ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আমাদের নাম্বার ওয়ান ইস্যু রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:১৬ পিএম, ১৪ জুন, ২০২১


Thumbnail

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা অবস্থার আলোকে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে একটি আলোচনা হবে। সেখানে আমরা বাংলাদেশের অবস্থান উপস্থাপন করবো। আমাদের অবস্থান হচ্ছে, যতশীঘ্রই এই ১১ লাখ রোহিঙ্গার প্রত্যাবর্তন। এটি হচ্ছে আমাদের নাম্বার ওয়ান ইস্যু।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু ও এলডিসি ফিফ্থ কনফারেন্স আলোকে জাতিসংঘে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্যে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। রোববার (১৩ জুন) বিকেলে নিউইয়র্কে জেএফকে এয়ারপোর্টে পৌঁছালে দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার কর্মকর্তারা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। 
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন উল্লেখ করেন, ‘বার্মায় সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের অনেকে দেশটিতে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা নিয়ে বেশী চিন্তিত। তবে আমরা সরব থাকবো, যুক্তির অবতারণা করবো, গণতন্ত্র হউক আর যাই হউক, আমাদের নাম্বার ওয়ান ইস্যু হচ্ছে এই যে, ১১ লাখ রোহিঙ্গা বড় কষ্টে আছে, তাদের ছেলে-মেয়েদের বিশেষ কোন ভবিষ্যত নাই। অন্তত: এদের কারণেই যেন সকলকে ফেরৎ নেয়া হয়-এ ব্যাপারে জোরালো আহবান রাখবো বিশ্ব ফোরামে। জাতিসংঘে এটি একটি বড় ইভেন্ট। আরেকটি ইভেন্ট হচ্ছে এলডিসির সামিট। আমি এর আগের ফোর্থ সামিটে অংশ নিয়েছিলাম। তখন আমরা এলডিসির চেয়ারপার্সন ছিলাম দু’বার। আমরা ইস্তাম্বুল প্রোগ্রাম অব এ্যাকশন করেছিলাম। সে সময় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সামনের বছর ২৩-২৭ জানুয়ারিতে কাতারের দোহায় ফিফ্থ কনফারেন্সের প্রস্তুতি মিটিং হচ্ছে ১৮ জুন। সেখানে আমরা কী কী অর্জন করতে চাই তা নিয়ে বিশদ আলোচনা-পর্যালোচনা হবে। বাংলাদেশের জন্যে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এজন্যে যে, ২০২৪ সালে আমরা এলডিসি থেকে বের হয়ে যাবো। ইতিমধ্যেই সিপিবি রিকমেন্ট করেছে যে, আমরা এলডিসি থেকে যত বেনিফিট পেতাম তা ২০২৬ সাল নাগাদ অব্যাহত থাকবে। তবে আমরা দাবি উঠাবো যে, করোনার কারণে শুধু ২০২৬ সাল নয়, আরো অধিক সময় যেন সে সব সুবিধা বহাল রাখা হয়। এটি কতটা ফলপ্রসূ হবে জানি না, তবে আমরা জোরালোভাবে যুক্তিসমূহ তোলে ধরবো।’

তিনি বলেন, করোনার টিকা নিয়ে কূটনীতিতে বাংলাদেশ কী সফল হতে পারছে না-এমন প্রশ্নে পরিপ্রেক্ষিতে ড. মোমেন গণমাধ্যমকে অবহিত করেন, ‘করোনার শুরুতে সারাবিশ্বে ভয়ংকর একটি পরিস্থিতি দেখা দিলেও, বাংলাদেশ খুব দক্ষতার সাথে তা হ্যান্ডেল করেছে। ভালোভাবে তা ম্যানেজ করার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা অনেক ছিল। এখন দ্বিতীয় ধাক্কা এসেছে। আমরা টিকার জন্যে যাদের সাথে চুক্তি করেছিলাম, কিন্তু তারা (ভারত) খুবই সমস্যায় পড়েছে। নিজের দেশে সমস্যা প্রকট হওয়ায় চুক্তি অনুযায়ী টিকা দিতে পারছে না। এজন্যে একটু ঝামেলা হয়েছে বাংলাদেশে। তাছাড়া, কোভেক্স থেকে আমরা যে টিকা পাবার কথা, সেটিও দিতে পাচ্ছে না, কারণ, যারা সে টিকা প্রডিউস করে তারা ইন্ডিয়ান একটি কোম্পানী, সিরাম। তবে আরো কটি প্রতিষ্ঠান টিকা তৈরী করছে। আশা করছি শিগগিরই কিছু কিছু পাবো। এমন একটি ঝামেলা দূর করার অভিপ্রায়ে সম্প্রতি আমরা চীন এবং রাশিয়ার সাথে মোটামুটি ফাইনাল পর্যায়ে পৌঁছেছি। এটি বাস্তবায়িত হলে আমাদের সমস্যা আর থাকবে না। আর আমেরিকা প্রায়ই আমাদেরকে বলে যে তারা অনেক অনেক ভ্যাকসিন দেবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই দেয়নি। আমরা সেদিকে তাকিয়েও আছি। আশা করছি আমেরিকা ভ্যাকসিন প্রদানের যে অঙ্গিকার করেছে, তা খুব দ্রুত দিলে আমরা খুবই উপকৃত হবো।’

যুক্তরাষ্ট্রের চার বিশিষ্ট নাগরিক নিজ উদ্যোগে করোনার টিকা নিয়ে যাচ্ছে বলে যে সংবাদ ঢাকার একটি টিভিতে পরিবেশন করা হয়েছে তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ‘ব্যক্তিগত কেউ যদি উদ্যোগ নেন, সেটি আই ডোন্ট নো।’

মন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘যখোন আমরা শুনতে পেলাম যে, হোয়াইট হাউজ মনে করে যে, বাংলাদেশ টিকা পাবার উপযুক্ত না। কারণ আমেরিকার মোট জনসংখ্যার অর্ধেক হলো বাংলাদেশের জনসংখ্যা। আমেরিকায় করোনায় সে সময় পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। কিন্তু বাংলাদেশে তখন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল প্রায় ১১ হাজার। এজন্যে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) মনে করেছেন যে, বাংলাদেশে ততটা সংকট নেই মহামারির। এজন্যে যেসব দেশে করোনায় বেশী মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেগুলোর একটি লিস্ট করেছিল। সেখানে আমরা নাই। সে সময় আমরা কিছু প্রবাসীকে ফোন-টোন করেছিলাম এ নিয়ে দেন-দরবারের জন্য। আপনারা জেনে খুশী হবেন যে, ১৬৫৪ জন প্রবাসী বাঙালি, এরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অন্যান্য প্রফেশনাল, তারা একটি পিটিশন দেন হোয়াইট হাউজে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউজের দৃষ্টিভঙ্গিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। কারণ, আমরা হোয়াইট হাউজকে অবহিত করেছি যে, বাংলাদেশের প্রায় ১৫ লাখ লোক প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছেন না। টিকা নেই বলে। অন্তত: কোর্স সম্পন্নের স্বার্থে যেন যুক্তরাষ্ট্র ঐ পরিমাণের টিকা দেয়।’

এদিকে, জেএফকে এয়ারপোর্টে কাতার এয়ারলাইন্সে অবতরণের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা। নেতৃবৃন্দের মধ্যে এয়ারপোর্টে আরো ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানসহ কর্মকর্তারা, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মিয়াসহ কর্মকর্তাগণ। 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে'

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মানবতার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ আর নতুন কোনো অস্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অস্ত্র ব্যবস্থা নয় বরং মানুষের কল্যাণে কৃষি, চিকিৎসা, মহাকাশ অন্বেষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানবজাতির সুবিধার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারী প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।'

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভিয়েনার হফবার্গ প্রাসাদে 'হিউম্যানিটি অ্যাট দ্য ক্রসরোডস: অটোনোমাস উইপনস সিস্টেমস অ্যান্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অব রেগুলেশন' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে উচ্চ-পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান।

মানুষের ওপর অস্ত্রবল প্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. হাছান মাহমুদ প্রশ্ন রাখেন, যদি রাষ্ট্রবহির্ভূত এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ পায় তবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার কী হবে।

স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থাকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশ্বব্যাপী নীতি নির্ধারণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রাণহানির ক্ষমতাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উভয়ের বিষয়েই উপযুক্ত আন্তর্জাতিক আইন বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রয়োগ করা বাঞ্ছনীয়।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় গাজার অনিশ্চিত পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং সংঘাত ও উত্তেজনার নতুন ফ্রন্ট খোলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন।

অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ, কোস্টারিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্নল্ডো আন্দ্রে টিনোকো, নরওয়েজিয়ান স্টেট সেক্রেটারি ইভিন্ড ভাদ পিটারসন এবং রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির সভাপতি মির্জানা স্পোলজারিক এগার সহ-প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দেন।

অস্ট্রিয়ার ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই সম্মেলনে ১২০টিরও বেশি দেশ জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা, অধিকার গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার আট শতাধিক  প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। 


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা   অস্ত্র   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পদত্যাগ করলেন স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার

প্রকাশ: ০৮:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা হামজা ইউসুফ পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

স্কটিশ গ্রিনস পার্টির সঙ্গে জোট করে স্কটল্যান্ডে সরকার গঠন করেছিল হামজার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি। তবে এই দলের সঙ্গে সম্প্রতি তার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির জোট ভেঙে যায়। এরপর তাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে দুটি অনাস্থা ভোটের ডাক দেন বিরোধীরা। একটি ফার্স্ট মিনিস্টার ও আরেকটি স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে। এসব অনাস্থা ভোটে হামজা হেরে যেতে পারেন, এটা অনেকটা নিশ্চিত। তাই অনাস্থা ভোটের আগেই পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন তিনি।

সোমবার এক ভাষণে হামজা বলেছেন, আমি আমার মূল্যবোধ ও নীতি নিয়ে ব্যবসা করতে চাই না। অথবা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যার-তার সঙ্গে চুক্তি করতে চাই না।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে হামজা বলেছিলেন, বিরোধীদের ডাকা অনাস্থা ভোটে তিনি জিততে পারবেন বলে বেশ আত্মবিশ্বাসী। তবে সোমবারের মধ্যেই নিজের সংখ্যালঘু সরকারকে শক্তিশালী করতে অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

গত বছর স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা নির্বাচিত হন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসেফ। এরপর সাবেক ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম হিসেবে ফার্স্ট মিনিস্টার নির্বাচিত হয়েছিলেন হামজা।


পদত্যাগ   স্কটল্যান্ড   ফার্স্ট মিনিস্টার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রেকর্ড তাপমাত্রায় মিয়ানমার

প্রকাশ: ০৭:৫৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে মিয়ানমার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খবর এপি ও দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার। 

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার।  সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়  ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এই তথ্যটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ।

আবহাওয়া বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় ম্যাগওয়ে রাজ্যের চাউক শহরে তাপমাত্রা পারদ ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ৫৬ বছর আগে রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু করার পর মিয়ানমারের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

একই দিন দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ইয়াঙ্গুনে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছুঁয়েছে। এছাড়া দেশটির আরেক শহর মান্দালয়ে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের শুষ্ক সমতলে অবস্থিত চাউক শহরের একজন বাসিন্দা বলেছেন, 'এখানে অত্যন্ত গরম এবং আমরা সবাই বাড়িতেই ছিলাম।' নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'এই পরিস্থিতিতে আমরা কিছুই করতে পারছি না।' 

দেশটির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে দিনের তাপমাত্রা এপ্রিলের গড়ের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) বলেছে,  ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। 


রেকর্ড   তাপমাত্রা   মিয়ানমার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন অমিত শাহ

প্রকাশ: ০৭:৩০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, বিহারের বাগুসারাই এলাকায় সোমবার এক নির্বাচনি র‍্যালিতে অংশ নেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা অমিত শাহ (৫৯)। র‍্যালি শেষে সেখানে একটি হেলিকপ্টারে উঠেন তিনি। 

উড্ডয়নের সময় সেই হেলিকপ্টার কিছু সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডান দিকে কাত হয়ে পড়ে যাচ্ছিল। মাটিতে আছাড় খাওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন পাইলট।  

নিতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের সঙ্গে মিলে বিহারে ১৭টি আসনে লড়াই করছে বিজেপি। প্রথম ধাপের নির্বাচনে গত ১৯ এপ্রিল এখানে চার আসনে নির্বাচন হয়। এরপর গত শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন হয় আরও ৫ আসনে।


দুর্ঘটনা   অমিত শাহ   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাজস্থানে মসজিদের ভেতরে ইমামকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ০৬:৪৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ রাজস্থানের আজমিরে মসজিদের এক ইমামকে পিটিয়ে হত্যা করেছে মুখোশ পরা অজ্ঞাত তিন দুর্বৃত্ত।  

শনিবার (২৯ এপ্রিল) আজমিরের একটি মসজিদের ভেতরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, আজমিরের রামগঞ্জের কাঞ্চননগরে অবস্থিত মসজিদের ভেতরে ছয় শিশুকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন মোহাম্মদ মাহির নামের ওই ইমাম। এ সময় আক্রান্ত হন তিনি। 

এনডিটিভি বলেছে, মুখোশ পরিহিত তিন দুর্বৃত্ত মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে মোহাম্মদ মাহিরের ওপর আক্রমণ চালায়। ওই সময় তাকে বেধড়ক লাঠিপেটা করে তারা। 

৩০ বছর বয়সী ইমাম মোহাম্মদ মাহির উত্তরপ্রদেশের রামপুরা এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মারধরের সময় ইমামের সন্তানরা চিৎকার করলে তাদেরও মেরে ফেলার হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে তার মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। শিশুরা যাতে সাহায্যের জন্য কাউকে ফোন না করতে পারে সেজন্য মোবাইল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

অভিযুক্তরা চলে যাওয়ার পর ইমামের শিশুরা মসজিদের বাইরে আসে এবং প্রতিবেশীদের ঘটনার বিষয়ে জানায়। পুলিশ বলেছে, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। অভিযুক্তদের শনাক্ত এবং গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবীন্দ্র খিনচি বলেছেন, মসজিদের ভেতরে ওই ইমামকে পিটিয়ে হত্যার কারণ এখনও জানা যায়নি। পুলিশ ওই এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করছে। ইমামকে হত্যার ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার (হত্যা) আওতায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


রাজস্থান   মসজিদ   হত্যা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন