ইয়ুথ থট

করোনা করেনি করুণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:১০ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

আমি শুকরিয়া মুন্নি। থাকি চট্টগ্রাম শহরে। করোনা ভাইরাসের তান্ডবে পুরো বাংলাদেশ দীর্ঘসময় লকডাউনে ছিল। যদিও লকডাউন শেষ হয়েছে তবে শেষ হয়নি করোনা ভাইরাসের তাণ্ডব। লকডাউন শেষ হওয়ায় এবং ঈদ উপলক্ষে বেড়াতে এসেছি ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার বরিশাল গ্রামে।

আমার গ্রামটি দেখতে অনেক সুন্দর। সবুজে সবুজে ভরা গ্রামটা যেন সজিবতায় ভরা। কিন্তু সজিব, সতেজ আর মুখভরা হাসি নেই দেশের গ্রামীন মানুষগুলোর মুখে। কারণ গ্রামের লক্ষাধিক নিম্নশ্রেণীর ও মধ্যবিত্ত পরিবার শহরে বসবাস করতেন, থাকতেন ভাড়া বাসায়। ছাত্রদের কেউ কেউ থাকতেন ব্যাচেলর। করোনার কারণে চাকরি হারিয়েছেন হাজার পরিবারের গৃহকর্তা। চাকরি হারানোর পরে আয় উপার্জনের ভিন্ন পথ খুজেও ব্যর্থ হন অনেকে। যার ফলে বেশিরভাগ মানুষ সব হারিয়ে ভাগ্যকে মেনে নিয়েছেন। তিলে তিলে গড়া সংসারকে মাত্র একটি ট্রাকে নিয়ে ফিরেছেন গ্রামে। দীর্ঘ লকডাউনের কারনে ভেঙ্গে পড়েছে দেশের  অর্থব্যাবস্থা। বেড়েছে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা। এসব কারনে গ্রামের মানুষের মধ্যে বাড়ছে বিষণ্ণতা। করোনার কারণে অনেক শিক্ষার্থী তাদের বাবা মায়ের সাথে গ্রামে চলে এসেছে। ফলে গ্রামের স্কুলে শিক্ষার্থীদের চাপ বাড়ার একটি আশঙ্কা রয়েছে।

করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর শ্রেণীকক্ষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় পাঠদান চালিয়ে নিতে দূরশিক্ষন পদ্ধতি চালু করেন সরকার। কিন্তু গ্রামে অনুকুল পরিবেশ না থাকায় বাড়িতেও এগুচ্ছেনা পড়ালেখা। দীর্ঘ ছুটি ও আর্থিক দুরবস্থার কারণে শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ার ঝুকিও বেড়েছে বহুগুন। গ্রামে শিক্ষকদের অবস্থাও ভাল নয়। টানাপোড়েন বেড়েছে গ্রামের অনেক শিক্ষকদের সংসারেও। উপার্জন করার ব্যাবস্থা না থাকায় জীবন কাটছে অনিশ্চয়তার মধ্যে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাড়ছে বাল্যবিবাহ। গ্রামে নানান অজুহাতে বিদেশ ফেরত গৃহকর্তাদের সহমতে হচ্ছে বাল্য-বিবাহ। অনেক অভিভাবক তাদের মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেবার কারণ হিসাবে বলছেন, চারদিকে বাড়ছে ধর্ষণ আর নেই সঠিক বিচার, তাই কন্যা সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে দিয়েছেন বিয়ে। আবার কেউ বলছেন আর্থিক দূরবস্থার কথা। নানান অজুহাতে গ্রামের শিক্ষার্থীরা শিকার হচ্ছে বাল্যবিয়ের। আর এই বাল্যবিয়ের কারণে ভাঙছে হাজার কিশোরীর স্বপ্ন।

করোনার কারণে বাড়ছে শিশু-শ্রম, যেখানে রয়েছে কিশোর কিশোরী উভয়। গ্রামের বেশিরভাগ শিশুরা উপার্জনের পথে নেমেছে। কেউ কেউ নতুন কাজের সন্ধানে চলেছে ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে। অনেকে ভাড়ায় নৌকা ও অটোরিকশা চালাচ্ছে। আবার কেউ করছে ইট ভাঙ্গার কাজ। জীবন বাচিয়ে রাখতে তারা নেমেছে জীবনসংগ্রামে।

করোনার কারণে সৃষ্ট লকডাউনের ফলে বেড়েছে দ্রব্যমূল্য। খেয়ে না খেয়ে কাটছে গ্রামের সাধারন মানুষের জীবন। করোনা মহামারী হয়তো একদিন কেটে যাবে, কিন্তু গ্রামের এই গরীর দুঃখী মানুষেরা করোনার এই যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে তো?

 

শুকরিয়া আকতার মুন্নি

বয়সঃ ১৮

কলেজঃ মেকানিকাল টেকনোলজি, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক



মন্তব্য করুন


ইয়ুথ থট

ফটিকছড়িতে বরই চাষ করে যুবকের ভাগ্য বদল

প্রকাশ: ১০:৫৮ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বরই চাষ করে  আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন এক যুবক। পাশাপাশি তার বাগানে কাজ তরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে অন্তত ১৫/২০ জন বেকার যুবকের। পতিত জমিতে বরই চাষ এলাকায় বেশ সাড়া জাগিয়েছ।বরই চাষের পাশাপাশি ষাথী ফসল হিসাবে  হাইব্রীট বারো পেয়ারা ও থাই আখের চাষ করা হয়েছে।

প্রতিদিন নানা বয়সী মানুষ ছুটে আসছেন বাগান দেখতে। অনেকেই বাগান দেখে বরই চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। বলতে গেলে উন্নত জাতের বরই চাষে বাজিমাৎ করেছেন এই যুবক।

জানাগেছে, উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের ছোট কাঞ্চনা গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান তৌহিদুল আলম। লেখাপড়া উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত। শিক্ষার পাঠ শেষ না করে এনজিও সংস্থায় চাকুরী নিলেও স্বপ্ন দেখতেন নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে কিছু একটা করার।

এক সময় চাকরী ছেড়ে দিয়ে মনস্থীর করেন বাড়ির পাশে নিজেদের পতিত জমিতে চাষাবাদ করার। যেই চিন্তা সেই কাজ। শুরু করেন বরই চাষ। প্রথম দিকে ছোট্ট পরিসরে হলেও এখন তার বাগানে জমির পরিমাণ আশি শতকের কাছাকাছি।

প্রথম দিকে, আশানুরূপ ফলন না হলেও দুই বছরের মাথায় এসে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেন এ যুবক।

প্রথম পর্যায়ে স্থানীয় নার্সারি থেকে কলম চারা সংগ্রহের মধ্যে দিয়ে শুরু করা হলেও বর্তমানে সুন্দরী, কাশ্মীরী, ভারত সুন্দরী, আপেল কুল, নারিকেলসহ অন্তত ১০ হাজার উন্নত জাতের বরই গাছ রয়েছে বাগানে।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে কাচা – পাকা বরই। এমন ভাবে ফলন হয়েছে বরইয়ের ভারে গাছগুলো যেন মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে।

জানা যায়, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত একটি বরই গাছ থেকে কমপক্ষে ২০ -৩০ কেজি ফলন পাওয়া যায়। প্রকার ভেদে প্রতি কেজি বরই ৭০/ ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়।

সবকিছু মিলিয়ে আশি শতক জমিতে আবাদ করতে খরচ পড়েছে ৮ লক্ষাধিক টাকা। এ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৯ লক্ষ টাকার মতো। গাছে যে ফলন অবশিষ্ট রয়েছে, সেগুলো বিক্রি করে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা আসতে পারে।

প্রতিদিন আশেপাশের এলাকা ছাড়াও দূর দূরান্ত থেকে বেপারীরা এসে বরই কিনে নিয়ে যায়। এসব বরই খেতে সুস্বাদু হওয়ায় এর চাহিদাও বেশী। দামও তুলনামূলক কম।

বরই কিনতে আসা বেশ কয়েকজন বেপারীর সাথে কথা হলে তারা বলেন এখানে উৎপাদিত বরই অধিক মিষ্টি। যার ফলে বাজারে চাহিদা বেশী থাকে। দামও ভাল পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে সফল বরই চাষী তৌহিদুল আলম বলেন এমন একটা সময় ছিল কৃষি মানে নিম্ন শ্রেণীর পেশা ভাবা হতো। বর্তমানে শিক্ষিত যুবকরা কৃষিতে এসে সেই ধ্যান ধারনায় পরিবর্তন এনেছেন।

তিনি আরো বলেন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে চাষাবাদ করলে সফল হতে সময় লাগে না। তবে, এক্ষেত্রে ইচ্ছা শক্তি ও পরিশ্রমের বিকল্প নেই। আগ্রহী তরুণদের বরই চাষ বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেন বলে জানান সফল বরই চাষী তৌহিদুল।

জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন ফটিকছড়ির উত্তর অঞ্চল ঢালু ও উর্বর হওয়ায় এখানকার মাটি বরই চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এখানে ব্যক্তি উদ্যোগে উচ্চ ফলনশীল বরই চাষ করে অনেকে সফল হয়েছেন। এক্ষেত্রে তৌহিদুলের বাগানটি মডেল হিসেবে ধরে নেয়া যায়। আগামীতে বরই চাষে আগ্রহীদের পরামর্শ ও সরকারী সহযোগিতার আশ্বাস দেন এ কর্মকর্তা।

বরই চাষ   যুবকের ভাগ্য বদল  


মন্তব্য করুন


ইয়ুথ থট

বছরের সেরা তরুন উদ্যোক্তা এ্যাওয়ার্ড পেলেন নাঈম সজল

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

২০২২ সালের সেরা তরুন উদ্যোক্তা এ্যাওয়ার্ড পেলেন ই-টপ ম্যাট্রেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সময় এক্সপ্রেস নিউজের সম্পাদক নাঈম সজল। সম্প্রতি ঢাকার সেগুনবাগিচায় এস আর মিউজিক আয়োজিত ২০২২ সালে নানান ক্ষেত্রে বিশেষ আবদানের জন্য এ্যাওয়ার্ড প্রধান অনুষ্ঠানে বছরের সেরা স্টারদের সন্মাননা  দেয়া হয়।  

স্মার্ট বাংলাদেশ ও মেট্রোরেলের শুভ সূচনায় মিডিয়া কর্মীদের অবদান শীর্ষক  এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান টিভি ও এশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ সি আই পি। এতে সভাপতিত্ব করেন এস আর মিউজিক ফিল্মের কর্ণধার সাহাব ভূইয়া।  

এ্যাওয়ার্ড পাওয়া নিয়ে ই-টপ ম্যাট্রেস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাঈম সজল জানান, 'আসলে আমি কখনোই পুরষ্কারের জন্য কাজ করিনা, তবে সন্মানিত হতে কার না ভালো লাগে! আমি আমার প্রতিষ্ঠান ই-টপ ম্যাট্রেস এর মাধ্যমে শুরু থেকেই গুনগত মানের পন্য দিয়ে আস্থা অর্জন করে আসছি, ইনশাআল্লাহ আগামীতেও আমরা এই ধারা অব্যাহত রাখব। আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই এস আর মিউজিক এর কর্ণধার সাহাব ভূইয়া ভাইকে আজকে আমাকে সন্মানিত করার জন্য। ইনশাআল্লাহ এস আর মিউজিক অনেক দূরব এগিয়ে যাবে।


উদ্যোক্তা   এ্যাওয়ার্ড   নাঈম সজল  


মন্তব্য করুন


ইয়ুথ থট

মেট্রোরেল নিয়ে যা বললেন জয়

প্রকাশ: ০৫:৪৩ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিবিষয়ক (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ঢাকায় মেট্রোরেল চালুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পরিবহণ ব্যবস্থা নতুন এক যুগে প্রবেশ করেছে।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিও পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে জয় বলেন, বিশ্বমানের এমআরটি ৬ মডেলের বৈদ্যুতিক ব্যালাস্ট ট্রেনটি কোনো স্লিপ ছাড়াই চলবে।

তিনি বলেন, চলার সময় শব্দ ও কম্পন কমাতে রাখা হয়েছে বৈশ্বিক আধুনিক প্রযুক্তি। এ পদ্ধতিটি বিশ্বে বিরল ও ব্যয়বহুল। 

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা আরও বলেন, ঢাকার তিনটি পয়েন্ট (মিরপুর ডিওএইচএস, ফার্মগেট ও শাহবাগে) নির্মাণ করা ব্র্যাকএনজির হাইব্রিড প্রযুক্তির কারণে কম থাকবে এই ট্রেনের বিদ্যুৎ খরচ। 

তিনি বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্ল্যাটফরমে রাখা হয়েছে স্ক্রিন ডোর সিস্টেম। ৯ স্টেশনের পাঁচ পয়েন্টে ট্রেন চলবে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে।

ওই ভিডিওতে বলা হয়, এমআরটি ৬ স্টেশনগুলো শারীরিক প্রতিবন্ধীদের সহায়ক করে নির্মাণ করা হয়েছে। পুরোদমে চালু হলে প্রতিদিন মেট্রোরেল ব্যবহার করতে পারবেন পাঁচ লাখ নগরবাসী।

সজীব ওয়াজেদ জয়   মেট্রোরেল  


মন্তব্য করুন


ইয়ুথ থট

তারুণ্যকে কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালে দেশ হবে উন্নত বাংলাদেশে

প্রকাশ: ০৯:৩৩ এএম, ১০ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তারুন্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ পরিণত হবে উন্নত বাংলাদেশে।সে লক্ষ্যে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে কাজ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, কাঠামোগত উন্নয়নের একটি মানবিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। ১৪ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ কে দেখলে বুঝা যায় দেশে কি উন্নয়ন হয়েছে।এটি কোনো যাদু নয়, এটা হয়েছে শেখ হাসিনার যাদুকরি নেতৃত্বের কারণে।

মন্ত্রী আজ শুক্রবার রাতে কক্সবাজারের ইনানীর হোটেল রয়েল টিউলিপে জেসিআই টয়োপ এওয়ার্ড  ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। 

২য় বারের মতো জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, । অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেসিআই বাংলাদেশের এর ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট নিয়াজ মোরশেদ এলিট। অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কানাডা আওয়ামীলীগের সভাপতি সরওয়ার হাসান,কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ সিআইপিসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এওয়ার্ড তুলে দেন। অনুষ্ঠানে ৮ টি ক্যাটাগরিতে  ১০ জন তরুন তরুনীকে বিশেষ অর্জনের জন্যে এওয়ার্ড দেয়া হয়।


তারুন্যের শক্তি  


মন্তব্য করুন


ইয়ুথ থট

বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে শিশুশ্রম বেকারত্ব

প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২০


Thumbnail

বর্তমানে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি কারনে শিশুশ্রম অনেকটাই নিন্মমখি।কিন্তু করোনা কালিন পরিস্থিতি শেষ হওয়ার পর। এই শিশুশ্রম আরো  বেড়ে যাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। 

এরই মধ্যে শ্রমে থাকা শিশুদের হয়ত আরও বেশি কর্মঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছে বা তাদের আরও খারাপ পরিবেশে কাজ করতে হতে পারে। তাদের মধ্যে আরও বেশি সংখ্যক শিশুকে হয়ত ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিযুক্ত হতে বাধ্য হবে, যা তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মারাত্মক হুমকির কারণ হচ্ছে । মহামারী পারিবারিক আয়ে বিপর্যয় নিয়ে আসায় কোনো সহায়তা না পেয়ে অনেকেই শিশু শ্রমে নিয়োজিত হতে বাধ্য হবে। সংকটের সময়ে সামাজিক সুরক্ষা অপরিহার্য, যেহেতু তা সবচেয়ে বিপর্যস্ত জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেয়। শিশু শ্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রশমনে শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায়বিচার, শ্রমবাজার এবং আন্তর্জাতিক মানবিক ও শ্রম অধিকার বিষয়ে সমন্বিতভাবে বৃহত্তর পরিসরে নীতিমালা প্রণয়ন বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

কোভিড-১৯ এর ফলে দারিদ্র্য বেড়ে গিয়ে শিশু শ্রম বাড়াবে। কারণ বেঁচে থাকার জন্য পরিবারগুলো সম্ভাব্য সকল্ভাবে চেষ্টা করবে। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে,নির্দিষ্ট কিছু দেশে দারিদ্র্য ১ শতাংশীয় পয়েন্ট বৃদ্ধিতে শিশু শ্রম অন্তত দশমিক ৭ শতাংশ বাড়বে।

সংকটের সময় অনেক পরিবারই টিকে থাকার কৌশল হিসেবে শিশু শ্রমকে বেছে নেয়।

“দারিদ্র্য বৃদ্ধি, স্কুল বন্ধ ও সামাজিক সেবা প্রাপ্তি কমতে থাকায় অধিক সংখ্যায় শিশুদের কর্মক্ষেত্রে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। কোভিড পরবর্তী বিশ্বকে আমরা নতুনভাবে দেখতে চাই বলে আমাদের নিশ্চিত করা দরকার যে, শিশু ও তাদের পরিবারগুলো ভবিষ্যতে একই ধরনের ধাক্কা সামলে নিতে বিকল্প পথ খুঁজে পায়। মানসম্পন্ন শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা সেবাসহ আরও ভালো অর্থনৈতিক সুযোগ ইতিবাচক এই পরিবর্তনের নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে।

অর্থনৈতিক মন্দায় অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনৈতিক খাতে কর্মরত ও অভিবাসী শ্রমিকদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাতে অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মী ও বেকারত্ব বৃদ্ধি, জীবনমানের পতন, স্বাস্থ্যগত সমস্যা এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার ঘাটতিসহ অন্যান্য চাপ সৃষ্টি হবে। বর্তমান সংকটের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ শিশু শ্রম হ্রাসে দারুন কাজ করে আসছিল।

চলমান মহামারীর কারণে এই অর্জন যেন নস্যাৎ না হয় তা নিশ্চিত করতে অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন আমাদের আরও বেশি সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সময়োচিত এই প্রতিবেদনটি কোভিড-১৯ এর ভয়াবহ প্রভাবের ওপর আলো ফেলেছে এবং সরকার, নিয়োগকর্তা, শ্রমিক সংগঠনসমূহ এবং অন্যান্য অংশীদারদের সামনে বর্তমান সংকট মোকাবেলার সর্বোত্তম পথ খুঁজে পেতে তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরেছে। বাংলাদেশে সবচেয়ে অসহায় শিশুদের জীবন, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ভবিষ্যতের ওপর কোভিড-১৯ মহামারী বিশেষ নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। স্কুল বন্ধ ও পরিবারের আয় কমে যাওয়ায় অনেক শিশুর জন্য শ্রমে যুক্ত হওয়া এবং বাণিজ্যিকভাবে যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। “গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুরা যত বেশি সময় স্কুলের বাইরে থাকে তাদের আবার স্কুলে ফেরার সম্ভাবনা ততটাই কমে যায়। আমাদের এখন শিশুদের শিক্ষা ও সুরক্ষার ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত এবং মহামারীর পুরো সময়জুড়েই তা অব্যাহত রাখা উচিত,

মহামারীর এই সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় শিশু শ্রম বৃদ্ধি পাওয়ার প্রমাণ ধারাবাহিকভাবে আসছে। বিশ্বের ১৩০টির বেশি দেশে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে ১০০ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমনকি যখন পুনরায় ক্লাস শুরু হবে তখন অনেক বাবা-মায়ের হয়ত তাদের সন্তানকে স্কুলে দেওয়ার সক্ষমতা থাকবে না।

ফলশ্রুতিতে আরও অনেক শিশু বঞ্চনামূলক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যোগ দিতে বাধ্য হবে। লিঙ্গ বৈষম্য আরও তীব্র হতে পারে। বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের কৃষি ও গৃহকর্মে বঞ্চনার শিকার হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। 

কোভিড-১৯ ও শিশু শ্রম: সংকটের সময়, পদক্ষেপের সময়’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০০ সাল থেকে এপর্যন্ত শিশু শ্রম ৯ কোটি ৪০ লাখ কমেছে, কিন্তু এই অর্জন এখন ঝুঁকির মুখে।

 

ইভান খান হোসাইন

বয়সঃ ১৬

কলেজঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কাইসার নিলুফার কলেজ



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন