ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের তেলবাহী জাহাজে হামলার পেছনে ইরানকে দোষারোপ যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৩৭ পিএম, ০২ অগাস্ট, ২০২১


Thumbnail

ওমানের উপকূলে সম্প্রতি ইসরায়েলের একটি তেলবাহী জাহাজে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় জাহাজটির দুজন ক্রু নিহত হয়। এই হামলার পিছনে সম্পূর্ণ দায় ইরানের বলে মনে করে আমেরিকা ও ব্রিটেন। দেশ দুটি বলছে, ইরান আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে। যার পাল্টা জবাব দেয়া হবে।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) এমভি মার্সার স্ট্রিট নামের ট্যাংকারটি আক্রমণের শিকার হয়। নিহত হওয়া জাহাজের দুই জন ক্রু মাঝে একজন ব্রিটিশ ও অপরজন রোমানিয়ান নাগরিক।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত গতকালই বলেছেন এই হামলার জন্য যে তাদের চিরশত্রু ইরান দায়ী তেমন ‘প্রমাণ’ রয়েছে। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমরা জানি কিভাবে আমাদের মত করে ইরানকে বার্তা দিতে হয়।’

বেনেতের এমন মন্তব্যর পরেই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের তরফ থেকে এমন বিবৃতি এলো।

এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, এই হামলায় ইরান এক বা একের অধিক ড্রোন ব্যবহার করেছে। এই হামলাকে পরিষ্কারভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ইরানকে এসব হামলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। জাহাজ চলাচলে সুযোগ দিতে হবে।’

অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন হুমকি দিয়ে বলেছেন এই হামলার পেছনে যে ইরান দায়ী এ ব্যাপারে তারা আত্মবিশ্বাসী এবং এর জুতসই পাল্টা জবাব আসছে। 

তবে এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েলের ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা, সন্ত্রাস ও সহিংসতা তৈরি করেছে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভূমিধস ও বন্যায় ব্রাজিলে নিহত ৫৬

প্রকাশ: ০৮:৫৯ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্র্যান্ডে দো সুল কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় তলিয়ে গেছে। রাজ্যটিতে প্রবল বর্ষণে এখন পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৬৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যে কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রিও গ্র্যান্ডে দো সুলে আরও ৬৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
গত শনিবার ঝড়-বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ২৫ হাজার বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। কমপক্ষে ৫ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ এবং বিশুদ্ধ পানি ছাড়াই থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি ব্রাজিলের এই অঞ্চলে আরও বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মূলত গড় তাপমাত্রা, উচ্চ আর্দ্রতা এবং শক্তিশালী বাতাসের বিরল সংমিশ্রণের কারণে লাতিন আমেরিকার এই দেশটির এই অঞ্চলে চরম আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের ৪৯৭টি শহরের অর্ধেকেরও বেশি শহর ঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বেশ কয়েকটি এলাকায় রাস্তা ও সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে।

ঝড়ের কারণে বেন্টো গনসালভেস শহরের কাছে ভূমিধস এবং একটি জলবিদ্যুৎ বাঁধ ভেঙে যায়, যাতে ৩০ জন নিহত হয়। এছাড়া পানির স্তর বৃদ্ধির কারণে এলাকার একটি দ্বিতীয় বাঁধও ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

আঞ্চলিক রাজধানী পোর্তো আলেগ্রেতে গুয়াইবা নদীর পানি তীর উপচে পড়েছে এবং রাস্তায় বন্যার সৃষ্টি করেছে। এতে করে আশপাশের কিছু এলাকাও তলিয়ে গেছে।

পোর্তো আলেগ্রের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘অনির্দিষ্টকালের’ জন্য সমস্ত ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।

একজন বাসিন্দা বলেছেন, বৃষ্টি ও বন্যায় যে ক্ষতিটি হয়েছে তা ‘হৃদয়বিদারক’। মারিয়া লুইজা বলেন, ‘আমি এই এলাকায় থাকি, তাই এখানে যারা বাস করে তাদের প্রত্যেকের জন্য আমি দুঃখিত। এটা খুবই দুঃখজনক যে, এই সব হচ্ছে।’


ভূমিধস   বন্যা   ব্রাজিল   নিহত ৫৬  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুদ্ধ বন্ধ ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো চুক্তি করবে না হামাস

প্রকাশ: ০৮:৫৭ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে টানা সাত মাস ধরে চলা নির্বিচারে হামলায় গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে। এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট।

এমন অবস্থায় গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বলেছে, গাজায় যুদ্ধ শেষ হওয়া ছাড়া কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতিতে তারা রাজি হবে না।

যদিও ইসরায়েলের সঙ্গে হামাস যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় রাজি হয়েছে এবং যেকোনো সময় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসতে পারে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শনিবার গভীর রাতে জানিয়েছেন, হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতির এমন কোনো প্রস্তাবে ‘কোনোভাবেই একমত হবে না’ যেটাতে স্পষ্টভাবে যুদ্ধের সম্পূর্ণ সমাপ্তির কথা অন্তর্ভুক্ত থাকবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের ওই কর্মকর্তা ‘গাজায় আগ্রাসন বন্ধের বিষয়টি যুক্ত না করে’ কেবল ইসরায়েলি বন্দী মুক্তির ইসরায়েলি প্রচেষ্টার নিন্দাও করেছেন

হামাসের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হামাস কোনো অবস্থাতেই এমন চুক্তিতে সম্মত হবে না যেটাতে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের বিষয় স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান এবং সমগ্র গাজা উপত্যকা থেকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার ছাড়া কোনো চুক্তিই হবে না।

এর আগে ইসরায়েলের উচ্চ-পর্যায়ের এক কর্মকর্তা শনিবার বলেন, যুদ্ধের অবসান ঘটানোর যে দাবি হামাস করছে, তা ‘(যুদ্ধবিরতির বিষয়ে) চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনাকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে।

এএফপি বলছে, হামাস ও ইসরায়েলের দুই কর্মকর্তার বক্তব্য এমন এক সময়ে সামনে এলো যখন- প্রায় সাত মাসের যুদ্ধে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে শনিবার হামাসের আলোচকরা মিশরে গেছেন।

ব্রিটেনের প্রকাশিত বিবরণ অনুসারে, সম্ভাব্য একটি চুক্তির প্রস্তাবের বিষয়ে হামাসের জবাবের জন্য অপেক্ষা করছে মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা। এই চুত্তি হলে ৪০ দিনের জন্য যুদ্ধ বন্ধ হবে এবং ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনিদের বন্দীদের সাথে গাজায় আটক বন্দীদের বিনিময় করা হবে। হামাস কর্মকর্তা শনিবার গভীর রাতে জানিয়েছেন, ‘কোনো ধরনের অগ্রগতি’ ছাড়াই এদিনের আলোচনা শেষ হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস এই চুক্তিটিতে ‘সম্পূর্ণ এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির চুক্তি’ বলে একটি সুস্পষ্ট এবং পরিষ্কার বিধান অন্তর্ভুক্ত করতে অনুরোধ করেছে এবং ইসরায়েল এখন পর্যন্ত এই বিষয়টি মানেনি।


যুদ্ধ   বন্ধ   ইসরায়েল   হামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

টিকটকসহ নেট দুনিয়ায় ভাইরাল কিমের গাওয়া গান

প্রকাশ: ০৫:৫০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

কিম জং উন হয়তো ভাবতে পারেননি তার গানটি ঝড় তুলবে টিকটকে। কিন্তু বাস্তবে ভাবনার থেকে বেশি কিছু হলো। দুই সপ্তাহ আগে প্রকাশ করা ভিডিও গানটি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ টিকটকে। একই সঙ্গে সেটি ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক নিজের প্রসংশায় এই গানটি প্রচার করেছেন তার জনগণের জন্য।

সম্প্রতি কিম জং উনের একটি প্রকাশ করা ভিডিও গান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তিনি হয়তো ভাবতে পারেননি তার গানটি ঝড় তুলবে টিকটকে। কিন্তু বাস্তবে ভাবনার থেকে বেশি কিছু হলো। দুই সপ্তাহ আগে প্রকাশ করা ভিডিও গানটি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ টিকটকসহ নেট দুনিয়ায়। উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক নিজের প্রসংশায় এই গানটি প্রচার করেছেন তার জনগণের জন্য। গানটি প্রকাশের পর থেকেই এটি নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

সমালোচকরা বলছেন, ভিডিওটির মধ্যে একটি অশুভ বার্তা লুকিয়ে রয়েছে৷ তাদের দাবি, গানটিতে কিমের অতিরঞ্জিত প্রসংসা করা হয়েছে এবং ব্যাপকভাবে প্রপাগাণ্ডা চালানো হয়েছে।

“ফ্রেন্ডলি ফাদার” শিরোনামে গানটির শুরুতেই কিমের প্রসংসা করে বলা হয়েছে, তোমার নেতা “তোমার মায়ের মতো উষ্ণ হৃদয়ের অধিকারী” এবং “তোমার বাবার মতো উদার”। এই লিরিক বাজার সঙ্গে সঙ্গে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অনেক শিশুর মধ্যে বসে উৎফুল্ল কিম একটি শিশুকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করছেন। এ সময় লিরিকে শোনা যায়, “তোমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ বাবা”।

এই অংশে শিশুদের সঙ্গে কিমের হাস্যোজ্জ্বল ব্যবহারের মাধ্যমে একতার আহ্বান জানানো হয়েছে। গানটিতে উত্তর কোরিয়ার জনগণের কাছে তাদের স্বৈরশাসককে একজন মা এবং একজন বাবার সাথে তুলনা করে তাকে মহৎ দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

এরপর দেখা গেছে অন্য আরেকদল উৎফুল্ল বাচ্চার সঙ্গে গান গাচ্ছেন উত্তর কোরীয় নেতা। পরের দৃশ্যে দেখা গেছে, উত্তর কোরিয়ার সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিরাও কিমের সঙ্গে একই গান গাইছেন। সেখানে বলা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া রাষ্ট্র একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি চায়।

গানটি শুরু হয়েছে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার প্রশংসা দিয়ে। এরপর তাকে প্রত্যেকের পরিবারের অংশ হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এরপরের অংশে বলা হয়েছে, “আসুন আমরা আমাদের মহান নেতা কিম জং উন সম্পর্কে গান করি”, “আসুন আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ পিতা কিম জং উন সম্পর্কে গর্ব করি।”

সমালোচকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার জনগণের কাছে কিম নিজেকে জাতির পিতা হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি তার পার্লামেন্টেও এই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। সমালোচকরা আরও বলছেন, কিম তার জনগণের মগজ ধোলাই করার জন্য নিজের প্রশংসায় তৈরি গান প্রচার করছেন।

কিম জং উন ২০১২ সালে তার বাবা কিম জং ইলের স্থলাভিষিক্ত হন। কিম জং ইলকে উত্তর কোরিয়ার “মহান উত্তরসূরি” বলে অভিহিত করা হয়। কিমের দাদা কিম ইল সুং দুটি উপাধি ধারণ করেছিলেন – “পিতা” এবং “দ্য গ্রেট”। অনেকে ধারণা করছেন, কিম নিজেও তার উত্তরসূরিদের মতো কোনো উপাধি গ্রহণ করতে চাচ্ছেন।


টিকটক   ভাইরাল   কিম জং উন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শস্য ও খাদ্য উৎপাদনের সক্ষমতা হারিয়েছে গাজা!

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের সাত মাসেরও বেশি সময় পার হয়েছে। আর এই করুণ সময়ে সবদিক থেকেই প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে গাজা। শুধু তাই নয়, এই সময়ের মধ্যে শস্য ও খাদ্য উৎপাদনের পুরো সক্ষমতা হারিয়েছে ফিলিস্তিনের এই অবরুদ্ধ ভূখণ্ড। পাশাপাশি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়েছে উপত্যকার বিশুদ্ধ পানির জোগান। শুক্রবার (০৩ মে) ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের লাগাতার বোমা হামলা এবং বুলডোজারের চাপায় ধূলিসাৎ হয়েছে গাজার অধিকাংশ কৃষিজমি এবং ফলের বাগান। তারপরও কিছু জমি হয়তো বেঁচে ছিল, কিন্তু বোমা হামলা থেকে বাঁচতে গাজাবাসী যখন দক্ষিণ দিকে ছুটেছে, তখন পেছনে ফেলে যাওয়া জমির ফসল এবং গবাদিপশু মারা পড়েছে পানির অভাব ও অনাহারে।

আশরাফ ওমর নামে উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ার এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টকে জানান, জানুয়ারির শেষের দিকে ইসরায়েলি সেনারা তার ফসলের জমি বুলডোজার দিয়ে পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়েছে। একইসঙ্গে তার একটি গ্রিনহাউস এবং সৌরশক্তির প্রকল্প ছিল, সেগুলোও ভেঙে ফেলেছে ইসরায়েলি সেনারা। সবকিছু গুঁড়িয়ে দিয়ে সেখানে তারা একটি সামরিক বাফার জোন তৈরি করেছে।

তিনি জানান, পূর্ব পুরুষের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া এসব জমিতে তারা কমলা, লেবু, আলু, বেগুন, টমেটো এবং শসা চাষ করতেন। কিন্তু এখন সেসব শুধুই স্বপ্ন। আশরাফ ওমরের গল্প এখন গাজার প্রতিটি মানুষের।

গাজার কৃষি তথ্য, স্যাটেলাইট ইমেজ, উপত্যকার বিশেষজ্ঞ ও ফিলিস্তিনিদের সাক্ষাৎকার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ইতোমধ্যেই গাজার দুর্বল কৃষি ব্যবস্থা একেবারে পতনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।

গাজার কৃষি খাত ধ্বংসের মাত্রা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, বেআইনিভাবে ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় নিজেদের সামরিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে হামাস এবং অন্য সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। এসব ঠেকাতে আইডিএফ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেসব সামরিক প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে এবং তা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারেই করা হয়েছে।

যদিও যুদ্ধের আগেও গাজার বেশির ভাগ ফল ও সবজি আমদানিই করা হতো। কারণ ২০০৭ সালে হামাস ক্ষমতা দখলের পর গাজার ওপর শাস্তিমূলক অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল এবং মিশর। সে কারণে গাজার খাবার উৎপাদনের ক্ষমতা প্রায় দুই দশক ধরে সীমিত। এখনো একটি সীমান্ত ক্রসিং ছাড়া সব সীমান্তই নিয়ন্ত্রণ করে ইসরায়েল। এর ফলে সীমিত বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ছাড়া গাজায় প্রায় সব ধরনের আমদানি ও রপ্তানি সীমাবদ্ধ। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে গাজাবাসীর।


ওয়াশিংটন পোস্ট   গাজা   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ক্ষুধায় বহু মানুষ মারা যেতে পারে সুদানে: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে অনাহারে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের খাদ্যবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি বলেছে, পশ্চিম সুদানের দারফুরে মানুষের অনাহার ঠেকোনোর সময় ফুরিয়ে আসছে। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা গোটা জাতিকে শেষ করে দিচ্ছে।

শুক্রবার যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা বলেছে, দারফুর এবং সুদানের অন্যান্য যুদ্ধকবলিত এলাকায় খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। এসব এলাকায় মানবিক সাহায্যের অনুমতি না দিলে ক্ষুধায় বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

গত বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয়। পরবর্তীতে এই সংঘাত দেশটিতে গৃহযুদ্ধের রূপ নেয়। প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে অনেক মানুষ। যুদ্ধের কারণে দেশটির কৃষি উৎপাদন ৭৮ শতাংশ কমে গেছে।

ডব্লিউএফপির পূর্ব আফ্রিকার পরিচালক মাইকেল ডানফোর্ড শুক্রবার বলেছেন, খাদ্যাভাবে মানুষ বাদামের খোসা খেতে বাধ্য হচ্ছে। শিগগিরই তাদের কাছে সহায়তা না পৌঁছালে দারফুর ও সংঘাত বিধ্বস্ত সুদানের অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক অনাহার এবং মৃত্যুঝুঁকি দেখতে হতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসের (আইসিআরসি) দুজন কর্মী দক্ষিণ দারফুরে অস্ত্রধারীদের গুলিতে নিহত হন। আহত হন আরও তিনজন কর্মী। অঞ্চলটিতে সর্বশেষ বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আরএসএফের উত্তর দারফুরের রাজধানী এল ফাশের ঘেরাও করার সময়।

পরিস্থিতি বর্ণনা করে সুদানে জাতিসংঘের ডেপুটি হিউম্যানিটেরিয়ান কোঅর্ডিনেটর টবি হেওয়ার্ড বলেন, শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং ক্রমাগত বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

হেওয়ার্ড আরও বলেন, এল ফাশেরই একমাত্র শহর যেটি এখনো আরএসএফ দখল করতে পারেনি। সেখানে অন্যান্য এলাকা থেকে আসা হাজারো উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছে। এল ফাশেরে অন্যান্য এলাকা থেকে সহিংসতায় উদ্বাস্তু হওয়া ৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।

তবে ‘ইউএন অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স’ (ওসিএইচএ) বলছে, এল ফাশেরকে তুলনামূলক নিরাপদ মনে করা বাসিন্দারা এখন বিপদে পড়েছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেখানকার ৩৬ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বৃহস্পতিবার বলেন, দুই সপ্তাহ আগে বেড়ে যাওয়া সংঘাতে এল ফাশের ও এর আশপাশে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিম এল ফাশেরে এক ডজনেরও বেশি গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে। যৌন সহিংসতা, শিশু হত্যা, বাড়িঘরে আগুন এবং অবকাঠামো ধ্বংসসহ ভয়ংকর সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।

সংঘাতের এমন পরিস্থিতি আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে দারফুরে খাদ্য সহায়তা বিতরণের কাজ থেমে গেছে। ওই অঞ্চলের ১৭ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় ভুগছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএফপি।

ওসিএইচএ এর হিসাবে, যুদ্ধের কারণে সুদানে ৪৬ লাখ শিশুসহ ৮৭ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। দেশটির ২ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের জন্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।


জাতিসংঘ   সুদান   ক্ষুধা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন