ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের যত প্রেসিডেন্ট: প্রথম থেকে বর্তমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ২০ জানুয়ারী, ২০২১


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আজ শপথ নিবেন জো বাইডেন। আসুন দেখে নেয়া যাক যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম থেকে বর্তমান প্রেসিডেন্টদের নাম, মেয়াদকাল এবং রাজনৈতিক দল।

১. জর্জ ওয়াশিংটন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট। তিনি ৩০ এপ্রিল, ১৭৮৯ থেকে ৪ মার্চ, ১৭৯৭ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি কোন রাজনৈতিক দল ছাড়াই প্রেসিডেন্ট হন।

২. জন অ্যাডাম্‌স: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৭৯৭ থেকে ৪ মার্চ, ১৮০১। রাজনৈতিক দল- ফেডারেলিস্ট (নির্দলীয়)

৩. টমাস জেফারসন: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮০১ থেকে ৪ মার্চ, ১৮০৯। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক-রিপাবলিকান।

৪. জেমস ম্যাডিসন: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮০৯ থেকে ৪ মার্চ, ১৮১৭। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক-রিপাবলিকান।

৫. জেমস মন্‌রো: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮১৭ থেকে ৪ মার্চ, ১৮২৫। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক-রিপাবলিকান।

৬. জন কুইন্সি অ্যাডাম্‌স: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮২৫ থেকে ৪ মার্চ, ১৮২৯। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক-রিপাবলিক।

৭. অ্যান্ড্রু জ্যাকসন: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮২৯ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৩৭। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

৮. মার্টিন ভ্যান বিউরেন: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৩৭ থেকে মার্চ ৪ ১৮৪১। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

৯. উইলিয়াম হেনরি হ্যারিসন: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৪১ থেকে এপ্রিল ৪ ১৮৪১। রাজনৈতিক দল- হুইগ।

১০. জন টাইলার: মেয়াদকাল- ৪ এপ্রিল, ১৮৪১ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৪৫। রাজনৈতিক দল- হুইগ।

১১. জেমস নক্স পোক: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৪৫ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৪৯। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

১২. জ্যাকারি টেইলর: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৪৯ থেকে ৯ জুলাই, ১৮৫০। রাজনৈতিক দল- হুইগ।

১৩. মিলার্ড ফিল্‌মোর: মেয়াদকাল- ৯ জুলাই, ১৮৫০ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৫৩। রাজনৈতিক দল- হুইগ।

১৪. ফ্রাংক্‌লিন পিয়ের্স: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৫৩ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৫৭। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

১৫. জেমস বিউকানান: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৫৭ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৬১। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

১৬. আব্রাহাম লিংকন: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৬১ থেকে ১৫ এপ্রিল, ১৮৬৫। রাজনৈতিক দল- ১ম মেয়াদে রিপাবলিকান এবং ২য় মেয়াদে ন্যাশনাল ইউনিয়ন থেকে নির্বাচিত হন।

১৭. অ্যান্ড্রু জনসন: মেয়াদকাল- ১৫ এপ্রিল, ১৮৬৫ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৬৯। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল ইউনিয়ন।

১৮.ইউলিসিস এস গ্রান্ট: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৬৯ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৭৭। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

১৯. রাদারফোর্ড বি হেইজ: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৭৭  থেকে ৪ মার্চ, ১৮৮১। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

২০. জেমস গারফিল্ড: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৮১ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৮৮১। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

২১. চেস্টার এ আর্থার: মেয়াদকাল- ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৮৮১ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৮৫। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

২২. গ্রোভার ক্লিভ্‌ল্যান্ড: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৮৫ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৮৯। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

২৩. বেঞ্জামিন হ্যারিসন: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৮৯ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৯৩। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

২৪. গ্রোভার ক্লিভ্‌ল্যান্ড: ২২ তম প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ২৪ তম প্রেসিডেন্টও হন তিনি। মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৮৫ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৮৯। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

২৫. উইলিয়াম ম্যাকিন্‌লি: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৯৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯০১। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

২৬. থিওডোর রুজ্‌ভেল্ট: মেয়াদকাল- ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯০১ থেকে ৪ মার্চ, ১৯০৯। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

২৭. উইলিয়াম হাওয়ার্ড ট্যাফ্‌ট্‌: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৯০৯ থেকে মার্চ ৪ ১৯১৩। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

২৮. উড্রো উইল্‌সন: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৯১৩ থেকে ৪ মার্চ, ১৯২১। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

২৯. ওয়ারেন জি. হার্ডিং: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৯২১ থেকে ২ আগস্ট, ১৯২৩। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

৩০. ক্যালভিন কুলিজ: মেয়াদকাল- ২ আগস্ট, ১৯২৩ থেকে ৪ মার্চ, ১৯২৯। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

৩১. হার্বার্ট হুভার: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৯২৯ থেকে ৪ মার্চ, ১৯৩৩। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

৩২. ফ্রাংক্‌লিন ডি. রুজভেল্ট: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৯৩৩ থেকে ১২ এপ্রিল, ১৯৪৫। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

৩৩. হ্যারি এস ট্রুম্যান: মেয়াদকাল- ১২ এপ্রিল, ১৯৪৫ থেকে ২০ জানুয়ারি, ১৯৫৩। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

৩৪. ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার: মেয়াদকাল- ২০ জানুয়ারি, ১৯৫৩ থেকে ২০ জানুয়ারি, ১৯৬১। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

৩৫. জন এফ কেনেডি: মেয়াদকাল- ২০ জানুয়ারি, ১৯৬১ থেকে ২২ নভেম্বর, ১৯৬৩। রাজনৈতিক দল-ডেমোক্রেটিক।

৩৬. লিন্ডন বি. জনসন: মেয়াদকাল- ২২ নভেম্বর ১৯৬৩ থেকে ২০ জানুয়ারি, ১৯৬৯। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

৩৭. রিচার্ড নিক্সন: মেয়াদকাল- ২০ জানুয়ারি, ১৯৬৯ থেকে ৯ আগস্ট, ১৯৭৪। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

৩৮. জেরাল্ড ফোর্ড: মেয়াদকাল- ৯ আগস্ট, ১৯৭৪ থেকে ২০ জানুয়ারি, ১৯৭৭। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

৩৯. জিমি কার্টার: মেয়াদকাল- ২০ জানুয়ারি, ১৯৭৭ থেকে ২০ জানুয়ারি, ১৯৮১। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

৪০. রোনাল্ড রেগান: মেয়াদকাল- ২০ জানুয়ারি, ১৯৮১ থেকে ২০ জানুয়ারি, ১৯৮৯। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

৪১. জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ: মেয়াদকাল- ২০ জানুয়ারি, ১৯৮৯ থেকে ২০ জানুয়ারি, ১৯৯৩। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

৪২. বিল ক্লিনটন: মেয়াদকাল- ২০ জানুয়ারি, ১৯৯৩ থেকে ২০ জানুয়ারি, ২০০১। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

৪৩. জর্জ ডব্লিউ বুশ: মেয়াদকাল- ২০ জানুয়ারি ২০০১ থেকে ২০ জানুয়ারি, ২০০৯। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

৪৪. বারাক ওবামা: মেয়াদকাল- ২০ জানুয়ারি, ২০০৯ থেকে ২০ জানুয়ারি, ২০১৭। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

৪৫. ডোনাল্ড ট্রাম্প: যুক্তরাষ্ট্রের সদ্যবিদায়ী ৪৫ তম প্রেসিডেন্ট। মেয়াদকাল- ২০ জানুয়ারি, ২০১৭ থেকে ২০ জানুয়ারি, ২০২১। তার রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান।

৪৬. জো বাইডেন: যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট। আজ (২০ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিবেন তিনি। তার রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের নির্বাচনে ভোটের হার কেন এত কম?

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আশানুরূপ হচ্ছে না। কম ভোটার উপস্থিতি নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপির নেতারা।   

দেশটিতে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য। অথচ অধিকাংশ ভোটারদেরই কোনো আগ্রহ নেই নির্বাচন নিয়ে। কিন্তু কেন নির্বাচন নিয়ে দিন দিন এত অনাগ্রহী হয়ে উঠেছেন ভারতের ভোটাররা? বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশেই কেন ভোট নিয়ে এত অনীহা জনগণের মাঝে?

টানা ৭৫ বছর ধরে গণতান্ত্রিক শাসনে থাকা দেশটিতে এবারের নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোটের হার ছিল মাত্র ৬৪ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ধাপে ভোটের হার ছিল ৬৩ শতাংশ। যা আগের বছরের নির্বাচন গুলোর তুলনায় অনেক কম। 

নির্বাচন কমিশন দাবি করছে, অসময়ের গরম আবহাওয়া এবং বিয়ের অনুষ্ঠানের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হচ্ছে। অবশ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার ভোটারদের কেন্দ্রে টেনে আনার মতো শক্তিশালী কোনো ইস্যু নেই মোদির কাছে। তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভোটাররা আত্মতুষ্টি বা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে কেন্দ্রে আসছেন না। ফলে ভোটার সংখ্যা কম। 

দ্বিতীয় ধাপে দেশটির ১৩টি রাজ্যের মোট ৮৮টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর উত্তরবঙ্গের তিনটি আসন দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটের ভোটের হার দেখা গেছে শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বালুরঘাটে ভোটদানের হার ছিল ৭৯ দশমিক ৯ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৭৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং রায়গঞ্জে ৭৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। অথচ ২০১৯ সালে বালুরঘাটে ভোট পড়েছিল ৮৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৭৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং রায়গঞ্জে ৭৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশের মতো, যা প্রথম দফার ভোটের চেয়েও ৬ শতাংশ কম। বিহারেও ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে আরও কম, সাড়ে ৫৪ শতাংশের মতো। মধ্যপ্রদেশে সামান্য বেশি, সাড়ে ৫৭ শতাংশ। ফলে কম ভোটের এই হার সকল মহলকে কিছু হলেও উদ্বিগ্ন করছে। 

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের দিখৌলী নামের একটি গ্রামে ভোট পড়েছে মাত্র পাঁচ শতাংশ। ভোট কম পড়ার কারণ হিসেবে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ভোটদানে উৎসাহ নেই বেশির ভাগ গ্রামের মানুষের। অনেকেই আবার কৃষিকাজে ব্যস্ত।

ভারতের বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, নরেন্দ্র মোদি টানা ১০ বছর ধরে ভারত শাসন করছেন। এবারের নির্বাচনে আবারও তিনিই জয়লাভ করবেন এবং তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করবেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনের ব্যাপারে জনগণের একটি বড় অংশ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। পাশাপাশি এবার ভোটারদের কেন্দ্রে টেনে আনার মতো শক্তিশালী কোনো ইস্যুও সামনে আনতে পারেননি এনডিএ বা ইন্ডিয়া জোটের কেউই। তাছাড়া এবারের লোকসভা নির্বাচনে আবহাওয়া একটা বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তীব্র গরমের কারণে অনেক ভোটার ভোট দিতে বের হচ্ছেন না। ফলে সব কিছু মিলিয়ে এবার উল্লেখযোগ্য হারে নির্বাচনে ভোটের হার কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মনে করছেন ভারতের নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা।

ভারতের নির্বাচন   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারত সফর স্থগিতের পর চীনে গেলেন ইলন মাস্ক

প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বৈদ্যুতিক গাড়ির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ক ভারতে তার নির্ধারিত সফর স্থগিত করেন এবং এই সফর স্থগিতের কয়েকদিন পরই হঠাৎ করে চীন সফরে গেছেন তিনি। 

রোববার(২৮ এপ্রিল) টেসলার একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে অনেকটা আকস্মিকভাবেই রোববার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন তিনি। টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চীন সফরের বিষয়ে অবগত দুই ব্যক্তি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।  

২১ এপ্রিল ভারত সফরে যাবার কথা ছিল ইলন মাস্কের। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে তার বৈঠক ও ভারতে টেসলার বিনিয়োগ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করার কথা ছিল।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে এক্সে দেওয়া বার্তায় টেসলার এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, 'দুর্ভাগ্যবশত টেসলায় ব্যাপক কাজ জমে যাওয়ায় ভারত সফর পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে আমি চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত মুখিয়ে আছি।' 

টেসলার সিইওর ভারত সফর স্থগিতের এক সপ্তাহ পর চীন সফরের তথ্য এলো। চীনে সফটওয়্যারের মাধ্যমে টেসলার স্বচালিত (এফএসডি) বৈদ্যুতিক গাড়ির যাত্রা শুরুর বিষয়ে আলোচনার জন্য বেইজিংয়ে চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করছেন। স্বচালিত ড্রাইভিং প্রযুক্তির উন্নতির জন্য অ্যালগরিদম প্রশিক্ষণে চীনে সংগৃহীত ডাটা বিদেশে স্থানান্তর করার অনুমতির বিষয়েও চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় মাস্ক বলেছেন, চীনে শিগগিরই ব্যবহারকারীদের জন্য এফএসডির সরবরাহ শুরু করবে টেসলা। রয়টার্স বলছে, ২০২১ সাল থেকে চীনা নিয়ন্ত্রকদের শর্ত অনুযায়ী সাংহাইতে টেসলার চীনা বহরের সংগৃহীত সব ডাটা সংরক্ষণ করেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা স্থানান্তর করেনি।


ভারত   সফর   স্থগিত   চীন   ইলন মাস্ক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের সর্বাত্মক চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন। আর সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে সর্বাত্মক কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। 

বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে আইসিসি।

নিউজ সাইট ওয়ালায় বিশ্লেষক বেন কাসপিট লিখেছেন, নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে হেগের বিশ্ব আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আশঙ্কায় ‘অস্বাভাবিক চাপে’ রয়েছেন। নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য ইসরায়েলি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অর্থ হল- ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সুনামে বড় ধরনের আঘাত।

কাসপিট লিখেছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রতিরোধে নেতানিহুয়া ‘বিরতিহীনভাবে টেলিফোনে চেষ্টা করে’ যাচ্ছেন। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সাথে তিনি সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎসের বিশ্লেষক অ্যামোস হারেল লিখেছেন, ইসরায়েলি সরকার এই ধারণা নিয়ে কাজ করছে যে আইসিসির প্রসিকিউটর করির খান চলতি সপ্তাহেই নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং আইডিএফ প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

হারেল জানিয়ছেন, আমেরিকা ইতোমধ্যেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকানোর জন্য জোর তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, আইসিসির রোম চুক্তিতে ১২৪টি দেশ সই করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল তাতে স্বাক্ষর করেনি। যুদ্ধের ব্যাপারে নেতানিয়াহুর সর্বশেষ সরকারি বিবৃতিতে দাবি বলা হয়েছে, আইসিসির আসন্ন সিদ্ধান্ত ‘বিপজ্জনক নজির’ সৃষ্টি করতে পারে।


গ্রেফতার   নেতানিয়াহু   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গরমে ট্রাফিক পুলিশকে স্বস্তিতে রাখতে ‘এসি হেলমেট’

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচণ্ড গরমে টানা রোদে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। সড়কে দায়িত্বরত পুলিশদের কিছুটা শীতল ও স্বস্তিতে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের লখনৌর ট্রাফিক বিভাগ। ‘ঠান্ডা উদ্যোগ’ নামে পরিচিত এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে বেশকিছু ‘এসি হেলমেট’ উন্মোচন করা হয়েছে। লখনৌতে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক পর্বের অংশ হিসেবে চারটি এসি হেলমেট চালু করা হয়। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) হজরতগঞ্জের অটল চক মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক কর্মীদের এসব হেলমেট দেয়া হয়। 

এই হেলমেটগুলোতে একটি স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ঢালসহ মাথায় শীতলতা নিশ্চিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এসি ভেন্ট রয়েছে। চোখকে সূর্যের প্রখর আলো ও উত্তাপ থেকে রক্ষা করতে এটি গগলস হিসেবে কাজ করে। হেলমেটটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কোমরে বাঁধা একটি বড় ব্যাটারির সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে এলে উপরে থাকা একটি লাল আলো সতর্ক বার্তা দেবে।

এ বিষয়ে লাখনৌ পুলিশের এডিসিপি অজয় কুমার সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘এই প্রকল্প সফল হলে হায়দরাবাদভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানকে কমপক্ষে পাঁচশ এমন এসি হেলমেট প্রস্তুতের দায়িত্ব দেয়া হবে। এই হেলমেটের ওজন সাধারণ হেলমেটের প্রায় অর্ধেক এবং আমাদের ট্র্যাফিক পুলিশ এটি ব্যবহার ও পরিধানে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন।’


ট্রাফিক   পুলিশ   প্রকল্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের পর এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে পরাজিত করতে না পারা, হামাসের হাত থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের উদ্ধার করতে না পারা, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়াসহ একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করতে পারেন সামরিক বাহিনীর প্রধান।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতার প্রতিবাদে ইসরায়েলজুড়ে চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে গত সোমবার ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। হামাসের গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে চালানো হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন তিনি।

ইসরায়েলের সেনাপ্রধান   হামাস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন