ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লিবিয়ায় যেভাবে বাংলাদেশিদের দাস হিসেবে বেচে দেওয়া হচ্ছে

প্রকাশ: ০৪:৩২ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail লিবিয়ায় যেভাবে বাংলাদেশিদের দাস হিসেবে বেচে দেওয়া হচ্ছে

ইতালির পালেরমো শহরের এক ভবনের সামনে উৎকণ্ঠা নিয়ে বসে ছিলেন এক তরুণ বাংলাদেশি অভিবাসী। লিবিয়া থেকে ইতালিতে এসেছিলেন ১৯ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি।

আলী (ছদ্মনাম) নামের তরুণটি লিবিয়ায় কাজ করতে এসে প্রতারিত হয়েছিলেন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে ইতালিতে যান। আফ্রিকান সাংবাদিক ইসমাইল আইনাশের কাছে নিজের হৃদয়বিদারক অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন আলী।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আলী সিদ্ধান্ত নেন, ভাগ্য ফেরাতে বিদেশ যাবেন। বিদেশে লোক পাঠায়, এমন এক দালালের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর উৎসাহিত হন তিনি। ইতালিরই সিসিলিতে থাকা আরও একজন বাংলাদেশি মাত্র ১৫ বছর বয়সে ২০১৬ সালে দালালের মাধ্যমে দেশ ছাড়ার কথা বর্ণনা করেছেন আফ্রিকান সাংবাদিক ইসমাইলের কাছে।

ওই বাংলাদেশি অভিবাসীর অভিভাবক তাকে বিদেশ পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার জন্য তা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে দালালকে বেশি টাকা দিয়ে ২১ বছর দেখিয়ে পাসপোর্ট ও অন্যান্য দরকারি কাগজপত্র বানানো হয়।

দালাল লোকটি আলীকে লিবিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিত। ঢাকার উপকণ্ঠে একটি প্রসাধনীর দোকানে কাজ করতেন তিনি। ঢাকার অদূরে পদ্মা নদীর তীরের একটি গ্রামে আলীর বাড়ি। দালালদের ফাঁদে পড়ে অবৈধভাবে লিবিয়ায় যাওয়া অনেক বাংলাদেশি অভিবাসী পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। গৃহযুদ্ধ কবলিত লিবিয়ার প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারেন। তাদের কথায়, লিবিয়ায় এখন অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সীমাহীন দুর্দশা, শোষণ ও দাসত্ব ছাড়া আর কিছু নেই।

লিবিয়ায় যাওয়ার আগে আলীর দেশটি সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না। ওই দালাল আলীর মা-বাবাকে জানায়, লিবিয়ায় তিনি মাসে ৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আলীর বাবা বাড়ির পালের তিনটি গরু থেকে একটি বিক্রি করে দালালকে টাকা দেন।

মুক্তিপণের জন্য আটক

বাংলাদেশ থেকে যাত্রা শুরুর এক সপ্তাহ পর লিবিয়ায় পৌঁছেন আলী। তিনি ঢাকা থেকে বাসে ভারতের কলকাতা এবং কলকাতা থেকে বিমানে করে মুম্বাই, দুবাই হয়ে মিসরের কায়রো যান। পরে এক পর্যায়ে লিবিয়ার বেনগাজি বিমানবন্দরে পৌঁছেন। নেমে রাস্তাঘাটে পুলিশবিহীন এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখার কথা বলেছেন তিনি।

বেনগাজি পৌঁছার পরপরই দালালদের স্থানীয় প্রতিনিধিরা নিয়ে যায় আলীকে। জেলখানার মতো একটি স্থানে তাকে আটকে রাখে। তারা আলীর সঙ্গে থাকা সব টাকা কেড়ে নেয়। এরপর তাকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে। আলীকে মুক্ত করতে তার মা-বাবা বাকি দুটি গরু বিক্রি করে দালালদের টাকা দেন।

আলীকে একটি ছোট কক্ষে আটকে রাখা হয়। সেখানে আরও ১৫ বাংলাদেশিকে রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে যারা মুক্তিপণ দিতে পারতেন না তাদের খাবারও দেওয়া হতো না। তাদের প্রায়ই মারধর করা হতো। আলী প্রচণ্ড মারের পর এক তরুণের শরীর থেকে রক্ত ঝরতে দেখেন। তাকে কেউ সাহায্য করেনি বা হাসপাতালে নেয়নি।

২০২০ সালের মে মাসে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলির কাছে মিজদা এলাকায় একটি গুদামকক্ষে ৩০ জন অভিবাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে ২৬ জনই ছিলেন বাংলাদেশি।

