ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে পুতিনের সফর বাকি বিশ্বকে যে বার্তা দিচ্ছে

প্রকাশ: ০৮:৫৮ এএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail ভারতে পুতিনের সফর বাকি বিশ্বকে যে বার্তা দিচ্ছে

পুরো দুনিয়ার নজর এখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফরের দিকে। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে বড় ধরনের চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। দৃশ্যত যুক্তরাষ্ট্রকে পাশ কাটিয়ে হঠাৎ মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টায় মত্ত দিল্লি। অন্যদিকে আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের আগের সম্পর্কে ফিরিয়ে আনতে রাশিয়া ভূমিকা রাখতে পারে। সব মিলিয়ে পুতিনের দিল্লি সফর বিশ্বকে নতুন করে কী বার্তা দিতে যাচ্ছে এটিই দেখার বিষয়। 

রাশিয়ার প্রেসিডেন্টদের ভারত সফর সব সময়ই একধরনের অতীত বিধুরতার আবহের জন্ম দেয়। মস্কো-নয়াদিল্লির সম্পর্কের ইতিহাস বেশ পুরোনো। বিশেষ করে গত শতকের স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকে এই হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কের শুরু। এখন এই সম্পর্ক আরও জোরালো। দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্ক বৈশ্বিক কূটনীতির সাফল্যের গল্পগুলোর একটি। এমন প্রেক্ষাপটে গত সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সংক্ষিপ্ত সফরে ভারতে যান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।  

বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরুর পর পুতিন দ্বিতীয়বারের মতো বিদেশ সফর করলেন। গতকাল তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। উষ্ণ অভ্যর্থনা বা চুক্তি সই, এসবের বাইরে ভারত ও রাশিয়ার সামনে কিছু বড় চ্যালেঞ্জ আছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো দেশ দুটিকে অতিক্রম করতে হবে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে বিভিন্ন ভূরাজনৈতিক বিষয়ও রয়েছে। মোদি ও পুতিন কীভাবে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করবেন, কীভাবে তার সমাধান করবেন, সেটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে।

এক দশক ধরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমেই বাড়ছে। বিষয়টি দিল্লি-মস্কোর সম্পর্কের ওপর কিছুটা ছায়া ফেলে। বিষয়টি মস্কোর জন্য বিরক্তিকরও বটে। ২০২০ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত সফরে এসেছিলেন। তখন তার জন্য বড় সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন মোদি। এটি ছিল ওয়াশিংটনের প্রতি নয়াদিল্লির সমর্থনের একটি প্রকাশ্য বার্তা।

 অন্যদিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্কে ক্রমাগত অবনতি ঘটছে। তা সত্ত্বেও ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির দহরম–মহরমের মতো বিরক্তিকর বিষয় অনেকটাই উপেক্ষা করে গেছে মস্কো। কিন্তু ভারত যখন ‘কোয়াড’ জোটে যোগ দেয়, তখন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ প্রকাশ্যে কথা বলেন। কোয়াডে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়াও রয়েছে। তারা বলছে, কোয়াড একটি অসামরিক জোট। কোনো নির্দিষ্ট দেশকে লক্ষ্যবস্তু করে এই জোট গঠন করা হয়নি। কিন্তু এমনটা মনে করেন না লাভরভ।

লাভরভের মতে, পশ্চিমারা ইন্দো-প্যাসেফিক কৌশলে ভারতকে যুক্ত করে চীনবিরোধী খেলায় নয়াদিল্লিকে জড়ানোর চেষ্টা করছে। সাবেক ভারতীয় কূটনীতিক অনিল ত্রিগুনায়াত একসময় মস্কোতে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন, কোয়াড রাশিয়ার জন্য একটি ‘রেড লাইন’। বিষয়টি অবশ্যই পুতিন ও মোদির মধ্যকার আলোচনায় থাকার কথা।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিংয়ের সঙ্গে মস্কোর ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের প্রেক্ষাপট থেকে কোয়াড নিয়ে রাশিয়ার উদ্বেগের বিষয়টি বোঝা যায়।

অনিল ত্রিগুনায়াত বলেন, রাশিয়া এশিয়ায় তার অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষায় চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য হয়েছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমারা এই অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের অবনতি বেইজিং ও মস্কোকে আরও কাছে নিয়ে এসেছে বলে প্রতীয়মান হয়। বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে ভারত ও চীনের মধ্যকার সম্প্রতি উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক। সাম্প্রতিক সময়ে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন। চীন পরে অবশ্য স্বীকার করে যে তাদের কিছু সেনাও এই সংঘর্ষে হতাহত হন।

ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক উইলসন সেন্টারের উপপরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, নতুন ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা ভারত ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্কের জন্য সম্ভাব্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। এই প্রেক্ষাপটে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যকার বিশেষ সম্পর্ক রক্ষায় পুতিনের নয়াদিল্লি সফর গুরুত্বপূর্ণ।

কুগেলম্যান বলেন, তিনি মনে করেন, রাশিয়ার জন্য পুতিনের ভারত সফরের উদ্দেশ্য হলো, নয়াদিল্লির সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ককে শক্তিশালী করা।

কুগলেম্যান, ত্রিগুনায়াতসহ বিশ্লেষকেরা মনে করেন, পারস্পরিক উদ্বেগগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি তা সমাধানের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী সম্পর্ক দুই দেশের মধ্যে আছে। বেশ কিছু ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে ভারত ও রাশিয়া সহযোগী হিসেবে কাজ করতে পারে। এই ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান অন্যতম।
 
ভারত সফরকালে মোদির সঙ্গে পুতিনের আলোচনায় আফগানিস্তান ইস্যুটি অবশ্যই থাকার কথা। কারণ, নয়াদিল্লি আফগানিস্তানে প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে ভারতের প্রতিবেশী ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ইতিমধ্যে আফগানিস্তানে আরও ভালো কৌশলগত অবস্থান রয়েছে। দেশটি রাশিয়া, ইরান ও চীনের সঙ্গে একটি অনানুষ্ঠানিক জোট গঠন করেছে বলে মনে হয়।

আফগানিস্তানে নয়াদিল্লির হারানো অবস্থান পুনরুদ্ধারে ভারতকে সহায়তা করতে পারে রাশিয়া। কারণ, ভারত ও রাশিয়া উভয় দেশই আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক আরএএনডি করপোরেশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ডেরেক গ্রোসম্যান বলেন, তালেবান ও হাক্কানি নেটওয়ার্ক নিয়ে ভারত-রাশিয়ার দুশ্চিন্তা আছে। আফগানিস্তান থেকে নিজ নিজ দেশে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়াও শঙ্কা আছে দুই দেশের। এ নিয়ে উভয় দেশ সতর্ক। তাই নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যকার মতৈক্যের একটি বড় ক্ষেত্র হতে পারে আফগানিস্তান।

ভারত ও রাশিয়া ইতিমধ্যে ব্রিকস, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা, আরআইসির মতো বহুজাতিক ফোরামের অংশীদার। এই ফোরামগুলো মস্কো ও নয়াদিল্লিকে দ্বিপক্ষীয়ের পাশাপাশি বৈশ্বিক বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে। পুতিনের ভারত সফর এই ঘনিষ্ঠতাকে আরও জোরদার করবে।

ভারত   রাশিয়া   মোদি   পুতিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের মহারাষ্ট্রে এক বছরে ২,৮৪১ কৃষকের আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইয়ের হাইকোর্ট (আওরঙ্গাবাদ হাইকোর্ট) সম্প্রতি রাজ্যের কৃষকদের পরিস্থিতি জানতে চেয়ে প্রতিবেদন তলব করেছিল। আদেশ মেনে সম্প্রতি তা জমা দিয়েছে হারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়। সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন পুলিশ স্টেশন থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে, বাস্তবে তা আরও বেশিও হতে পারে।

আত্মহত্যাকারীদের ৯৬ শতাংশই আর্থিক অনটন ও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে নিজেকে শেষ করার পথ বেছে নিয়েছেন। বাকি ৪ শতাংশ আত্মঘাতী হয়েছেন ব্যক্তিগত ও অন্যান্য কারণে। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর হাজারো কৃষকের আত্মহত্যা প্রায় নিয়মিত ঘটনা মহারাষ্ট্রে। রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের গোটা বছরে মহারাষ্ট্রে আত্মহত্যা করেছিলেন ২ হাজার ৯৪২ জন কৃষক। তার আগের বছর ২০২১ সালে আত্মহত্যা করেছিলেন ২ হাজার ৭৪৩ জন।

মহারাষ্ট্রকে বলা হয় ভারতের পেঁয়াজের রাজধানী। প্রতি বছর দেশটিতে যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়, তার ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ আসে রাজ্যটির বিভিন্ন গ্রাম থেকে। পেঁয়াজ ছাড়া অন্যান্য ফসলও উৎপাদন করে মহারাষ্ট্র। কিন্তু রাজ্যের কৃষকদের বড় অংশই দরিদ্র এবং কৃষকদের আত্মহত্যা করার প্রবণতাও এই রাজ্যে বেশি। রাজ্যের কৃষক নেতা কিশোর তিওয়ারি এজন্য রাজ্য সরকারকে সরাসরি দায়ী করেছেন।

কিশোর তিওয়ারি বলেন  ‘মহারাষ্ট্রের কোনো রাজ্য সরকার আজ পর্যন্ত সত্যিকার অর্থে কৃষকদের কল্যাণে কোনো পরিকল্পনা নেয়নি, বা নিলেও খুবই অদক্ষ ও ত্রুটিপূর্ণভাবে তা বাস্তবায়ন করেছে। ২ বছর আগে কৃষকদের ওপর ঋণের বোঝা কমাতে বিশেষ অর্থনৈতিক কর্মসূচি লোন ওয়েইভার স্কিম নিয়েছিল সরকার; কিন্তু সেই প্রকল্পে অনেক কৃষকের নাম নথিভুক্ত করা হয়নি। ফলে রাজ্যের বহু কৃষক এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না।’


ভারত   কৃষক   আত্মহত্যা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলকে কঠোর হুশিয়ারি দিলেন পুতিন

প্রকাশ: ০৩:১৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলকে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই খবর জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন- হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনী রাফা সীমান্ত ক্রসিং নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সে সঙ্গে শহরটিতে বিমান হামলা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এতে দুঃখিত হয়েছেন পুতিন। প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, রাফা শহরে ইসরায়েলকে কঠোরভাবে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে হবে। ইসরায়েলের ট্যাংক বহর ফিলিস্তিনের সীমান্ত নগরী রাফাতে প্রবেশ করেছে যা খুবই উদ্বেগজনক। 

পুতিনের বার্তা গোটা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, রাশিয়া এই অনুপ্রবেশকে আগ্রাসন এবং ১০ লাখেরও বেশি নাগরিকের এলাকায় একটি অস্থিতিশীলতার কারণ হিসেবে দেখছে।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বিভিন্ন ধারা কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। পুতিন জোর দিয়ে বলেছেন, রাফা শহরে মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার মতো যে কোন হুমকিকে আগ্রাসন হিসাবে বিবেচনা করবে মস্কো।



ইসরায়েল   পুতিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে বেড়েছে মুসলিম, কমছে হিন্দুদের সংখ্যা: রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৩:০৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে গত ৬৫ বছরে হিন্দু জনগোষ্ঠী কমেছে। অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে বেড়েছে সংখ্যালঘু বা মুসলিমদের সংখ্যা। ১৯৫০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ভারতের জনসংখ্যার ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ। 

১৯৫০ সালে ভারতে মুসলিম ছিল ৯.৮৪ শতাংশ। এরপর ২০১৫ সাল পর্যন্ত মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতের জনসংখ্যার ১৪.১৫ শতাংশ মুসলিম। শিখ জনসংখ্যা ১.২৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১.৮৫। বৃদ্ধির হার ৬.৫৮ শতাংশ। এছাড়া খ্রিষ্টান জনসংখ্যা ৫.৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালের পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে খ্রিষ্টান জনসংখ্যার হার ২.২৪ থেকে ২.৩৬ শতাংশ হয়েছে। 

অন্যদিকে ১৯৫০ সালে ভারতের নাগরিক ছিলেন ৮৪ শতাংশ হিন্দু। পরের ৬৫ বছরে এই চিত্রটা পালটে গেছে। ২০১৫ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ৮ শতাংশ কমেছে হিন্দুর সংখ্যা। 

এই সমীক্ষাতে দেখা গেছে, মিয়ানমারেও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে, এছাড়া হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে নেপালে। ১৬৭টি দেশের সংখ্যালঘু এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার সঙ্গে তুলনা করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর ইকনমিক অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল। 

এতে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় হিন্দুদের সংখ্যা ভারতে ধারাবাহিকভাবে কমেছে। এতে আরও বলা হয়েছে, এই রিপোর্ট প্রমাণ করছে, ভারতে সংখ্যালঘুরা কেবলমাত্র সুরক্ষিতই নয় বরং সংখ্যার হারে ক্রমবর্ধমান। 

এদিকে, ভারতেরে উল্টো চিত্র বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে। এই দুই দেশে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা (হিন্দু) বেড়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বাংলাদেশে ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ১৮.৫ শতাংশ হিন্দু নাগরিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘু বেড়েছে ৩.৭৫ শতাংশ। এই ৬৫ বছরের মধ্যে আফগানিস্তানে হিন্দুদের সংখ্যা বেড়েছে ০.২৯ শতাংশ।


ভারত   মুসলিম   হিন্দু   সংখ্যালঘু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফায় হামলা নিয়ে বাইডেনের কড়া হুঁশিয়ারি

প্রকাশ: ০২:০৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আগেই। এখন বাকি রয়েছে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির রাফা শহর। তবে লাখ লাখ ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠা এই শহরে বড় ধরনের হামলার বিরোধিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

ফিলিস্তিনিদের হত্যায় ইসরায়েলকে শক্তি যুগিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই তিনিই এখন রাফায় অবস্থানকারী ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য মানবিকতার বুলি প্রকাশ করলেন। 

বুধবার (৯ মে) তিনি জনসম্মুখে ঘোষণা করেন, ইসরায়েলি যদি রাফায় অভিযান চালায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কোনো অস্ত্র সরবরাহ করবে না। খবর রয়টার্সের 

সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘এটা স্পষ্ট করতে চাই, যদি ইসরায়েল রাফাতে হামলা চালায় তাহলে আমি তাদের কোনো অস্ত্র সরবরাহ করবো না। 

গাজায় ইসরায়েল অভিযান চালানোর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই প্রথম তেল আবিবের বিরুদ্ধে জনসম্মুখে শক্ত ভাষায় কথা বললেন। 

তিনি স্বীকার করেছেন, গাজায় বেসরকারি নাগরিকদের হত্যায় ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহার করছে। গত সাত মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আর এ সময়ের মধ্যে তারা ৩৪ হাজার ৭৮৯ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। 

ইসরায়েলকে ২ হাজার পাউন্ড বোমা দেওয়ার বিষয়ে বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এসব বোমা এবং অন্য উপায়ে গাজার বেসরকারি নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছে। 

মার্কিন সরকারের একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, রাফাতে হামালার বিষয়ে ওয়াশিংটন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এরই অংশ হিসেবে বোমার একটি চালায় আটকে দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাড এরদান ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপকে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, বিশ্বাস হচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রাখতে পারে।


রাফা   হামলা   বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মিসরে ইসরায়েলি গোয়েন্দাকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০১:২৫ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মিশরের বন্দরনগরী আলেক্সান্দ্রিয়ায় ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশী জিব কিপার নামে এক ইসরায়েলি গোয়েন্দাকে গুলি করে করা হয়েছে। ফিলিস্তিনপন্থি মিসরীয় একটি সশস্ত্র গ্রুপ এ হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওই ইহুদিবাদী ব্যবসায়ীকে মঙ্গলবার (৭ মে) আলেক্সান্দ্রিয়ায় হত্যা করা হয়। খবর টাইমস অব ইসরাইল ও আল-মায়াদিন টিভির।

ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্স টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিসরের বন্দরনগরী আলেক্সান্দ্রিয়ায় ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে থাকা ইহুদি সেনাদের হয়ে কাজ করা গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। তবে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওই ইসরায়েলি ব্যবসায়ী ছিলেন। তাকে গত মঙ্গলবার হত্যা করা হয়।

গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই তেলআবিবের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছে ফিলিস্তিনপন্থি বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। শুধু তাই নয় লেবানন, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে নিয়মিত হামলাও চালিয়ে আসছে তারা। সবশেষ গাজার সীমান্তবর্তী শহর রাফাহতে স্থল অভিযানকে কেন্দ্র করে নেতানিয়াহু প্রশাসনকে সতর্ক করে মিসর।

জানা যাচ্ছে, সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করায় ইহুদি সেনাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে মিসরভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠনগুলো। নিজেদের গোয়েন্দা দক্ষতা কাজে লাগিয়ে তারা ছদ্মবেশী ওই ইসরায়েলিকে হত্যা করেছে।

নিহত জিব কিপার ছিলে এলএলসি গ্রুপ নামক একটি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ওই কোম্পানি মিসর থেকে সবজি ও ফল রপ্তানি করে। মিসরের আলেক্সান্দ্রিয়ায় গ্রুপটির সদরদপ্তর অবস্থিত এবং ইসরাইল ও ইউক্রেনে এটির দপ্তর রয়েছে।

ইসরাইলি ওয়াইনেট নিউজ ওয়েবসাইট জানিয়েছে, জিব কিপার কানাডার পাসপোর্ট নিয়ে মিসরে প্রবেশ করেছিল। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ‘ভ্যানগার্ডস অব লিবারেশন’ নামের একটি সংগঠন এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। ‘ভ্যানগার্ডস অব লিবারেশন’ নিজেদের গত বছর জুন মাসে তিন ইসরাইলি সেনাকে হত্যা করে মৃত্যুবরণকারী মিসরীয় যুবক মোহাম্মাদ সালাহ’র অনুসারী বলে দাবি করে।

সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা একজন ‘অপরাধী ইসরায়েলি এজেন্টকে’ হত্যা করেছে। নিহত ইহুদিবাদী মিসর থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের পক্ষে লোক নিয়োগ করত বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। ভ্যানগার্ডস অব লিবারেশনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইহুদিবাদী শত্রুর বিরুদ্ধে মিসরীয় জনগণের সংগ্রামের পথে কিপারের হত্যাকাণ্ড একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

মিশরীয় পুলিশ বাহিনীর সদস্য ২৩ বছর বয়সি মোহাম্মাদ সালাহ গত বছরের জুন মাসে সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরায়েলে প্রবেশ করে ইহুদিবাদী সেনাদের বিরুদ্ধে এক বীরোচিত অভিযান চালান। তার হামলায় তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর দখলদার সেনাদের পাল্টা হামলায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।


মিসর   ইসরায়েল   গোয়েন্দা   গুলি   হত্যা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন