ইনসাইড বাংলাদেশ

‘আদালত বাইরে বসলে প্রধান বিচারপতির কনসালটেশন লাগবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৫ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

মাসদার হোসেন মামলার মাধ্যমে যখন সেপারেশন অফ জুডিশিয়ারি হয় এবং ২০০৭ সালে গেজেট হয় যে জুডিশিয়ারি হচ্ছে সেপারেট এখানে এক্সিকিউটিভদের কোন হাত থাকবে না। এর পর থেকে আদালতের যে কোনো বিষয়ের দায়িত্ব হলো প্রধান বিচারপতির। এমনকি আদালতের কোনো বিচারককে কোথায় নিয়োগ বা পোস্টিং হবে এগুলোও প্রধান বিচারপতির কনসালটেশন ছাড়া হবে না। আদালত যদি বাইরে কোথাও বসাতে হয়, সেই ক্ষেত্রেও প্রধান বিচাপতির কনসালটেশন লাগবে।

বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত বিষয় হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কারাগারে আদালত স্থাপন। সেইসঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বেগম জিয়া গুরুতর অসুস্থ। দ্রুত তাঁর চিকিৎসা করা প্রয়োজন এবং তাঁরা বেগম জিয়ার চিকিৎসা ঢাকার একটি নির্দিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালে করানোর দাবি করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা বেগম জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অথবা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। বিষয় দুটির আইনগত দিক কি তা জানতে বাংলা ইনসাইডার মুখোমুখি হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের। তিনিই উল্লিখিত কথা বলেন। অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের সঙ্গে বাংলা ইনসাইডারের কথোপকথনের চুম্বক অংশটুকু তুলে ধরা হলো:

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদার জিয়ার বিচারকার্যের জন্য পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আদালত স্থানান্তর করা হয়েছে। কারাগারে আদালত স্থাপন কতটা আইনসম্মত হয়েছে?

যেকোনোও বিচারের ক্ষেত্রে আদালত, মামলা, আসামি এবং বাদীপক্ষ এইসব বিষয় নিয়ে হয় বিচার। আদালত স্থাপনের বিষয়ে, কোথায় আদালত স্থাপন হবে তা আগে থেকেই নির্ধারণ করা থাকে। সেই নির্ধারিত থাকার ক্ষমতাটা ‘সেকশন ৯(২) অব সিআর.পি.সি.’তে দেওয়া আছে সরকারকে। যেমন আমাদের ঢাকা জেলা জজকোর্ট এটাও একসময় একটা গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হয়েছে যে, এটা হলো জেলা জজ আদালত। এখানে অনেকগুলো বিল্ডিং আছে। ঐ বিল্ডিংয়ের মধ্যেই ইন্টারনালি কে কোথায় বসবে এগুলো ডিসট্রিক্ট জজ এবং মেট্রো সেশন জজ ঠিক করে দেন। এইটাই হলো নিয়ম। সিআর.পি.সি. সেকশন অব ৯(২) তে যেটা বলা আছে, এক সময় ঐ আদালত যদি ঐ-স্থানের পরিবর্তে মোহাম্মদপুরে স্থাপন করা হতো, সেখানে তখন ক্ষমতাটা সরকারের হাতেই ছিল। আইন-মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গেজেট করে করা হতো।

বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা যে বলছে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করতে হবে। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ না করে কারাগারে আদালত স্থাপন আইন সম্মত নয় এই বিষয়ে আইন কি বলে?

পূর্বের আইনের সঙ্গে নতুন করে আরেকটি অধ্যায় যুক্ত হয়েছে তা হলো মাসদার হোসেন মামলা। মাসদার হোসেন মামলার মাধ্যমে যখন সেপারেশন অফ জুডিশিয়ারি হয় এবং ২০০৭ সালে গেজেট হয় যে জুডিশিয়ারি হচ্ছে সেপারেট এখানে এক্সিকিউটিভদের কোনো হাত থাকবে না। এর পর থেকে আদালতের যেকোনো বিষয়ের দায়িত্ব হলো প্রধান বিচারপতির। এমনকি আদালতের কোনো বিচারককে কোথায় নিয়োগ বা পোস্টিং হবে এগুলোও প্রধান বিচারপতির কনসালটেশন ছাড়া হবে না। আদালত যদি বাইরে কোথাও বসাতে হয়, সেই ক্ষেত্রেও প্রধান বিচাপতির কনসালটেশন লাগবে। এর আগে পিরোজপুরে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল, আমি আদালতে রিট পিটিশন করেছিলাম, আদালতের মাধ্যমে সেটা স্থগিত হয়ে গেছে। পরবর্তীতে সরকার এই গেজেট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মেহেন্দিগঞ্জেও আরও একটি ঘটনা ঘটেছিল, সেখানেও আদালত বরিশাল থেকে মেহেন্দিগঞ্জে স্থাপন করার ব্যবস্থা হয়েছিল, সেখানেও আমরা চ্যালেঞ্জ করেছি এবং কোর্ট বলে দিয়েছে না এটার কোন সুযোগ নাই, যেহেতু এটা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কনসালটেশন করে হয় নাই। আরও একটি মামলা আমি করেছি নারায়ণগঞ্জে। নারায়ণগঞ্জের একটা কোর্ট আড়াই হাজারে বসানোর জন্য গেজেট করা হয়েছিল। এটাও স্থগিত আছে। এমন যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সবগুলোর বিষয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে এবং সবগুলোর কার্যক্রমই স্থগিত আছে। মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরে, সেকশন ৯(২) এর যে এপ্লিকেশন, এই এপ্লিকেশনটা করতে হবে মাসদার হোসেন মামলার রায়ের সঙ্গে একত্র করে। অর্থাৎ এই দুটো বিষয় একত্রে বিশ্লেষণ করলে এটি ধারায় যে, আদালত যদি বাইরে কোথাও স্থাপন করতে হয় সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের কনসালটেশন প্রয়োজন হবে। কনসালটেশন ছাড়া যদি বাহিরে কোথাও আদালত স্থাপন করা হয়, তাহলে আইনগতভাবে এর কোনো ভিত্তি থাকে না। 

বিএনপির পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ হাসপাতালের কথা বলা হচ্ছে। একজন আসামির পছন্দের বিশেষ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের বিষয়ে আইনে বিধান কি? 

জেল-কোডের বিধান অনুযায়ী দুটো বিষয় আছে এখানে, একটা হলো, সাজাপ্রাপ্ত আসামি আরেকটি হলো হাজতি। হাজতি হচ্ছে রেগুলার মামলায় যারা আছেন এখনো কোন সাজা হয় নাই। এই লোকগুলো যদি অসুস্থ হয়, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জেলখানার ভিতরেই আছে। জেল-কোডে বলা আছে, জেলখানার ভিতরে যে ডাক্তার আছেন, তাঁরা যদি বলেন কোনো রোগের বিশেষ চিকিৎসা দরকার এবং জেলখানার ভিতরে সেই চিকিৎসার ব্যবস্থা নাই, তাহলে জেলখানার ভিতরের ডাক্তারের সুপারিশক্রমে বাইরে চিকিৎসা জন্য পাঠানো হয়। যেখানে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য সেইখানে প্রিজন সেল থাকতে হবে। প্রিজন সেলে তাদেরকে পাঠালে এখানে তাদের চিকিৎসা হয় এবং আবার তাঁরা চিকিৎসা শেষে তাঁরা কারাগারে ফিরে আসে। প্রিজন সেল ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে। এর বাইরেও এখন কিছু প্রাকটিস শুরু হয়েছে, যেমন আমরা দেখছি, ডায়াবেটিস হাসপাতালেও এখন চিকিৎসা হয়। তারপর স্কয়ার হাসপাতালেও চিকিৎসা হয়েছে। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার জেল কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে জেল কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করতে হবে। যদি জেল কর্তৃপক্ষ সুপারিশ করে যে কোন আসামির কোন রোগের চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই, বিদেশে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। তখন আসামি বিদেশে চিকিৎসার জন্য আবেদন করলে, আদালত তাঁকে চিকিৎসার জন্য জামিনও প্রদান করেন।

খালেদার জিয়ার বিষয়ে যে বিষয়টি হচ্ছে তা হলো: তাঁরা একটা বিশেষ হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কথা বলছে। অন্য কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে রাজি হচ্ছেন না। সে যেহেতু একটা রাজনৈতিক দলের প্রধান, এর মধ্যে তাই কিছুটা রাজনীতিও ঢুকে পড়েছে। সেই কারণেই সিদ্ধান্ত নিতেও কিছুটা দোদুল্যমানতা দেখা যাচ্ছে। তবে চিকিৎসা নেওয়াটা একটা মানুষের অধিকার। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের প্রচলিত যে বিধি-বিধান আছে তার মাধ্যমেই সমাধান করা যায়। তারপরেও কেউ যদি অন্য কোথাও চিকিৎসা করাতে চায়, এবং সরকার যদি সেই অনুমতি দেয় তাতে সরকারের কোনো ক্ষতি নাই। কারণ এর আগে সরকার এ বিষয়ে অনুমতি দিয়েছে। তবে যেখানেই অনুমতি দেওয়া চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হোক না কেন, সেই স্থানকে প্রিজন সেল ঘোষণা করতে হবে। প্রিজন সেল ঘোষণা ছাড়া এটা করা যাবে না। জেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রস্তাব আসলে সরকার এটা করতে বাধ্য। 

বেগম খালেদার জিয়া যেহেতু একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান, তাঁর অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী ও সমর্থক আছে, তাই খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় তাঁরা শুধুমাত্র আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়টা মাথায় রেখেই কথা বলছেন না, তাঁরা আবেগ থেকেও অনেক কথা বলছেন। চিকিৎসার বিষয়ে তাঁরা হয়ত আস্থা পাচ্ছে না। এটাও যে অমূলক তা নয়, এর আগেও আমরা দেখেছি মহিউদ্দিন খান আলমগিরের চিকিৎসার বিষয়ে ঢাকা মেডিকেলের একটা বোর্ড করা হয়েছিল। তাঁরা সবাই ছিল ড্যাবের ডাক্তার। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাঁরা জানালো কোন সমস্যা নেই, কিন্তু তিনি অসুস্থ ছিলেন। কারণ আমাদের দেশের ডাক্তারোতো বিভক্ত। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব যে দলীয় ডাক্তারদের উপর পড়বে না, আমরা তা নিশ্চিত করে বলতে পারি না। এখন বিষয়টা যেহেতু আদালতে চলে এসেছে, তাই আদালত যে সিদ্ধান্ত প্রদান করবে আমাদেরকে সেটিই অনুসরণ করতে হবে।


বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিয়ের ২৪ দিনের মাথায় ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৬:৫২ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিয়ের মাত্র ২৪ দিনের মাথায় ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে চাঁদপুরের এক ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। 

সোমবার (৬ মে) দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্তব্যপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।  

মারা যাওয়া নারীর নাম নুসরাত জাহান মাহি (১৯)। তিনি গন্তব্যপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির হোসেনের স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, ঈদুল ফিতরের পরের দিন জাকির ও নুসরাতের বিয়ে হয়। পারিবারিক কোন্দল নাকি অন্য কোনো কারণে নুসরাত আত্মহত্যা করেছেন তা কেউ জানেন না।

গন্তব্যপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, আমি শাহরাস্তির চেরিয়ারা স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক হিসেবে রয়েছি। দুপুরে ফোনে খবর পেলাম নুসরাত গলায় ফাঁস দিয়েছে। বাড়িতে গিয়ে দেখি ও মারা গেছে। আমি কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশীদ বলেন, আমরা লাশ থানায় এনেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ছাত্রলীগ   আত্মহত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ০৬:৫৩ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

নওগাঁর নিয়ামতপুরে ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পরও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা চেয়ারম্যান ওই চার জন পদপ্রার্থী নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সোমবার (০৬ মে) সকালে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জাহিদ হাসান বিপ্লব ও আবেদ হাসান মিলন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা নিশ্চিত করেন।


এর আগে, রবিবার (০৫ মে) সন্ধ্যায় আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ ও শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন ফেসবুক লাইভে এসে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। 

 

নির্বাচন বর্জনকারী প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহ- সভাপতি শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব এবং নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন। 



এদিকে গত ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর আবুল কালাম আজাদ (কাপ পিরিচ), শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন (ঘোড়া), জাহিদ হাসান বিপ্লব (হেলিকপ্টার) ও আবেদ হাসান মিলন (আনারস) প্রতীক পেয়েছিলিন। প্রতীক বরাদ্দের পর তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগও চালিয়েছেন।

 

অভিযোগ কারীরা জানান, ‘উপজেলায় সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করতে আমরা ইতিমধ্যে সব প্রস্ততি সম্পন্ন শেষ করেছি। সরকার ও আওয়ামী লীগ দলের নির্দেশে এবং খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপির ভাবমূর্তি ও সম্মান রক্ষা করার জন্য সবসময় তাকে নিরপেক্ষ রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকরা আইন ও নির্দেশ অমান্য করে খাদ্যমন্ত্রী ও তার পরিবারের নাম ব্যবহার করছে। আমাদের বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে তারা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় অধিকাংশ নেতাকর্মীরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই প্রতিদ্বন্দ্বির পক্ষে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি ইউপি চেয়ারম্যানগণকে বাধ্য করা হচ্ছে ওই পক্ষের হয়ে কাজ করতে। এমত অবস্থায় নিয়ামতপুর উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা এবং দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হানাহানি ও দ্বন্দ্ব ইত্যাদি রক্ষায় আমরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলাম।’

 

উল্লেখ্য, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে ছয় জন প্রার্থীই প্রতীক পেয়েছিল। এখন নির্বাচনী মাঠে রইলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেন।


উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান প্রার্থী   বর্জন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন (আনারস) ও রাশেদ ইউসুফ জুয়েলকে (দোয়াত কলম) শোকজ করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।

 

সোমবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনকে ১২ ঘণ্টা এবং দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী রাশেদ ইউসুফ জুয়েলকে ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে শোকজের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

 

শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, রাশেদ ইউসুফ জুয়েল (দোয়াত কলম) আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কর্মী-সমর্থক দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন মর্মে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩ ও বিধি ৩১ এর পরিপন্থি।

 

এ অবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে রাশেদ ইউসুফ জুয়েলের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে গতকাল রোববার নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় উপজেলা পরিষদ বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

 

রিয়াজ উদ্দিনের নোটিশে বলা হয়েছে, রোববার (৫ মে) রাতে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কাদাই গার্ডেন প্যালেস রিসোর্টে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে অর্থ লেনদেনের চেষ্টা করেছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের সমর্থক রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফজলুর রহমান ফজলু আনারস প্রতিকের টি-শার্ট পরে শহরের মাহমুদপুর এলাকায় ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণ করেছেন মর্মে লিখিত অভিযোগ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী  রাশেদ ইউসুফ জুয়েল। এমন কর্মকান্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ১৭ এর পরিপন্থি।

 

এ অবস্থায় আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় উপজেলা পরিষদ বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রসঙ্গত, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মোট পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 


উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান প্রার্থী   শোকজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে পটুয়াখালীতে স্বস্তির বৃষ্টি


Thumbnail

দীর্ঘ তীব্র তাপপ্রবাহের শেষে অবশেষে পটুয়াখালীতে দেখা মিলেছে স্বস্তির বৃষ্টির। সোমবার (৬ মে) বিকেল ৪ টার দিকে আকাশে মেঘ করে শীতল হাওয়া বইতে শুরু করে তারপর সাড়ে ৪ টার দিকে হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। মুষলধারে বৃষ্টি না হলেও তীব্র গরমে হাঁপিয়ে ওঠা জনজীবন একটু হলেও স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছে।

 

মানুষ বৃষ্টি দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছেন। অনেকে মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতে গা ভিজিয়ে নিচ্ছেন মনের আনন্দে। অনেকে আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে জানান দেন স্বস্তির বৃষ্টি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কেউ কেউ সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছেন।

উল্লেখ্য, এবার এপ্রিলে দীর্ঘতম তাপদাহ বয়ে গেছে দেশজুড়ে। ১৯৮১ সালের পর এবারের এপ্রিল ছিল শুষ্কতম মাস। শুধু উষ্ণতম নয়, এই এপ্রিল ছিল গত ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শুষ্কতম। দেশের গড় বৃষ্টিপাত ছিল এক মিলিমিটার।


বৃষ্টি   স্বস্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মঙ্গলবার থেকে খুলছে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রকাশ: ০৬:১৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার থেকে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রম চলতি শিক্ষাবর্ষের (২০২৪) বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী চলবে।

ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও সারা দেশে তীব্র দাবদাহের কারণে বন্ধের মেয়াদ ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যেই গত ২৮ এপ্রিল থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। পরদিন হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসার ক্লাস বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

প্রাথমিক বিদ্যালয়   প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন