ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানে যেভাবে নিয়োগ পান আইএসআইপ্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৫৫ এএম, ১৯ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার তালিকা করলে সেরা ৫-এর একটি অবশ্যম্ভাবী নাম আসবে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার–সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সর (আইএসআই)। সংস্থাটির কার্যক্রম নিয়ে সারা বিশ্বের মাঝে প্রশ্ন থাকলে সবাই এক সুরে স্বীকার করে নিতে বাধ্য আইএসআইয়ের সমকক্ষ বিশ্বে খুব কম আছে। সেই ক্ষমতাশালী গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান নিয়োগ নিয়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন শুরু হয়েছে বিতর্ক।

প্রতিবার আইএসআই প্রধান নিয়োগ নিয়ে দেশটিতে তর্ক-বিতর্ক হলেও এবারের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন রূপে মোড় নিয়েছে। গোয়েন্দা প্রধানের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দেশটির বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

গত সপ্তাহে পাকিস্তানের সামরিক শাখা আইএসপিআর ঘোষণা দেয়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আহমেদকে নতুন আইএসআই প্রধান করা হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং থেকে তাঁকে ডিজি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য নামও ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে নিয়োগ দেওয়ার ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বার্তা আসেনি। এ নিয়ে নানা বিতর্ক হয় ও হচ্ছে। তার মধ্যে এ ইস্যুতে প্রথমবার পাকিস্তান সরকারের একজন মন্ত্রী বক্তব্য দেন। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক।

তবে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, আইএসআই প্রধান নিয়োগের পদ্ধতি সংবিধান বা সামরিক আইনে উল্লেখ করা হয়নি। অতীতের সব নিয়োগ ঐতিহ্য অনুসারে করা হয়েছিল। এ প্রক্রিয়ায় সেনাপ্রধান প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনটি নাম প্রস্তাব করেন। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী।

২০ বছর পর গত আগস্টে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এরপর আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠন নিয়ে তালেবান যখন জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, সে সময় আকস্মিক কাবুলে গিয়েছিলেন আইএসআইয়ের প্রধান ফাইজ হামিদ। সেখানে তিনি বলেন, সব সমস্যার সমাধান করা হবে। তাঁর ওই সফরের কয়েক দিনের মধ্যে তুলনামূলক রক্ষণশীল নেতাদের নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করে তালেবান। এরপর ফাইজ হামিদের বদলে নাদিম আহমেদকে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মহাপরিচালক পদে আনার কথা জানানো হয়।

বিতর্কের মধ্যেও জেনে নেওয়া যাক আসলে কোন প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের গুরুকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ডনের সাংবাদিক উরুহ ইমরান ও সানা চৌধুরী সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন।

সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান, তিনি চান বর্তমান প্রধান লে. জেনারেল ফাইজ হামিদ আরও কিছুদিন দায়িত্ব চালিয়ে যান। আর তাঁর এ চাওয়ার কারণ হলো আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি।

এ সবকিছুর মধ্যে বর্তমানে কিছু প্রশ্ন সামনে এসেছে। কীভাবে আসলে আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়। আসলে কে আইএসআই মহাপরিচালক নিয়োগ দেন, মহাপরিচালক কার কাছে রিপোর্ট করবেন, আইএসআইয়ের প্রধান কি বেসামরিক কেউ হতে পারবেন?

আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগের প্রক্রিয়া কী?

বিভিন্ন তথ্য–উপাত্ত, অতীতের নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার নথি ঘেঁটে বিশ্লেষকেরা বলেন, আসলে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান নিয়োগে শতসিদ্ধ কোনো নিয়ম বা প্রক্রিয়ার কথা তাঁরা চেষ্টা করেও জানতে পারেননি। অন্তত কোনো প্রকাশ্য লিখিত ডকুমেন্টও তাঁরা পাননি।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে নতুন আইএসআই মহাপরিচালক পদের প্রার্থীদের নাম এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া সম্প্রতি বৈঠক করেন। এ বৈঠকের বিবরণ প্রকাশের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) জাতীয় পরিষদের চিফ হুইপ আমির ডোগারকে তিরস্কার করেছেন। তিনি দল থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশও পেয়েছেন।

ডনের আবাসিক সম্পাদক ফাদ হুসেন বলেন, আমির ডোগার আসলে প্রক্রিয়াটি আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার তিনি বলেন, আমির ডোগার ব্যাখ্যা করেন, তিনটি নাম প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের হাতে আছে। এখান থেকে তিনি সম্ভাব্য যোগ্য একজনকেই বেছে নেবেন। আইএসআই নানা কাজে প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করে আর তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেই গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের নামটি আসে।

ডনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাঈদ বাকিরও বলেন, আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগের কোনো সাধারণ প্রক্রিয়া নেই। সেনাপ্রধান এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে কথা বলেন। সম্ভাব্য যোগ্য প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেরাদের নামগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যখন সেরা দুজনের মধ্য একজনকে বেছে নিতে হয়, তখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠান আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগের ব্যাপারে।

সাহিত্যিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহিদ হুসেইন ডনকে বলেন, আইএসআইয়ে কোনো কর্মকর্তার বদলি বা পদায়নের ক্ষমতা সেনাপ্রধানের হাতে থাকলেও সাধারণ চর্চা হচ্ছে যে গোয়েন্দাদের প্রধান প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। কারণ, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করেন। আইএসআইয়ের প্রধান কে হবেন, তা হয়তো প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন। তবে সেনাপ্রধান আবার আইএসআইয়ের প্রধানসহ যে কারও বদলি ও পদায়ন করে থাকেন। তিনি জানান, ফাইজ হামিদের বদলির সিদ্ধান্ত সেই নিয়ম মেনে হয়েছে। তাই ইমরান খানের ইচ্ছায় আইএসআইয়ে প্রধান হিসেবে ফাইজ হামিদের থাকার আর কোনো অধিকার নেই।

আইএসআইয়ের মহাপরিচালক কি বেসামরিক কেউ হতে পারেন?

বিশ্লেষকদের মতে, আইএসআই প্রধানের পদে একজন বেসামরিক লোক নিয়োগে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বা কোনো বিধিনিষেধ নেই। গোয়েন্দা সংস্থায় কতজন সামরিক এবং কতজন বেসামরিক লোক থাকবে, নিয়োগ বা পদায়ন করা হবে তারও কোনো শতসিদ্ধ নিয়ম নেই।

জাহিদ হুসেইন জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো অবসরে যাওয়া জেনারেল শামসুর রহমানকে আইএসআইয়ের প্রধান করেছিলেন। তিনি বেশি দিন সামরিক বাহিনীতে ছিলেন। শামসুর রহমান নিয়োগের সময় বেসামরিক ব্যক্তিই ছিলেন।

সাঈদ বাকির জানান, বেসামরিক ব্যক্তির গোয়েন্দাদের প্রধান হওয়ার পথে কোনো বাধা নেই।

আইএসআই আসলে কার অধীন

অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল শাহজাদ চৌধুরী সম্প্রতি এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বলেন, আইএসআই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মানতে বাধ্য। কিন্তু সেখানে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা সেনাপ্রধানের নির্দেশনা মানেন। এর অর্থ দাঁড়াল প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইএসআই প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করে। আবার এটাও ঠিক যে প্রধানমন্ত্রীর সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টির ওপরও মহাপরিচালকের পদে বেশি দিন থাকা না থাকা নির্ভর করে।

গুপ্তচরদের প্রধান নিয়োগে আইনি প্রক্রিয়াটি আসলে কী

মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে মঙ্গলবার তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, গোয়েন্দাদের নতুন প্রধান নিয়োগের জন্য আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতামত থেকে এটা স্পষ্ট যে আসলে এ ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই।

এর আগে মঙ্গলবার তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নতুন আইএসআই প্রধানকে নিয়োগ দিতে চান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগ করা হবে। আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। আমরা এ উপসংহারে আসতে পারি যে আইনি প্রক্রিয়াটি এখন অনুসরণ করা হবে’। তিনি প্রশ্ন তোলেন, আগে কি আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি?

সাঈদ বাকির যোগ করেন, এ নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত কথা বলতে হবে না। তবে, আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগের জন্য তাঁর সম্মতি প্রয়োজন। আইএসআই প্রধান নিয়োগ পদ্ধতির জন্য লিখিত কোনো আইন আছে বলে তিনি জানেন না। তিনি এমন কিছু দেখেননি।

আইএসআইয়ের প্রধান কীভাবে নিয়োগ হয়, এটা নিয়ে বিতর্ক প্রথমবার হচ্ছে, ব্যাপারটি এমন নয়। সুনির্দিষ্ট নিয়মের অভাবে সশস্ত্র বাহিনীর পেস্টিং এবং নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে অস্পষ্টতা আছে।

২০১৯ সালের আগস্টে জেনারেল বাজওয়াকে সেনাপ্রধান হিসেবে মেয়াদ শেষের তিন মাস আগেই তাঁর মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রায় এক দশকে দ্বিতীয়বারের মতো দেশের শীর্ষ জেনারেলের মেয়াদ এভাবে বাড়ানো হয়েছিল। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালত সাময়িকভাবে জেনারেল বাজওয়াকে সেনাপ্রধান পদে থাকার অনুমতি দিয়েছিল। তখন আদালত পার্লামেন্টে এ বিষয়ে আইন প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছিল।

এরপর পাকিস্তানের পার্লামেন্ট তিনটি বিল পাস করেছে। সেই বিলে অনেক দিনের দীর্ঘ এবং বিতর্কিত নানা সমস্যার অবসান হয়। এ তিন বিলের ফলে প্রধানমন্ত্রীর সেনাপ্রধান, জয়েন্ট স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যানসহ কয়েক পদে নিয়োগ এবং মেয়াদ বাড়ানোর পথ পরিষ্কার হয়ে যায়।

তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী জানান, প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধান মিলে আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগের আলোচনা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলেছেন। নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তথ্যমন্ত্রীর মতে, বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্ব আবারও প্রমাণ করেছে যে দেশের স্থিতিশীলতা, অখণ্ডতা এবং অগ্রগতির জন্য সব ঐক্যবদ্ধ।

তবে নানা বিতর্ক, আলোচনা ও সমালোচনার পরে রাজনৈতিক মহলে যাঁরা আছেন, তাঁরা এখন আইএসআইয়ের নতুন মহাপরিচালক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির অপেক্ষায় আছেন।

 

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফেসিয়াল থেকে এইডসে আক্রান্ত

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অনেকেই দীর্ঘ সময়ের জন্য তরুণ দেখাতে কসমেটিক সার্জারি এবং মুখে ইনজেকশনের মাধ্যমে ত্বক সুন্দর ও টানটান রাখতে 'ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল' করেন। সম্প্রতি এই ফেসিয়াল সংক্রান্ত ভীতিকর তথ্য সামনে এসেছে। ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করে এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ জন নারী। 

বৃহস্পতিবার(২৫ এপ্রিল) ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ অ্যান্ড কন্ট্রোল (সিডিসি) জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো রাজ্যের একটি স্পা'তে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করার কারণে সম্ভবত নারীরা এইচআইভিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। 

সিডিসি বলেছে, কসমেটিক ইনজেকশনের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণের ঘটনা এটাই প্রথম। এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা তাদের জানা নেই। আক্রান্ত মহিলারা লাইসেন্সবিহীন স্পা থেকে ফেসিয়াল করিয়েছিলেন ২০১৮ সালে।

সিডিসির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে একজন মহিলা মেক্সিকোতে একটি লাইসেন্সবিহীন স্পা থেকে প্লেটলেট সমৃদ্ধ প্লাজমা মাইক্রোনিডলিং পদ্ধতির মাধ্যমে ফেসিয়াল করিয়েছিলেন। তারপরে তিনি এইচআইভি পজিটিভ ছিলেন। এরপরে 'সিডিসি' নিউ মেক্সিকোর স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কসমেটিক ইনজেকশনের মাধ্যমে কীভাবে এইচআইভি সংক্রমণ ঘটেছে তা তদন্ত করে। 

সিডিসি জানিয়েছে, যে মহিলাটি ইনজেকশনের মাধ্যমে ওষুধ গ্রহণ করেননি, তাকে সংক্রামিত রক্ত সঞ্চালনও দেওয়া হয়নি বা এইচআইভি সংক্রামিত কোনও সঙ্গীর সঙ্গে তার যৌন সম্পর্কও হয়নি। তিনি শুধু একটি ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করেছেন এবং এরপরে তার এইচআইভি পরীক্ষা পজিটিভ পাওয়া গেছে।

২০১৯ সালে নিউ মেক্সিকো হেলথ ডিপার্টমেন্ট বলেছিল, আলবুকার্কের ভিআইপি স্পা-তে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল গ্রহণের ফলে এইচআইভি সংক্রমণ হয়েছিল। স্পাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং সে সময় স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছিল, যারা স্পাটিতে ফেসিয়াল করেছেন তাদের এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি এবং হেপাটাইটিস সি বিনামূল্যে পরীক্ষা করা হবে।

সিডিসি বলছে, ২০২৩ সালের মধ্যে চারজন মহিলা এবং একজন পুরুষসহ পাঁচজন এইচআইভি রোগী শনাক্ত হয়েছে। পুরুষটি সেই চারজন নারীর একজনের স্বামী।

সিডিসি জানিয়েছে, দুইজন এইচআইভি-আক্রান্ত রোগী বলেছেন, তারা কসমেটিক ইনজেকশন নেওয়ার আগে কোনোভাবে সংক্রামিত হয়ে থাকতে পারেন। তবে তিনজন রোগী স্পা থেকে এই সংক্রমণ পেয়েছেন। আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি জানিয়েছে, ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল পদ্ধতিতে ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা সময় লাগে।

বার্ধক্যের লক্ষণ লুকানোর জন্য মানুষ ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকে৷ এতে হাত থেকে রক্ত বের করে একই ব্যক্তির মুখে ইনজেকশন দেওয়া হ


ফেসিয়াল   এইডস   আক্রান্ত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মাঝরাতে আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো ইতালি

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যরাতের পর আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ করে একটি আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে ইতালির মিলানে। বাসিন্দাদের প্রশান্তির স্বার্থে এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে মিলানের স্থানীয় সরকার। 

ইতালির সংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে আইসক্রিম। অনেকেই গভীর রাতে আইসক্রিম খেয়ে থাকেন। প্রস্তাবিত নতুন আইনের অধীন এভাবে আইসক্রিম খাওয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

মিলান শহরের স্থানীয় সরকার ইতিমধ্যে আইনের খসড়া তৈরি করে আইনসভায় জমা দিয়েছে। যদি প্রস্তাবিত আইনটি পাস হয়ে যায়, তাহলে আগামী মাস থেকে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে।

মিলানের ১২টি এলাকায় আইনটি কার্যকর হবে। এই আইনের অধীনে মধ্যরাতের পর পিৎজা, পানীয়সহ সব ধরনের খাবার বাড়িতে সরবরাহ করা নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। শহরের সড়কে রাতের বেলায় যাতে হইচই না হয় এবং বাসিন্দারা প্রশান্তিতে থাকতে পারেন, সে জন্য এই আইন করা হচ্ছে।

মিলানের ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্র্যানেলি বলেন, সামাজিকতা ও বিনোদনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে এই আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত এই আইন 'মধ্য মে' থেকে কার্যকর এবং নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। 

সপ্তাহের কর্মদিবসে রাত সাড়ে ১২টা এবং সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটির দিনে রাত দেড়টা থেকে আইনটির প্রয়োগ শুরু হবে। সড়ককে কোলাহলমুক্ত রাখতে খোলা আকাশের নিচে বসানো খাবার টেবিলে এই আইনের প্রয়োগ করা হবে।

নাগরিকেরা চাইলে মে মাসের গোড়ার দিকে প্রস্তাবিত আইনের কোনো ধারার পরিবর্তন বা সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

মধ্যরাতে আইসক্রিম খাওয়া বন্ধে মিলানের স্থানীয় সরকার এবারই যে প্রথম উদ্যোগ নিচ্ছে, তা নয়। এর আগে ২০১৩ সালে তৎকালীন মেয়র জুইলিয়ানো পিসাপিয়া মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তুমুল সমালোচনার মুখে তিনি পিছু হটতে বাধ্য হন।


আইসক্রিম   নিষিদ্ধ   ইতালি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জার্মানির বিরুদ্ধে মামলার রায় ৩০ এপ্রিল

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল চলমান যুদ্ধে গণগত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইসরায়েলের এই অমানবিক কর্মকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগ এনে জার্মানির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করে মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়া।

আগামী ৩০ এপ্রিল সেই মামলার রায়ের দিন ঘোষণা করেছে আইসিজে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইসিজে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে- ইসরায়েলকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে গণহত্যা ‘সহজতর’ করার দায়ে জার্মানিকে অভিযুক্ত করে ১ মার্চ নিকারাগুয়া যে মামলা করে তার রায় ৩০ এপ্রিল ঘোষণা করা হবে।

বিবৃতি অনুসারে, দ্য হেগের পিস প্যালেসে ওই দিন স্থানীয় সময় বিকাল তিনটায় আদালতের প্রধান বিচারপতি নওয়াফ সালাম মামলার রায় পাঠ করবেন।

নিকারাগুয়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাছে ‘জার্মানিকে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করার নির্দেশ এবং গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য বিধিনিষেধের বিষয়ে’ জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা জারি করার অনুরোধ জানিয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪,৩৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছে ৭৭,৩৬৮ ফিলিস্তিনি।


জার্মান   বিরুদ্ধে   মামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই বন্ধে ইচ্ছুক হামাস

প্রকাশ: ১১:৪৮ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই বন্ধে ইচ্ছুক ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তবে তাদের একটি শর্ত রয়েছে। সংগঠনটির কয়েকজন নেতা এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তা হলো, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল যেসব অঞ্চল দখল করেছিল, ওই অঞ্চলগুলো নিয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। 

২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করেছে হামাস। ইসরায়েলের পতনের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তবে গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় উপত্যকাটিতে হামাসের ভবিষ্যৎ অনেকটাই অনিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে সংগঠনটির নেতাদের এ ইঙ্গিতে বোঝা যায়, আগের অবস্থান নিয়ে সুর নরম করছেন তারা।

হামাসের এই নেতাদের একজন তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বসবাসকারী বাসেম নাইম। তিনি হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য। বৃহস্পতিবার নাইম যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, জেরুজালেমকে রাজধানী করে যদি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করা হয়, আর শরণার্থীদের সেখানে ফেরার অধিকার দেওয়া হয়, তাহলে আল কাশেম ব্রিগেডকে (হামাসের সামরিক শাখা) ভবিষ্যতে জাতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। 

হামাসের শর্তগুলো মেনে নেওয়া হলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই 'অবশ্যই' বন্ধ করা হবে বলেও জানিয়েছেন বাসেম নাইম। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) যদি তাদের গঠনতন্ত্র ও প্রশাসনে 'সংস্কার' আনে, তাহলে সংগঠনটির সঙ্গে যোগ দিতে চায় হামাস।

তবে হামাসের নেতারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শর্ত সাপেক্ষে অস্ত্র প্রত্যাহারের কথা বললেও আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এখনো কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। আর বিদেশে অবস্থান করা হামাসের নেতাদের বক্তব্য গাজায় থাকা সংগঠনটির সামরিক শাখার নেতাদের চিন্তাভাবনার সঙ্গে মেলে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

হামাস বরাবরই স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠায় দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের বিরোধিতা করে আসছে। দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান অনুযায়ী, ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা হবে। এর বিপরীতে এত দিন  ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক সব অঞ্চল নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ে তোলার কথা বলে এসেছে হামাস। এসব অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে আজকের ইসরায়েল, অধিকৃত পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা।


ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়েছে ৬৩ শতাংশ

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ১৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে নির্বাচনের এই ধাপে ৮৮টি আসনের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোট হওয়ার কথা ছিল ৮৯ আসনে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের বেতুল কেন্দ্রের বিএসপি প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে ভোট স্থগিত রাখা হয়। তৃতীয় দফায় সেখানে ভোট নেয়া হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৬৩ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুর ও আসামে রেকর্ড ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। 

তবে তাপদাহের কারণে কেরালায় দুজন ভোটার ও একজন পোলিং এজেন্টের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। যদিও তীব্র গরম উপেক্ষা করেই দক্ষিণী সিনেমার বড় বড় তারকাদেরকে ভোট দিতে দেখা যায়।

দ্বিতীয় দফার ভোটদের দিন তৃতীয় দফার নির্বাচনী এলাকাগুলোতে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বিজেপি, কংগ্রেস ও তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। এদিন পশ্চিমবঙ্গের মালদায় নির্বাচনী জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

দ্বিতীয় দফার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থীরা হলেন- রাহুল গান্ধী, শশী থারুর ও হেমা মালিনী। আগামী ৭ মে হবে লোকসভার তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ।


ভারত   ভোট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন