নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৬ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
করোনাভাইরাসের কারণে সারা দেশে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ আছে। শিক্ষকরা অধিকাংশই ইদানীং অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে ZOOMএর মাধ্যমে। তাই সারা দেশ জুড়েই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার বহুলাংশেই বেড়ে গেছে;, বিশেষ করে দিনের প্রথমাংশে। শহরে যারা থাকেন তাদের একটা বড় অংশ ওয়াইফাই সংযোগ ব্যবহার করে থাকেন। আর গ্রাম বা মফঃস্বল শহরে যারা আছেন সে সব শিক্ষার্থীরা মোবাইল ডাটা কিনে অনলাইন ক্লাসে যোগ দিচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হল ডাটা ব্যাবহারকারীরা তাদের মোবাইল ডাটায় কাঙ্ক্ষিত ইন্টারনেটের স্পীড পাচ্ছে না। ফলে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা দান এবং শিক্ষা গ্রহন দুটোই।
আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলে মোবাইল অপারেটরদের যে অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সুবিধা আছে তার অধিকাংশই টু-জি সাপোর্ট করে মাত্র, কোথাও কোথাও থ্রি-জি ফ্যাসিলিটি আছে। অধিকাংশ গ্রাম ও মফঃস্বল শহরে এমনকি নগরীর সব এলাকায় ফোর-জি সাপোর্ট করার মত অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সুবিধা মোবাইল অপারেটরগন ঠিকমত তৈরি করতে পারেন নি। কিন্তু মোবাইল অপারেটরগন অনৈতিকভাবে ফোর-জি’র জন্য টাকা নিচ্ছেন গ্রাহকদের কাছে, হিসাব ছাড়া। ফলে অনলাইনে ক্লাস করা ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের শিক্ষকদের লেকচার ফলো করতে পারছে না। শুধু মাত্র মোবাইল ডাটার এমন কারচুপির কারণে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের কাছে লেখা পড়ার এমন ডিজিটাল পদ্ধতি টি অর্থহীন হয়ে পড়ছে। কিন্তু মোবাইলের ডাটা কেনার খরচ, শিক্ষালয়ের বেতন, ইত্যাদি কিন্তু ঠিকই দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
মোবাইল টেলিফোন অপারেটরগন যখন দেশে টেলিযোগাযোগ সেবা দিতে শুরু করেন তখন তারা এনালগ প্রযুক্তি বা ওয়ান-জি (জেনারেশন) ব্যবহার করতেন, এর পরে এলো ডিজিটাল টু-জি, থেকে থ্রি-জি আর ফোর-জি। সাধারণ একজন মানুষের কাছে থ্রি-জি ও ফোর-জি মোবাইল প্রযুক্তি রহস্যময় দুটি শব্দ। তারা জানেন না যে, এর প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিশেষ করে থ্রি-জি আর ফোর-জি’র কী কী সুবিধা গ্রাহক পেতে পারেন।
তবে একটা সত্য হচ্ছে, টেলিফোনের নতুন প্রজন্মের গতি অবশ্যই তার আগের প্রজন্মের গতি অপেক্ষা দ্রুত গতির হতে হবে। কোন মোবাইল অপারেটর যদি ওয়াইম্যাক্স ফোর-জি চালু করে তাহলে তা অবশ্যই তাদের সিডিএমএ থ্রি-জির চাইতে বেশি গতি সম্পন্ন হবে। কিন্তু, গ্রামীণ ফোনের থ্রি-জি এইচএসপিএ সংযোগ বাংলালিংক বা রবির ফোর-জি এলটিই এর চাইতে দ্রুত গতির হতে পারে। অর্থাৎ আপনার মোবাইল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি যদি তার তরঙ্গ পরিবর্তন করে তাহলে সে আগের চেয়ে গতিশীল হবে। তবে এটা পুরোটাই নির্ভর করবে, সেই অপারেটর কিভাবে তার নেটওয়ার্ক বসাচ্ছে, টাওয়ারগুলোতে বেস-ষ্টেশন আপগ্রেড করছে এবং কতটুকু সেবা তারা আসলেই দিতে চায়। এর সাথে তাদের বিনিয়োগের খরচের বিষয়টিও জড়িত। তবে ৩ জি, ৪ জি তে ভিডিও কল বা ডাটা আদান প্রদানে কোন সমস্যা হবার কথা না। তবে থ্রি-জির সাথে ফোর-জি’র পার্থক্য হলো মাত্র কয়েকটা ফিচারে র। তবে থ্রি-জি না এসে যদি টু-জি নেটওয়ার্ক হয় তা হলে ভিডিও কল বা ডাটা ট্রান্সফার হবে না।
সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস করায় অনুপ্রাণিত করছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যারা ZOOMএর ব্যবহার করবেন তারা সবাই স্পীডের জন্য মোবাইল অপারেটরদের লাইসেন্স বিহীন ZOOMএর ব্যবহার করার অভিযোগ আনবে। বলবে মোবাইলে অনেক ডাটা স্টোর করা আছে তাঁর জন্যেও স্লো হচ্ছে, ইত্যাদি, ইত্যাদি। এর প্রতিকার কী নেই? আছে সবাই যদি তাদের ক্লাস শুরুর পরে স্পীড সমস্যায় পড়েন তাহলে OOKLA বা এধরণের ফ্রি সফটওয়্যার দিয়ে স্পীড টেস্ট করে তার স্ক্রিন সর্ট নিয়ে বিটিআরসি’র পরিচালক বরাবর পাঠিয়ে দিলে কারা ফাঁকি দিচ্ছেন তা ধরা পড়ে যাবে। শিক্ষার্থীরা সে ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও লাভবান হবে, জনগণ তথা সরকারের অর্থ সাশ্রয় হবে পরোক্ষভাবে।
গত কয়েকদিনের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যে, সকালে যখন সব স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় একসাথে ক্লাস শুরু করে তখন মোবাইলে ইন্টারনেট স্পীড থাকে খুব কম। আবার ZOOMএর মাধ্যমে এটা করা হয় বলে সেখানেও এমন চাপ পড়ে যা, তা তারা সামাল দিতে পারে না। আমাদের দেশে অধিকাংশ ZOOM ব্যবহারকারী লাইসেন্স ছাড়া এটা ব্যবহার করেন। তাই ZOOM কর্তৃপক্ষ ভিডিও কলে বা ডাটা আদানপ্রদানে লাইসেন্স-ওয়ালা ZOOM ব্যবহারকারীদের প্রাধান্য দেন। ফলে লাইসেন্স ছাড়া যারা ZOOM ব্যবহার করেন, তারা পড়েন সমস্যায়। আর এই সমস্যায় বলির পাঠা হয়ে দাঁড়ায় অন লাইনে ক্লাস করা ছাত্র ছাত্রীরা। আসলে শিক্ষার্থীরা মোবাইলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার আর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জালিয়াতির শিকার! এটা কে দেখবেন, শুধুই বিটিআরসি নাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারেরাও এর জন্য দায়ী!
সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে বুঝা গেলো যে, করোনা আঘাত বর্তমান প্রজন্মের জন্য একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ যা থেকে নিজেদেরকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার একটি মহান শিক্ষা আমরা গ্রহন করতে পারি। শিক্ষার ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ যে কোন বাধাই নয়, বরং তা আমাদেরকে শিক্ষা ধারায় একটি নব দিগন্ত উন্মোচিত করেছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তারুন্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ পরিণত হবে উন্নত বাংলাদেশে।সে লক্ষ্যে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে কাজ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, কাঠামোগত উন্নয়নের একটি মানবিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। ১৪ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ কে দেখলে বুঝা যায় দেশে কি উন্নয়ন হয়েছে।এটি কোনো যাদু নয়, এটা হয়েছে শেখ হাসিনার যাদুকরি নেতৃত্বের কারণে।
মন্ত্রী আজ শুক্রবার রাতে কক্সবাজারের ইনানীর হোটেল রয়েল টিউলিপে জেসিআই টয়োপ এওয়ার্ড ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
২য় বারের মতো জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, । অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেসিআই বাংলাদেশের এর ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট নিয়াজ মোরশেদ এলিট। অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কানাডা আওয়ামীলীগের সভাপতি সরওয়ার হাসান,কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ সিআইপিসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এওয়ার্ড তুলে দেন। অনুষ্ঠানে ৮ টি ক্যাটাগরিতে ১০ জন তরুন তরুনীকে বিশেষ অর্জনের জন্যে এওয়ার্ড দেয়া হয়।
মন্তব্য করুন
বর্তমানে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি কারনে শিশুশ্রম অনেকটাই নিন্মমখি।কিন্তু করোনা কালিন পরিস্থিতি শেষ হওয়ার পর। এই শিশুশ্রম আরো বেড়ে যাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে শ্রমে থাকা শিশুদের হয়ত আরও বেশি কর্মঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছে বা তাদের আরও খারাপ পরিবেশে কাজ করতে হতে পারে। তাদের মধ্যে আরও বেশি সংখ্যক শিশুকে হয়ত ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিযুক্ত হতে বাধ্য হবে, যা তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মারাত্মক হুমকির কারণ হচ্ছে । মহামারী পারিবারিক আয়ে বিপর্যয় নিয়ে আসায় কোনো সহায়তা না পেয়ে অনেকেই শিশু শ্রমে নিয়োজিত হতে বাধ্য হবে। সংকটের সময়ে সামাজিক সুরক্ষা অপরিহার্য, যেহেতু তা সবচেয়ে বিপর্যস্ত জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেয়। শিশু শ্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রশমনে শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায়বিচার, শ্রমবাজার এবং আন্তর্জাতিক মানবিক ও শ্রম অধিকার বিষয়ে সমন্বিতভাবে বৃহত্তর পরিসরে নীতিমালা প্রণয়ন বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
কোভিড-১৯ এর ফলে দারিদ্র্য বেড়ে গিয়ে শিশু শ্রম বাড়াবে। কারণ বেঁচে থাকার জন্য পরিবারগুলো সম্ভাব্য সকল্ভাবে চেষ্টা করবে। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে,নির্দিষ্ট কিছু দেশে দারিদ্র্য ১ শতাংশীয় পয়েন্ট বৃদ্ধিতে শিশু শ্রম অন্তত দশমিক ৭ শতাংশ বাড়বে।
সংকটের সময় অনেক পরিবারই টিকে থাকার কৌশল হিসেবে শিশু শ্রমকে বেছে নেয়।
“দারিদ্র্য বৃদ্ধি, স্কুল বন্ধ ও সামাজিক সেবা প্রাপ্তি কমতে থাকায় অধিক সংখ্যায় শিশুদের কর্মক্ষেত্রে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। কোভিড পরবর্তী বিশ্বকে আমরা নতুনভাবে দেখতে চাই বলে আমাদের নিশ্চিত করা দরকার যে, শিশু ও তাদের পরিবারগুলো ভবিষ্যতে একই ধরনের ধাক্কা সামলে নিতে বিকল্প পথ খুঁজে পায়। মানসম্পন্ন শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা সেবাসহ আরও ভালো অর্থনৈতিক সুযোগ ইতিবাচক এই পরিবর্তনের নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে।
অর্থনৈতিক মন্দায় অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনৈতিক খাতে কর্মরত ও অভিবাসী শ্রমিকদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাতে অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মী ও বেকারত্ব বৃদ্ধি, জীবনমানের পতন, স্বাস্থ্যগত সমস্যা এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার ঘাটতিসহ অন্যান্য চাপ সৃষ্টি হবে। বর্তমান সংকটের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ শিশু শ্রম হ্রাসে দারুন কাজ করে আসছিল।
চলমান মহামারীর কারণে এই অর্জন যেন নস্যাৎ না হয় তা নিশ্চিত করতে অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন আমাদের আরও বেশি সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সময়োচিত এই প্রতিবেদনটি কোভিড-১৯ এর ভয়াবহ প্রভাবের ওপর আলো ফেলেছে এবং সরকার, নিয়োগকর্তা, শ্রমিক সংগঠনসমূহ এবং অন্যান্য অংশীদারদের সামনে বর্তমান সংকট মোকাবেলার সর্বোত্তম পথ খুঁজে পেতে তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরেছে। বাংলাদেশে সবচেয়ে অসহায় শিশুদের জীবন, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ভবিষ্যতের ওপর কোভিড-১৯ মহামারী বিশেষ নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। স্কুল বন্ধ ও পরিবারের আয় কমে যাওয়ায় অনেক শিশুর জন্য শ্রমে যুক্ত হওয়া এবং বাণিজ্যিকভাবে যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। “গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুরা যত বেশি সময় স্কুলের বাইরে থাকে তাদের আবার স্কুলে ফেরার সম্ভাবনা ততটাই কমে যায়। আমাদের এখন শিশুদের শিক্ষা ও সুরক্ষার ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত এবং মহামারীর পুরো সময়জুড়েই তা অব্যাহত রাখা উচিত,
মহামারীর এই সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় শিশু শ্রম বৃদ্ধি পাওয়ার প্রমাণ ধারাবাহিকভাবে আসছে। বিশ্বের ১৩০টির বেশি দেশে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে ১০০ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমনকি যখন পুনরায় ক্লাস শুরু হবে তখন অনেক বাবা-মায়ের হয়ত তাদের সন্তানকে স্কুলে দেওয়ার সক্ষমতা থাকবে না।
ফলশ্রুতিতে আরও অনেক শিশু বঞ্চনামূলক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যোগ দিতে বাধ্য হবে। লিঙ্গ বৈষম্য আরও তীব্র হতে পারে। বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের কৃষি ও গৃহকর্মে বঞ্চনার শিকার হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কোভিড-১৯ ও শিশু শ্রম: সংকটের সময়, পদক্ষেপের সময়’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০০ সাল থেকে এপর্যন্ত শিশু শ্রম ৯ কোটি ৪০ লাখ কমেছে, কিন্তু এই অর্জন এখন ঝুঁকির মুখে।
ইভান খান হোসাইন
বয়সঃ ১৬
কলেজঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কাইসার নিলুফার কলেজ
মন্তব্য করুন