পারিশ্রমিক ছাড়া কাজ

মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পাওয়ার পর আলী বেনগাজিতে একটি পানি বোতলজাত করার কোম্পানিতে তিন মাস কাজ করেন। এরপর একটি টাইলস কারখানায় কাজ করেন।

লিবিয়ায় বর্তমানে ২০ হাজারের মতো বাংলাদেশি অভিবাসী দুর্ব্যবহার ও নির্যাতনের শিকার বলে মনে করা হয়। অনেকে কাজের কোনো পারিশ্রমিক পান না। অনেককে অসহনীয় পরিস্থিতিতে কাজ করতে এবং বসবাস করতে হতো। আলী তার মালিকের কাছে বাস করতেন। মালিক কক্ষ তালাবদ্ধ করে চাবি নিয়ে যেতেন। কারখানায় শ্রমিকদের সার্বক্ষণিকভাবে দুজন প্রহরী পাহারা দিত। পারিশ্রমিক না দেওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত খাবারও তাদের দেওয়া হতো না।

এক পর্যায়ে আলীসহ অন্য কয়েকজন অভিবাসী সেখান থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন। এক অভিবাসী পালাতে গিয়ে দোতলা থেকে পড়ে পা ভেঙে ফেলেন। এক পর্যায়ে এক লিবীয় নাগরিক দয়াপরবশ হয়ে আলীকে এক স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নিতে সাহায্য করেন। আলী দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

সমুদ্রে হাঙর

আলীর মা-বাবা আবার ঋণ করে অর্থ সংগ্রহ করেন। বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে পৌঁছতে আলীর সর্বমোট চার হাজার ডলার ব্যয় হয়। গত বছর জুলাইয়ে সমুদ্রে পাড়ি দেওয়া ছিল তার জন্য আরেক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। আলীসহ মোট ৭৯ জন অভিবাসী একটি কাঠের ডিঙিতে করে সমুদ্রযাত্রা করেন। টানা দুই দিন তারা সাগরে ভাসেন।

হঠাৎ দুটি হাঙরকে নৌকার দিকে ধেয়ে আসতে দেখেন তারা। ভেবেছিলেন জীবন সেদিনই শেষ। শেষ পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সিসিলির রাজধানী পালেরমোর বাইরে অভিবাসীদের এক ক্যাম্পে বাস করছেন আলী। লিবিয়ায় কোনো বাংলাদেশি বা অন্য কারো সঙ্গেই আলীর যোগাযোগ ছিল না। তাদের আটকে রাখা হতো। সব কিছু পাচারকারীরা নিয়ন্ত্রণ করত।

**বিবিসির প্রতিবেদন।

লিবিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে এলেন পুতিন

প্রকাশ: ০৮:৫৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ রাশিয়া কেএইচ-১০১ নামে একটি দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে আধুনিকায়ন করেছে। এতদিন এই ক্ষেপণাস্ত্রে একটি ওয়ারহেড থাকলেও এখন থেকে দুটি থাকবে। ফলে এই অস্ত্রের ধ্বংস ক্ষমতা আরও বেড়েছে। এখন থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুঘাঁটি ও সেনার ওপর ভয়ংকর ও কার্যকরভাবে আঘাত হানতে পারবে পুতিন বাহিনী। 

বুধবার (৮ মে) যুক্তরাজ্যের সর্বশেষ প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাতে এসব তত্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম নিউজউইক।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ান অ্যারোস্পেস ফোর্সেস ভিকেএস-এর লং রেঞ্জ এভিয়েশন কমান্ড (এলআরএ) তাদের প্রধান দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংস ক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রে একটির বদলে দুটি ওয়ারহেড যুক্ত করেছে তারা।

এর আগে কেএইচ-১০১ ক্ষেপণাস্ত্রকে রাশিয়ার প্রধান নির্ভুল গাইডেড যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছিল যুক্তরাজ্য। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৪ হাজার কিলোমিটার উড়ে গিয়ে শত্রুশিবিরে আঘাত হানতে পারে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুরো ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভের জ্বালানি অবকাঠামোতে বড় আকারের হামলা চালাতে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে পুতিন বাহিনী। এ ছাড়া কম উঁচু দিয়ে উড়ায় এসব ক্ষেপণাস্ত্র সহজে শত্রু দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারে বলে উল্লেখ করেছিল স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ সেন্টার।

পুতিনের নতুন অস্ত্রের সক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এই ক্ষেপণাস্ত্রের একটি দুর্বল দিকও উঠে এসেছে। যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা বিশ্লেষণে দাবি করা হয়েছে, আধুনিকায়ন করায় কেএইচ-১০১ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানার পরিসীমা অর্ধেকে নেমে গেছে। তবে দূরত্ব সীমা কমলেও ইউক্রেনে হামলা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই রুশ বাহিনীর। কেননা ইউক্রেন ও রাশিয়া প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় খুব সহজে কিয়েভের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে রাশিয়ার সেনারা।

এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য নিউজউইকের পক্ষ থেকে ইমেলের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে রুশ মন্ত্রণালয় কোনো জবাব দিয়েছে কিনা, তা জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি।


ক্ষেপণাস্ত্র   ভ্লাদিমির পুতিন   রাশিয়া   প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার রেমিট্যান্স প্রাপ্তিতে শীর্ষ দেশ ভারত

প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

২০২২ সালে ১১১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে ভারত। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১০০ বিলিয়ন ও ১১১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে ভারত। যার ফলে রেমিট্যান্সপ্রাপ্তির দিক থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেছে দেশটি। 

মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২৪ প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘের মাইগ্রেশন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)। এই প্রতিবেদন থেকেই এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে শীর্ষ রেমিট্যান্স আয়কারী দেশ ছিল ভারত।  শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য দেশগুলো হচ্ছে- যথাক্রমে মেক্সিকো, চীন, ফিলিপাইন ও ফ্রান্স। 

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ভারতের রেমিট্যান্স আয় বছর বছর বেড়েই চলছে। ২০১০ সালে ভারতের রেমিট্যান্স আয় ছিল ৫৩.৪৮ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫ সালে এই আয় দাঁড়ায় ৬৮.৯১ বিলিয়ন ডলারে।

২০২০ সালে আয় আরও বেড়ে হয় ৮৩.১৫ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২২ সালে দেশটির রেমিট্যান্স আয় ছিল ১১১.২২ বিলিয়ন ডলার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স গ্রহণে ২০২২ সালে বিশ্বে অষ্টম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। ২০২২ সালে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয় ছিল ২১.৫০ বিলিয়ন ডলার আর পাকিস্তানের ছিল ২৯.৮৭ বিলিয়ন ডলার। এতে আরও বলা হয়, ভারতের এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ১.৩ শতাংশ প্রবাসী।

এর ফলে দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাসী শ্রমিক সরবরাহকারী দেশ। দেশটির সবচেয়ে বেশি শ্রমিক রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবে। ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এ সময় ভারত সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আয় করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।

দেশটির মোট রেমিট্যান্সের ২৩.৪ শতাংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ১৮ শতাংশ আসে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।

তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ৬.৮ শতাংশ আসে যুক্তরাজ্য থেকে, চতুর্থ সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ৫.৭ শতাংশ আসে সিঙ্গাপুর থেকে এবং পঞ্চম সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ৫.১ শতাংশ আসে সৌদি আরব থেকে। 


রেমিট্যান্স   ভারত   আইওএম  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আরও তিন দেশে সৌদির ই-ভিসা পদ্ধতি চালু

প্রকাশ: ০৮:১৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত বছরের ডিসেম্বরে ই-ভিসা পদ্ধতি চালু করে সৌদি আরব। এরপর ধাপে ধাপে বিভিন্ন দেশকে ই-ভিসার অন্তর্ভুক্ত করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশিদের জন্য সৌদির এই ডিজিটাল ভিসা চালু হয় চলতি মাসের শুরুতে। এবার আরও ৩টি দেশকে ই-ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশ। 

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, ক্যারিবীয় অঞ্চলের তিন দেশ বার্বাডোজ, বাহামাস ও গ্রেনাডাকে ই-ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। 

এর আগে ৬৩ টি দেশকে ই-ভিসা সুবিধার আওতায় এনেছিল সৌদি আরব। ই-ভিসা সুবিধার আওতায় থাকা দেশগুলোর নাগরিকরা অনলাইনে সহজেই সৌদি আরবের ভিসার জন্য আবেদন করতে এবং সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দর বা সমুদ্রবন্দরের মতো প্রবেশপথগুলো থেকেই এই ভিসাসংক্রান্ত সব সুবিধা নিতে পারেন।

নতুন এই সুবিধা চালুর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর বাসিন্দাদের জন্য সৌদি আরবের পর্যটক ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, উপসাগরীয় জোট গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকরাও এই ই-ভিসা সেবা নিতে পারবেন। এই ভিসার আওতায় জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর বাসিন্দারা সৌদি আরবে পর্যটন, ওমরাহ, বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ বিভিন্ন সম্মেলনে অংশগ্রহণের সুবিধা পেয়ে আসছেন।

এর বাইরে, সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিবহন সংস্থা সৌদিয়া এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের যাত্রীদের জন্য ট্রানজিট ভিসাও চালু করেছে সৌদি আরব সরকার। এই ক্ষণকালীন ভিসার সাহায্যে এই সংস্থা দুটির যাত্রীরা চাইলে সৌদি আরবে ৯৬ ঘণ্টার যাত্রাবিরতি করতে পারবেন।


ই-ভিসা   সৌদি আরব   মধ্যপ্রাচ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বেলজিয়ামে শিশুদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার আরেক শিশু

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেলজিয়ামে ১৪ বছরের এক মেয়ে শিশুকে সংঘবদ্ধ করেছে কয়েকজন ছেলে শিশু। যাদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র ১১ বছর।

বেলজিয়াম সংবাদমাধ্যম ব্রাসেলস টাইমস জানিয়েছে, যৌন নির্যাতনে জড়িত ছিল মোট ১০ শিশু। যাদের সবার বয়স ১৬ থেকে ১১ বছরের মধ্যে। তারা মেয়েটিকে লোভ দেখিয়ে বনের মধ্যে নিয়ে যায়। এরপর তার ওপর ২ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত অন্তত তিনবার নির্যাতন চালায়।

এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নিরাপত্তার জন্য মেয়ে শিশুটির নাম প্রকাশ করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ইস্টারের ছুটি চলার সময় শিশুটির এক ছেলে বন্ধুর বন্ধুরা তাকে লোভ দেখিয়ে বনের ভেতর নিয়ে যায়। ওই সময় তার একাধিক বন্ধু তাকে নির্যাতন করে। মেয়েটির ছেলে বন্ধুটি এতে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে একাধিক সংবাদমাধ্যম।

কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, মেয়ে শিশুটিকে দুইদিন সেখানে আটকে রাখা হয়। নির্যাতনকারী শিশুরা নিজেদের স্মার্টফোনে নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র ধারণ করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেগুলো প্রকাশ করে।

বেলজিয়ামের অপর সংবাদমাধ্যম নিউজব্লাড জানিয়েছে, ছেলে শিশুদের দলটির সবাই কম বা বেশি এই নির্যাতনে অংশ নিয়েছে। এমনকি তাদের মধ্যে কেউই এই নির্যাতন থামানোর কথা বলেনি।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে অভিযুক্ত শিশুরা অভিবাসীদের সন্তান। তাদের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে শিশু কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপর চারজনকে গৃহবন্দি করা হয়েছে।  

ওয়েস্ট ফ্লেমিসের পাবলিক প্রসিকিউটর বলেছেন, সবচেয়ে কম বয়সী অভিযুক্তের বয়স ১১ বছর। যেহেতু অভিযুক্তরা খুবই কম বয়সী। তাই আমরা খুব বেশি তথ্য প্রকাশ করছি না। তবে তাদের সবার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এখন তদন্ত করা হবে অভিযুক্ত শিশুরা কতটা নির্যাতন চালিয়েছে। এছাড়া আশপাশের কেউ এতে অংশ নিয়েছিল কিনা সে বিষয়টিও দেখা হবে।


বেলজিয়াম   শিশু   সংঘবদ্ধ ধর্ষণ   শিকার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চিকিৎসার অভাবে গাজাবাসীর যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু

প্রকাশ: ০৭:৪৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চিকিৎসার অভাবে সাধারণ মানুষের ধীর ও যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হচ্ছে বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

দখলদার ইসরায়েলের সেনারা সীমান্তগুলি বন্ধ করে দেওয়ায় আহতরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে পারছেন না। পর্যাপ্ত সরঞ্জাম না থাকায় গাজার ভেতরও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না তারা।

এ ব্যাপারে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, 'আহত এবং অসুস্থরা ধীরে ধীরে মৃত্যুবরণ করছেন। কারণ এখানে চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই এবং তাদের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করার সুযোগও নেই। গাজার একমাত্র ডায়ালাইসিস কেন্দ্রটিও বন্ধ হয়ে গেছে।'

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, 'ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ এবং আহত ও অসুস্থদের বাঁচানোর জন্য, সীমান্ত খুলে দেওয়ার জন্য এবং হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদি পৌঁছতে দেওয়ার জন্য আমরা একটি দ্রুত ও মানবিক আবেদন জানাচ্ছি।'

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ বাধে। সাত মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১ লাখ মানুষ।


চিকিৎসা   গাজা   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন