ইয়ুথ থট

আমরাই ধ্বংস করছি আমাদের পৃথিবী !

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:১৯ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

পার্বত্য চট্টগ্রামের সিতাকুন্ড ও মিরসড়াই এলাকায় নাম না জানা  অসংখ্য মনোমুগ্ধকর পাহাড়ি ঝর্ণা আছে। যেমন:রুপসী ঝর্ণা, সহস্রধারা ঝর্না, খৈয়াছরা ঝর্না, নাপিত্যাছড়া ঝর্না, বোয়ালিয়া ঝর্না, বাড়বাকুন্ড ঝর্না। অপরূপ সুন্দর এই ঝর্ণাগুলো। অনেক পর্যটক বিভিন্ন ভাবে সুন্ধান পেয়ে চলে আসেন দুর্গম পাহাড়ি এই ঝর্ণাগুলোতে। একটুখানি প্রশান্তির জন্য।
এই এলাকাগুলোতে মূলত নৃগোষ্ঠীই মানুষদের বসতি। এ মানুষ গুলো মূলত পাহাড়ের উপর নির্ভর করেই জীবনযাপন করে থাকেন।পাহাড়ি গাছপালা আর ঝর্ণার পানি দিয়েই তারা তাদের সকল চাহিদা মিটিয়ে থাকেন।

সারাদেশ যখন করোনা নামক মহামারিতে প্রায় ৬ মাস অঘোষিত লকডাউনে বন্দি তখন,কিছু মানুষ একটু বের হওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠলো।  প্রকৃতির টানে ভ্রমনে বের হতে ব্যাকুল হয়ে উঠলো তাদের প্রকৃতি প্রেমি হৃদয়। কিন্তু বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র গুলো তখনও সচল হইনি। কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাহাড়ি  ঝর্ণার সন্ধান পেয়ে অনেক পর্যটক সেই ঝর্না গুলোতে ভিড় করেন। স্থানীয় এক গাইড  নাম মনির হোসেন (২০) জানান যে,যেখানে বছরে ৫০০-১০০০ পর্যটক আসে না। সেখানে একদিনে ৭০০ বেশি মানুষ আসছে।তিনি আরো জানান যে,পর্যটকরা আসছেন ঠিকই কিন্তু,  কেউ  স্বাস্থ্য বিধি  মানছেন না। মাক্স পরা বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না। সবাই যার যার মতো আনন্দ হৈ-হুল্লোড় করছে, ঝর্ণাতে গোসল করছে প্রত্যেক পর্যটক গ্রুপ  যার যার মতো উপভোগ করছে প্রকৃতির এই নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে !

কিন্তু কয়েকটা দল  চিপসের প্যাকেট থেকে শুরু করে বিরিয়ানির প্যাকেট এবং কোমল পানীয়র বোতলটা  অব্দি পানিতে কিংবা ঝর্ণার দ্বারে  যেখানে সেখানে ছুঁড়ে ফেলতে লাগল ! শুধু তারাই নই বরং এর আগেও যারা এসেছিল তারাও কিছু না কিছু ফেলে গেল। এমনকি শিশুদের ডায়াপারটা সহ। হাজার বছর ধরে পাহাড়ি মানুষরা পাহাড়ের এসব ঝর্ণার পানির উপর নির্ভর করে জীবনযাপন করে আসছেন। আমাদের দেশের সৌন্দর্যের একটা বড় অংশ হলো  পাহাড়,  পাহাড়ি ঝর্ণা  আর এই অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের সাধারন জীবন যাপন। অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় তারা আজ আমাদের বিলাসিতার বা অসচেতনতার শিকার হয়ে অস্তিত্বহীনতায় ভুগছেন। এভাবে চলতে থাকলে এ সমস্ত ময়লা আবর্জনায় আটকে যেতে পারে মনোমুগ্ধকর এ সকল ঝর্নার গতি পথ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে প্রকৃতির এই অনাবিল সৌন্দর্যের লীলাভূমির এই অপার সৌন্দর্য । আমরা যেনো আমাদেরি ধ্বংসের কারণ না হয়ে দাঁড়াই। সচেতনতা আর সাবধানতাই পারে আমাদের পাহাড়ি ঝর্ণাগুলো আর এখানে বসবাসকারী নৃগোষ্ঠী গুলকে বাঁচাতে।

 

নামঃ মোঃ হৃদয় মিয়া

বয়সঃ ২০+

কলেজ: চিটাগং গভর্নমেন্ট সিটি কলেজ



মন্তব্য করুন


ইয়ুথ থট

৩৫শতাংশ তরুণ দেশের নেতৃত্ব নিতে আগ্রহী: সিপিডির জরিপ

প্রকাশ: ০১:২২ পিএম, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

৩৫ দশমিক ৪ শতাংশ তরুণ দেশের নেতৃত্ব নিতে আগ্রহী। আর নীতি পরিবর্তন হলেই কেবল ৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ তরুণ দেশের নেতৃত্বে অংশ নিতে চান।

বর্তমান জাতীয় প্রেক্ষাপটে ‘তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক এক জরিপের ফলাফলে উঠে এসেছে এ তথ্য। এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আয়োজন শনিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে যুব সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

ফলাফল উপস্থাপন করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।

জরিপের জন্য চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর- এই দুই মাসে পাঁচ হাজার ৭৫ জনের মতামত নেওয়া হয়। এরমধ্যে ৫৩ শতাংশ শিক্ষার্থী, ৩৮ দশমিক ৩ শতাংশ চাকরিজীবী ও ২৮ শতাংশ বেকার। এছাড়া ৭৮ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ, ২১ দশমিক নারী ও শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী। এই পাঁচ হাজার জনের মধ্যে ৫৯ দশমিক ২ শতাংশের বাস শহরে আর ৪০ দশমিক ৮ শতাংশের বসবাস গ্রামে।

 জরিপের ফলাফলে জানানো হয়, ৬৭ শতাংশ তরুণ কোনো রাজনৈতিক প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেননি। ৭৯ দশমিক ১ শতাংশ তরুণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ও রাজনীতি সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারেন। ৪৮ দশমিক ১ শতাংশ খবরের কাগজের মাধ্যমে ও রাজনৈতিক আলাপ সম্পর্কে জানতে পারেন। একইভাবে ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ টেলিভিশন ও রেডিওর মাধ্যমে এবং ৭ দশমিক ৭ দশমিক ৩ শতাংশ তরুণ খবর সম্পর্কে জানতে আগ্রহী নন।

জরিপে উল্লেখ করা হয়, ৫৩ দশমিক ৮ শতাংশ তরুণ এখন পর্যন্ত ভোট দিতে পারেননি। যাদের মধ্যে ১৮-২৫ বয়সীর সংখ্যা ৭৬ দশমিক ৪ শতাংশ, ২৫-২৯ বয়সীর সংখ্যা ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ ও ৩০-৩৫ বয়সীর সংখ্যা ২৫ শতাংশ। ৪৬ শতাংশ তরুণ কোনো স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি। ৩৫ দশমিক ২ শতাংশ তরুণ রাজনীতি ও ছাত্র রাজনীতিতে আগ্রহী নন।

জরিপে অংশ নেওয়া ৮৯ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার হয়েছেন। ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ তরুণ তাদের মতামত প্রকাশের জন্য নিগ্রহের স্বীকার।

অপরদিকে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ তরুণ, যারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তারা মত প্রকাশের জন্য নিগ্রহের স্বীকার হয়েছেন। ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ তরুণ মনে করেন সিদ্ধান্ত গ্রহণে তরুণদের মতামত নেওয়া হয় না।

৫৬ দশমিক ২ শতাংশ তরুণ মনে করেন দুর্নীতি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার অভাব উন্নয়নে বড় চ্যালেঞ্জ। ৫৫ দশমিক ৪ শতাংশ তরুণ মনে করেন মানসম্মত শিক্ষা ও দক্ষতার অভাব রয়েছে।

এছাড়া ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ তরুণ বিদেশে পুরোপুরিভাবে চলে যেতে চান। তবে ৫৩ দশমিক ২ শতাংশ তরুণ দেশেই থাকতে চান। ৩৫ শতাংশ তরুণ দেশের নেতৃত্বে অংশ নিতে চান। আর নীতি পরিবর্তন হলে ৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ তরুণ দেশের নেতৃত্বে অংশ নিতে চান।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দ্রুততার সঙ্গে আমাদের সমাজে যুবদের সংখ্যা ও অনুপাত বেড়ে চলেছে। এই যুব সমাজের আশা আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা কার্যকর করার ক্ষেত্রে আমরা কতটা সফল। এই জিজ্ঞাসা বার বার আসছে। সামনে নির্বাচন। সেখানে আমরা যুব সমাজের অংশগ্রহণ দেখতে চাই।

 


তরুণ   সিপিডি   জরিপ   দায়িত্ব   নেতৃত্ব   দৃষ্টিভঙ্গি  


মন্তব্য করুন


ইয়ুথ থট

নদী দখলদারদের উচ্ছেদের দাবিতে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পদযাত্রায় রাকিব


Thumbnail

দেশের নদী দখলদারদের উচ্ছেদ ও  নদীর প্রকৃত সংখ্যা যাচাই করে তালিকা প্রনয়ণের দাবিতে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেছেন রাকিব হাসান (২৪)।  রাকিব হাসান কক্সবাজারের  মহেশখালীর শাপলাপুরের ষাইটমারা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। "দুরত্ব ও সীমাবদ্ধতাকে পরাজিত কর" শিরোনামে গত ২০ এপ্রিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া বাংলাবান্দা জিরোপয়েন্ট থেকে তিনি এ যাত্রা শুরু করেন। শেষ করবেন টেকনাফ জিরো পয়েন্টে গিয়ে। আগামী ১০ মে তিনি পর্যন নগরী কক্সবাজারে পৌঁছবেন। ১১ মে  ভোর ৬ টায়  টেকনাফের উদ্দেশ্যে মেরিন ড্রাইভ সড়ক পথে যাত্রা করবেন। ১২ মে অর্থাৎ ২৪ তম দিনে তিনি টেকনাফ গিয়ে যাত্রা বিরতি শেষ করবেন।

এই প্রতিবেদন লেখা অব্দি তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায়  উপজেলা ও কক্সবাজার জেলার চকরিয়া সীমান্তবর্তী আজিজ নগরে  অবস্থান করছেন। পায়ে হেটে এখন পর্যন্ত সে পথ অতিক্রম করেন ৮৪৫  কিলোমিটার। ভোর ৬টা থেকে শুরু করে রাত ৮/৯টা পর্যন্ত হাঁটেন তিনি। রাতে যেখানে হাঁটা বন্ধ হয়ে যেত, ওই এলাকায় পরিচিত কারও বাসায় পরিচিত না থাকলে হোটেলে, মসজিদে, পেট্রোল পাম্প এর রেস্ট হাউজে রাতযাপন করেন। দূরত্ব ভীতির কারনে কেউ সঙ্গী না হওয়ায় একাকী সে পদযাত্রা শুরু করে বলে জানায় তিনি। রাকিব আরও জানান, এটাই তার প্রথম দীর্ঘ একাকী পদযাত্রা। দুরত্ব ও দিনের হিসেব করে তিনি ২৪ দিনে তাঁর গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন বলে আশা করেন। এবং তিনি একাই ১০০০ কিলোমিটারের দীর্ঘ  দূরত্ব অতিক্রম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


রাকিব জানান, তিনি একাকী পদযাত্রায় বিচলিত নন। বরং তিনি দেশের নদীর দখল ও নদীর বিলীন হয়ে যাওয়া নিয়ে বিচলিত। তিনি আরও জানান,, নদী আমাদের দেশের রক্তনালীর মত। দেশে প্রবাহমান সমস্ত নদী এখন শুকিয়ে গেছে। আগামি দশকের মধ্যে অনেক নদী হয়তো মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাবে। যদি এই সময়ে  সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নদী রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়া হয় তাহলে দেশের প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়বে। এতে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর বিপর্যয় নেমে আসবে। যা তাকে উদ্ধিগ্ন করেছে। তাই তিনি সরকার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েই পদযাত্রার পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি আরো জানান, ঐক্যবদ্ধ  হয়ে  নদী রক্ষায় জনসচেতনতা বাড়ানোর ও চেষ্টা করছেন তিনি। 

পদযাত্রার সীমাবদ্ধতার প্রশ্নে রাকিব জানান, প্রথম কয়েকদিন হাটার পর পা ব্যথা ও ফুলে গেলেও এখন তা সুস্থ হয়ে গেছে। এবং তিনি মনোবলের উপর জোর দিচ্ছেন। এতে করে তিনি তার গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।


বাঁচতে হলে মহাশয়, রক্ষা করুন জলাশয়। বাঁচলে নদী বাঁচবে দেশ,আলোর হবে পরিবেশ। দখল দূষণ বন্ধ করি/নদীর মতন জীবন গড়ি। এ স্লোগানকে সামনে রেখে নদী রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহবান সচেনতন মহলের প্রতি।

বাংলাদেচ পরিবেশ আন্দোলন (বাপার)  কক্সবাজার শাখার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী জানান, নদী, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য বাঁচাতে  রাকিবের একক আন্দোলন ও প্রতিবাদ অনন্য  দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন। তিনি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য যে বার্তা দিচ্ছেন এতে নদী ও পরিবেশ বাঁচাতে  নতুন প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হবেন।তার এই  কাজে সবার সম্পৃক্ত হওয়া প্রয়োজন। সেই সাথে নদী রক্ষায়  দেশবাসীকে সচেতন করেছেন তিনি। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, নদী,পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসকারীদের কঠোর আইনের আওতায় আনতে তাঁর এ পদ যাত্রা যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। ২৪ বছরের এ যুবক   একজন শিক্ষার্থী। তাঁর দেশপ্রেম, অদম্য সাহস ও নদী বাঁচাও আন্দোলনের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন স্মরণে রাখবে।



মন্তব্য করুন


ইয়ুথ থট

সোলো এক্সপিডিশনে ইয়ালা পিক'র চূড়ায় বাংলাদেশের তানভীর

প্রকাশ: ১২:৫২ পিএম, ১২ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

(পর্ব-১)

স্বপ্নের নেপাল। হিমালয়ের কন্যা সে। সাদা সুউচ্চ পর্বত একে তুষারের শুভ্রতা দিয়ে আচ্ছন্ন করে রাখে গভীর আর মৌন সৌন্দর্যে। আর তাই যারা পাহাড় ভালোবাসেন, উচ্চতাকে ভালোবাসেন তাদের কাছে হিমালয় হলো স্বর্গ

এক একটা পাহাড় জয় করা যেনো পাহাড়প্রেমীদের কাছেও স্বপ্নের মতো। সেই স্বপ্নপূরণ করতে বাংলাদেশের থেকে যাত্রা করেন মোহাম্মদ তানভীর আলম। ছুয়ে আসেন ইয়ালা পিকের শিখর। ল্যাংটাং রিজিয়নের ইয়ালা পাহাড়ের উচ্চতা ৫৫২০ মিটার বা প্রায় ১৯ হাজার ফুট। সেই গল্প ও নেপাল পৌছানোর পর তার দিনলিপি নিয়ে লিখেছেন আমাদের কাছে।  তার গল্প আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো দুইটি ভিন্ন পর্বে। আজকের পর্বে থাকছে সেই গল্পের একাংশ।

৩০.১০.২২, দিন ১

সকাল ৬ টায় বাসা থেকে এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার মাধ্যমে অভিযানের যাত্রা শুরু। কোন গাইড ছাড়া নিজের প্রচেষ্টায় নেপালের লাংটাং রিজিওনে ৫,৫০০ মিটার উচ্চতার ট্রেকিং চূড়া ইয়ালা পিক সামিট এই অভিযানের উদ্দেশ্য।

১২:৩০: ত্রিভূবন এয়ারপোর্ট, কাঠমান্ডু থেকে বের হয়ে হোটেল এর উদ্দেশ্যে ট্যাক্সি নিলাম। হোটেল ফ্লোরিড আজকের অস্থায়ী ঠিকানা। হাতে সময় না থাকায় ঢাকা থেকেই হোটেল বুকিং করে এসেছিলাম।যদিও রূম পছন্দ হয়নি কিন্তু ওদের নীচতলায় যে রেষ্টুরেন্ট তার জন্য হোটেল এর পিছনে খোলা উঠানে বসার ব্যবস্থাটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। ওদের রিসেপশনে ছোট্ট একটা লাইব্রেরী বা বইয়ের সংগ্রহ আছে। হোটেল এর লোকেশনটা অবশ্য অনেক ভালো, কাঠমান্ডুর প্রাণকেন্দ্র থামেলের জেড স্ট্রীটে এটির অবস্থান। এবং হোটেল মালিক মিঃ দিপক খুবই আন্তরিক। বাজেট হোটেল হিসেবে হোটেলটি ভালো।

সন্ধ্যায় কিছু প্রয়োজনীয় কেনাকাটা শেষ করে ও স্লিপিং ব্যাগ ভাড়া নিয়ে রূমে ফিরে ব্যাকপ্যাক গোছানো শুরু করলাম। কালকে সকালে বাস ধরতে হবে।

৩১.১০.২২, ২য় দিন
গন্তব্য সায়াব্রুবেসি