ইনসাইড এডুকেশন

পাঠ্যপুস্তক নিয়ে সংকটের আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:২৫ এএম, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭


Thumbnail

২০১৮ সালের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যের বই নিয়ে নানামুখী জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ কারণে যথাসময়ে সব বই পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তাও। পাঠ্যবই তদারকির দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অদক্ষতা, এক শ্রেণির প্রেস মালিকদের সিন্ডিকেট ও অসাদুতার কারণে পাঠ্যবই নিয়ে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের মত।

আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩৫ কোটি ১৩ লাখ ২৬ হাজার ২০৭টি বই বিতরণের কথা রয়েছে। বই ছাপা এবং মাঠ পর্যায়ে বিতরণের ক্ষেত্রে গত বছরের তুলনায় এবার অনেক পিছিয়ে রয়েছে। অবশ্য এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র সাহা বলেন, মাধ্যমিকের বই ২০ শতাংশ মাঠ পর্যায়ে পৌছে গেছে। প্রাথমিকের বইও যথাসময়ে পৌছে যাবে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ বই পৌছে যাবে বলে তিনি জানান।

তবে এনসিটিবির চেয়ারম্যানের বক্তব্য ও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। গত বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রাথমিক স্তরের প্রায় আড়াই কোটি বই মাঠ পর্যায়ের পৌছে। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত কাজই শুরু করেনি প্রেস মালিকরা। নবম ও ১০ শ্রেণির ১২ টি পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন করে সুখপাঠ্য, আকর্ষণীয় ও সহজবোধ্য করা বইগুলোর কার্যাদেশ প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। এছাড়া প্রেস থেকে চাহিদা অনুযায়ী কাগজ না পাওয়ায় মাধ্যমিকের বই ছাপার কাজও বিলম্ব হচ্ছে বলে প্রেস মালিকরা জানিয়েছে। নতুন প্রযুক্তিতে বই বাঁধাই নিয়েও সংকট তৈরি হয়েছে। কাভার কাগজ যথাসময়ে না পাওয়ায় ছাপার কাজ শেষ হলেও বই বিতরণ করা যায়নি।

সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছর দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে নবম ও দশম শ্রেণির ১২ টি পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন করে সুখপাঠ্য, আকর্ষণীয় ও সহজবোধ্য করা হয়। এই বইগুলো হচ্ছে বাংলা, ইংরেজি, পদার্থ, রসায়ন, জীববিদ্যা, উচ্চতর গণিত, বিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, অর্থনীতি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, হিসাববিজ্ঞান । এই বইয়ের টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও কোনো প্রতিষ্ঠান বই ছাপার কাজ পাবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি এনসিটিবি। ফলে যথাসময়ে এসব বই নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে এনসিটিবি থেকে প্রেসমালিকদের জানানো হয়েছে দ্রæতই কার্যাদেশ দেওয়া হবে।

প্রথমবারের মতো আবার ১৮ কোটি বই এবার নতুন প্রযুক্তিতে বাঁধাই হবে। নতুন এ প্রযুক্তি সব প্রেস মালিক বা সংশ্লিষ্টদের কাছে নেই। আবার যাদের কাছে এ প্রযুক্তি নেই তারাও কাজ পেয়েছে। এ কারণে অন্যের কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে নতুন প্রযুক্তিতে কাজ শেষ করতে বাড়তি সময় লাগবে বলে প্রেস মালিকরা জানিয়েছেন।

এবার প্রাথমিকের বই নিয়ে জটিলতা বাড়ছে। গতবছর একই সময়ে আড়াই কোটি বই ছাপা হবার পর উপজেলা পর্যন্ত পৌছানো হলেও এবার এই স্তরের বই ছাপার কাজই শুরু করতে পারেনি প্রেস মালিকরা।

প্রেস মালিকরা জানিয়েছে, প্রাথমিকের বই কার্যাদেশ আগে পেলেও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গাফলতির কারণে বই ছাপার কাজ শুরু করা যায়নি। কারণ হিসাবে তারা বলেন, বই ছাপার পূর্বে কাগজের মান দেখার নিয়ম রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) নিয়োগ করা একটি মান যাচাই প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মান যাচাইয়ের ওই প্রতিষ্ঠান নিয়োগে বিলম্ব করে। এভাবে ডিপিই এক মাস সময় নষ্ট করেছে। এ কারণে যথাসময়ে বই ছাপা যাচ্ছে না। তবে চলতি সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে। এছাড়া এবার ৯৮টির মধ্যে ৯৬ লটের কাজ ৪২ দিনে শেষ করার কার্যাদেশ দিয়ে বইয়ের সিডি মুদ্রাকরদের সরবরাহ করা হয়। কিন্তু প্রেসে গিয়ে সিডি খুলে প্রেস মালিকরা দেখতে পায় প্রাথমিকের নয়, ইবতেদায়ি স্তরের বইয়ের সিডি দেয়া হয়েছে। এরপর এনসিটিবি ভুল সিডি ফেরত নেয়। পরে আসল সিডি সরবরাহ করে। এতেও সময় ক্ষেপন হয়।

এছাড়া মাধ্যমিকের কাগজ নিয়ে কাগজ সংকটের কথা জানান কয়েকজন প্রেস মালিক। তারা বলেন, আমাদের চাহিদা অনুযায়ী কাগজ পাওয়া যাচ্ছে না। একদিন কাগজ পেলে পরের দিন কাগজ পাওয়া যাচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রেস মালিক এই প্রতিবেদককে জানিয়েছে, আমি সাড়ে তিন কোটি টাকা কাগজ কেনার জন্য একটি কাগজ মিলে অর্ডার দিয়েছি। এখন পর্যন্ত মাত্র এক কোটি টাকার কাগজ পেয়েছি। মিলগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা কম থাকায় এই সমস্যা হয়েছে বলে তিনি জানান।

সূত্র জানিয়েছে, কিছু প্রতিষ্ঠান প্রতিবছরই নিন্মমানের বই ছাপে। কালো তালিকাভুক্ত হয়। আবার তারা পরবর্তীতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই ছাপার কাজও পায়। এনসিটিবির সঙ্গে অনৈতিক লেনদের কারণে এসব সুবিধা নিয়ে থাকেন তারা। এসব প্রেস মালিক এনসিটিবিকে বইয়ের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে বিলম্ব, কার্যাদেশে বিলম্ব করার ক্ষেত্রে পরামর্শ দিয়ে থাকে। এর কারণে হিসেবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বই ছাপার জন্য প্রেস মালিকদের কম সময় দেওয়া হলে কম সময় থাকার অযুহাতে নিন্মমানের বই ছাপলেও তা যাচাইয়ের সময় পায় না এনসিটিবি। এ কারণে নিন্মমানের বই ছাপলেও পার পেয়ে যান তারা।

এবার ২৬ জেলা বন্যায় আক্রান্ত হয়। পাঠদান বন্ধ হয়ে যায় কয়েকশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্যায় স্কুল ডুবে যাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয় স্কুলগুলো। ওই সব স্কুলে বই পৌছানো যাচ্ছে না। বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছি। যথাসময়ে বই পৌছে দিতে আমরা শিক্ষামন্ত্রণালয়কে কিছু পরামর্শ দিয়েছি। সে আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে যথাসময়ে বই পৌছে দেওয়া যাবে বলে তিনি জানান। যে জেলাগুলোতে বন্যা হয়েছে ওই সব এলাকায় বই রাখার জন্য কিছু গুদামঘর প্রস্তুত করার কথা বলেছি আমরা।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি আজ

প্রকাশ: ০৮:৫৫ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ৪৬তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আজ। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। 

সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এরপর কাউকে পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৯টায় উত্তরপত্র বিতরণ শুরু হবে। এছাড়া সকাল ১০টায় বিতরণ করা হবে প্রশ্নপত্র। দুপুর ১২টার আগে কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্র থেকে বের হতে পারবেন না।

পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা

পরীক্ষাকেন্দ্রে বইপুস্তক, সব ধরনের ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সামগ্রী নিয়ে কোনো প্রার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না।

পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না। কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ আগেই কমিশনের অনুমতি নিতে হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো প্রার্থীর কাছে এসব নিষিদ্ধসামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪-এর বিধি ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওই প্রার্থী অযোগ্য ঘোষিত হবেন।

পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরের ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকার ৯৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রতিটির জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

পিএসসি সচিবালয়ের কন্ট্রোল রুমে অতিরিক্ত আরও ১০ জন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন ক্যাডারে ৩ হাজার ১৪০ জন নিয়োগ দিতে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পিএসসি ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩ হাজার ১৪০ পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এতে বিসিএস সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে ৯২০ জন।

এ ছাড়া বিসিএস প্রশাসনে ২৭৪ জনকে, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, বিসিএস পরিবার পরিকল্পনায় ৪৯, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জনকে নেয়া হবে।


বিসিএস   পরীক্ষা   ক্যাডার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

অবশেষে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৪:১৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খুলেছিল না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষের বাইরের সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসেম্বলি বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত  আগামী  শনিবারেও (৪ মে) শ্রেণী কার্যক্রম চালু থাকবে।

এদিকে নতুন করে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ তিনদিন পর তাপমাত্রা কমবে কি না সেটারও নিশ্চয়তা নেই। পুরো এপ্রিল মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে। মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল চলমান তাপপ্রবাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করে মাউশি। এর ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   তীব্র তাপদাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এইচএসসির ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি

প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোঃ আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএসসি পরীক্ষার অনলাইনে ফরম পূরণের কার্যক্রম আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে পর্যন্ত ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে ফরম পূরণের ফি পরিশোধ করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী ০৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে এর ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে পর্যন্ত।


এইচএসসি পরীক্ষা   ফরম পূরণ   সোনালী সেবা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজে ক্লাস বন্ধ

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার জন্য ইতোমধ্যেই জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। এমন পরিস্থিতিতে আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপদাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এর আগে একই কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই ছুটি ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ছুটি শেষে আগামীকাল তা খোলার কথা ছিল। তার আগে আজ শনিবার দুই মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরগুলোর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে কিছুক্ষণ পরে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এর ফলে কার্যত এই ছুটি হবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। তাই ২৮ এপ্রিল খুলবে।

মাউশির মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি বা উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ পরিবর্তিত হতে পারে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলো মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একজন উপপরিচালক জানান, মাউশির অধীন স্কুল ও কলেজগুলোর মতো তাদের অধীন মাদ্রাসাগুলোও ছুটি থাকবে। অর্থাৎ মাদ্রাসাগুলোও খুলবে ২৮ এপ্রিল।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, তারাও মাউশির অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।


তীব্র তাপদাহ   গরম   শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯:০৮ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এ পরীক্ষা। তিন ইউনিটে পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১১ মে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার জানান, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

আগামী ২৭ এপ্রিল শনিবার ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান), ৩ মে শুক্রবার ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার 'সি’ ইউনিট (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা এবং অন্য দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২১ হাজার আসন রয়েছে। এই আসনের বিপরীতে এবার আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি। সেই হিসাবে প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ১৫ জন ভর্তিচ্ছু।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন