ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসমাইল হানিয়া: পশ্চিমাদের কাছে যিনি শুধুই সন্ত্রাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ০৪ অগাস্ট, ২০২১


Thumbnail

ইসমাইল হানিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একবার তাকে “বিশেষ ট্যাগযুক্ত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী” বলে উল্লেখ্য করেছিলেন। তাকে বহুবার বহুজন হত্যাও করতে চেয়েছিলেন কিন্তু প্রতিবারেই তিনি কোন না কোনভাবে শেষ মুহূর্তে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন। যাদের মাঝে ছিলো ইসরায়েলি বাহিনী কিংবা তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতাহ। এত কিছুর পরেও তাকে কেও দমাতে পারে নি। পশ্চিমারা তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করলেও সমগ্র ফিলিস্তিনে তিনি মহানায়ক। 

ইসমাইল হানিয়ার জন্ম ১৯৬২ সালে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি শরণার্থী ক্যাম্পে। হানিয়ার বাবা মাছ ধরার পেশায় যুক্ত ছিলেন। আরব–ইসরায়েল যুদ্ধে ঘর হারিয়ে তিনি শরণার্থীশিবিরে পরিবার নিয়ে ওঠেন। সেখানেই জন্ম হয় হানিয়ার। পরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব গাজায় আরবি সাহিত্যে পড়াশোনা করেন তিনি। ছাত্রাবস্থায় মুসলিম ব্রাদারহুডের মতাদর্শ হানিয়াকে আকৃষ্ট করে।

সময়টা ২০১৬ সাল। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যেই ইসরায়েলের কট্টরপন্থী রাজনৈতিক আভিগদর লিবারম্যান হুঁশিয়ারি দেন, ‘আমি যদি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হই, তাহলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যু নিশ্চিত করা হবে।’ এই হুঁশিয়ারির এক মাসের মাথায় লিবারম্যান সত্যি সত্যি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। তবে হানিয়াকে হত্যার হুঁশিয়ারি বাস্তবায়ন করতে পারেননি।

লিবারম্যানের হুঁশিয়ারির পরের বছরই হানিয়া ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের প্রধান হিসেবে খালেদ মিশেলের স্থলাভিষিক্ত হন। এই হামাস ফিলিস্তিনিদের চোখে স্বাধীনতাকামী সংগঠন আর পশ্চিমাদের কাছে সন্ত্রাসী সংগঠন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে হামাসের প্রধান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন হানিয়া। এর মধ্য দিয়ে হামাস ও ফিলিস্তিনের রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ আরও মজবুত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

১৯৮৭–৮৮ সালেই হানিয়া হামাসের সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর দীর্ঘদিন জেল খাটা, লেবাননে নির্বাসন, সেখান থেকে ফিরে এসে আবার হামাসের পতাকাতলে যুক্ত হন তিনি। ১৯৯৭ সালে হামাসের তখনকার প্রধান আহমেদ ইয়াসিনের সহযোগী মনোনীত হন। সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে ফিলিস্তিনি, তথা গাজাবাসীর মনে নায়কের স্থান করে নিতে দেরি হয়নি তাঁর। প্রমাণ, ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে ফিলিস্তিনে সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচনে হানিয়ার হাত ধরে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় হামাস। মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন বিভক্ত ফাতাহ দলের বিপরীতে জয় পায় তাঁর দল।

ভোটে জিতে ওই বছরের মার্চে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন হানিয়া। কিন্তু হামাস–ফাতাহের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে গাজায় উত্তেজনা বাড়ে। ডিসেম্বরে হানিয়ার ওপর হামলা হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। হামাস দাবি করে, এই হামলায় ফাতাহ জড়িত। ২০০৭ সালের জুনে হানিয়া সরকারকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তবে হানিয়া এই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। ফাতাহকে হটিয়ে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয় হামাস।

ফিলিস্তিনি লেখক ও রাজনীতি বিশ্লেষক হুসাম আন–দাজানি বলেন, ‘গাজার রাজনীতিতে ভারসাম্য এনেছেন হানিয়া। তিনি একজন সহানুভূতিশীল মানুষ, যিনি শান্তি, ঐক্য ও স্থিলিশীলতা সমর্থন করেন।’

হানিয়ার উত্থান ও গাজায় হামাসের নিয়ন্ত্রণ ভালো চোখে দেখেনি পশ্চিমারা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেয়। এর মধ্যেই হানিয়ার হাত ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েক দফা সংঘাতে জড়ায় হামাস। দূরত্ব বাড়ে পশ্চিমাদের সঙ্গেও। তবে পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় হামাসের প্রভাব রয়ে যায়। সংগঠনে প্রভাব বাড়ে হানিয়ার।

২০১৩ সালের এপ্রিলে হানিয়া হামাসের উপপ্রধান হন। এরপর হামাসের প্রধান হিসেবে ইসমাইল হানিয়া ২০১৭ সালের ৬ মে খালেদ মিশেলের স্থলাভিষিক্ত হন। ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হানিয়াকে ‘বিশেষ ট্যাগযুক্ত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা দেন। হানিয়াকে বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, হানিয়াকে হত্যাচেষ্টার ঘটনাগুলোর পেছনে যেমন ইসরায়েল জড়িত, তেমনি জড়িত ফাতাহ।

ব্যক্তিগত জীবনে হানিয়া ১৩ সন্তানের জনক। তাঁর পরিবার ২০০৯ সাল পর্যন্ত গাজার উত্তরাঞ্চলের আল–শাতি শরণার্থীশিবিরে ছিল। এর পর গাজার রিমাল এলাকায় জমি কিনে থিতু হয় হানিয়া পরিবার। তবে হানিয়া কখন কোথায় থাকেন, সেটার সুষ্পষ্ট তথ্য পাওয়া কঠিন। মনে করা হয়, নিরাপত্তার জন্য তিনি তাঁর অবস্থানের কথা আগাম জানান না।

ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরপরই ২০০৬ সালে প্রথম বিদেশ সফরে তিনি ইরানে গিয়েছিলেন। ওই সময় ইসরায়েল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা কখনোই দখলদার ইহুদি সরকারকে স্বীকৃতি দেব না। জেরুজালেম মুক্ত করার আগপর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাব।’

আল–কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে ‘আরব বিশ্বের পবিত্র যোদ্ধা’ মনে করতেন হানিয়া। ২০১১ সালে পাকিস্তানের মাটিতে মার্কিন সেনাদের গোপন অভিযানে নিহত হন লাদেন। এর প্রতিক্রিয়ায় হানিয়া বলেন, ‘আরব বিশ্বের পবিত্র একজন যোদ্ধাকে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে হানিয়া তুরস্ক সফরে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। হামাসের প্রধান হওয়ার পর এটাই ছিল তাঁর প্রথম বিদেশ সফর। গত বছরের জানুয়ারিতে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডসের কমান্ডার কাসেম সুলেইমানির দাফন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হানিয়া। এ সময় তিনি সুলেইমানিকে ‘দেশপ্রেমিক’ বলে অভিহিত করেন। ইরাকের মাটিতে মার্কিন বাহিনীর হামলায় নিহত হন সুলেইমানি।

জেল কিংবা একাধিক হামলায় হানিয়াকে দমানো সম্ভব হয়নি। অনেকের মতে, তিনি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির দূত। দেশি–বিদেশি বাধার মুখেও এক দশকের বেশি সময় গাজার নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছেন তিনি। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের মুক্তির সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। গড়ে তুলেছেন হামাসের সশস্ত্র বাহিনী। হামাসের রাজনৈতিক শাখার ভিত্তি মজবুত করেছেন। ইরান, তুরস্ক, লেবাননের হিজবুল্লাহর মতো মিত্রদের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা ধরে রেখেছেন।

গাজায় স্বঘোষিত সরকার চালাচ্ছেন হানিয়া। যদিও জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলে তাঁর সরকারের স্বীকৃতি নেই। তাদের কাছে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সরকারই ফিলিস্তিনের বৈধ কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে গাজার রাজনীতি বিশ্লেষক ইব্রাহিম মাধৌন বলেন, ‘আগামী দিনগুলোয় হানিয়াকে মিসর, কাতার ও সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে কাজ করতে হবে।’ বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক স্বীকৃতি আদায়ই হানিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

গত মে মাসে গাজায় টানা ১১ দিনের ইসরায়েলি হামলায় আড়াই শতাধিক মানুষ নিহত হয়। বিধ্বস্ত হয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক অবকাঠামো। হামাসের প্রধান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়া হানিয়াকে এই অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক বিকাশ নিশ্চিত করতে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে। সেখানকার বিপুল পরিমাণ কর্মহীন তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে অভ্যন্তরীণ চাপ বাড়বে হানিয়ার ওপর। এর সঙ্গে রয়েছে ইসরায়েলের হুমকি ও আগ্রাসনের আশঙ্কাও।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গরমে ট্রাফিক পুলিশকে স্বস্তিতে রাখতে ‘এসি হেলমেট’

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচণ্ড গরমে টানা রোদে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। সড়কে দায়িত্বরত পুলিশদের কিছুটা শীতল ও স্বস্তিতে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের লখনৌর ট্রাফিক বিভাগ। ‘ঠান্ডা উদ্যোগ’ নামে পরিচিত এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে বেশকিছু ‘এসি হেলমেট’ উন্মোচন করা হয়েছে। লখনৌতে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক পর্বের অংশ হিসেবে চারটি এসি হেলমেট চালু করা হয়। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) হজরতগঞ্জের অটল চক মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক কর্মীদের এসব হেলমেট দেয়া হয়। 

এই হেলমেটগুলোতে একটি স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ঢালসহ মাথায় শীতলতা নিশ্চিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এসি ভেন্ট রয়েছে। চোখকে সূর্যের প্রখর আলো ও উত্তাপ থেকে রক্ষা করতে এটি গগলস হিসেবে কাজ করে। হেলমেটটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কোমরে বাঁধা একটি বড় ব্যাটারির সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে এলে উপরে থাকা একটি লাল আলো সতর্ক বার্তা দেবে।

এ বিষয়ে লাখনৌ পুলিশের এডিসিপি অজয় কুমার সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘এই প্রকল্প সফল হলে হায়দরাবাদভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানকে কমপক্ষে পাঁচশ এমন এসি হেলমেট প্রস্তুতের দায়িত্ব দেয়া হবে। এই হেলমেটের ওজন সাধারণ হেলমেটের প্রায় অর্ধেক এবং আমাদের ট্র্যাফিক পুলিশ এটি ব্যবহার ও পরিধানে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন।’


ট্রাফিক   পুলিশ   প্রকল্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের পর এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে পরাজিত করতে না পারা, হামাসের হাত থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের উদ্ধার করতে না পারা, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়াসহ একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করতে পারেন সামরিক বাহিনীর প্রধান।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতার প্রতিবাদে ইসরায়েলজুড়ে চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে গত সোমবার ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। হামাসের গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে চালানো হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন তিনি।

ইসরায়েলের সেনাপ্রধান   হামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলে রকেট হামলা, বেজে উঠল সাইরেন

প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লেবাননের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্রবাহিনী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।   

স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে এ হামলা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। 

এদিকে, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় আরও এক মার্কিন সামরিক ড্রোন ভূপাতিত হয়েছে। ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি বেশ শক্তিশালী এবং গত শুক্রবার দেশটির ভেতরেই ড্রোনটিকে গুলি করে ভূপাতিত করার এই ঘটনা ঘটে। 

ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী জানায়, লেবানন থেকে অন্তত ২৬টি রকেট ছোড়া হয়েছে। এগুলো ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বার ইয়োহাই অঞ্চলের খোলা জায়গায় আঘাত হেনেছে। মেরন পর্বতের আশপাশে আকাশ হামলা সতর্কীকরণ সাইরেন বাজানো হয়। তবে এই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি বা কোনো ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি বলে জানিয়েছে বাহিনী।

এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ‘বিস্ফোরক ড্রোন ও সুনির্দিষ্ট লক্ষে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে আল মানারা সামরিক কমান্ডের সদর দপ্তরও গোলানি ব্রিগেডের ৫১তম ব্যাটলিয়নের কিছু সদস্যের ওপর হামলা চালিয়েছে।'

ইসরারায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, নিজস্ব আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম সাফল্যের সঙ্গে লেবানন থেকে আসা এই হামলা প্রতিহত করেছে। হামলার উৎসে পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।


ইসরায়েল   রকেট   হামলা   সাইরেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কংগ্রেসে বড় ধাক্কা, দিল্লি প্রধান অরবিন্দর সিংয়ের পদত্যাগ

প্রকাশ: ০২:১৩ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস দেশে লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে। দিল্লি প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন দিল্লির কংগ্রেস প্রধান অরবিন্দর সিং লাভলি। তবে দল থেকে পদত্যাগ করেননি তিনি। লোকসভা নির্বাচনে ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের মধ্যে তার এই দল ছেড়ে যাওয়াকে কংগ্রেসের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। 

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ ছেড়েছেন অরবিন্দর সিং লাভলি। দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট বাঁধার কারণেই ক্ষোভে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।

রোববার সকালে অরবিন্দর সিং লাভলি জানান, তিনি কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, দিল্লির কংগ্রেস কর্মীদের স্বার্থরক্ষা করতে পারেননি তিনি। তাই দলের সভাপতির পদে থাকার আর কোনও কারণ দেখছেন না তিনি।

উল্লেখ্য, অরবিন্দর সিং লাভলি দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা। মাঝখানে ২০১৭ সালের দিকে একবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কয়েক মাসের মধ্যে প্রত্যাবর্তন করেন কংগ্রেসে। আম আদমি পার্টির প্রবল বিরোধী হিসাবে পরিচিত লাভলি।

লোকসভা ভোটের মধ্যে লাভলির পদত্যাগে দিল্লি কংগ্রেসে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে। পদত্যাগপত্রের পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে লেখা চিঠিতে আম আদমি পার্টি তথা আপের সঙ্গে জোট নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।

চিঠিতে অরবিন্দর লিখেছেন, ‘যে দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে তৈরি হয়েছে, তাদের সঙ্গে জোটের সম্পূর্ণ বিরোধী ছিল দিল্লি কংগ্রেস ইউনিট। এরপরও দল সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (এএপি) সঙ্গে জোট গঠনের।’

এছাড়া দলের প্রদেশ পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে লাভলি চিঠিতে বলেছেন, ‘এখন আমার কোনও কথাই গুরুত্ব পায় না। এমনকী দলের ব্লক সভাপতিদের নিয়োগেরও অনুমতি দেওয়া হয় না।’


কংগ্রেস   দিল্লি   অরবিন্দর সিং   পদত্যাগ   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীনে টর্নেডোয় নিহত ৫, আহত ৩৩

প্রকাশ: ০১:২৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চীনের দক্ষিণাঞ্চলের গুয়াংডং প্রদেশের রাজধানী শহর গুয়াংজৌতে শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে ৫ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে টর্নেডোর আঘাতে হেনেছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রবিবার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিজিটিএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, টর্নেডোটি শহরের বাইয়ুন জেলার ঝোংলুওটান শহরে আনুমানিক বেলা ৩টায় আঘাত হানে। এতে ১৪১টি কারখানা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে কোনো আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এসময় টর্নেডোর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২.৮ কিলোমিটার দূরে লিয়াংতিয়ান গ্রামের আবহাওয়া কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ২০.৬ মিটার নিবন্ধিত হয়েছিল। 

প্রাদেশিক আবহাওয়া ব্যুরোর প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে, টর্নেডোটি তৃতীয় স্তরের ছিল। টর্নেডোর সর্বোচ্চ তীব্রতার মাত্রা পাঁচ থেকে দুই স্তর নিচে।


চীন   টর্নেডো   নিহত   আহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন