খান আবার অন্যভাবে দেশ চালাচ্ছেন। তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২ বছর পেরিয়ে গেল। অনেক আশা জাগিয়ে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু এখনও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার স্কোর শূন্যই বলা চলে। শোনা যায় সামরিক বাহিনীর হাতে ক্ষমতা বর্গা দেওয়ার মুচলেকা দিয়েই ইমরান ক্ষমতায় এসেছিলেন। সেই সেনা বাহিনীর সঙ্গেও এখন তার বিরোধের গুঞ্জন ডালপালা মেলছে। এ অবস্থায় পাকিস্তান নিজেদের ব্যর্থতার বোঝা ভারি করে আবারও উল্টো পথে হাঁটে কিনা সেটাও এক বড় প্রশ্ন।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার ছাত্র আন্দোলন গাঁজায় গণহত্যা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন
কানাডা প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
মন্তব্য করুন
হলিউড সিনেমাতে হরহামেশাই আমরা দেখে থাকি, অস্ত্র চালনা কিংবা হ্যান্ড টু হ্যান্ড কমব্যাট, যুদ্ধক্ষেত্রে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রোবট। কখনো মানুষের পক্ষে কখনো মানুষের বিপক্ষে বিরাট রোবট বাহিনী। এবার সিনেমাতে নয়, বাস্তবেই যুদ্ধের ময়দানে দেখা যাচ্ছে রোবট। সিনেমায় দেখানো রোবটের মতো এত উন্নত প্রযুক্তির না হলেও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে দেখা যাচ্ছে কিলার রোবটের ব্যবহার।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অধ্যাপক টোবি ওয়ালশ বলেন, কিলার রোবট শুনলে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির মুভিতে দেখা রোবটের কথা মনে হয়৷ কিন্তু সমস্যা হলো, এগুলো এখন বাস্তবে হচ্ছে৷ এগুলো টার্মিনেটর রোবট নয়৷ এগুলো একধরনের ড্রোন যার ব্যবহার আমরা ইউক্রেন যুদ্ধে দেখতে পাচ্ছি৷ এসব ড্রোনকে মানুষের চেয়ে কম্পিউটার দিয়ে নিয়ন্ত্রণের পরিমাণ বাড়ছে৷
ট্যাঙ্ক, পরিখায় সৈন্য- ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার শুরুতে আমরা এমনটা দেখেছিলাম৷ কিন্তু পরবর্তীতে দুই পক্ষই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শুরু করে৷ যেমন বায়রাক্তার ড্রোন৷ একেকটির দাম ১১ মিলিয়ন ইউরোর বেশি৷
জার্মান প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. গারি শাল বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার কাছে থাকা অনেক অস্ত্রকে পরবর্তীতে এআই-সমৃদ্ধ করা হয়েছে৷ ফলে যুদ্ধে পরিবর্তন এসেছে৷ যেমন রাশিয়াকে আমরা এআই-সমৃদ্ধ গ্লাইড বোমা ব্যবহার করতে দেখেছি৷ আর ইউক্রেনের এআই-সমৃদ্ধ অস্ত্রের মধ্যে আছে ড্রোন৷ যুদ্ধের প্রথম কয়েক মাসে ইউক্রেন যে কার্যকর ও সফল ছিল, তার কারণ ছিল তারা পরিস্থিতি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিল৷
সামরিক সংঘাত মানে হলো, তথ্য সংগ্রহ ও সেগুলোর অর্থ বুঝতে পারা৷ কত দ্রুত সেটা করা যাচ্ছে তাও গুরুত্বপূর্ণ৷ এআই সেটা করতে পারে ও সিদ্ধান্ত নিতে পারে৷
মিউনিখের বুন্ডেসভেয়ার ইউনিভার্সিটির আক্সেল শুলটে বলেন, এখন অনেক কিছু স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাওয়ায় মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যে শ্রম বিভাজন করতে গিয়ে আমাদের সতর্কতার সঙ্গে ভাবতে হবে৷ মানুষের উদ্দেশ্য আছে, যন্ত্রের নেই৷ আমরা এসব যন্ত্রকে, এসব স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাকে, হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করি৷
কিন্তু ড্রোন কি হিউম্যানয়েড কিলার রোবট বা টার্মিনেটর হতে পারে? আক্সেল শুলটে বলেন, টার্মিনেটর? না সেটা সম্ভব না৷ আমরা এখনো প্রযুক্তিগতভাবে অতদূর এগোইনি৷ হ্যাঁ, ইউটিউবে আমরা বস্টন ডাইনামিক্সের দারুন সব ভিডিও দেখি বটে৷ আমরা দেখি, গতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এসব যন্ত্রের দক্ষতা বেশ ভালো৷ তারা ডিগবাজি বা সে রকম কিছু দিতে পারে৷ কিন্তু এর মানে এই নয় যে, সেগুলো বিপজ্জনক কিলার রোবট হয়ে গেছে৷
২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী সামরিক ব্যয় দুই ট্রিলিয়ন ইউরো ছাড়িয়ে গেছে- যা একটি রেকর্ড৷ ৭৫০ বিলিয়ন ইউরো খরচ করে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে চীনও কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছে৷ ২০২২ সালে রাশিয়া তার সামরিক বাজেট নয় শতাংশ বাড়িয়েছিল৷
জার্মান প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. গারি শাল বলেন, যদি আপনার এমন বাহিনী থাকে যেটা এআই ব্যবহার করে, তাহলে, অন্য যারা এআই ব্যবহার করে না, তাদের চেয়ে আপনার কৌশল ভিন্ন হবে৷ এটা শুধু যন্ত্রের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ঢোকানোর বিষয় নয়৷ এটা পুরো ব্যবস্থা পরিবর্তনের বিষয়: প্রশিক্ষণ, কৌশল, সংগঠন সবক্ষেত্রে৷
স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র তৈরিতে কাজ করছে পৃথিবীর প্রায় ৬০টি দেশ। শান্তিপূর্ণ প্রয়োজনে রোবট বানাচ্ছে তারা। তবে এসকল রোবট বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের দিকে ঝুঁকলে নিঃসন্দেহে তা হবে ভয়ংকর।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি)তদন্তের বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে এ আদালতের দেওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সমর্থন করেছে। মস্কো ওয়াশিংটনের এই আচরণকে ‘কপট’ উল্লেখ করে বলেছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের ভণ্ডামি।
আইসিসি যুদ্ধাপরাধের দায়ে ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করার পাশাপাশি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যার তদন্ত করতে পারে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা ও সাত মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার তদন্ত করছে সংস্থাটি।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ–পিয়েরে গত সোমবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্ত সমর্থন করে না । এ ছাড়া এই বিষয়ে আদালতের এখতিয়ারের বিষয়টিতেও বিশ্বাস করে না তারা। তবে এর আগে গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি ছিল ন্যায়সংগত। ইউক্রেনে কথিত রুশ যুদ্ধাপরাধের বিবরণ আইসিসির কাছে তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মস্কো বলেছে, পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করা পশ্চিমাদের অর্থহীন প্রয়াস। এর মধ্য দিয়ে তারা রাশিয়ার সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। তারা ইউক্রেনে কোনো যুদ্ধাপরাধ করেনি। তবে ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ করেছে। রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেন যে অপরাধ করেছে, তা এড়িয়ে গেছে পশ্চিমারা। তবে কিয়েভ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রামে করা এক পোস্টে বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আইসিসির দেওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা পুরোপুরি সমর্থন করে ওয়াশিংটন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের ও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্তের বৈধতা স্বীকার করতে চাইছে না। জাখারোভা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থান কপটতার শামিল।
রাশিয়া আইসিসির সদস্যদেশ নয়। ইসরায়েলও এর সদস্য নয়। তবে ২০১৫ সালে ফিলিস্তিন আইসিসির সদস্য হয়। গত শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আইসিসির কোনো সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের কার্যক্রমের ওপর প্রভাব ফেলবে না; কিন্তু বিপজ্জনক একটি উদাহরণ তৈরি করবে। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা অবশ্য আইসিসির আদেশ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে। তাঁদের ধারণা, আইসিসির পক্ষ থেকে গাজায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলে অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে। একই সঙ্গে হামাস নেতাদের বিরুদ্ধেও এ পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত সাড়ে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নির্বিচার হামলা ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত এক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে মার্কিন পুলিশ প্রশাসন। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিউইয়র্কের সিটি কলেজ ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে পরিচালিত হয়েছে পুলিশি অভিযান। এ অভিযানে ক্যাম্পাস দুটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক ফিলিস্তিন সমর্থকারীকে।
হলিউড সিনেমাতে হরহামেশাই আমরা দেখে থাকি, অস্ত্র চালনা কিংবা হ্যান্ড টু হ্যান্ড কমব্যাট, যুদ্ধক্ষেত্রে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রোবট। কখনো মানুষের পক্ষে কখনো মানুষের বিপক্ষে বিরাট রোবট বাহিনী। এবার সিনেমাতে নয়, বাস্তবেই যুদ্ধের ময়দানে দেখা যাচ্ছে রোবট। সিনেমায় দেখানো রোবটের মতো এত উন্নত প্রযুক্তির না হলেও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে দেখা যাচ্ছে কিলার রোবটের ব্যবহার।