নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৯ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১
বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এবং তার স্বামী মাহফুজ আনাম হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐক্যে চিড় ধরানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা কৌশলে সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দুদের দাঁড় করিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছে। হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংশোধনের দাবি তুলে কার্যত এই ধর্মে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে হিন্দু আইন পরিবর্তন প্রতিরোধ সম্মিলিত পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।
সম্মিলিত পরিষদের সঙ্গে ৪৩টি সংগঠন একাত্মতা প্রকাশ করেছে বলে জানানো হয়। এ সময় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বলেন, সনাতনী সমাজে বিবাহ চুক্তি নয়, এটি একটি পবিত্র ব্রত। বিবাহের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী শাস্ত্রবিধি ও হিন্দু আইন অনুযায়ী অবিচ্ছেদ্যভাবে একাত্ম হয়ে যান। তারা পরিবারের সম্পদ-সম্পত্তিও যৌথভাবে ভোগ করে থাকেন। যুগ যুগ ধরে শাস্ত্রীর বিধানের ঐশীবন্ধনে হিন্দু সম্প্রদায়ের তথা সনাতনী সমাজের পরিবারগুলো শান্তিময়-ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় চলমান। কতিপয় এনজিওসহ একটি বিশেষ মহলের কারসাজিতে তা বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে।
তাঁরা আরও বলেন, কতিপয় এনজিও এবং সংগঠন হিন্দু উত্তরাধিকার আইন পরিবর্তনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তারা আসলে হিন্দুদের প্রতিনিধিত্বই করে না। এ অবস্থায় তাদের দাবি হাস্যকর ছাড়া আর কিছু নয়। বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় সনাতনী সমাজ হিন্দু আইন পরিবর্তন চায় না।
এক প্রশ্নের জবাবে হিন্দু আইন পরিবর্তন প্রতিরোধ সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ড. জেঁকে পাল বলেন, হিন্দু আইন পরিবর্তনের জন্য যেসব এনজিও কথা বলছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি। কেউ কেউ বলছে আমরা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। এটি একেবারেই অসত্য। আমাদের আন্দোলন কতিপয় চিহ্নিত এনজিও এবং তার কর্ণধারদের বিরুদ্ধে; যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিন্দু উত্তরাধিকার আইন পরিবর্তনের নামে হিন্দু সম্প্রদায়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।
হিন্দু আইন পরিবর্তন প্রতিরোধ সম্মিলিত পরিষদের অন্যতম নেতা রামকৃষ্ণ বলেন, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি যারা হিন্দু ধর্মের বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন এবং বলছেন হিন্দু ধর্মে নারীরা অধিকার পান না তারা নিজেরাই স্বামীহীন। হিন্দু আইন পরিবর্তনের যে চক্রান্ত চলছে তা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন নামক এনজিও’র স্বার্থসিদ্ধির জন্য এবং হিন্দুদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য। হিন্দু ধর্মে নারীদের বিয়ে এবং সম্পত্তি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে তা অবান্তর এবং মিথ্যা। এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে হিন্দু শাস্ত্রের কোন সম্পর্ক নেই। যারা বিদেশি প্রভুদের ফাঁদে পা দিয়ে তাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে নিজেদের সংগঠনকে টিকিয়ে রাখতে হিন্দু সমাজে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন তাদের এই অপচেষ্টা সফল হবে না। এই ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
হিন্দু সংগঠনের আরেক নেতা প্রণব মট চন্দ্র বলেন, হিন্দুধর্ম আইন পরিবর্তনের নামে যে অশান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে হিন্দু সমাজ সোচ্চার। আমরা শান্তিতে আছি, শান্তিতে থাকতে চাই। হিন্দু আইন পরিবর্তনের নামে যে অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে, তার জন্য সব দায় শাহীন আনামদের নিতে হবে। সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিদেশ থেকে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও একটি বিশেষ মহল হিন্দু শাস্ত্রের বিধি-বিধান পরিবর্তন প্রচেষ্টায় লিপ্ত। তারা জানে হিন্দু সম্প্রদায়ের সরকারের বড় সমর্থক আর এই বন্ধন ভাঙতেই তারা এ ষড়যন্ত্র করছে। সরকারকে বিশ্বের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এই গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে তারা।. আমরা এই ষড়যন্ত্র যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করবো। আমরা সারা বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় কর্তৃক পরিচালিত সব সংগঠন তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার।
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিভাস চন্দ্র বলেন, আমরা সম্প্রতি ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ বসে ছিলাম। তারা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছি হিন্দু আইনে কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন নেই। আইনটি বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে তা সংশোধনের প্রয়োজন নেই। আমাদের পূর্বপুরুষরা এই আইন সংশোধনের হাত দিতে সাহস পায়নি। আমরা যারা মনে করছি আইনের সংশোধন করা দরকার, তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ আইনের কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন নেই এবং এটি সম্ভব নয়।
ইসকন ফুড ফর লাইফ, ঢাকার পরিচালক রুপানুগ গৌরদাস ব্রহ্মচারী বলেন, এটি মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন নয় এটি ও অমানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। তাদের মতলব সবার সামনে উন্মুক্ত হোক এটাই আমরা চাই। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাই আমাদের কথাগুলো বুঝুন এবং হিন্দু আইন পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই। যদি হিন্দু আইন পরিবর্তনের নীলনকশার তারা বন্দনা করেন তাহলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এর আগে লিখিত বক্তব্যে হিন্দু আইন পরিবর্তন প্রতিরোধ সম্মিলিত পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার রায় বলেন, প্রায় তিন দশক ধরে একটি বিশেষ মহল বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের পারিবারিক বন্ধন ও সম্প্রীতিকে ধ্বংস করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। সে পথ ধরেই কতিপয় স্বার্থান্বেষী এনজিও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হিন্দু নারীদের সম্পত্তিতে অধিকার নেই এ বাহানা তুলে হিন্দু সম্প্রদায়ের শাস্ত্রীয় বিধি বিধান পরিবর্তন প্রচেষ্টার মাধ্যমে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার গভীর চক্রান্তে নতুন করে মেতে ওঠেছে । আওয়ামী লীগ যখনই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকে উক্ত মহলটি তখনই হিন্দু ধর্মীয় তথা বিবাহ সংক্রান্ত আইন পরিবর্তনের ব্যাপারে অতি উৎসাহী হয়ে ওঠে।
এ সময় তিনি শাহীন আনাম, তাকে সহায়তাকারী তার স্বামী মাহফুজ আনাম এবং আরেক এনজিও বাঁচতে শেখার নির্বাহী পরিচালক এঙ্গেলা গোমেজের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত সম্মিলিত পরিষদ তথা ৪৩টি সংগঠনের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তিনি।
মন্তব্য করুন
চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তার সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী তাহেরা আলমও। শুক্রবার রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী শারীরিকভাবে অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আমেরিকার গিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তারা দেশে ফিরবেন।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হওয়ার কয়েক দিন পর আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ঢাকার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ তিন মাসের বেশি সময় কারাগারে ছিলেন তিনি। কারাগারে থাকার সময় থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। তার ওজনও কমেছে ৮ কেজি । জামিনে মুক্ত হওয়ার পর আমির খসরু একাধিকবার ঢাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখিয়েছেন।
আমীর খসরু বিএনপি চিকিৎসার যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
দাবদাহে পুড়ছে সারাদেশ। তীব্র তাপে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। এরই মধ্যে একপশলা বৃষ্টি সিলেটবাসীর মনে আনলও প্রশান্তি।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১১টা থেকে সিলেটে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। ঘণ্টাব্যাপী চলা বৃষ্টিতে ফিরেছে স্বস্তি।
এদিন সন্ধ্যা থেকেই মৃদু হাওয়া বইছিল সিলেটে। রাত ১১টায় আসে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। সঙ্গে ছিল দমকা হাওয়া।
বৃষ্টি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নেমে আসেন অনেকে। বৃষ্টির প্রতিটা ফোঁটা গায়ে লাগিয়ে উপভোগ করতে থাকেন। অনেকে বৃষ্টির ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
মন্তব্য করুন
সূর্যের জ্বলন্ত রশ্মিতে যেন টগবগে আগুন ঝরছে। নিজের উত্তাপ শক্তিমত্তা জানান দিতে বিন্দুমাত্র ছাড় দিচ্ছে না শহর, গ্রাম, পথ-ঘাট, সড়ক-মহাসড়ক সবখানেই সূর্যের খরতা! পিচঢালা পথ যেন জ্বলন্ত উনন। জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা এ জীবন যেন ওষ্ঠাগত। গত কয়েক দিন, দেশজুড়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহে তেতে উঠেছে প্রাণিকুলও। বাতাসেও আগুনের ছটা। স্মরণকালের দাবদাহ চলছে দেশে। থমকে আছে জনজীবন। নাভিশ্বাসে পরিণত হয়েছে জীবনচলা। দূর্ভোগ পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ থেকে মধ্যবিত্তরা।
এদিকে, তীব্র তাপদাহের ফলে কৃষক থেকে দৈনিক মুজুরিতে কাজ করা মানুষদের জীবনে নেমেছে অন্ধকার। তাপপ্রবাহের কারণে শুরু হয়েছে 'হিটষ্ট্রোক'। প্রতিনিয়তই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বৃষ্টির জন্য দেশের মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে হাহাকার। উত্তপ্ত রোদে রাজধানীসহ জেলায় জেলায় হচ্ছে বিশেষ নামাজ।
সম্প্রতি আবহাওয়া অফিস সতর্ক দিয়ে জানিয়েছে, দরকার না পড়লে বাসা থেকে মানুষ বের হচ্ছে কম, কর্মদিবসেও সড়ক অনেকটা ফাঁকা, যাত্রীর জন্য ডেকে হয়রান বাস শ্রমিকরা।
এমতাবস্থায় বসে নেই সরকার। জনজীবনে স্বস্তি দিতে নিচ্ছে বিশেষ বিশেষ পদক্ষেপ। সম্প্রতি ঢাকার রাস্তায় ছিটানো হচ্ছে পানি। জনগনের রাস্তায় চলাচলে কিছুটা স্বস্তির জন্য এসব পদাক্ষেপেও কমছেনা দূর্ভোগ। ক্রমেই তাপমাত্রা বেড়েই চলছে।
কিন্তু কেন হঠাৎ এতো উত্তপ্ত সূর্য? কেনোইবা তীব্র গরমে নাভিশ্বাস হয়ে আছে দেশের মানুষ?
তাপমাত্রা বাড়ায় উত্তর মেরুর জমাট বাধা বরফ এবং হিমবাহগুলো দ্রুত গলে যাচ্ছে। ফলে সাগরের উচ্চতা বেড়ে উপকুলের নিচু এলাকাগুলো ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।
এছাড়া বিশ্বের অনেক অঞ্চলে মাটিতে জমে থাকা বরফ গলতে থাকায় বরফের নিচে আটকে থাকা মিথেন গ্যাস বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে, মিথেনের মত আরেকটি গ্রিনহাউজ গ্যাস জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। পৃথিবীর উষ্ণতা তাতে আরো বাড়বে, এবং বন-জঙ্গলে আগুন লাগার ঝুঁকি বাড়বে।
আর এই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের উপর। সংকট এতোটাই প্রবল হয়েছে যে ৩ কোটি ৩০ লাখ শিশুর স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তাপমাত্রা নিয়ে যে পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে তার চেয়ে বেশি গরম পড়ছে। জলবায়ু বিশারদ গ্যাভিন বলছেন, ‘এর মানে গবেষণায় কিছু ফাঁক রয়ে যাচ্ছে। হয় পরিবেশব্যবস্থায় পরিবর্তন এসেছে, নাহলে এমন কিছু হচ্ছে যা আমরা এড়িয়ে যাচ্ছি।’
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জ্যেষ্ঠ জলবায়ু বিশারদ গ্যাভিন স্মিড বলছেন, গত বছরের গরমের কারণ হিসেবে এল ন্যানোর কথা বলা যেতে পারে। কিন্তু এভাবে গরম বেড়ে যাওয়ার যথাযথ কারণ এখনো জানা যায়নি। ব্যাপারটি উদ্বেগজনক।
বিবিসি বলছে, জলবায়ু সংকটের কারণে বিশ্বে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৩০ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার বাড়লে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর ৩ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।
সাধারণত কোন দেশের স্থানীয় সময়ের প্রায় একই সময়ে উত্তপ্ত হয় সূর্য। তবে পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম দিকের পার্শ্বে সূর্য একই সময়ে উত্তপ্ত হয় না যার কারণ হিসেবে ধরা হয়, পৃথিবীর বিকেন্দ্রীভূত অবস্থানের কারণে পৃথিবীতে সময়ের পরিবর্তন। সম্পূর্ণ পৃথিবীতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা সময় নেয় সূর্য কে একটি পূর্ণ বৃত্তে ঘুরাতে এবং এক দিনে আপনি সূর্য উত্তপ্ত দেখতে পারেন তখন যখন এটি হরিজন্ম লাইন সীমান্তের উপর অবস্থান করে। আর এই সময়েই বিভিন্ন দেশের সময়ের কারণে হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, শেষ তিন দশকে বাংলাদেশের আবহাওয়া আগের তুলনায় উষ্ণ হয়ে উঠেছে। বৃষ্টিপাত ও শীতের দিন কমছে, বছরের বড় অংশজুড়ে গরমের বিস্তার বাড়ছে। গড় তাপমাত্রা বেড়ে এপ্রিল মাস আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
সূর্যের এতো উত্তাপ কেন?
নিউক্লিয়ার ফিউশন এর জন্য সৌর পৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়ে থাকে। নিউক্লিয়ার ফিউশন এর জন্য একটা প্রাথমিক উচ্চ তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়।
কোথা থেকে আসে এত তাপমাত্রা?
সূর্যের অন্তঃকেন্দ্র এত বেশি পরিমাণে গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স কাজ করে যে সেইখানে অত্যধিক চাপ এবং উষ্ণতা উৎপন্ন হয় এবং এই উষ্ণতা প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। এত বেশি তাপমাত্রায় দুটো হাইড্রোজেন একসাথে মিলিত হয়ে হিলিয়াম পরমাণুতে পরিণত হয় এবং বেশকিছু শক্তি নিঃসৃত করে।
এছাড়াও, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে..
গ্রীষ্মকালীন পরিবর্তন: অতিরিক্ত গরমে জীবন আবহাওয়ার সাথে পরিবর্তন হতে পারে। শীতলতা এবং অতিরিক্ত উষ্ণতা প্রদানের জন্য বাসা বা কার্যস্থলে কুলিং সরঞ্জাম ব্যবহার করা।
গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা: গ্রীষ্মকালে পৃথিবীতে পরিবর্তনশীল সূর্যের প্রভাবে তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
বন্যা: বন্যার জন্য বেড়ে যেতে পারে তাপমাত্রা। বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত কার্বনডাইঅক্সাইড এবং গ্রীষ্মাক্ত গ্যাস হারিয়ে যাযওয়ার কারণে তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
উষ্ণতার সাধারণ বৃদ্ধি: তাপমাত্রা বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে ব্যক্তিগত যাতায়াত। সাধারণত উচ্চাকাঙ্খা মানুষজনের বিলাশিতায় এসি না শিতল যন্ত্র এবং উন্নত পরিবেশের ব্যবস্থাপনারর ফলে অতিরিক্ত গরমের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
গ্রীষ্মকালীন ক্লাইমেট চেঞ্জ: পুরো বিশ্বে গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বা আন্তর্জাতিক উষ্ণতার উত্থান এবং বৃদ্ধির কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও ২০২২ সালের জানুয়ারিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ টোঙ্গার উপকূলে হুনগা টোঙ্গা–হুনগা হাপাই আগ্নেয়গিরিতে পানির নিচ থেকে শুরু হয় অগ্নুৎপাত। তাতে যে গ্যাস বের হয়, তা পরিবেশের অনেক ক্ষতি করেছে। কিন্তু এতেও কিন্তু গরম এতটা বেড়ে যাওয়ার কথা নয় বলে মনে করছেন নাসার জলবায়ু বিশারদ গ্যাভিন।
এ ছাড়া সূর্যের চক্র, জলবায়ু রহস্য নিয়েও অনেকে কথা বলেন। কিন্তু এগুলো ঠিকঠাক কারণ বলেও বিজ্ঞানীরা মনে করছেন না। আসলে যথার্থ কারণ এখনো বের করতে পারেননি তাঁরা। সেটি জানতে আরও গবেষণা দরকার বলেই মনে করা হচ্ছে।
গেল বছরে জার্মানভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা জার্মান ওয়াচ কর্তৃক প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচক ২০২১’ এর শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। ফলে জলবাযু পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।
বৃক্ষ নিধন রোধ ও গাছ লাগানো, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো, ইঞ্জিনচালিত গাড়ির ব্যবহার কমানো, রিসাইকেল করা, জনসচেতনতা সৃষ্টি সহ আরও পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরী। জলবায়ু পরিবর্তনে ও এর প্রভাব থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে আমাদের এসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা বাধ্যতা মূলক।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সেনাপ্রধান মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া
মন্তব্য করুন
সূর্যের জ্বলন্ত রশ্মিতে যেন টগবগে আগুন ঝরছে। নিজের উত্তাপ শক্তিমত্তা জানান দিতে বিন্দুমাত্র ছাড় দিচ্ছে না শহর, গ্রাম, পথ-ঘাট, সড়ক-মহাসড়ক সবখানেই সূর্যের খরতা! পিচঢালা পথ যেন জ্বলন্ত উনন। জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা এ জীবন যেন ওষ্ঠাগত। গত কয়েক দিন, দেশজুড়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহে তেতে উঠেছে প্রাণিকুলও। বাতাসেও আগুনের ছটা। স্মরণকালের দাবদাহ চলছে দেশে। থমকে আছে জনজীবন। নাভিশ্বাসে পরিণত হয়েছে জীবনচলা। দূর্ভোগ পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ থেকে মধ্যবিত্তরা।