নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২২ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
‘পর্যটনশিল্পের বিকাশে তথ্যপ্রযুক্তি’-এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস। পর্যটনের ভূমিকা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উপযোগিতাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া এ দিবসের লক্ষ্য।
প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডসহ বিভিন্ন পর্যটন সংস্থা দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পর্যটন শিল্পের অবদান নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পর্যটন ব্যবসা পরিচালনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে শুরু হচ্ছে তিন দিনের ‘ট্যুরিজম ফেস্ট ২০১৮’। বিকেল সাড়ে ৩টায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল ও চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদ আয়োজন করেছে বাংলাদেশি ফুড ফেস্টিভ্যাল।
এদিকে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে শুক্রবার তিন দিনব্যাপী ৭ম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার-২০১৮ শুরু হচ্ছে ঢাকায়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল এ মেলা উদ্বোধন করবেন। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সার্বিক সহযোগিতায় পর্যটন বিচিত্রা এ ট্যুরিজম ফেয়ারের আয়োজন করছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে। মেলায় বাংলাদেশসহ ভারত, নেপাল, চায়না, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন পর্যটন সংস্থার ১২০টি স্টল অংশ নেবে।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডব্লিউটিও) উদ্যোগে ১৯৮০ সাল থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর দিবসটি পালন করা হয়।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
ডা. সামন্ত লাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৪ ড. আওলাদ হোসেন জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ
মন্তব্য করুন
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিনয় মোহন কোয়াত্রা
মন্তব্য করুন
সারা জীবন চাকরি করছেন। চাকরি করলেও তিনি একজন ভিশনারি সরকারি চাকুরে ছিলেন। একটা লক্ষ্যে সারা জীবন নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একটা লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মানবসেবাই তাঁর ব্রত। বাংলাদেশে দগ্ধ মানুষের জন্য তিনি একজন ত্রাতা এবং দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে সমাদৃত। একজন মানবিক চিকিৎসকের প্রতিরূপ তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’