ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের রাজনীতির শিষ্টাচার কি প্রায় শেষ

প্রকাশ: ১০:৪০ এএম, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail ভারতের রাজনীতিতে শিষ্টাচার প্রায় শেষ

ঘটনাটা ১৯৯৯ সালের। সেই সময়ের দাপুটে বিজেপি নেতা এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রমোদ মহাজন বলে বসলেন, সোনিয়া গান্ধী যদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, তাহলে মনিকা লিউইনস্কিই বা পারবেন না কেন? মোনিকা লিওনেস্কি মানে আমেরিকার  প্রেসিডেন্ট থাকার সময় বিল ক্লিনটন যার সঙ্গে  যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছিলেন। প্রমোদ যখন এই কথা বলছেন, তার এক বছর আগে সোনিয়া ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভানেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। ওই বছরই তিনি আমেঠি ও বল্লারি থেকে লোকসভা নির্বাচনে জিতবেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর স্ত্রী এবং কংগ্রেস সভানেত্রীর বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য করে বিতর্কের ঝড় তুলে দিয়েছিলেন প্রমোদ মহাজন। একজন শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় নেত্রীর সঙ্গে ক্লিনটনের সঙ্গে কেলেঙ্কারিতে জড়ানো মনিকা লিউইনস্কির তুলনা করে শিষ্টাচারের সীমারেখা পার করেছিলেন প্রমোদ।

সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। প্রমোদ ছিলেন তার খুবই ঘনিষ্ট নেতা। কিন্তু বাজপেয়ী প্রকাশ্যে জানিয়ে দেন, ব্যক্তিগত আক্রমণ করা উচিত নয়। তারপর তিনি প্রমোদকে ক্ষমা চাইতে বলেন। নেতার নির্দেশ মেনে ক্ষমা চান প্রমোদ। অটলবিহারী বাজপেয়ীর বিশেষত্ব ছিল, তিনি সচরাচর কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেন না। শুধু বাজপেয়ী কেন, সিপিআইয়ের ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত, সিপিএমের জ্যোতির্ময় বসু, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়রাও ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়, ইস্যু নিয়ে আক্রমণে ফালাফালা করে দিতেন বিপক্ষকে। তারও আগে গেলে জওহরলাল নেহরু, বল্লভভাই প্যাটেলরা নিষ্ঠাভরে এই কাজ করে গেছেন। নেহরু তো একবার বেনামে কাগজে একটা প্রবন্ধই লিখে বসলেন। তাতে বললেন, নেহরুর হাতে এতটাই ক্ষমতা এবং বিরোধীরা এতটাই কমজোর যে, তার স্বৈরাচারী হওয়ার ষোলো আনা সম্ভাবনা আছে। নেহরুর পুতি রাহুল গান্ধী এই উদাহরণটা তুলে দিয়ে বলেছিলেন, নেহরু এই কাজটা করেছিলেন নিজের মধ্যে ওই প্রবণতা যাতে না আসে, তার জন্য।

তবে নেহরুর সময় তো কবেই চলে গেছে। তার মেয়ে ইন্দিরার সময়ই দেখা গেল এই শিষ্টাচার লঙ্ঘনের ভুরি ভুরি উদাহরণ।  ইন্দিরা কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট করেছিলেন আসামের ধারভারহীন নেতা দেবকান্ত বড়ুয়াকে। তিনি বলে বসলেন, ‘‘ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া অ্যান্ড ইন্ডিয়া ইজ ইন্দিরা’’। স্তাবকতা যে শিষ্টাচারের মাত্রা কীভাবে ছাড়িয়ে যায়, তার উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন দেবকান্ত। একজন ব্যক্তি, তিনি যতই ক্ষমতাশালী হোন না কেন, তিনি যে দেশের সমান হতে পারেন না, দেশ মানে যে কোনো ব্যক্তি নয়, তা দেবকান্ত জানতেন না এমন নয়, কিন্তু নেত্রীকে তুষ্ট করতে গিয়ে সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আবার জরুরি অবস্থার পর ইন্দিরা গান্ধী বিরোধীদের কাছে হয়ে গেলেন 'ডাইনি'। কোনো সন্দেহ নেই, জরুরি অবস্থা জারি করে ইন্দিরা গান্ধী চরম গণতন্ত্রবিরোধী কাজ করেছিলেন। সেই অমার্জনীয় কাজের জন্য দেশের মানুষই তাকে শাস্তি দিয়েছিল নির্বাচনে গো-হারান হারিয়ে। কিন্তু তখন বিরোধীরা যে বাছা বাছা বিশেষণ ইন্দিরার প্রতি নিক্ষেপ করেছিলেন, তা অনেক সময়ই শিষ্টাচারসম্মত ছিল না।

তারপর যত সময় গেছে, ততই রাজনীতিতে ব্যক্তিগত আক্রমণ প্রবল হয়েছে, তা অনেক সময়ই শিষ্টাচারের সীমা পার করেছে। ২০১৭ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে বলেছিলেন, মনমোহন সিং ৩৫ বছর ধরে ভারতের আর্থিক সিদ্ধান্ত নেয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এই সময়ে এত কেলেঙ্কারি হয়েছে। কিন্তু তার গায়ে কোনো দাগ লাগেনি। একমাত্র তিনিই জানেন, বাথরুমে রেনকোট পরে কীভাবে স্নান করতে হয়। এটা হলো ব্যজস্তুতি, যেখানে বক্রোক্তি ও শ্লেষের ভাব জড়িয়ে থাকে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বর্তমন প্রধানমন্ত্রীর এই উক্তি কতটা শোভনীয় তা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছিল।

রাহুল গান্ধী যখন কংগ্রেস সভাপতি তখন তাকে বিজেপি 'পাপ্পু' বলে ডাকতে শুরু করে। এটাও শিষ্টাচার বহির্ভূত একটি সম্বোধন। প্রধান বিপক্ষ দলের নেতার প্রতি ন্যূনতম সম্মান দেখানো উচিত। রাহুল রাজনীতিতে আসার পর একাধিক অপরিণত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বা ব্যবহার করেছেন। সেই বিষয়ে সমালোচনা করা এক আর তাকে সরাসরি পাপ্পু বলে সম্বোধন করা আরেক কথা।

আসলে রাজনীতিকদেরও সংযমের শিক্ষা থাকা উচিত। কিন্তু তারা তা দেখান কোথায়? সংসদের এক তৃতীয়াংশ আসন যখন নারীদের জন্য সংরক্ষণের জন্য বিল এনেছে ইউপিএ সরকার, তখন শরদ যাদবের মতো প্রবীণ নেতা বলেছিলেন, এর ফলে 'বালকাটি' নারীরা সুবিধা পাবেন। মানে যে সব নারীরা চুল ছোট করে কাটেন, অর্থাৎ উচ্চবিত্ত ফ্যাশনদুরস্ত নারীরা সুবিধা পাবেন। পরে এ জন্যও ক্ষমা চাইতে হয়েছিল শরদ যাদবকে। প্রণব মুখোপাধ্যায়-পুত্র অভিজিত তো একবার এক শ্রেণির নারীকে 'ডেন্টেন্ট পেন্টেড' বলে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন।

পশ্চিমবঙ্গেও এ রকম উদাহরণের অভাব নেই। বিধান রায়ের আমলে মন্ত্রী নলিনী সরকার মারা গেছেন। বিধানসভায় স্পিকার শোকপ্রকাশের জন্য সকলকে দাঁড়াতে বললেন। বিধানসভায় তখন সম্ভবত ২৬ জন বাম বিধায়ক ছিলেন। তাদের নেতা জ্যোতি বসু। তিনি জানিয়ে দিলেন, তারা দাঁড়াবেন না। কারণ, রাজনৈতিক মতবিরোধ আছে, আদর্শগত তফাৎ আছে। পরে সম্ভবত বুঝেছিলেন, এই আচরণ ভুল হয়েছে। তাই আর তার পুনরাবৃত্তি করেননি তারা।  বিধান রায়ের আমলে কংগ্রেসের দাপুটে নেতা ছিলেন অতুল্য ঘোষ। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় জেলে বন্দি অতুল্য ঘোষ পুলিশের অত্যাচারে এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারান। তাকে বিরোধীরা ডাকতেন কানা অতুল্য বলে। এটা কোন ধরনের শিষ্টাচার?

বাম নেতাদের মধ্যে বিনয় কোঙার সব সীমা পার করে দিয়েছিলেন। তিনি মেধা পাটকরের বিরুদ্ধে দলের নারী সমিতির সদস্যদের বলেছিলেন পশ্চাতদেশ প্রদর্শন করতে। আরেক বাম নেতা অনিল বসুও কম যান না। তিনি বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চুলের মুঠি ধরে সিঙ্গুর থেকে সরিয়ে দেয়া উচিত ছিল।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক গুরু সদ্যপ্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায় তাকে ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’ বলেছিলেন। এই শিষ্টাচারহীন উক্তি সেসময় ভাইরাল হয়েছিল। কিছুদিন আগে ভোটের প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে আসার কথা বলেছেন। অমিত শাহকে বলেছেন হোঁদলকুতকুত। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্পর্কে এই ধরনের উক্তিও অনায়াসে শিষ্টাচারের সীমা পেরিয়ে যায়। 

যত দিন যাচ্ছে, ততই শিষ্টাচারের সীমা লঙ্ঘনের ঘটনা নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এখন নিউজ টেলিভিশনে সব চেয়ে প্রিয় প্রশ্ন হলো, ওই নেতা এই কথা বলেছেন, আপনি কী বলবেন? সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় রাজনীতিকদের বক্তব্য। তাতে আর লাগাম থাকে না। বিপক্ষকে যতটা কঠোরভাবে, যতটা রঙ্গব্যাঙ্গের চাবুক মেরে ধুইয়ে দেয়া যায়, ততই নাকি আমজনতা খুশি, দলের নেতৃত্ব খুশি। এত সহজে যদি সকলকে খুশি করা যায়, তাহলে সেই পথ কেনই বা নেবেন না রাজনীতিকরা! শিষ্টাচারকে এর জন্য বলি দিতে হলে দেয়া যাবে। আর সেই কবে থেকেই তো শেখানো হয়, যুদ্ধে জেতার জন্য কোনো নীতি থাকে না। রাজনীতিও তো যুদ্ধ। তাহলে সেখানেও নীতির বালাই কেন থাকবে? এই মনোভাবই রাজনীতিকে সমানে নীচে নামিয়ে দিচ্ছে। সেখান থেকে চলে যাচ্ছে শিষ্টাচার, নৈতিক মূল্যবোধ এবং মানুষের আস্থাও। রাজনীতিতে শিষ্টাচারের অবস্থা এখন বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির প্রাণীর মতো। এখনই সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করলে তাকে আর বাঁচানো যাবে না। সূত্র: ডয়েচে ভেলে 

ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১১:২২ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে মালদহে বিভিন্ন এলাকায় এসব ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদহে বজ্রসহ বৃষ্টি নামে। পুরাতন মালদহের সাহাপুরে একসঙ্গে তিনজনের মৃত্যু হয়। আম বাগানে আম কুড়ানো পাহাড়ার কাজ করার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ওই তিনজনের।

অন্যদিকে গাজোলের আদিনাতে আম বাগানে বজ্রপাতে মারা যান একাদশ শ্রেণির ছাত্র অসিত সাহা (১৯) ঝড়ের সময় আম বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে তিনি মারা যান।

ছাড়া হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের কুরশাডাঙা গ্রামে  কৃষিকাজ করতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তারা হলেন, নয়ন রায় (২৩) প্রিয়াঙ্কা রায় (২০)

মালদহজুড়ে পুরাতন মালদহে তিনজন, হরিশ্চন্দ্রপুরে দুই জন, মানিকচকে দুজন এবং রতুয়া, গাজোল ইংরেজবাজারে অন্তত একজন করে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।

ছাড়া বজ্রপাতে এক গৃহবধূসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন। আহতদের মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের খারকিভে চলছে কঠিন লড়াই

প্রকাশ: ১০:১৫ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের খারকিভ শহর ঘিরেকঠিন লড়াইচলছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতিঅত্যন্ত কঠিন’, তবেনিয়ন্ত্রণেরয়েছে। বৃহস্পতিবার  (১৬ মে) খারকিভের শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের পর জেলেনস্কি এসব কথা বলেন।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ সীমান্তে আকস্মিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ইতিমধ্যে তারা বেশ কিছু এলাকা দখল করে নিয়েছে, যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে।

বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের সেনারা রুশ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতিসাধন করছে। তবে এলাকাটিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে আমাদের আরও সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার শুরুতে খারকিভ শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে গিয়েছিল রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে তারা আবার সীমান্তে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

সম্প্রতি রুশ বাহিনীর সাফল্যের বেশির ভাগই এসেছে খারকিভ অঞ্চলে। অবশ্য পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক দক্ষিণাঞ্চলের জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকাও দখল করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।


ইউক্রেন   খারকিভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নাইজেরিয়ায় মসজিদে আগুন, নিহত ১১ জন

প্রকাশ: ০৯:৩৩ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় মসজিদে আগুনে পুড়ে ১১ মুসল্লি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। দেশটির কানো প্রদেশের একটি মসজিদে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর  এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসি বলছে, উত্তরাধিকার তথা সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে হামলার সূত্রপাত হয়। পুলিশ বলছে, তারা এই ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কানো প্রদেশের গেজাওয়া এলাকায় বুধবার মুসল্লিরা ফজরের নামাজে অংশ নেওয়ার সময় ঘটনা ঘটে।

বাসিন্দারা বলেছেন, হামলার পর মসজিদে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মুসল্লিদের কান্নার আওয়াজ শোনা যায় এবং তারা ভেতর থেকেই তালাবদ্ধ দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। অবশ্য বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর প্রতিবেশীরা ভেতরে আটকে পড়াদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে কানো শহরে বোমা বিশেষজ্ঞসহ উদ্ধারকারী দলগুলোকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদে হামলায় বোমা ব্যবহার করা হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, শিশুসহ আরও অনেকে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে পুরো গ্রামে এখন শোকের মাতম চলছে বলেও জানিয়েছে বিবিসি।


নাইজেরিয়া   মসজিদ   আগুন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালাল হিজবুল্লাহ

প্রকাশ: ০৮:৫৮ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় লেবানন সীমান্ত থেকে ৩৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে উত্তর ইসরায়েলের লোয়ার গ্যালিলি অঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়।

এর জবাবে উত্তর-পূর্ব লেবাননে হিজবুল্লাহর অস্ত্র উৎপাদন কারখানায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পাল্টাপাল্টি হামলার তথ্য বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ)

ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে বিস্ফোরক বহনকারী দুটি ড্রোন ছোড়ে হিজবুল্লাহ। এর মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই একটি ধ্বংস করে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। অপর ড্রোনটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে।

গত বছরের অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে দেশটির উত্তরাঞ্চলে কয়েক হাজার ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এসব হামলার অধিকাংশই ছিল সীমান্তবর্তী এলাকায়।

গাজা সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের নিয়মিত সংরক্ষিত সেনা (রিজার্ভিস্ট) নিহত হয়েছেন ১৪ জন। একই সময়ে সিরিয়া থেকেও ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে। তবে তাতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

অপরদিকে গত সাত মাসে ইসরায়েলের হামলায় নিজেদের ২৯৮ জন সদস্য নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। তাদের অধিকাংশ নিহত হয়েছেন লেবাননে। সিরিয়ায়ও কিছু সদস্যের প্রাণ গেছে। একই সময়ে ইসরায়েলের হামলায় লেবাননের অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ৬০ সদস্য নিহত হয়েছেন। 


ইসরায়েল   বিমানঘাঁটি   ড্রোন   হিজবুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৩৯ জন নিহত

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহত হল প্রায় ৩৫ হাজার ৩০০ জন ফিলিস্তিনি।

এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫ হাজার ২৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া এই হামলায় অন্তত ৭৯ হাজার ২০৫ জন আহত হয়েছেন বলেও মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েল চারটিগণহত্যাচালিয়েছে এবং এতে অন্তত ৩৯ জন নিহত আরও ৬৪ জন আহত হয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না বলেও জানানো হয়।


গাজা   ইসরায়েলি   নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন