ক্লাব ইনসাইড

ইবির হলের তরকারিতে পোকা, খাবারের মান তলানিতে


Thumbnail

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলগুলোতে খাবারের মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অনেক পুরনো। সম্প্রতি হলগুলোতে খাবারের দাম বাড়ানো হলেও সে তুলনায় মান বাড়েনি। খাবারে প্রায়শই বিভিন্ন পোকা-মাকড় পাওয়া যায় বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

সোমবার (০৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে দুপুরে খাবার খেতে গিয়ে তরকারির মধ্যে পোকা পেয়েছেন এক ছাত্র। খাবারে পোকা দেখে বমি করে ওই ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থীরা। কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকির অভাবে হলগুলোতে খাবারের এই অবস্থা বলে দাবি করছেন তারা।

হলগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য মোট আটটি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রহল ৫টা আর ছাত্রী হল তিনটা। করোনায় বন্ধের আগে আবাসিক হলগুলোতে খাবারের মেন্যু ভেদে দাম ছিল ২২, ২৫ ও ৩০ টাকা। বর্তমানে সর্বনিম্ন মিলরেট ২২ টাকা থাকার কথা থাকলেও দুটি হল বাদে অন্য কোথাও সেই দামে খাবার পায় না শিক্ষার্থীরা।  বর্তমানে হল ভেদে খাবারের মূল্য ২৫, ৩০, ৩৫ ও ৪০ টাকা। এছাড়া কয়েকটি হলে মেন্যু ভেদে ৫০ টাকা পর্যন্ত খাবারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত হোটেলগুলোতেও খাবারের দাম বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি খাবারে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত করে বাড়ানো হয়েছে বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। তবে আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসের হোটেলগুলোতে খাবারের দাম বাড়লেও মান ও পরিমাণ আগের থেকে অনেক কমেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে শিক্ষার্থীরা হলের খাবারে প্রায়শই বিভিন্ন পোকা-মাকড় ও আবর্জনা পান বলে অভিযোগ করেছেন। গত মে মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের খাবারে এক শিক্ষার্থী তেলাপোকা পেয়েছিলেন। একইমাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এক ছাত্র খাবারে পোকা পান বলে জানা যায়। এছাড়া বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলসহ অন্যান্য হলগুলোর খাবারে প্রায়শই টিকটিকি, তেলাপোকা, চুল, শামুকসহ বিভিন্ন ধরণের পোকা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আবাসিক হলগুলোতে পঁচা ডিম এবং বাসী খাবার দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এতে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা পেটের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এর আগে গত ২৩ অক্টোবর রাতে হলে নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগে সাদ্দাম হলের ডাইনিংয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ছাত্র মুনতাকিম বলেন, হলের খাবারের দাম বাড়ানো হলেও মান প্রতিনিয়তই কমে যাচ্ছে। জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার খাওয়ানো হয়। প্রতিনিয়তই খাবারের ভেতরে পোকা, চালের ভেতরে পোকা, আধাকাচা সবজি, খাবারে মাছি, অত্যন্ত ঘিঞ্জি নোংরা পরিবেশে খাবার রান্না এগুলো নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। হলের খাবারে পুষ্টি তো নেই, বরং নানাবিধ শারীরিক দুর্বলতা সহ অসুস্থতা দেখা দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মিলন বলেন, হলের খাবারের মান অত্যন্ত নিম্ন মানের। স্যাঁতস্যাঁতে ও দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশে খাবার রান্না করা হয়। বিভিন্ন সময় খাবারে পোকা-মাকড় পাওয়া যায়। কর্তৃপক্ষকে এদিকে সুদৃষ্টি দেয়া উচিত।

খাবারে পোকা-মাকড় পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে লালন শাহ হলের ডাইনিং ম্যানেজার শাবু চৌধুরী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে খাবার দেয়ার চেষ্টা করি। তবে অনেক সময় অসাবধানতায় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু পড়ে যায়। খাবারের মান কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে না? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থী প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে ভর্তুকি দেয়া হয়। যা বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির তুলনায় অনেক কম। ভর্তুকি না বাড়ালে আমরাও সেভাবে কিছু করতে পারছি না।

প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, আমরা ডাইনিং ম্যানেজারদের বলেছি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাবার পরিবেশন করতে। এ বিষয়ে তাদের আগেও অনেকবার সতর্ক করা হয়েছে।

তরকারিতে পোকা  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৩:০৫ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন, হল ছাড়তে নাড়াজ শিক্ষার্থীরা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) অনির্দিষ্টকালের বন্ধের ঘোষণায় আন্দোলনে নেমেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১ মে) সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা হল চালু রাখার ও ক্লাসে ফেরার দাবি জানান। এছাড়া এই মানববন্ধনের একাত্মতা পোষন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ নাসির হোসাইন ও শেখ হাসিনা হলের হাউজ টিউটর আল-আমিন হোসেন।

 

গতকাল মঙ্গলবার (৩০) মার্চ রাতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩ তম এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সভায় সিন্ধান্ত হয় হল বন্ধের।

 

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ তম আবর্তনের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহমিদা সুলতানা বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সার্কাস চলছে। প্রথমে প্রশাসন সিদ্ধান্ত দিল ২রা মে পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে, অনলাইনে ক্লাস চলবে। প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে শিক্ষক সমিতি আবার এই মগজ গলা গরমে সিদ্ধান্ত দিল ২৮ এপ্রিল থেকে স্ব-শরীরে ক্লাসে ফিরবে, এর আগে তারা আবার ক্লাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জন করেছিলো। এখন আবার প্রশাসন আমাদেরকে হল থেকে বের করে দিচ্ছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিচ্ছে। এমনিতে বেশ কিছু বিভাগ করোনার কারণে পিছিয়ে আছে তার ওপর তাদের এ ধরণের সিদ্ধান্ত কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষক সমিতি আর উপাচার্যের দ্বন্দ্বে আমরা বলির পাঠা হয়ে আছি। এ পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান আশা করছি।'

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ তম আবর্তনের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আনাস আহমেদ বলেন, 'আজকে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখানে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি নিজেদের কিছু ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য। আমাদের ক্লাস, পরীক্ষা চালু করতে হবে, হল গুলো খোলা রাখতে হবে। শিক্ষকদের ওপর বহিরাগতদের হামলার তদন্ত করে সঠিক বিচার করতে হবে দোষীদের। চলমান পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান করতে হবে, অন্যথায় আমরা আমাদের কর্যক্রম চালিয়ে যাব।'

 

শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে একাত্মতা পোষন করে নাসির হোসাইন বলেন, ‘বর্তমানে চলমান সংকট সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে পৌছেছে। শিক্ষার্থীদের সংকটের মুখেই এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমার মনে হয় না, এমন কিছু ঘটেছে। আর কাজী নজরুল হলে কোনরকম অবৈধ অস্ত্র বা টাকা ঢুকেনি। আমার হল খোলা থাকবে। আমার হলের শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব আমি নিচ্ছি।'

 

শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক আল-আমিন বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমার হলে কোনপ্রকার অবৈধ অস্ত্র নেই। আমার হল স্বাভাবিক আছে। আমি শিক্ষার্থীদের বলেছি, তারা তাদের মতো করে হলে থাকতে পারবে। শিক্ষার্থীদের কেউ জোরপূর্বক হল থেকে বের করতে পারবে না।'

 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, 'প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত একটি স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত। বিভিন্ন হল প্রভোস্টদের সাথে কথা বলেছি তারা বলেছে হল খুব সুন্দর ভাবেই চলছে। আর একাডেমিক কার্যক্রম চলুক সেটাও আমি চাই। আমি মনে করি এই উপাচার্য একজন অদক্ষ প্রশাসক। তার পদত্যাগই সবকিছুর সমাধান।'

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষেই আছি। যখন কোন একটা ছুটি হয় তখন কিন্তু প্রতিবার একই নোটিশ যায় যে হল ছাড়তে হবে। অনেক সময় হল সিলগালা করে দেয়া হয় সেক্ষেত্রে সবাইকে সেটা মানতে হবে। যেহেতু এই নোটিশে সিলগালার কথা বলা নাই সেক্ষেত্রে কেউ যদি বিকাল চারটার মধ্যে হল ত্যাগ না করে তাহলে নিশ্চই হল প্রসাশন শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নিবে।'


কুবি   উপাচার্য   শিক্ষক সমিতি   বন্ধ ঘোষণা   অনির্দিষ্টকাল   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডীনের সম্মানহানির অভিযোগ

প্রকাশ: ১২:৩৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফেসবুকে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সালেহ সেকেন্দারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন।

 

গতকাল (৩০ এপ্রিল) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বরাবর এ লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন।

 

অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আমার বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে পিএইচডি কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য হওয়ার অভিযোগ এনে শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দার ফেসবুকে একটি পোষ্ট দেন। প্রকৃতপক্ষে, আমি ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনের (বর্তমান প্রক্টর) পিএইচডির একটি উন্মুক্ত সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলাম। পিএইচডি সেমিনারে আমন্ত্রিত হলে সকল ডীন যাবার চেষ্টা করি। কমিটির সদস্য না হলেও মিথ্যা পোস্টে আমার সম্মান ও পেশাগত মর্যাদার হানি হয়েছে। একজন ডীনের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাকেও ক্ষুন্ন করছেন বলে মনে করি।

 

অভিযোগপত্রে শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. আবুল হোসেন আরো বলেন, এর আগেও তিনি (সেকেন্দার) আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিভিন্ন মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছেন, যা সাবেক উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলাম। সেকান্দারের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

 

বিষয়টি খতিয়ে দেখা যায় অভিযুক্ত শিক্ষক সালেহ সেকেন্দারের ফেসবুক পোস্টের সত্যতা মেলেনি। পিএইচডি সেমিনারের তিন সদস্যের মূল্যায়ন কমিটিতে তিনি ছিলেনই না।

 

এদিকে এরআগে ২০১২ সালের নিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর অবস্থায় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে আটকের পর বিয়ে, অসৌজন্যমূলক আচরণে দুই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ, ক্লাসে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি, ফেসবুকে ভিসি, ডীন, প্রক্টরসহ সিনিয়র শিক্ষকদের গালিগালাজসহ নানা ঘটনায় ২০১৯ সালে ৭১ তম বিভাগীয় একাডেমিক সভায় সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি পান শিক্ষক আবু সালেহ সেকান্দার।

 

এরপর থেকে সিনিয়র শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একের পর এক ফেসবুকে গালিগালাজসহ পোস্ট দিতে থাকেন তিনি। ক্লাসে প্রধানমন্ত্রীকে 'ভোট চোর' সহ নানা কটুক্তি করায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।

 

এসব অভিযোগে শিক্ষক সেকান্দারের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সর্বশেষ সিন্ডিকেটে তদন্ত কমিটিকে খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।

 

এদিকে আবু সালেহ সেকেন্দারের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে লিখিত অভিযোগ দেয় ইসলামের ইতিহাস বিভাগ ও আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল। শিক্ষক সমিতিও সেকান্দারের ফেসবুক পোস্টের নিন্দা জানিয়েছে।


জবি   সম্মানহানি   শিক্ষক   ডীন  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়িকে মারধরের অভিযোগ জবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

প্রকাশ: ১০:৪২ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনিসহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা না দেয়ায় বাদামতলীর এক ফল ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

 

ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর নাম হেলাল উদ্দিন। তিনি পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকায় ফল বিক্রির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মহিউদ্দিন অনির নের্তৃত্বে কয়েকজন তাকে অন্য একটি হোটেলে নিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মহিউদ্দিন অনি ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তেড়ে গিয়ে তাকে একাধারে কয়েকটি থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারেন।

 

ভুক্তভোগী এই ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে জবি ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনির নেতৃত্বে ৫-৬ জন আমার উপর অতর্কিত আক্রমণ করে। সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় আমি পুরোনো টাকা কালেকশন করতে সদরঘাট এলাকায় ছিলাম। এক পর্যায়ে কথা বলতে বলতে আমি জুবলী স্কুলের সামনে চলে যাই, এমতাবস্থায় অনি আমাকে দেখে। তখন সে হৃদয়কে বলে ওরে ধরে ওর পকেটে কত টাকা আছে দেখ। তখন আমি তাদেরকে দেখে দৌঁড়ে পালাই। আমার সাথে প্রায় দুই লাখ ছত্রিশ হাজারের মতো টাকা ছিলো। আমি বুঝতে পারি আমার পকেটে থাকা যে টাকা আছে তারা নিয়ে যাবে। দৌঁড়ে গিয়ে আমি হোটেলে অবস্থান করি। সেখান থেকে আমাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে এসে প্রচণ্ডভাবে মারে। একপর্যায়ে হোটেলে থাকা লোকজন আমাকে রক্ষা করে।

 

ভুক্তভোগী আরও বলেন, আমার সাথে থাকা দুই লাখ ছত্রিশ হাজার টাকার মধ্যে দুই লাখ উন্নিশ হাজার টাকা তারা ভাগিয়ে নিয়ে যায়। বাকি টাকা মানিব্যাগে থাকায় নিতে পারেনি। আমার সাথে থাকা মোবাইল নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে তারা।

 

অনির সাথে ৫-৬ জনের নাম জানতে চাইলে হেলাল বলেন, অনি, সৌরভ, রিপন, হৃদয় আরও কয়েকজন ছিলো। তাদেরকে সবাইকে আমাদের এখানের ব্যবসায়ীরা চিনে।

 

ভুক্তভোগী হেলাল আরও বলেন, আমি মামলা করার জন্য সূত্রাপুর থানায় যাই। কিন্তু পুলিশ আমার মামলা নেয়নি। তারা আমাকে টাকা দিয়ে বিষয়টি সমাধান করে ফেলতে বলে। এক পর্যায়ে অনি পুলিশকে বলে তারা যেনো আমাকে পাঁচ মিনিটের জন্য ছাড়ে, আর এর মধ্যে সে আমাকে মেরে ফেলবে।

 

টাকার নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে মহিউদ্দিন অনি বলেন, ‘সে আমার পূর্ব পরিচিত। ২০১৪-১৫ সাল থেকে তার সাথে আমার পরিচয়। সে নাকি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী ভাইকে টাকা দেয়। তার সাথে এবিষয়ে কথা বলতেছিলাম। একপর্যায়ে সে আমার বাবা-মার নাম ধরে গালি দেয়। পরে আমিও তাকে দুইটা থাপ্পড় দিছিলাম। যেহেতু সে আমার পূর্ব পরিচিত তাকে আমি সরি বলে ছিলাম, সেও আমাকে সরি বলেছিল। সূত্রাপুর থানার এসআই আসাদ ভাই, রবিউল ভাই ছিলো সামনে। তারা বিষয়টা জানে, আমাদের মধ্যে বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।’

 

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, ‘অনেকে আমার নাম বলে পার পেয়ে যেতে চায়। এসব ইমোশনাল কথা বলে কোনো লাভ নাই। আমি কাউকে বলি নাই আমার জন্য অন্য কাউকে মাইর দিতে। আমার সাথে ওই ব্যবসায়ীর ৬-৭ বছর ধরে কোন যোগাযোগ নেই। টোকাই, ছিনতাইকারী কখনো ছাত্রলীগ হতে পারে না।’

এবিষয়ে সূত্রাপুর থানার ওসি মোঃ মাসুদ আলম বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো ধরনের অভিযোগ আসেনি। আমরা এ বিষয়ে কোনো অবগত না। সংশ্লিষ্ট যারা দেখেছে তারা বলতে পারবে।


ছাত্রলীগ   চাঁদা   মারধর   জবি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা কুবি

প্রকাশ: ০৯:২৪ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) উপাচার্য-শিক্ষক সমিতির দ্বন্ধে চলমান সংকটের কারণে ৯৩ তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ বন্ধের সিদ্ধান্তসহ মোট চারটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল)  রাতে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে  বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।

৯৩ তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় নেয়া চারটি সিদ্ধান্ত হলো, বিজ্ঞপ্তি জারির তারিখ হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে, তবে শুধুমাত্র গুচ্ছভূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শিক্ষাবর্ষ: ২০২৩-২০২৪ ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম চলমান থাকবে, আগামী ১ মে বিকাল ৪ টার পূর্বে শিক্ষার্থীদেরকে স্ব স্ব হল ত্যাগ করতে হবে।

এছাড়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দাবিসমূহ পর্যালোচনা করার জন্য একটি নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করা হবে। উক্ত কমিটি পর্যালোচনা পূর্বক দাবি সমূহের যৌক্তিকতা নিরুপন করে সুপারিশ করবে। গত  ২৮ এপ্রিল উদ্ভুত অনাকাঙ্খিত ঘটনা তদন্তের লক্ষ্যে অতি দ্রুত আলোচনা করে একটি নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করা হবে।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, ‘উপাচার্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি শিক্ষকদের সমস্যার সমাধান না করে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দূরভিসন্ধিমূলক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমি আমাদের নিয়মিত আবাসিক শিক্ষার্থী যারা আছে, তাদের হলে অবস্থান করতে বলব।’


কুবি   উপাচার্য   শিক্ষক সমিতি   বন্ধ ঘোষণা   অনির্দিষ্টকাল  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জবিতে সপ্তাহে চারদিন স্বশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা

প্রকাশ: ০৬:২১ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী রোববার থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সপ্তাহে চারদিন স্বশরীরে ক্লাস পরীক্ষা হবে। একদিন অনলাইনে ক্লাস হবে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড.আইনুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, আশাকরা হচ্ছে আবহাওয়া আগামী সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা কমে আসবে। অনেক বিভাগের পরীক্ষা থেমে আছে। শিক্ষার্থীদের সেশনজট রোধে সপ্তাহে চার দিন স্বশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা হবে। তবে মঙ্গলবার অনলাইনে ক্লাস হবে। আগামী রবিবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। 

এছাড়া শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে অফিস টাইম কমিয়ে আনা হয়েছে বলে জানান তিনি। রেজিস্ট্রার বলেন, স্বশরীরে ক্লাস পরীক্ষার দিনে অফিস সময় সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত করা হয়েছে। এবং যেসব বিভাগে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত নয় সেকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে হলে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ক্লাস রুমে আছে এমন বিভাগের সাথে সমন্বয় করে ওই বিভাগে পরীক্ষা নিতে বিভাগীয় চেয়ারম্যান্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়   ক্লাস-পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন