ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তুরস্কের উত্থানে কি শঙ্কিত পরাশক্তিরা?

প্রকাশ: ০৩:০৯ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

ওসমানিয়া খেলাফতের করুণ সমাপ্তি ঘটে বিংশ শতাব্দীতে এসে। কিন্তু এমন একটি সমাপ্তি কি তাদের প্রাপ্য ছিল? এই ওসমানিয়া সাম্রাজ্যই তো ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকে শুরু করে তাদের সাম্রাজ্যের বিস্তার ও উত্থান সংঘটিত করেছিল। সেটির চূড়ান্ত পর্যায় ঘটে পঞ্চবিংশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে এসে। সমসাময়িক অন্যান্য তাবৎ ক্ষমতাধর সাম্রাজ্যকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা তাদের উন্মেষ ঘটায়। এমনই খেলাফতের করুণ পরিণতি আমরা দেখতে পেয়েছি বিংশ শতাব্দীতে এসে।

ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া সেই সাম্রাজ্যর ভার এখন বহন করছে বর্তমান তুরস্ক। লুজান ট্রিট্রির মাধ্যমে তুরস্কের সকল উত্থান বন্ধ করে দেওয়া ইউরোপের শক্তিগুলোর দিনও আস্তে আস্তে ফুরিয়ে আসতে শুরু করেছে বোধ হয়। 

১৯২৩ সালে সম্পন্ন হওয়া লুজান ট্রিটির মাধ্যমে ইউরোপের শক্তিগুলো নিশ্চিত করতে চেয়েছিল যাতে ওসমানিয়া খেলাফতের ভবিষ্যৎ তুরস্ক যাতে কোন মতেই তার পূরবসরির পদচিনহ অনুসরণ করতে না পারে।

বর্তমান আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতারতুক খিলাফতের বিভাজনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করার পরেই দেশটিতে সেকুল্যার ধ্যান ধারণার প্রচলন শুরু করেন। দেশটিতে নারী পুরুষের অবাধ চলাফেরা এবং সম্পূর্ণ ইউরোপের রীতিনীতি প্রচলনে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চালু করেন। তিনি ব্যাপক আকারে ইসলামের বিরোধী ছিলেন। যার কারণে তিনি দেশটি থেকে ইসলামের সকল প্রকার ইতিহাস মুছে ফেলার যথেষ্ট চেষ্টা করেন।

তার মৃত্যুর পর দেশটিতে বেশির ভাগ সময় সামরিক শাসনের আওতায় থাকে। এর ফলে দেশটিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে তেমন একটা অগ্রগতি না হলেও সামরিক দিক থেকে দেশটি পশ্চিমা বিশ্ব থেকে ব্যাপক আকারে সহযোগিতা পেতে আরম্ভ করে। নিজেদের সামরিক শিল্পের এই উন্নয়ন ব্যাপক আকারে দেশটিতে অন্যর উপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে শুরু করে। গড়ে উঠতে থাকে পশ্চিমা আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম তৈরির নানা কারখানা। ইউরোপের সহযোগিতার পিছনে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে দেশটির সেকুল্যার দৃষ্টিকোণ এবং পশ্চিমাদের চাটুকারিতা করার মানসিকতাকে।

তবে সবকিছু ভোজবাজির মত পাল্টে যেতে শুরু করে যখন দেশটিতে ক্ষমতায় আরোহণ করেন রিসেপ তায়েফ এরদোগান। দেশটিতে প্রথমবারে মত কোন ইসলামিক দল (একে পার্টি) ক্ষমতায় এলে মানুষের মত যে আস্তে আস্তে পাল্টে যাচ্ছে তা বুঝতে শুরু করেন দেশটির রাজনৈতিক মহল। ক্ষমতায় এসে এরদোগানকে সবার প্রথম লড়াই করতে হয় দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সাথে। তিনি সেনাবাহিনীর অনেক রীতিনীতি পরিবর্তন করে ইসলামিক চিন্তাধারাতে পরিবর্তন করেন। যার কারণে ২০১৬ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করে সেনাবাহিনীর একটি বড় অংশ। তবে সেদিন জনগণের একক প্রচেষ্টায় বেঁচে যান তিনি। এরপর সংবিধান পরিবর্তন করে দেশটির একক ক্ষমতার দখল নেন এরদোগান।

এরদোগান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তুরস্ককে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনে সম্পৃক্ত করতে শুরু করেন। এর ফলে দেশটির সাথে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পরে মধ্যপ্রাচ্যর শক্তিশালী ক্ষমতাধর দেশ সৌদি আরব এবং আরব আমিরাত। মধ্যপ্রাচ্যতে বহু দিন ধরে চলে আসা সৌদি আরবের একক ক্ষমতায় ভাগ বসাতে শুরু করে তুরস্ক।

সৌদি-আমিরাতের সাথে তুরস্কের দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে যখন সৌদির নেত্তিত্বে আরব বিশ্বের ১০টি দেশ কাতারের সাথে সকল রকমের কূটনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ করে দেয়। সেই সময় একাকী কাতারের পাশে এসে দাঁড়ায় এরদোগানের তুরস্ক। দেশটিতে সকল ধরণের খাদ্য সামগ্রী থেকে শুরু করে দেশটিকে বহিশক্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য কাতারে নিজ দেশের সেনাবাহিনী মোতায়েন করে তুরস্ক সরকার।

এছাড়া সৌদি আরবের ডেরা থেকে অন্যান্য মুসলিম দেশ কে বের করে নিয়ে আসতে সৌদির সবচেয়ে বড় শত্রু ইরানের সাথে জোট বাধতে শুরু করে তুরস্ক। এর জোটে সামিল করতে শুরু করে পাকিস্তান, মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশের মত উদীয়মান মুসলিম শক্তিগুলোকে। যদিও এইসকল দেশগুলোকে সৌদি আরব প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে রাখে তুরস্ক কিংবা ইরানের সাথে জোট বাঁধতে তবুও এই জোট গত এক শতাব্দী ধরে চলে আসা একক এই সৌদি প্রভাব থেকে মুক্ত করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে চলেছে। 

এছাড়া তুরস্ক নিজের দেশের সীমান্তে সিরিয় বাহিনী ও কুর্দিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে আসছে। দেশটি তাদের সার্বভৌমত্বের জন্য কুর্দিদের সবচেয়ে বড় হুমকি মনে করে। তার সিরিয়া সীমান্তে যেখানে কুর্দি বিদ্রোহীরা অবস্থা সেখানে নিয়মিত ভাবে সিরীয়ান কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই হামলা পরিচালনা করে আসছে। এর ফলে সীমান্ত অঞ্চলে তুরস্কের অধিপত্যর এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে।

তুরস্ক আস্তে আস্তে উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়াতেও নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে শুরু করেছে। দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে সম্পূর্ণভাবে সামরিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে শুরু থেকেই। যার ফলে ভঙ্গুর লিবিয়ার আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকার আস্তে আস্তে বেশ শক্তিশালী ভূমিকায় চলে আসে। বিদ্রোহী দল খলিফা হাফতারের বাহিনীকে বেশ কিছু অঞ্চলে তুরস্কের সরাসরি সহযোগিতায় পরাজিত করতে সক্ষম হয় লিবিয়ার আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকার। এর ফলে দেশটিতে এবং পশ্চিমা বিশ্বে তুরস্ককে নিয়ে নতুন করে সমীকরণ শুরু হয়।

লিবিয়াতে সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার সময় দেশটি আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া মাঝে যুদ্ধেও নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। তুরস্কের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় দীর্ঘদিন আর্মেনিয়ার হাতে দখল থাকা নাগর্নো-কারাবখ অঞ্চল দখল করতে সক্ষম হয় আজারবাইজান। এই যুদ্ধে আর্মেনিয়াকে সরাসরি সহযোগিতা করে ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া সহ অনেক পশ্চিমা দেশ। এর পরেই তুরস্কের সহযোগিতার সামনে হাত মানতে বাধ্য হয় অন্য সকল দেশ।

তবে তুরস্ক নিয়ে সবচেয়ে বেশি ঝামেলা তৈরি হয় মেডিটেরিয়ান সী তে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কে কেন্দ্র করে। তুরস্কের সাথে এবার সরাসরি দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পরে গ্রীস। এর সাথে যোগ হয় মিশরের নাম। তবে গ্রীসের সাথে দ্বন্দ্বে সরাসরি তুরস্ককে যুদ্ধের হুমকি দেয় ফ্রাস সরকার। ফ্রাস গ্রীস কে সরাসরি সহযোগিতা করার জন্য ব্যাপক আকারে যুদ্ধ বিমান থেকে শুরু করে নিজেদের সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজ প্রেরণ করে মেডিটেরিয়ান সাগরে। সেই সময়কার অবস্থা এমন এক করুণ পরিণতির দিকে অগ্রসর হচ্ছিলো যে, যেকোনো সময় তুরস্ক ও গ্রীসের মাঝে যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে আর একে কেন্দ্র করে আরো যুদ্ধ জড়িয়ে পড়তে পারে পশ্চিমা আরো অনেক দেশ।

তবে তুরস্কর সাথে সর্বশেষ ঝামেলা বাধে তুরস্কের বহু দিনের পুরোন বন্ধু আমেরিকার সাথে রাশিয়া থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনা কে কেন্দ্র করে। এর ফলে আমেরিকা তুরস্কের কাছে পঞ্চম প্রজন্মের আধুনিক বিমান এফ-৩৫ বিক্রি বন্ধ করে দেয় এবং তুরস্কের উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুরু করে। কিন্তু তুরস্ক এতে একটুকু না টলে নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। যার ফলে পশ্চিমা বিশ্ব বুঝতে শুরু করে তুরস্ককে এত সহজে দমানো সম্ভব হবে না।

তবে এই সকল পরিক্রমা থেকে সুস্পষ্ট বোঝা যায় যে তুরস্কে আটকে রাখা লুজাজ ট্রিটি যখন শেষ হওয়ার দ্বার প্রান্তে ঠিক তখনি তুরস্ক আবারো তার আগে দাপটে ফিরতে শুরু করছে। যার ফলে পশ্চিমা বিশ্ব তুরস্কের এহেন আক্রমণাত্মক আগ্রাসনকে নিজেদের হুমকি ভাবতে শুরু করেছে যেটি হয়তা তুরস্কের জন্য ভবিষ্যতে বেশ ঝামেলার উদ্রেক তৈরি করতে পারে। তবে এখন দেখার বিষয় তুরস্ক এই সকল ঝামেলা থেকে নিজেদের মুক্ত রেখে কিভাবে আরো গতিশীল অবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়।


তুরস্ক   এরদোগান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদী ফের প্রধানমন্ত্রী হলে ভারতের সর্বনাশ হবে: কংগ্রেস

প্রকাশ: ০৮:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আবারও নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে একনায়ক হয়ে দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন। দেশটিতে মানুষের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা নষ্ট করে ফেলবেন, হিন্দু-মুসলিম লড়াই বাধিয়ে দেবেন বলে দাবি করেছেন জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি ও 'ইন্ডিয়া' জোটের মুখ মল্লিকার্জুন খাড়গে। 

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যে দুই দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ৭ মে তৃতীয় দফায় মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। তার আগে রোববার (৫ মে) মালদার সুজাপুর হাতিমারি ময়দানে আয়োজিত জনসভায় উত্তর মালদা ও দক্ষিণ মালদা আসনগুলোতে বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম এবং ইশা খান চৌধুরীর সমর্থনে ভাষণ দেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে খাবার খান, তা হজম করার জন্য কংগ্রেসের নামে কু-কথা বলতে হয়। কু-কথা না বললে তার খাবার হজম হয় না।

কংগ্রেস সভাপতি বলেন, কংগ্রেস সরকার মনরেগার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প তৈরি করেছে, গরিবদের পেট ভরার জন্য ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্ট'র মাধ্যমে বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করেছে। নরেন্দ্র মোদী কি এ ধরনের কোনো প্রকল্প দিয়েছেন? আমাদের সরকার শিক্ষা সুরক্ষার জন্য কাজ করছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ভারতে অশিক্ষার আলো জ্বালাতে চান। গরিবকে আরও গরিব করে রাখতে চান। এ ধরনের মানুষ তিনি।

মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ভাই এবং বোনেরা বলা ছাড়া নরেন্দ্র মোদী দেশের জন্য কিছুই করেননি। এখানে এসে বলেছিলেন, কংগ্রেসের নেতারা বিদেশে বেআইনি অর্থ রেখেছেন, সেই অর্থ আমি সুইস ব্যাংক থেকে আনবো, আর ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ রুপি দেওয়া হবে। কোথায় গেলো সেইসব অর্থ?

এরপর বিজেপি নেতাকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, প্রতি বছর দুই কোটি যুবককে চাকরি দেবো। ১০ বছরে কত চাকরি হওয়ার কথা ছিল? ২০ কোটি। ভারতে বেকার যুবকরা কি ২০ কোটি চাকরি পেয়েছে? পায়নি।

তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী জনগণকে কখনো সত্যি কথা বলেন না। এ কারণেই বলতে হয়, মোদীজি, আপনি মিথ্যাবাদীদের সর্দার।

ইন্ডিয়া জোটের প্রধান আরও বলেন, এখন নরেন্দ্র মোদী আরও একটি মিথ্যা কথা বলছেন যে, জাতীয় কংগ্রেস জনগণনা প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের সম্পত্তি ভাগ করে দিতে চায়। আর সেই সম্পত্তি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের দিতে চায়। কিন্তু আমি নরেন্দ্র মোদীকে বলবো, আপনি জেনে রাখুন, ভারতের সংবিধানে রয়েছে, সবার সমান অধিকার। মুসলিমদের যেমন সমান অধিকার, তেমনি হিন্দুদেরও সমান অধিকার। শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান- সবার জন্য সমান অধিকার, যা বাবা সাহেব বিআর আম্বেদকর লিখে গেছেন।

কংগ্রেসের বর্ষীয়ান এ নেতা বলেন, আমরা সবসময় দেশকে একজোট করে রাখতে চাই। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী কখনোই দেশকে একজোট করে রাখতে চান না। কখনো জাতির নামে, কখনো হিন্দু-মুসলিমদের নামে, কখনো নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের নামে দেশকে ভাগাভাগি করতে চান। তিনি আরও একবার প্রধানমন্ত্রী হলে একনায়ক হয়ে দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন। দেশে জাতিগুলোর মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা নষ্ট করে ফেলবেন, হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে লড়াই বাধিয়ে দেবেন। কিন্তু জাতীয় কংগ্রেস কখনো দেশকে ভাঙতে দেবে না। আমরা সবাই এক হয়ে লড়াই করবো দেশের জন্য।


নরেন্দ্র মোদী   ভারত   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আল জাজিরা বন্ধ করতে ইসরায়েলের সংসদে ভোট

প্রকাশ: ০৮:২২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যক্রম বন্ধ করার পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে। একটি সরকারি বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। 

চলমান গাজা যুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত বিদেশি টিভি চ্যানেল অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার অনুমতি চেয়ে একটি আইন পাস করেছিল ইসরায়েলের সংসদ। এরপরই রবিবার দেশটির মন্ত্রিসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুমোদিত আইন অনুযায়ী নেতানিয়াহু ও নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ৪৫ দিনের জন্য ইসরায়েলে বিদেশি টিভির কার্যালয় বন্ধ করতে পারবে, যা নবায়নযোগ্য। এটি জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত বা গাজায় বড় সামরিক অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বজায় থাকবে।

নেতানিয়াহু আল জাজিরাকে উস্কানিমূলক গণমাধ্যম বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলে উস্কানিমূলক চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়া হবে। 


আল জাজিরা   বন্ধ   ইসরায়েল   সংসদ   ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেনিয়ায় বন্যা, প্রাণহানি বেড়ে ২২৮

প্রকাশ: ০৬:৫০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২২৮ জনে পৌঁছেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে গত কয়েকদিনে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে বলে রোববার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাতে কেনিয়াজুড়ে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। দেশটিতে মে মাসে আরও খারাপ আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বন্যায় আরও নিচু, নদী তীরবর্তী এলাকা ও শহরাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ সময় খাড়া ঢালু, উঁচু পাহাড় ও গিরিখাত এলাকায় ভূমিধস অথবা কাদা ধস ঘটতে পারে।

বন্যায় পূর্ব আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটিতে অনেক বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, সেতু এবং অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈরী আবহাওয়ায় আরও কমপক্ষে ১৬৪ জন আহত ও ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৩০ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।


কেনিয়া   বন্যা   প্রাণহানি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের কয়েক অঞ্চলে রাশিয়ার হামলা

প্রকাশ: ০৬:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের খারকিভ ও দিনপ্রো ও ওডিশায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলা দুইজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং একটি খাদ্য কারখানায় আগুন ধরে যায়। তাছাড়া বেশ কিছু বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনের পাশাপাশি অন্যান্য অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, হামলায় বিভিন্ন ধরনের আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ৭০টি গাইডেড এরিয়াল বোম ব্যবহার করা হয়েছে।

এর আগে ইউক্রেনের এয়ার ফোর্স খারকিভ ও দিনপ্রো লক্ষ্য করে ছোড়া ১৩টি শাহেদ ড্রোন ভূপাতিত করে।

সম্প্রতি ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বিল পাস হয়েছে মার্কিন সিনেটে। এরপরই কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া।


ইউক্রেন   রাশিয়া   হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিউইয়র্কে বাংলাদেশি হত্যার ভিডিও প্রকাশ (ভিডিও)

প্রকাশ: ০৬:২০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিউইয়র্কে নিজ বাড়ির রান্নাঘরে বাংলাদেশি উইন রোজারিও (১৯) নামের বাংলাদেশি তরুণকে দুই পুলিশ গুলি করে হত্যা করার ৩৬ দিন পর ৩ মে পুলিশের বডি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্ক স্টেটের অ্যাটর্নি জেনারেল (এজি) লেটিশা জেমস। 

সেই ভিডিও ফুটেজ দেখার পর ডুকরে কাঁদতে কাঁদতে উইনের মা নট্যান আভা কোস্টা, বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও এবং ছোটভাই উৎস রোজারিও বলেছেন, ‘প্রতিটি দিনক্ষণ আমরা উইনের অনুপস্থিতি গভীর বেদনার সঙ্গে অনুভব করছি। এমন নিদারুন কষ্ট থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছি না। এ অবস্থায় আমরা আশা করছি সেই ফুটেজ জনসমক্ষে প্রকাশের কোনো প্রয়োজন নেই। ফুটেজ স্পষ্ট করেছে যে, উইনের বেঁচে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু পুলিশ এসে তাকে হত্যা করেছে। আমাদের এবং উইনের সুরক্ষার পরিবর্তে পুলিশ অফিসাররা উইনকে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় গুলি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন। তাই আমরা চাচ্ছি সেই দুই পুলিশ অফিসারকে বরখাস্ত করে যত দ্রুত সম্ভব তাদের বিচারে সোপর্দ করা হোক।’  

উল্লেখ্য, উইন রোজারিও ছিল মানসিক রোগী। গত ২৭ মার্চ দুপুরে নিউইয়র্ক সিটির ওজোনপার্কে তার মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করলে ৯১১-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়। নিউইয়র্ক পুলিশের দুই অফিসার বাসায় এসে উইনকে নিবৃত্ত করার চেষ্টার একপর্যায়ে টেজার (এক ধরনের অস্ত্র, যা বিদ্ধ করে উত্তেজিত/অবাধ্য লোকদের নিস্তেজ করা যায়) ছোঁড়া হয়। সে সময়ে উইনের মা উইনকে জড়িয়ে ধরে পুলিশের প্রতি আকুতি জানাচ্ছিলেন গুলি না করার জন্য। তবুও পুলিশ সাড়া দেওয়ার পরিবর্তে উপর্যুপরি টেজার ছোড়ার আতঙ্কে মানসিক বিকারগ্রস্ত উইন চেয়ারের ওপরে রাখা মাছ/মাংস কাটার কেঁচি হাতে নিয়ে পুলিশের প্রতি ধেয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেই উভয় অফিসার কয়েক রাউন্ড গুলিতে উইনকে ধরাশায়ী করেন। ফুটেজে তা স্পষ্ট হয়েছে। 

ফুটেজ দেখে সুস্থ মস্তিষ্কের অনেকেই বলছেন যে, টেজার ছোড়ার পর উইনকে গুলি করার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু পুলিশ অফিসারদ্বয় সে চেষ্টা করেননি। উইন হত্যাকান্ডের পর থেকেই পরিবার এবং কমিউনিটির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হচ্ছিল বডি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশের জন্য। কিন্তু নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট তা আমলে না নেওয়ায় স্টেটের অ্যাটর্নি জেনারেল তা প্রকাশ করল। 


নিউইয়র্ক   বাংলাদেশি হত্যা   উইন রোজারিও  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন