ইয়ুথ থট

কোভিভ ১৯ মহামারিতে মধ্যবিত্ত পরিবারের আর্থিক সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:২৭ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

বিশাল এই বড় শহরের  এক কোণায় বসাবাস করে মধ্যবিত্ত একটি পরিবার। একজন মধ্যবিত্ত পরিবার লোক দেখে কখনো বুঝা যায় না বা বুঝতে দেয়না সে কত কষ্টের মধ্যে আছে। তার পরিবার আর্থিক অবস্থা ভালো নয় সে এতো  কষ্ট লুকিয়ে সবার সাময়ে হাসি-খুশি থাকে। কষ্ট আড়ালে  রাখে যেন কেউ বুঝতে না পারে তার মধ্যবিত্ত পরিবার জীবন। মধ্যবিত্ত পরিবার বেশিরভাগ সদস্য হয় ৫-৬ জন। ইনকাম থাকে একজনের ১২-১৫ হাজার টাকা। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা সপ্ন  দেখে পড়ালেখা শেষ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়ানোর। মধ্যবিত্ত পরিবার এমন একটি পরিবার তারা কখনো অন্য কারো কাছে হাত পাততে পারে না বা লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে পারে না। 

 

সারাবিশ্ব যখন আক্রান্ত করনায় এবং বাংলাদেশেও যখন আস্তে আস্তে আক্রান্ত হতে শুরু করল তখন সরকার সবকিছু বন্ধ করে দিতে শুরু করল। ২৬-৩-২০২০ থেকে সরকার লকডাউন ঘোষণা  করে।  লকডাউনে আর্থিক সংকটে পড়ে যায় মধ্যবিত্ত পরিবার গুল। উপার্জন বন্ধ হয় যায় মধ্যবিত্ত পরিবার গুলর। দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার কারণে বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।  হাজার -হাজার  মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী চাকরি হারিয়ে বেকারে পরিণত হয়। নেমে আসে মধ্যবিত্ত পরিবার অন্ধকার ছায়া। থমকে যায় মধ্যবিত্ত পরিবারের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এই শহরের বেঁচে থাকা কঠিন হয় ওঠে তাদের জন্য। মাস শেষের বাড়িওয়ালা বাড়ি ভাড়ার জন্য কড়া নাড়ে ভাড়াটিয়ার দরজায়।  মুদি দোকানদার চাপ দিতে থাকে টাকার জন্য।  এইভাবে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখী হতে হয় মধ্যবিত্ত পরিবার গুলর। স্বপ্ন ভেঙে তছনছ হয়ে যায় এই মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ গুলর। পরিবার কষ্ট সন্তানরা বুঝতে পারে অনুভব করতে পারে, তারপরও বাইরে লোককে লজ্জায় কিছু বলতে পারে না। বলে আমরা ভাল আছি। 

 

কিছুদিন পর সরকারের নির্দেশনা অললাইনে ক্লাস চালু হয়। তখন মধ্যবিত্ত সন্তানের জন্য বড় ধরণে ধাক্কা শিকার হয় । ক্লাস করা জন্য ভাল মোবাইল সেট ও নেট প্রয়োজন হয়। যেখানে মধ্যবিত্ত দুইবেলা ভালা খাবার খেতে হিমশিম পরিণত হয় সেখানে আবার কিভাবে অললাইন ক্লাস চালিয়ে নিবে। পড়তে হয় নানা ধরনের না বলতে পারা  সমস্যায়। তারপর বাবার -মা কে মিথ্যা কথা বলে সমস্যা নাই অললাইন ক্লাস চালিয়ে নিবে। যখন ক্লাস শুরু হয়  তখন বন্ধুকে ও সহপাঠী কে মিথ্যে বলে বন্ধু নেটে প্রব্লেম দিয়েছ। স্যার কি পড়ায় আমাকে মেসেজ করে দিস। এতো সমস্যা ও কষ্টের মাঝে কাউকে কিছু বুঝতে দেয় না তারা, কিভাবে চলছে তাদের জীবন।  এভাবে প্রতিদিন বিভিন্ন সমস্যার শিকার হয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবার গুল।

 

মধ্যবিত্ত পরিবারের শহরের জন্মানো আর সপ্ন দেখানো ছিল সবচেয়ে বড় ভুল। সত্যিকারের ভাল থাকুক প্রতিটা মধ্যবিত্ত পরিবার। 

 

রিপোর্টঃ ফারজানা রহমান (সাদিয়া) 

বয়সঃ ২০

কলেজঃওমর গণি এম.এস.কলেজ।



মন্তব্য করুন


ইয়ুথ থট

নদী দখলদারদের উচ্ছেদের দাবিতে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পদযাত্রায় রাকিব


Thumbnail

দেশের নদী দখলদারদের উচ্ছেদ ও  নদীর প্রকৃত সংখ্যা যাচাই করে তালিকা প্রনয়ণের দাবিতে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেছেন রাকিব হাসান (২৪)।  রাকিব হাসান কক্সবাজারের  মহেশখালীর শাপলাপুরের ষাইটমারা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। "দুরত্ব ও সীমাবদ্ধতাকে পরাজিত কর" শিরোনামে গত ২০ এপ্রিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া বাংলাবান্দা জিরোপয়েন্ট থেকে তিনি এ যাত্রা শুরু করেন। শেষ করবেন টেকনাফ জিরো পয়েন্টে গিয়ে। আগামী ১০ মে তিনি পর্যন নগরী কক্সবাজারে পৌঁছবেন। ১১ মে  ভোর ৬ টায়  টেকনাফের উদ্দেশ্যে মেরিন ড্রাইভ সড়ক পথে যাত্রা করবেন। ১২ মে অর্থাৎ ২৪ তম দিনে তিনি টেকনাফ গিয়ে যাত্রা বিরতি শেষ করবেন।

এই প্রতিবেদন লেখা অব্দি তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায়  উপজেলা ও কক্সবাজার জেলার চকরিয়া সীমান্তবর্তী আজিজ নগরে  অবস্থান করছেন। পায়ে হেটে এখন পর্যন্ত সে পথ অতিক্রম করেন ৮৪৫  কিলোমিটার। ভোর ৬টা থেকে শুরু করে রাত ৮/৯টা পর্যন্ত হাঁটেন তিনি। রাতে যেখানে হাঁটা বন্ধ হয়ে যেত, ওই এলাকায় পরিচিত কারও বাসায় পরিচিত না থাকলে হোটেলে, মসজিদে, পেট্রোল পাম্প এর রেস্ট হাউজে রাতযাপন করেন। দূরত্ব ভীতির কারনে কেউ সঙ্গী না হওয়ায় একাকী সে পদযাত্রা শুরু করে বলে জানায় তিনি। রাকিব আরও জানান, এটাই তার প্রথম দীর্ঘ একাকী পদযাত্রা। দুরত্ব ও দিনের হিসেব করে তিনি ২৪ দিনে তাঁর গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন বলে আশা করেন। এবং তিনি একাই ১০০০ কিলোমিটারের দীর্ঘ  দূরত্ব অতিক্রম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


রাকিব জানান, তিনি একাকী পদযাত্রায় বিচলিত নন। বরং তিনি দেশের নদীর দখল ও নদীর বিলীন হয়ে যাওয়া নিয়ে বিচলিত। তিনি আরও জানান,, নদী আমাদের দেশের রক্তনালীর মত। দেশে প্রবাহমান সমস্ত নদী এখন শুকিয়ে গেছে। আগামি দশকের মধ্যে অনেক নদী হয়তো মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাবে। যদি এই সময়ে  সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নদী রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়া হয় তাহলে দেশের প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়বে। এতে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর বিপর্যয় নেমে আসবে। যা তাকে উদ্ধিগ্ন করেছে। তাই তিনি সরকার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েই পদযাত্রার পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি আরো জানান, ঐক্যবদ্ধ  হয়ে  নদী রক্ষায় জনসচেতনতা বাড়ানোর ও চেষ্টা করছেন তিনি। 

পদযাত্রার সীমাবদ্ধতার প্রশ্নে রাকিব জানান, প্রথম কয়েকদিন হাটার পর পা ব্যথা ও ফুলে গেলেও এখন তা সুস্থ হয়ে গেছে। এবং তিনি মনোবলের উপর জোর দিচ্ছেন। এতে করে তিনি তার গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।


বাঁচতে হলে মহাশয়, রক্ষা করুন জলাশয়। বাঁচলে নদী বাঁচবে দেশ,আলোর হবে পরিবেশ। দখল দূষণ বন্ধ করি/নদীর মতন জীবন গড়ি। এ স্লোগানকে সামনে রেখে নদী রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহবান সচেনতন মহলের প্রতি।

বাংলাদেচ পরিবেশ আন্দোলন (বাপার)  কক্সবাজার শাখার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী জানান, নদী, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য বাঁচাতে  রাকিবের একক আন্দোলন ও প্রতিবাদ অনন্য  দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন। তিনি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য যে বার্তা দিচ্ছেন এতে নদী ও পরিবেশ বাঁচাতে  নতুন প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হবেন।তার এই  কাজে সবার সম্পৃক্ত হওয়া প্রয়োজন। সেই সাথে নদী রক্ষায়  দেশবাসীকে সচেতন করেছেন তিনি। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, নদী,পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসকারীদের কঠোর আইনের আওতায় আনতে তাঁর এ পদ যাত্রা যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। ২৪ বছরের এ যুবক   একজন শিক্ষার্থী। তাঁর দেশপ্রেম, অদম্য সাহস ও নদী বাঁচাও আন্দোলনের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন স্মরণে রাখবে।



মন্তব্য করুন


ইয়ুথ থট

সোলো এক্সপিডিশনে ইয়ালা পিক'র চূড়ায় বাংলাদেশের তানভীর

প্রকাশ: ১২:৫২ পিএম, ১২ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

(পর্ব-১)

স্বপ্নের নেপাল। হিমালয়ের কন্যা সে। সাদা সুউচ্চ পর্বত একে তুষারের শুভ্রতা দিয়ে আচ্ছন্ন করে রাখে গভীর আর মৌন সৌন্দর্যে। আর তাই যারা পাহাড় ভালোবাসেন, উচ্চতাকে ভালোবাসেন তাদের কাছে হিমালয় হলো স্বর্গ

এক একটা পাহাড় জয় করা যেনো পাহাড়প্রেমীদের কাছেও স্বপ্নের মতো। সেই স্বপ্নপূরণ করতে বাংলাদেশের থেকে যাত্রা করেন মোহাম্মদ তানভীর আলম। ছুয়ে আসেন ইয়ালা পিকের শিখর। ল্যাংটাং রিজিয়নের ইয়ালা পাহাড়ের উচ্চতা ৫৫২০ মিটার বা প্রায় ১৯ হাজার ফুট। সেই গল্প ও নেপাল পৌছানোর পর তার দিনলিপি নিয়ে লিখেছেন আমাদের কাছে।  তার গল্প আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো দুইটি ভিন্ন পর্বে। আজকের পর্বে থাকছে সেই গল্পের একাংশ।

৩০.১০.২২, দিন ১

সকাল ৬ টায় বাসা থেকে এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার মাধ্যমে অভিযানের যাত্রা শুরু। কোন গাইড ছাড়া নিজের প্রচেষ্টায় নেপালের লাংটাং রিজিওনে ৫,৫০০ মিটার উচ্চতার ট্রেকিং চূড়া ইয়ালা পিক সামিট এই অভিযানের উদ্দেশ্য।

১২:৩০: ত্রিভূবন এয়ারপোর্ট, কাঠমান্ডু থেকে বের হয়ে হোটেল এর উদ্দেশ্যে ট্যাক্সি নিলাম। হোটেল ফ্লোরিড আজকের অস্থায়ী ঠিকানা। হাতে সময় না থাকায় ঢাকা থেকেই হোটেল বুকিং করে এসেছিলাম।যদিও রূম পছন্দ হয়নি কিন্তু ওদের নীচতলায় যে রেষ্টুরেন্ট তার জন্য হোটেল এর পিছনে খোলা উঠানে বসার ব্যবস্থাটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। ওদের রিসেপশনে ছোট্ট একটা লাইব্রেরী বা বইয়ের সংগ্রহ আছে। হোটেল এর লোকেশনটা অবশ্য অনেক ভালো, কাঠমান্ডুর প্রাণকেন্দ্র থামেলের জেড স্ট্রীটে এটির অবস্থান। এবং হোটেল মালিক মিঃ দিপক খুবই আন্তরিক। বাজেট হোটেল হিসেবে হোটেলটি ভালো।

সন্ধ্যায় কিছু প্রয়োজনীয় কেনাকাটা শেষ করে ও স্লিপিং ব্যাগ ভাড়া নিয়ে রূমে ফিরে ব্যাকপ্যাক গোছানো শুরু করলাম। কালকে সকালে বাস ধরতে হবে।

৩১.১০.২২, ২য় দিন
গন্তব্য সায়াব্রুবেসি