নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৫ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
মাসদার হোসেন মামলার মাধ্যমে যখন সেপারেশন অফ জুডিশিয়ারি হয় এবং ২০০৭ সালে গেজেট হয় যে জুডিশিয়ারি হচ্ছে সেপারেট এখানে এক্সিকিউটিভদের কোন হাত থাকবে না। এর পর থেকে আদালতের যে কোনো বিষয়ের দায়িত্ব হলো প্রধান বিচারপতির। এমনকি আদালতের কোনো বিচারককে কোথায় নিয়োগ বা পোস্টিং হবে এগুলোও প্রধান বিচারপতির কনসালটেশন ছাড়া হবে না। আদালত যদি বাইরে কোথাও বসাতে হয়, সেই ক্ষেত্রেও প্রধান বিচাপতির কনসালটেশন লাগবে।
বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত বিষয় হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কারাগারে আদালত স্থাপন। সেইসঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বেগম জিয়া গুরুতর অসুস্থ। দ্রুত তাঁর চিকিৎসা করা প্রয়োজন এবং তাঁরা বেগম জিয়ার চিকিৎসা ঢাকার একটি নির্দিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালে করানোর দাবি করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা বেগম জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অথবা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। বিষয় দুটির আইনগত দিক কি তা জানতে বাংলা ইনসাইডার মুখোমুখি হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের। তিনিই উল্লিখিত কথা বলেন। অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের সঙ্গে বাংলা ইনসাইডারের কথোপকথনের চুম্বক অংশটুকু তুলে ধরা হলো:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদার জিয়ার বিচারকার্যের জন্য পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আদালত স্থানান্তর করা হয়েছে। কারাগারে আদালত স্থাপন কতটা আইনসম্মত হয়েছে?
যেকোনোও বিচারের ক্ষেত্রে আদালত, মামলা, আসামি এবং বাদীপক্ষ এইসব বিষয় নিয়ে হয় বিচার। আদালত স্থাপনের বিষয়ে, কোথায় আদালত স্থাপন হবে তা আগে থেকেই নির্ধারণ করা থাকে। সেই নির্ধারিত থাকার ক্ষমতাটা ‘সেকশন ৯(২) অব সিআর.পি.সি.’তে দেওয়া আছে সরকারকে। যেমন আমাদের ঢাকা জেলা জজকোর্ট এটাও একসময় একটা গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হয়েছে যে, এটা হলো জেলা জজ আদালত। এখানে অনেকগুলো বিল্ডিং আছে। ঐ বিল্ডিংয়ের মধ্যেই ইন্টারনালি কে কোথায় বসবে এগুলো ডিসট্রিক্ট জজ এবং মেট্রো সেশন জজ ঠিক করে দেন। এইটাই হলো নিয়ম। সিআর.পি.সি. সেকশন অব ৯(২) তে যেটা বলা আছে, এক সময় ঐ আদালত যদি ঐ-স্থানের পরিবর্তে মোহাম্মদপুরে স্থাপন করা হতো, সেখানে তখন ক্ষমতাটা সরকারের হাতেই ছিল। আইন-মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গেজেট করে করা হতো।
বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা যে বলছে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করতে হবে। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ না করে কারাগারে আদালত স্থাপন আইন সম্মত নয় এই বিষয়ে আইন কি বলে?
পূর্বের আইনের সঙ্গে নতুন করে আরেকটি অধ্যায় যুক্ত হয়েছে তা হলো মাসদার হোসেন মামলা। মাসদার হোসেন মামলার মাধ্যমে যখন সেপারেশন অফ জুডিশিয়ারি হয় এবং ২০০৭ সালে গেজেট হয় যে জুডিশিয়ারি হচ্ছে সেপারেট এখানে এক্সিকিউটিভদের কোনো হাত থাকবে না। এর পর থেকে আদালতের যেকোনো বিষয়ের দায়িত্ব হলো প্রধান বিচারপতির। এমনকি আদালতের কোনো বিচারককে কোথায় নিয়োগ বা পোস্টিং হবে এগুলোও প্রধান বিচারপতির কনসালটেশন ছাড়া হবে না। আদালত যদি বাইরে কোথাও বসাতে হয়, সেই ক্ষেত্রেও প্রধান বিচাপতির কনসালটেশন লাগবে। এর আগে পিরোজপুরে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল, আমি আদালতে রিট পিটিশন করেছিলাম, আদালতের মাধ্যমে সেটা স্থগিত হয়ে গেছে। পরবর্তীতে সরকার এই গেজেট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মেহেন্দিগঞ্জেও আরও একটি ঘটনা ঘটেছিল, সেখানেও আদালত বরিশাল থেকে মেহেন্দিগঞ্জে স্থাপন করার ব্যবস্থা হয়েছিল, সেখানেও আমরা চ্যালেঞ্জ করেছি এবং কোর্ট বলে দিয়েছে না এটার কোন সুযোগ নাই, যেহেতু এটা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কনসালটেশন করে হয় নাই। আরও একটি মামলা আমি করেছি নারায়ণগঞ্জে। নারায়ণগঞ্জের একটা কোর্ট আড়াই হাজারে বসানোর জন্য গেজেট করা হয়েছিল। এটাও স্থগিত আছে। এমন যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সবগুলোর বিষয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে এবং সবগুলোর কার্যক্রমই স্থগিত আছে। মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরে, সেকশন ৯(২) এর যে এপ্লিকেশন, এই এপ্লিকেশনটা করতে হবে মাসদার হোসেন মামলার রায়ের সঙ্গে একত্র করে। অর্থাৎ এই দুটো বিষয় একত্রে বিশ্লেষণ করলে এটি ধারায় যে, আদালত যদি বাইরে কোথাও স্থাপন করতে হয় সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের কনসালটেশন প্রয়োজন হবে। কনসালটেশন ছাড়া যদি বাহিরে কোথাও আদালত স্থাপন করা হয়, তাহলে আইনগতভাবে এর কোনো ভিত্তি থাকে না।
বিএনপির পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ হাসপাতালের কথা বলা হচ্ছে। একজন আসামির পছন্দের বিশেষ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের বিষয়ে আইনে বিধান কি?
জেল-কোডের বিধান অনুযায়ী দুটো বিষয় আছে এখানে, একটা হলো, সাজাপ্রাপ্ত আসামি আরেকটি হলো হাজতি। হাজতি হচ্ছে রেগুলার মামলায় যারা আছেন এখনো কোন সাজা হয় নাই। এই লোকগুলো যদি অসুস্থ হয়, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জেলখানার ভিতরেই আছে। জেল-কোডে বলা আছে, জেলখানার ভিতরে যে ডাক্তার আছেন, তাঁরা যদি বলেন কোনো রোগের বিশেষ চিকিৎসা দরকার এবং জেলখানার ভিতরে সেই চিকিৎসার ব্যবস্থা নাই, তাহলে জেলখানার ভিতরের ডাক্তারের সুপারিশক্রমে বাইরে চিকিৎসা জন্য পাঠানো হয়। যেখানে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য সেইখানে প্রিজন সেল থাকতে হবে। প্রিজন সেলে তাদেরকে পাঠালে এখানে তাদের চিকিৎসা হয় এবং আবার তাঁরা চিকিৎসা শেষে তাঁরা কারাগারে ফিরে আসে। প্রিজন সেল ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে। এর বাইরেও এখন কিছু প্রাকটিস শুরু হয়েছে, যেমন আমরা দেখছি, ডায়াবেটিস হাসপাতালেও এখন চিকিৎসা হয়। তারপর স্কয়ার হাসপাতালেও চিকিৎসা হয়েছে। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার জেল কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে জেল কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করতে হবে। যদি জেল কর্তৃপক্ষ সুপারিশ করে যে কোন আসামির কোন রোগের চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই, বিদেশে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। তখন আসামি বিদেশে চিকিৎসার জন্য আবেদন করলে, আদালত তাঁকে চিকিৎসার জন্য জামিনও প্রদান করেন।
খালেদার জিয়ার বিষয়ে যে বিষয়টি হচ্ছে তা হলো: তাঁরা একটা বিশেষ হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কথা বলছে। অন্য কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে রাজি হচ্ছেন না। সে যেহেতু একটা রাজনৈতিক দলের প্রধান, এর মধ্যে তাই কিছুটা রাজনীতিও ঢুকে পড়েছে। সেই কারণেই সিদ্ধান্ত নিতেও কিছুটা দোদুল্যমানতা দেখা যাচ্ছে। তবে চিকিৎসা নেওয়াটা একটা মানুষের অধিকার। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের প্রচলিত যে বিধি-বিধান আছে তার মাধ্যমেই সমাধান করা যায়। তারপরেও কেউ যদি অন্য কোথাও চিকিৎসা করাতে চায়, এবং সরকার যদি সেই অনুমতি দেয় তাতে সরকারের কোনো ক্ষতি নাই। কারণ এর আগে সরকার এ বিষয়ে অনুমতি দিয়েছে। তবে যেখানেই অনুমতি দেওয়া চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হোক না কেন, সেই স্থানকে প্রিজন সেল ঘোষণা করতে হবে। প্রিজন সেল ঘোষণা ছাড়া এটা করা যাবে না। জেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রস্তাব আসলে সরকার এটা করতে বাধ্য।
বেগম খালেদার জিয়া যেহেতু একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান, তাঁর অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী ও সমর্থক আছে, তাই খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় তাঁরা শুধুমাত্র আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়টা মাথায় রেখেই কথা বলছেন না, তাঁরা আবেগ থেকেও অনেক কথা বলছেন। চিকিৎসার বিষয়ে তাঁরা হয়ত আস্থা পাচ্ছে না। এটাও যে অমূলক তা নয়, এর আগেও আমরা দেখেছি মহিউদ্দিন খান আলমগিরের চিকিৎসার বিষয়ে ঢাকা মেডিকেলের একটা বোর্ড করা হয়েছিল। তাঁরা সবাই ছিল ড্যাবের ডাক্তার। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাঁরা জানালো কোন সমস্যা নেই, কিন্তু তিনি অসুস্থ ছিলেন। কারণ আমাদের দেশের ডাক্তারোতো বিভক্ত। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব যে দলীয় ডাক্তারদের উপর পড়বে না, আমরা তা নিশ্চিত করে বলতে পারি না। এখন বিষয়টা যেহেতু আদালতে চলে এসেছে, তাই আদালত যে সিদ্ধান্ত প্রদান করবে আমাদেরকে সেটিই অনুসরণ করতে হবে।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে নিজেকে সুরক্ষার জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মরত
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৫টি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের দু’টি প্রশাসনিক অঞ্চল থেকে সম্প্রতি প্রকাশ করা আলাদা
আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ মেডিকেল অফিসার (পূর্বাঞ্চল) ডা. ইবনে সফি
আব্দুল আহাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষায় নিচের উপায়গুলো অনুসরণের অনুরোধ করা হলো—
১. পানিশূন্যতা থেকে রক্ষার জন্য প্রচুর পানি পান করুন। অতিরিক্ত
ঘাম হলে নিষেধ না থাকলে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন পান করুন। তৃষ্ণাবোধ না করলেও নির্দিষ্ট
সময় অন্তর পানি পান করতে হবে।
২. ঠান্ডা পানি ও বরফ পানি পান থেকে বিরত থাকুন।
৩. সুতির ঢিলেঢালা পোশাক ব্যবহার করুন। বাইরে বের হওয়ার সময় ছাতা,
টুপি ব্যবহার করুন।
৪. খাবারের মেন্যুতে আমিষ ও চর্বি জাতীয় খাবার কমিয়ে শাকসবজি বাড়াতে
হবে।
৫. শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্টের রোগী এবং হৃদরোগের
ওষুধ সেবন করেন এমন ব্যক্তির এই আবহাওয়ায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার স্বাক্ষরিত
আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতেও এই পাঁচ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এর সঙ্গে সূর্যের আলো থেকে
চোখ সুরক্ষার জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তাপপ্রবাহ রেল মন্ত্রণালয় মাঠ কর্মরতা নির্দেশনা
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হবে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের
সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার।
দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্র বন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান শেখ হাসিনা।
এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের
লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক
প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার
সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারি ভবনের অতিথি
বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
বৈঠক শেষে সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক
মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে, গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে
পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছলে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ
অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী
পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান।
থাইল্যান্ড বাংলাদেশ বাণিজ্য চুক্তি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়
বৈঠকে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট
হাউসে যান তিনি। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের
লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক
প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে
পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারি ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে দুই প্রধানমন্ত্রীর
উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।
বৈঠক শেষে সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক
মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে
পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছলে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ
অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী
পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান।
থাইল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে
উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপাররা (এসপি)। প্রভাব বিস্তারকারী
মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হলে নির্বাচন কমিশন পাশে থাকবে
কি না সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ এসব কর্মকর্তা। তাদের আশ্বস্ত
করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নেওয়া
যে কোনো পদক্ষেপের সঙ্গে কমিশন অবশ্যই পাশে থাকবে।
ইসি বলেছে, উপজেলা পরিষদে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন
দেখতে চায় কমিশন। বদলির ভয়ে কারও কাছে অবস্থান না বিকিয়ে প্রশাসন ও পুলিশকে নীতিতে
অটল থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাচন নিয়ে
মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে ইসির এক সভায় এসব বিষয় উঠে আসে।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সভায় চার নির্বাচন কমিশনার,
ইসি সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, আইজিপি,
সব বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ কমিশনার (সংশ্লিষ্ট), রেঞ্জের ডিআইজি, ডিসি, এসপি ও আঞ্চলিক
নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেন। নির্বাচন ভবনে সকাল ১১টা থেকে টানা তিন ঘণ্টা এ সভায়
সদস্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, ইভিএম, নির্বাচনে ডিউটিরত আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভাতা, নির্বাচনী আচরণবিধি ও মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তারসহ
বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভা থেকে উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করতে
মাঠ প্রশাসনকে নানা দিকনির্দেশনা দেয় ইসি। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর
সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা
দেওয়া হয়।
এ ছাড়া মোবাইল আর্থিক সেবা সার্ভিসের মাধ্যমে নির্বাচনে কালো টাকা
ছড়ানো বন্ধে কীভাবে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে—সে বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ
নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকের শুরুতে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উপজেলা নির্বাচনে
ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে,
তা ব্যর্থ হবে। উপজেলা ভোট ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে।
তিনি বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা
হয়। এর মধ্যেও ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশে
গণতন্ত্র আছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি আমরা ব্যর্থ হই তাহলে
আমাদের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা, যেটার দৃষ্টান্ত আপনারা ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করেছেন
সেটাও ক্ষুণ্ন হয়ে যেতে পারে।
সিইসির বক্তব্যের পর উপজেলা নির্বাচনের মাঠ পরিস্থিতি জানতে ডিসি-এসপিদের
কাছ থেকে বক্তব্য আহ্বান করা হয়। এরপর দুজন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, ছয় থেকে সাতটি
জেলার ডিসি ও এসপি, দুজন ডিআইজি ও দুজন বিভাগীয় কমিশনার তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন সচিব এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার মাঠ প্রশাসনের
উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, বক্তব্যে কয়েকজন ডিসি ও এসপি
মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তোলেন। এক্ষেত্রে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ
জাতীয় নির্বাচনে মন্ত্রী এমপিদের ভূমিকা ও বাড়াবাড়ি নিয়েও কথা বলেন কেউ কেউ। ফলে উপজেলা
নির্বাচনে তাদের নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাচনী আচরণবিধি মানাতে মাঠ প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ
নেবে কি না, সে সম্পর্কে কমিশনের কাছে জানতে চান। কারণ দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে মন্ত্রী-এমপিদের
অনেকেই নিজ স্বজনকে প্রার্থী করেছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে মাঠে নিজ ক্ষমতার
অপব্যবহার করছেন। সঙ্গে প্রশাসনকে তাদের পরিবারের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য
চাপ প্রয়োগ করছেন।
এ নিয়ে সভায় পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে আর্জি জানানো
হয়। তারা বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের পক্ষে কাজ না করলে অনেক সময় বদলির হুমকি আসে। পদোন্নতিসহ
সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হতে পারে।
কোনো কোনো ডিসি ও এসপি প্রভাবশালী মন্ত্রী এমপিদের নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ
করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে কমিশন আমাদের পাশে থাকবে কি না, আশ্রয়
দেবে কি না। নাকি মন্ত্রী এমপিরাই উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তদবির করে আমাদের
বদলি করে দেবেন।
জবাবে সিইসি শঙ্কিত ডিসি-এসপিদের আশ্বস্ত করে বলেন, কমিশন অবাধ,
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বদ্ধপরিকর। আপনাদের সবার আন্তরিক সহযোগিতা ও জোরালো ভূমিকার
কারণে সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সরকারও
ওই নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করে কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।
এবারের উপজেলা নির্বাচনেও সরকার আমাদের পাশে রয়েছে। সেজন্য অবাধ,
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে আপনারা যে ভূমিকা রাখবেন কমিশন সব সময় তার পাশেই
থাকবে। নির্বাচন কমিশনের কথা শোনার কারণে উচ্চমহল থেকে নির্বাচনে দায়িত্বরত কোনো কর্মকর্তার
বিরুদ্ধে বদলির জন্য সুপারিশ এলে তা কমিশন যথাযথ যাচাইয়ের পর প্রমাণ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত
নেবে। এ জন্য দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
বরিশালের পুলিশ কমিশনার বলেন, আমাদের ওপর চাপ রয়েছে। জবাবে আইজিপি
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ভয়ের কিছু নেই। সর্বোচ্চ শাস্তি বদলি করবে। আরেক
জায়গায় অর্থাৎ নতুন কর্মস্থলে চাকরি করবেন সমস্যা নেই, তবুও মাথা নত করা যাবে না। এ
সময় সিইসিসহ সব কমিশনার এ বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেন।
তারা বলেন, বদলি কোনো শাস্তি নয়। এটা চাকরির অংশ। কারও কথায় আপনাদের
বদলি করা হবে না। কমিশন নিজস্ব উৎস থেকে তদন্ত করবে। সিইসি আরও স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচনে
চাপ থাকবে। চাপ সবার ওপরই থাকে। তদন্তে প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ প্রভাব
বিস্তারের চেষ্টা করলে কমিশনকে জানালে তাৎক্ষণিক সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের
আশ্বাস দেন তিনি।
বৈঠকে কোনো কোনো বক্তা মাঠের চিত্র তুলে ধরে জানান, নির্বাচনে
স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী যেসব উপজেলায় রয়েছেন, সেখানে
আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে যে কটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি
বিএনপি বা জামায়াতের প্রার্থী রয়েছেন সেসব উপজেলায় এ আশঙ্কা আরও প্রকট। সেজন্য শুরু
থেকেই এসব এলাকায় বিশেষ নজর দিতে হবে, যাতে বড় ধরনের কোনো কিছু না ঘটতে পারে।
বৈঠকে পার্বত্য এলাকার সর্বশেষ পরিস্থিতির চুলচেরা বিশ্লেষণ করে
ওই এলাকার চারটি উপজেলা ভোট স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান তারা। এ ছাড়া পুরো
পাহাড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদারের পরামর্শ আসে বৈঠক থেকে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সেভাবে নেই। সেজন্য তারা এ নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে নানা ষড়যন্ত্র করতে পারে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় বিশেষ নজর রাখতে হবে।
সভায় জামালপুরের ডিসি তার এলাকার সব নির্বাচন ইভিএমে হচ্ছে জানিয়ে
বলেন, কিছু ইভিএমে ত্রুটি রয়েছে। সেগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না। তার এ বক্তব্যের পর ইভিএমের
চাহিদা দিলে নতুন করে তাকে ইভিএম সরবরাহ করা হবে বরণ জানায় কমিশন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ
নির্বাচনে দায়িত্ব পালন বাবদ বকেয়া টাকা দ্রুত পরিশোধেরও দাবি জানান এই ডিসি।
বৈঠকে কেউ কেউ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে সহায়ক হিসেবে ভোটকেন্দ্রে
দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং অফিসারদের
দায়ী করে পাশের উপজেলা থেকে তাদের আনা যায় কি না সেটি বিবেচনার অনুরোধ জানান। একইভাবে
গ্রাম পুলিশ বা আনসার বা চৌকিদার-দফাদার সদস্যদের নিয়েও প্রশ্ন তোলে তাদেরও পাশের ইউনিয়ন
থেকে আনার অনুরোধ করেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তবে কমিশন সেটি নাকচ করে দেয়।
এ ছাড়া সকালে ব্যালট ও ইভিএম কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া নিয়ে বাড়তি খরচ
দাবি করেন জেলা প্রশাসকরা। সেটিও নাকচ করে দেওয়া হয়। কুড়িগ্রামের ডিসি দুর্গম এলাকায়
ম্যাজিস্ট্রেট বাড়ানোর দাবি জানান।
সভার পরে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ভোট সুষ্ঠু অবাধ
ও নিরপেক্ষ করতে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে প্রতিটি উপজেলায়
২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে। ইসি সচিব বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাঠ
পর্যায়ে কী ধরনের প্রস্তুতি নেবে প্রশাসন, তাদের কী ধরনের সহযোগিতা করতে হবে এসব নিয়ে
আলোচনা হয়েছে। নিজ নিজ জেলার সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরেছেন কর্মকর্তারা।
অনেক জেলা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স চাওয়া হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে যেভাবে
নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেভাবেই দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ে
দায়িত্বপালনরতদের দু-তিন দিনের পরিবর্তে পাঁচ দিনের ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীনকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের পরিচালক সংস্থাপন মো. আনিসুজ্জামানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুনরাদেশ না হওয়া পর্যন্ত সেহেলী সাবরীনকে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, ফ্লোরিডাতে কনসাল জেনারেল হিসেবে বদলির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
২০০৫ সালের ২ জুলাই ২৪তম বিসিএসের (পররাষ্ট্র) সদস্য হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন সেহেলী সাবরীন।
২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রথম সচিব এবং ২০১৪-২০১৭ সালে জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মহাপরিচালক (কনস্যুলার ও কল্যাণ) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন সেহেলী সাবরীন।
ফ্লোরিডা কনসাল জেনারেল সেহেলী সাবরীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপাররা (এসপি)। প্রভাব বিস্তারকারী মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হলে নির্বাচন কমিশন পাশে থাকবে কি না সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ এসব কর্মকর্তা। তাদের আশ্বস্ত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নেওয়া যে কোনো পদক্ষেপের সঙ্গে কমিশন অবশ্যই পাশে থাকবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীনকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের পরিচালক সংস্থাপন মো. আনিসুজ্জামানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।