নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৩ জুলাই, ২০২১
ভারতে মোদি বিরোধী তীব্র আন্দোলন শুরু হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে মোদি সরকারের জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে। বিশেষ করে একের পর এক ব্যর্থতার পর এখন পেগাসাস কেলেঙ্কারিতে উত্তাল ভারত। ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, সরকারবিরোধী যে আন্দোলন সে আন্দোলন খুব শীঘ্রই বিস্তৃত হবে এবং মোদি সরকারের বিদায়ের ঘণ্টা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ভারতের মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে নাকি নতুন নির্বাচন পর্যন্ত মাটি কামড়ে পড়ে থাকবে মোদি সরকার সেটি নিয়ে নানারকম তর্ক-বিতর্ক এখন ভারতের রাজনীতিতে বড় আলোচনার বিষয়। দ্বিতীয় মেয়াদের মোদি সরকার একের পর এক ব্যর্থতাকে বরণ করছে। যেখানে হাত দিচ্ছে সেখানে মোদি সরকার ব্যর্থ হচ্ছে এবং সমালোচিত হচ্ছে। সমালোচনা থেকে মুক্ত পাওয়ার জন্য মোদি নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার রদবদল করেন। কিন্তু রদবদল করতে করতে পেগাসাস কেলেঙ্কারি মোদি সরকারকে নতুন করে বিতর্কের মুখে ফেলেছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের কর্তৃত্ববাদী শাসন, ভিন্নমত এবং মুক্তচিন্তার মানুষদের দমন করার জন্য শুরু থেকে মোদি সরকার সমালোচিত হচ্ছিল। এরপর শুরু হলো কৃষক আন্দোলন। কৃষক আন্দোলনে মোদি সরকার শুধুমাত্র পুঁজিপতিদের পক্ষে থাকেন বলেই সমালোচিত হন। কৃষক আন্দোলনের রেশ না কাটতে কাটতেই ভারতে ছড়িয়ে পড়ে করোনা। মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পিছনে মোদি সরকারকে দায়ী করেন অনেকে। বিশেষ করে সেই সময় বিভিন্ন অঞ্চলে উপনির্বাচন এবং হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব করোনার মহামারীর জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। এই সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও মোদি বিতর্কিত হয় এবং বিপদে পড়েন। বিশেষ করে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেশে দেশে সমালোচিত হয়েছেন মোদি সরকার। এই অঞ্চলে একাকীত্বকে বরণ করে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
এখন সার্ক অঞ্চলের মূল কর্তৃত্ব চীনের হাতে চলে গেছে এমন সমালোচনাও ভারতের মধ্যে প্রায়ই শোনা যায়। মোদির কাশ্মীর নীতিও প্রশংসিত হয়নি দেশেই। বিশেষ করে কাশ্মীরে যেভাবে দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে তা ভারতবাসীই পছন্দ করেনি। এরকম অবস্থায় সর্বশেষ পশ্চিমবাংলা নির্বাচনকে ঘিরে মোদি সরকার যেভাবে ব্যাপকভাবে প্রচারণায় নেমেছিলেন এবং পশ্চিমবাংলা দখলের জন্য নরেন্দ্র মোদি অমিত শাহ জুটি যেভাবে নেমেছিলেন তা একেবারে জনমতের লড়াইয়ে পরিণত হয়। সেই জনমতের লড়াইয়ে মমতা ব্যানার্জির কাছে গো হারা হেরে যান নরেন্দ্র মোদি সরকার। এরপর থেকেই ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মোদি বিরোধী আন্দোলন করার জন্য একাট্টা হচ্ছেন এবং সেই আন্দোলনে এখন মমতা ব্যানার্জিকে সামনে রেখেই একটি পরিকল্পনা আঁকা হচ্ছে। এখন পার্লামেন্টে বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে এবং সরকারের পদত্যাগ দাবি করছে। ভারতের রাজনীতি সম্বন্ধে যারা খোঁজ-খবর রাখেন তারা বোঝেন যে, ভারতের পার্লামেন্টের আন্দোলনের সূচনা হয় তা রাজপথে ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগে না। তাছাড়া এমনিতে ভারতে অর্থনৈতিক মন্দা, বেকারত্ব, করোনা কারণে মানুষের মধ্যে নানারকম সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এরকম একটি পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদি বিরোধী আন্দোলন অবশ্যম্ভাবী।
সাম্প্রতিক সময় বাংলাদেশের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। বিশেষ করে দ্বিতীয় মেয়াদে মোদি সরকারের মধ্যে এক ধরনের বাংলাদেশ বিরোধী কার্যক্রম প্রচ্ছন্নভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যদিও নরেন্দ্র মোদি এর মধ্যে বাংলাদেশে এসেছেন এবং বার বার করে বলছেন বন্ধুত্বের দিক থেকে বাংলাদেশই প্রথম। কিন্তু মুখে যাই বলুক না কেন বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে যে, পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ, টিকা রফতানি বন্ধ, নাগরিকত্ব ইস্যু এবং সীমান্ত হত্যা ইত্যাদি নিয়ে মোদি সরকার বাংলাদেশকে চেপে ধরারই এক কৌশল গ্রহণ করেছেন। এই কৌশলের মধ্যে যখন মোদি বিরোধী এক আন্দোলন শুরু হতে যাচ্ছে তখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, এই আন্দোলনে বাংলাদেশের লাভ হবে না ক্ষতি হবে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারতের যেকোনো সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে এগিয়ে যেতে চায়। আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছিল তখন কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর ভারতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসে। তখন মনে করা হয়েছিল যে, বিজেপি সরকার আসলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বিষয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নষ্ট হবে। কারণ আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিক ভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা একটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল নরেন্দ্র মোদির প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতা পেয়েছিল। কাজেই, ভারতের রাজনৈতিক আন্দোলন ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতে যে সরকারই আসুক না কেন তারা বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক সেকুলার রাজনৈতিক শক্তিকে দেখতে চায়। সে দিক দিয়ে ভারতে মোদি বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশে কোন প্রভাব বা প্রতিক্রিয়া পড়বে না বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
মন্তব্য করুন
চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তার সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী তাহেরা আলমও। শুক্রবার রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী শারীরিকভাবে অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আমেরিকার গিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তারা দেশে ফিরবেন।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হওয়ার কয়েক দিন পর আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ঢাকার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ তিন মাসের বেশি সময় কারাগারে ছিলেন তিনি। কারাগারে থাকার সময় থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। তার ওজনও কমেছে ৮ কেজি । জামিনে মুক্ত হওয়ার পর আমির খসরু একাধিকবার ঢাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখিয়েছেন।
আমীর খসরু বিএনপি চিকিৎসার যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
দাবদাহে পুড়ছে সারাদেশ। তীব্র তাপে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। এরই মধ্যে একপশলা বৃষ্টি সিলেটবাসীর মনে আনলও প্রশান্তি।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১১টা থেকে সিলেটে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। ঘণ্টাব্যাপী চলা বৃষ্টিতে ফিরেছে স্বস্তি।
এদিন সন্ধ্যা থেকেই মৃদু হাওয়া বইছিল সিলেটে। রাত ১১টায় আসে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। সঙ্গে ছিল দমকা হাওয়া।
বৃষ্টি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নেমে আসেন অনেকে। বৃষ্টির প্রতিটা ফোঁটা গায়ে লাগিয়ে উপভোগ করতে থাকেন। অনেকে বৃষ্টির ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
মন্তব্য করুন
সূর্যের জ্বলন্ত রশ্মিতে যেন টগবগে আগুন ঝরছে। নিজের উত্তাপ শক্তিমত্তা জানান দিতে বিন্দুমাত্র ছাড় দিচ্ছে না শহর, গ্রাম, পথ-ঘাট, সড়ক-মহাসড়ক সবখানেই সূর্যের খরতা! পিচঢালা পথ যেন জ্বলন্ত উনন। জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা এ জীবন যেন ওষ্ঠাগত। গত কয়েক দিন, দেশজুড়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহে তেতে উঠেছে প্রাণিকুলও। বাতাসেও আগুনের ছটা। স্মরণকালের দাবদাহ চলছে দেশে। থমকে আছে জনজীবন। নাভিশ্বাসে পরিণত হয়েছে জীবনচলা। দূর্ভোগ পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ থেকে মধ্যবিত্তরা।
এদিকে, তীব্র তাপদাহের ফলে কৃষক থেকে দৈনিক মুজুরিতে কাজ করা মানুষদের জীবনে নেমেছে অন্ধকার। তাপপ্রবাহের কারণে শুরু হয়েছে 'হিটষ্ট্রোক'। প্রতিনিয়তই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বৃষ্টির জন্য দেশের মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে হাহাকার। উত্তপ্ত রোদে রাজধানীসহ জেলায় জেলায় হচ্ছে বিশেষ নামাজ।
সম্প্রতি আবহাওয়া অফিস সতর্ক দিয়ে জানিয়েছে, দরকার না পড়লে বাসা থেকে মানুষ বের হচ্ছে কম, কর্মদিবসেও সড়ক অনেকটা ফাঁকা, যাত্রীর জন্য ডেকে হয়রান বাস শ্রমিকরা।
এমতাবস্থায় বসে নেই সরকার। জনজীবনে স্বস্তি দিতে নিচ্ছে বিশেষ বিশেষ পদক্ষেপ। সম্প্রতি ঢাকার রাস্তায় ছিটানো হচ্ছে পানি। জনগনের রাস্তায় চলাচলে কিছুটা স্বস্তির জন্য এসব পদাক্ষেপেও কমছেনা দূর্ভোগ। ক্রমেই তাপমাত্রা বেড়েই চলছে।
কিন্তু কেন হঠাৎ এতো উত্তপ্ত সূর্য? কেনোইবা তীব্র গরমে নাভিশ্বাস হয়ে আছে দেশের মানুষ?
তাপমাত্রা বাড়ায় উত্তর মেরুর জমাট বাধা বরফ এবং হিমবাহগুলো দ্রুত গলে যাচ্ছে। ফলে সাগরের উচ্চতা বেড়ে উপকুলের নিচু এলাকাগুলো ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।
এছাড়া বিশ্বের অনেক অঞ্চলে মাটিতে জমে থাকা বরফ গলতে থাকায় বরফের নিচে আটকে থাকা মিথেন গ্যাস বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে, মিথেনের মত আরেকটি গ্রিনহাউজ গ্যাস জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। পৃথিবীর উষ্ণতা তাতে আরো বাড়বে, এবং বন-জঙ্গলে আগুন লাগার ঝুঁকি বাড়বে।
আর এই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের উপর। সংকট এতোটাই প্রবল হয়েছে যে ৩ কোটি ৩০ লাখ শিশুর স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তাপমাত্রা নিয়ে যে পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে তার চেয়ে বেশি গরম পড়ছে। জলবায়ু বিশারদ গ্যাভিন বলছেন, ‘এর মানে গবেষণায় কিছু ফাঁক রয়ে যাচ্ছে। হয় পরিবেশব্যবস্থায় পরিবর্তন এসেছে, নাহলে এমন কিছু হচ্ছে যা আমরা এড়িয়ে যাচ্ছি।’
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জ্যেষ্ঠ জলবায়ু বিশারদ গ্যাভিন স্মিড বলছেন, গত বছরের গরমের কারণ হিসেবে এল ন্যানোর কথা বলা যেতে পারে। কিন্তু এভাবে গরম বেড়ে যাওয়ার যথাযথ কারণ এখনো জানা যায়নি। ব্যাপারটি উদ্বেগজনক।
বিবিসি বলছে, জলবায়ু সংকটের কারণে বিশ্বে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৩০ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার বাড়লে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর ৩ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।
সাধারণত কোন দেশের স্থানীয় সময়ের প্রায় একই সময়ে উত্তপ্ত হয় সূর্য। তবে পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম দিকের পার্শ্বে সূর্য একই সময়ে উত্তপ্ত হয় না যার কারণ হিসেবে ধরা হয়, পৃথিবীর বিকেন্দ্রীভূত অবস্থানের কারণে পৃথিবীতে সময়ের পরিবর্তন। সম্পূর্ণ পৃথিবীতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা সময় নেয় সূর্য কে একটি পূর্ণ বৃত্তে ঘুরাতে এবং এক দিনে আপনি সূর্য উত্তপ্ত দেখতে পারেন তখন যখন এটি হরিজন্ম লাইন সীমান্তের উপর অবস্থান করে। আর এই সময়েই বিভিন্ন দেশের সময়ের কারণে হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, শেষ তিন দশকে বাংলাদেশের আবহাওয়া আগের তুলনায় উষ্ণ হয়ে উঠেছে। বৃষ্টিপাত ও শীতের দিন কমছে, বছরের বড় অংশজুড়ে গরমের বিস্তার বাড়ছে। গড় তাপমাত্রা বেড়ে এপ্রিল মাস আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
সূর্যের এতো উত্তাপ কেন?
নিউক্লিয়ার ফিউশন এর জন্য সৌর পৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়ে থাকে। নিউক্লিয়ার ফিউশন এর জন্য একটা প্রাথমিক উচ্চ তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়।
কোথা থেকে আসে এত তাপমাত্রা?
সূর্যের অন্তঃকেন্দ্র এত বেশি পরিমাণে গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স কাজ করে যে সেইখানে অত্যধিক চাপ এবং উষ্ণতা উৎপন্ন হয় এবং এই উষ্ণতা প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। এত বেশি তাপমাত্রায় দুটো হাইড্রোজেন একসাথে মিলিত হয়ে হিলিয়াম পরমাণুতে পরিণত হয় এবং বেশকিছু শক্তি নিঃসৃত করে।
এছাড়াও, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে..
গ্রীষ্মকালীন পরিবর্তন: অতিরিক্ত গরমে জীবন আবহাওয়ার সাথে পরিবর্তন হতে পারে। শীতলতা এবং অতিরিক্ত উষ্ণতা প্রদানের জন্য বাসা বা কার্যস্থলে কুলিং সরঞ্জাম ব্যবহার করা।
গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা: গ্রীষ্মকালে পৃথিবীতে পরিবর্তনশীল সূর্যের প্রভাবে তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
বন্যা: বন্যার জন্য বেড়ে যেতে পারে তাপমাত্রা। বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত কার্বনডাইঅক্সাইড এবং গ্রীষ্মাক্ত গ্যাস হারিয়ে যাযওয়ার কারণে তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
উষ্ণতার সাধারণ বৃদ্ধি: তাপমাত্রা বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে ব্যক্তিগত যাতায়াত। সাধারণত উচ্চাকাঙ্খা মানুষজনের বিলাশিতায় এসি না শিতল যন্ত্র এবং উন্নত পরিবেশের ব্যবস্থাপনারর ফলে অতিরিক্ত গরমের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
গ্রীষ্মকালীন ক্লাইমেট চেঞ্জ: পুরো বিশ্বে গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বা আন্তর্জাতিক উষ্ণতার উত্থান এবং বৃদ্ধির কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও ২০২২ সালের জানুয়ারিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ টোঙ্গার উপকূলে হুনগা টোঙ্গা–হুনগা হাপাই আগ্নেয়গিরিতে পানির নিচ থেকে শুরু হয় অগ্নুৎপাত। তাতে যে গ্যাস বের হয়, তা পরিবেশের অনেক ক্ষতি করেছে। কিন্তু এতেও কিন্তু গরম এতটা বেড়ে যাওয়ার কথা নয় বলে মনে করছেন নাসার জলবায়ু বিশারদ গ্যাভিন।
এ ছাড়া সূর্যের চক্র, জলবায়ু রহস্য নিয়েও অনেকে কথা বলেন। কিন্তু এগুলো ঠিকঠাক কারণ বলেও বিজ্ঞানীরা মনে করছেন না। আসলে যথার্থ কারণ এখনো বের করতে পারেননি তাঁরা। সেটি জানতে আরও গবেষণা দরকার বলেই মনে করা হচ্ছে।
গেল বছরে জার্মানভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা জার্মান ওয়াচ কর্তৃক প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচক ২০২১’ এর শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। ফলে জলবাযু পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।
বৃক্ষ নিধন রোধ ও গাছ লাগানো, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো, ইঞ্জিনচালিত গাড়ির ব্যবহার কমানো, রিসাইকেল করা, জনসচেতনতা সৃষ্টি সহ আরও পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরী। জলবায়ু পরিবর্তনে ও এর প্রভাব থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে আমাদের এসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা বাধ্যতা মূলক।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সেনাপ্রধান মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া
মন্তব্য করুন
সূর্যের জ্বলন্ত রশ্মিতে যেন টগবগে আগুন ঝরছে। নিজের উত্তাপ শক্তিমত্তা জানান দিতে বিন্দুমাত্র ছাড় দিচ্ছে না শহর, গ্রাম, পথ-ঘাট, সড়ক-মহাসড়ক সবখানেই সূর্যের খরতা! পিচঢালা পথ যেন জ্বলন্ত উনন। জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা এ জীবন যেন ওষ্ঠাগত। গত কয়েক দিন, দেশজুড়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহে তেতে উঠেছে প্রাণিকুলও। বাতাসেও আগুনের ছটা। স্মরণকালের দাবদাহ চলছে দেশে। থমকে আছে জনজীবন। নাভিশ্বাসে পরিণত হয়েছে জীবনচলা। দূর্ভোগ পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ থেকে মধ্যবিত্তরা।