নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৯ এএম, ১৩ অক্টোবর, ২০২১
কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগরের একটি রেস্তোরাঁয় যাচ্ছিলেন ৪০ বছর বয়সী সিদ্ধার্থ বিন্দ্রু। হঠাৎ বেজে উঠল মুঠোফোন। অপর প্রান্ত থেকে শুনলেন দুঃসংবাদটি। জানলেন ‘বাবা আর নেই’। ওই অঞ্চলের বিখ্যাত এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট হিসেবে পরিচিত সিদ্ধার্থ বিন্দ্রু খবরটি শুনে বড় ধাক্কা খেলেন। জানতে পারলেন কিছু লোক তাদের পারিবারিক ওষুধের দোকানে ঢুকে তার বাবা মাখন লাল বিন্দ্রুকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। তাকে মোট তিনটি গুলি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৫ অক্টোবর।
মাখন লাল বিন্দ্রু (৬৮) কাশ্মীরের বিখ্যাত চিকিৎসক রাখেশ্বর নাথ বিন্দ্রুর ছেলে। এই পরিবারটি বিখ্যাত ফার্মেসি চেইন শপ পরিচালনা করে থাকে। কাশ্মীর অঞ্চলে বিভিন্ন জীবন রক্ষাকারী ওষুধ বিক্রির জন্য পরিচিত এটি।
কাশ্মীরে স্থানীয়ভাবে ‘পণ্ডিত’ হিসেবে পরিচিত কাশ্মীরি ভাষাভাষী যে ৮০০ হিন্দু পরিবার আছে, বিন্দ্রুরা তাদের মধ্যে অন্যতম। নব্বইয়ের দশকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এ অঞ্চলটিতে যখন সশস্ত্র জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তখন হাজারো হিন্দু ওই এলাকা ছেড়ে ভারতের অন্য শহরগুলোতে চলে যায়। তবে বিন্দ্রুরা সেখানে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই সশস্ত্র বিদ্রোহীরা মূলত ভারতের কাছ থেকে স্বাধীনতা চায়। তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন এখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা। তাদের বিরুদ্ধে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতার অভিযোগ তোলে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা।
মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-নিয়ন্ত্রিত এই কাশ্মীরে সাম্প্রতিক সময়ে বেসামরিক মানুষজনকে হত্যার ফলে আবারও ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে এই অঞ্চলের সংখ্যালঘু লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে গেছে।
যেদিন মাখন লাল বিন্দ্রু খুন হন ওই দিনই আরও দুজন বেসামরিক ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এর মধ্যে একজন ভারতের বিহার থেকে আসা হিন্দু ফেরিওয়ালা ও একজন মুসলিম ক্যাবচালক। তাদের দুজনকেই অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করে। এর আগে গত ২ অক্টোবর একই কায়দায় দুজন কাশ্মীরি মুসলিম নাগরিককে হত্যা করা হয়।
এর দুই দিন বাদেই আবার বন্দুকধারীরা শ্রীনগরের বিচ্ছিন্ন সংগম এলাকার একটি সরকারি স্কুলে হামলা চালিয়ে সেখানকার শিখ প্রধান শিক্ষক ও হিন্দু একজন শিক্ষককে হত্যা করে। কাশ্মীরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে বেছে বেছে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে এভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এর ফলে অনেক হিন্দু পরিবার এখন উত্তেজনাপূর্ণ এ অঞ্চল ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিকে নব্বইয়ের দশকের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে।
ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি কর। কিন্তু পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী এই দুই দেশের কাছে কাশ্মীরের অংশ বিশেষ রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সব সময় উত্তেজনাপূর্ণ। কিন্তু ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিল্লি তুলে নিলে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়।
এই পদক্ষেপের পরে কয়েক মাস ধরে কাশ্মীরে সড়ক অবরোধ এবং প্রশাসনিক পরিবর্তন ঘটতে থাকে। স্থানীয়দের ভাষায়, ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে জনসংখ্যাতাত্ত্বিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে দিল্লি এই পরিবর্তন এনেছিল।
গত সপ্তাহে নিহত স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুপিন্দার কাউরের স্বামী রামেশপাল সিং বলেন, স্ত্রীর মৃত্যুর পর দুই দিন পর্যন্ত তিনি কোনো কথা বলতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘স্ত্রীকে মৃত দেখেছি। আমার কাছে আর সবকিছুর কোনো অর্থ নেই।’
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বন্দুকধারী হামলাকারী স্কুলে ঢুকে সবাইকে একসঙ্গে জড়ো করে পরিচয় জানতে চান। পরে প্রধান শিক্ষক ও আরেক শিক্ষককে আলাদা করে গুলি করা হয়।
সুপিন্দারের প্রতিবেশী মাজিদ বলেন, ‘তিনি ছিলেন বোনের মতো। তিনি এতটাই উদার ছিলেন যে, এক মুসলিম এতিম মেয়েকে দত্তক নিয়েছিলেন। তার বেতনের কিছু অংশ মেয়েটির ভরণপোষণের জন্য ব্যয় করতেন।’
গত দুই দশকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যাকাণ্ডের তালিকায় মাখন লাল ও সুপিন্দারের নামও নতুন করে যুক্ত হলো। এর আগে গত বছরের মার্চ মাসে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা অনন্তনাগ জেলায় ৩৫ জন ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে। তারা সবাই ছিলেন শিখ। ২০০৩ সালে পুলওয়ামা জেলার নন্দীমার্গে ২০ জনের বেশি কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
সম্প্রতি এক সপ্তাহের মধ্যে সেখানে সাতজনের বেশি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ড এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকারের ৭০ জনের বেশি মন্ত্রী কাশ্মীর সফর করছেন। এসব মন্ত্রীকে ভারতীয় সংবিধান থেকে ‘৩৭০ অনুচ্ছেদ’ বাতিল করার সুবিধা তুলে ধরতে পাঠানো হয়েছিল।
৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুসারে, কাশ্মীরের নিজস্ব সংবিধান থাকবে। এ ছাড়া সামরিক, যোগাযোগ ও পররাষ্ট্রনীতি ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে রাজ্য সরকারের অনুমোদন লাগবে। এর অর্থ হলো, আলাদা আইনকানুন দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের নাগরিকত্ব, সম্পদের মালিকানা, মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করা হচ্ছিল এত দিন। এ কারণেই অন্য রাজ্যের অধিবাসীরা সেখানে জমি কিংবা সম্পদ কিনতে পারতেন না। এ ছাড়া ভারতের সংবিধানের যে ভাগে ৩৭০ অনুচ্ছেদ যুক্ত, সেই ভাগে ‘অস্থায়ী, অন্তর্বর্তী এবং বিশেষ বিধানের’ বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিশেষ বিধানের জন্যই বিশেষ মর্যাদা পেয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর।
স্থানীয় রাজনীতিবিদরা বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থেকে অনেক দূরে। কেউ কেউ একে নব্বইয়ের দশকের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করছেন। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এ হত্যাকাণ্ডগুলোকে শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতির মিথ্যা দাবির বিরুদ্ধে ‘জোর আওয়াজ’ বলে মন্তব্য করেছেন।
কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান বিজয় কুমার বলেছেন, এ বছর কাশ্মীরে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের হাতে অন্তত ২৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন স্থানীয় হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের এবং দুজন পৃথক রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক।
নিহতদের অধিকাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের হলেও চলতি সপ্তাহে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে হত্যায় ধর্মীয় উত্তেজনার আশঙ্কা ছড়িয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিচালক দিলবাগ সিং বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ড সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার একটা চেষ্টা।
পুলিশ বলছে, আক্রমণকারীদের ধরতে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। সূত্র বলছে, জামিনে বাইরে থাকা শত শত সাবেক সশস্ত্র বিদ্রোহী এবং বিক্ষোভকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। তবে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা বলছেন, তারা ভয় পাচ্ছেন। অনেকেই এলাকা ছাড়ার চিন্তাভাবনা করছেন।
কাশ্মীরি পণ্ডিতদের একটি সংগঠনের প্রধান সঞ্জয় টিকো (৫৩) বলেন, ‘বেশ কিছু পরিবার সম্প্রতি কাশ্মীর ছেড়েছে এবং অনেকেই ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। আমি আতঙ্কে থাকা পণ্ডিত পরিবার থেকে ফোনকল পাচ্ছি। কর্তৃপক্ষ আমাকে শ্রীনগরের বাড়ি থেকে সরিয়ে হোটেলে রেখেছে। এ ধরনের ভয়ার্ত পরিবেশে আমরা কীভাবে বাস করব?’
শ্রীনগরে বিন্দ্রুদের বাড়িগুলোতে এখন ব্যাপক নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করে এ ধরনের একটি বাড়ির একজন বাসিন্দা বলেন, ‘অনেক পরিবার চলে গেছে। আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি। কোনো ঘটনা ঘটলে সরকারি কর্মকর্তারা এখানে এসে আমাদের সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু তারা কীভাবে সব স্কুল ও অফিসে নিরাপত্তা দেবে?
ভয় আর আতঙ্ক শুধু কাশ্মীরি এ পণ্ডিতদেরই গ্রাস করেনি, বরং তা পুরো উপত্যকাজুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে।
১৯৯১ সালে ‘ক্রসফায়ারে’ স্বজন হারানো ছুতার মিস্ত্রি মুহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘নব্বইয়ে দশকে পণ্ডিতদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ছিল হৃদয়বিদারক। আবার সে রকম ঘটনা দেখা যাচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরো ভেঙে পড়েছিল আমি সেই দিনগুলো স্মরণ করতে ভয় পাই। এমনটা যেন আর না হয়।’
কিন্তু সব কাশ্মীরি পণ্ডিত এলাকা ছাড়তে চান না। বিন্দ্রুরা বলছেন, তারা ফিরে যাবেন। মাখন লাল বিন্দ্রুর মেয়ে শ্রদ্ধা বিন্দ্রু বলেন, ‘আমরা কাশ্মীরের বাসিন্দা, আমরা কাশ্মীরি, মাখন লালের রক্ত আমাদের শরীরে।’
শ্রদ্ধা বলেন, তার বাবার মৃত্যুর পর যেসব মানুষ তাঁদের বাড়িতে গেছেন তার ৯০ শতাংশের বেশি মুসলমান। তার ভাষ্য, ‘আমার মনে হয় না, এ জায়গা ছাড়ার কোনো কারণ আমাদের আছে। আমাদের লোকজন আমাদের চারপাশে আছেন।’
মন্তব্য করুন
আবারও নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে একনায়ক হয়ে দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন। দেশটিতে মানুষের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা নষ্ট করে ফেলবেন, হিন্দু-মুসলিম লড়াই বাধিয়ে দেবেন বলে দাবি করেছেন জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি ও 'ইন্ডিয়া' জোটের মুখ মল্লিকার্জুন খাড়গে।
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যে দুই দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ৭ মে তৃতীয় দফায় মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। তার আগে রোববার (৫ মে) মালদার সুজাপুর হাতিমারি ময়দানে আয়োজিত জনসভায় উত্তর মালদা ও দক্ষিণ মালদা আসনগুলোতে বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম এবং ইশা খান চৌধুরীর সমর্থনে ভাষণ দেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে খাবার খান, তা হজম করার জন্য কংগ্রেসের নামে কু-কথা বলতে হয়। কু-কথা না বললে তার খাবার হজম হয় না।
কংগ্রেস সভাপতি বলেন, কংগ্রেস সরকার মনরেগার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প তৈরি করেছে, গরিবদের পেট ভরার জন্য ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্ট'র মাধ্যমে বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করেছে। নরেন্দ্র মোদী কি এ ধরনের কোনো প্রকল্প দিয়েছেন? আমাদের সরকার শিক্ষা সুরক্ষার জন্য কাজ করছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ভারতে অশিক্ষার আলো জ্বালাতে চান। গরিবকে আরও গরিব করে রাখতে চান। এ ধরনের মানুষ তিনি।
মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ভাই এবং বোনেরা বলা ছাড়া নরেন্দ্র মোদী দেশের জন্য কিছুই করেননি। এখানে এসে বলেছিলেন, কংগ্রেসের নেতারা বিদেশে বেআইনি অর্থ রেখেছেন, সেই অর্থ আমি সুইস ব্যাংক থেকে আনবো, আর ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ রুপি দেওয়া হবে। কোথায় গেলো সেইসব অর্থ?
এরপর বিজেপি নেতাকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, প্রতি বছর দুই কোটি যুবককে চাকরি দেবো। ১০ বছরে কত চাকরি হওয়ার কথা ছিল? ২০ কোটি। ভারতে বেকার যুবকরা কি ২০ কোটি চাকরি পেয়েছে? পায়নি।
তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী জনগণকে কখনো সত্যি কথা বলেন না। এ কারণেই বলতে হয়, মোদীজি, আপনি মিথ্যাবাদীদের সর্দার।
ইন্ডিয়া জোটের প্রধান আরও বলেন, এখন নরেন্দ্র মোদী আরও একটি মিথ্যা কথা বলছেন যে, জাতীয় কংগ্রেস জনগণনা প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের সম্পত্তি ভাগ করে দিতে চায়। আর সেই সম্পত্তি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের দিতে চায়। কিন্তু আমি নরেন্দ্র মোদীকে বলবো, আপনি জেনে রাখুন, ভারতের সংবিধানে রয়েছে, সবার সমান অধিকার। মুসলিমদের যেমন সমান অধিকার, তেমনি হিন্দুদেরও সমান অধিকার। শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান- সবার জন্য সমান অধিকার, যা বাবা সাহেব বিআর আম্বেদকর লিখে গেছেন।
কংগ্রেসের বর্ষীয়ান এ নেতা বলেন, আমরা সবসময় দেশকে একজোট করে রাখতে চাই। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী কখনোই দেশকে একজোট করে রাখতে চান না। কখনো জাতির নামে, কখনো হিন্দু-মুসলিমদের নামে, কখনো নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের নামে দেশকে ভাগাভাগি করতে চান। তিনি আরও একবার প্রধানমন্ত্রী হলে একনায়ক হয়ে দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন। দেশে জাতিগুলোর মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা নষ্ট করে ফেলবেন, হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে লড়াই বাধিয়ে দেবেন। কিন্তু জাতীয় কংগ্রেস কখনো দেশকে ভাঙতে দেবে না। আমরা সবাই এক হয়ে লড়াই করবো দেশের জন্য।
নরেন্দ্র মোদী ভারত প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যক্রম বন্ধ করার পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে। একটি সরকারি বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
চলমান গাজা যুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত বিদেশি টিভি চ্যানেল অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার অনুমতি চেয়ে একটি আইন পাস করেছিল ইসরায়েলের সংসদ। এরপরই রবিবার দেশটির মন্ত্রিসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুমোদিত আইন অনুযায়ী নেতানিয়াহু ও নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ৪৫ দিনের জন্য ইসরায়েলে বিদেশি টিভির কার্যালয় বন্ধ করতে পারবে, যা নবায়নযোগ্য। এটি জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত বা গাজায় বড় সামরিক অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বজায় থাকবে।
নেতানিয়াহু আল জাজিরাকে উস্কানিমূলক গণমাধ্যম বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলে উস্কানিমূলক চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
আল জাজিরা বন্ধ ইসরায়েল সংসদ ভোট
মন্তব্য করুন
পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২২৮ জনে পৌঁছেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে গত কয়েকদিনে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে বলে রোববার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাতে কেনিয়াজুড়ে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। দেশটিতে মে মাসে আরও খারাপ আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বন্যায় আরও নিচু, নদী তীরবর্তী এলাকা ও শহরাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ সময় খাড়া ঢালু, উঁচু পাহাড় ও গিরিখাত এলাকায় ভূমিধস অথবা কাদা ধস ঘটতে পারে।
বন্যায় পূর্ব আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটিতে অনেক বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, সেতু এবং অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈরী আবহাওয়ায় আরও কমপক্ষে ১৬৪ জন আহত ও ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৩০ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন
ইউক্রেনের খারকিভ ও দিনপ্রো ও ওডিশায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলা দুইজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং একটি খাদ্য কারখানায় আগুন ধরে যায়। তাছাড়া বেশ কিছু বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনের পাশাপাশি অন্যান্য অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, হামলায় বিভিন্ন ধরনের আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ৭০টি গাইডেড এরিয়াল বোম ব্যবহার করা হয়েছে।
এর আগে ইউক্রেনের এয়ার ফোর্স খারকিভ ও দিনপ্রো লক্ষ্য করে ছোড়া ১৩টি শাহেদ ড্রোন ভূপাতিত করে।
সম্প্রতি ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বিল পাস হয়েছে মার্কিন সিনেটে। এরপরই কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া।
মন্তব্য করুন
নিউইয়র্ক বাংলাদেশি হত্যা উইন রোজারিও
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যক্রম বন্ধ করার পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে। একটি সরকারি বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। চলমান গাজা যুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত বিদেশি টিভি চ্যানেল অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার অনুমতি চেয়ে একটি আইন পাস করেছিল ইসরায়েলের সংসদ। এরপরই রবিবার দেশটির মন্ত্রিসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউক্রেনের খারকিভ ও দিনপ্রো ও ওডিশায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলা দুইজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং একটি খাদ্য কারখানায় আগুন ধরে যায়। তাছাড়া বেশ কিছু বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনের পাশাপাশি অন্যান্য অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, হামলায় বিভিন্ন ধরনের আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ৭০টি গাইডেড এরিয়াল বোম ব্যবহার করা হয়েছে।