ক্লাব ইনসাইড

জাবি প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে শিক্ষাঙ্গনে মাদক এবং ধর্ষণের নেটওয়ার্ক

প্রকাশ: ০২:০৬ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

'নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ' আয়োজিত সংহতি সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে শিক্ষাঙ্গনে মাদক এবং ধর্ষণের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী।

তিনি বলেন, ‘ তারিখে সিন্ডিকেটে আমরা দাবি জানিয়েছিলাম নিপীড়ক শিক্ষককে শাস্তি দিতে হবে। ভিসি বলেছিলেন স্ট্রাকচারাল কমিটির তদন্ত শেষ হয়নি, পরবর্তী সিন্ডিকেটে করতে হবে। একজন নিপীড়ক শিক্ষককে বাঁচিয়ে রাখবার যে পায়তারা চলছে, আমরা তা রুখে দাঁড়িয়েছি-তাকে বাঁচানো যাবে না। প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ৪২ তম ব্যাচকে বগলদাবা করে ৪৫, ৪৬, ৪৭ ব্যাচকে বের করে দেয়ার এই নাটক কি আমরা বুঝি না? আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার-এই ক্যাম্পাসকে আমরা অবৈধ ছাত্রমুক্ত, ধর্ষক মুক্ত মাদক মুক্ত করতে চাই।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারীবিকেল সাড়ে ৪টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রান্সপোর্ট চত্বরে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের আয়োজনে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে রোববার সন্ধ্যায় মশাল মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো….

১. ধর্ষক তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

২. মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং ্যাগিং সংস্কৃতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৩. নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনিসহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৪. নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্ত করতে হবে এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত চলাকালে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করতে হবে।

৫. মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণাপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে        আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন একই বিভাগের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায়। গণরুম সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ছাত্রলীগের অবৈধ সঙ্গমের ফসল উল্লেখ করে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, এই প্রশাসনের যে বিকৃত মস্তিষ্ক সেই মস্তিষ্ক থেকে তারা চায় প্রতিবার শিক্ষার্থীরা গণরুমে থাকুক, মাদকাশক্ত হোক, একধরনে অনৈতিক চর্চা এবং অধিকার আদায়ের সংগ্রাম থেকে দূরে থাকুক।

আমাদের যে গণরুমে সংস্কৃতি, ছাত্রলীগের দৌরাত্ম্য এবং প্রশাসনের যে অবহেলা সবমিলিয়ে শিক্ষার্থীরা একটা পঙ্গু এবং বিকৃত মস্তিষ্ক নিয়ে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষ গণরুমে অন্ধকারে কাটে। দ্বিতীয় বর্ষ কাটে মিনিগণরুমে এবং তৃতীয় বর্ষ কাটে এক ধরনের মাদকাসক্তির মধ্যে দিয়ে। যখন এসব শিক্ষার্থীদের হুশ হয় তখন তাদের পায়ের নিচে মাটি থাকে না।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় যখন ছাত্রলীগের ইচ্ছায় গণরুম টিকে আছে তখন আমরা বলতে বাধ্য হই, এই প্রশাসন একটি অকর্ম এবং অযোগ্য প্রশাসন। এই প্রশাসন যে গাদ্দারি করছে, বিশ্বাসঘাতকতা করছে আমরা সেই প্রশাসনকে ধিক্কার জানয়ে প্রশাসনের সামনে একটা আয়না দেখাবো সে আয়নায় প্রশাসন তাদের মুখটা দেখবে এবং আজীবন বমি করতে থাকবে।

পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এটা আমাদের সিস্টেমের সমস্যা। এই ধর্ষণ একটি প্রভাব মাত্র। মাদক ব্যবসা, বিভিন্ন অপকর্মের একটি চক্র এই সিস্টেমের সঙ্গে কাজ করছে।

দূর্ভাগ্যের কথা হলো, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই সিস্টেমের একটি অংশ বলে প্রতীয়মান হয়েছে। আবসিক হলের গণরুমগুলো শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি, পাশাপাশি কিভাবে শিক্ষার্থীদের বিকৃত মানসিকতা তৈরি হবে তার উৎপাদনক্ষেত্রে হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

তিনি আরও বলেন, এত সব ঘটনার পরও প্রশাসন কতটা নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে। এখনো বিভিন্ন হলে যাদের ছাত্রত্ব অনেক আগেই সম্পূর্ণ হয়েছে তারা বহাল তবিয়তে আছেন যারা নন এলোটেড কিংবা যারা রাজনীতিক ভাবে সম্পৃক্ত নয় যাদের খুঁটির জোর কম তাদেরই কেবল মাত্র হল-ছাড়া করার মাধ্যমে আই ওয়াশ করছে। আমরা এই আন্দোলনের মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর যে মাদক আর নিপীড়কের জায়গা নয় সেটা পূর্বের ন্যায় আবারও প্রমাণ করবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী বলেন, ‘ আমরা পত্রিকার শিরোনামে ছাত্রলীগ কতৃক নারী নিপীড়নের খবর আগেও দেখেছি আর এখনও দেখছি। সময় পাল্টেছে কিন্তু শিরোনাম পাল্টায়নি। যারা ধর্ষণ নিপীড়নের ঘটনা ঘটায় তাদের চরিত্র পাল্টায়নি।

যাবতকালে ধর্ষক মানিক থেকে মোস্তাফিজ পর্যন্ত-সব জায়গায় ছাত্রলীগের নাম এসেছে। যতই বলেন মোস্তাফিজ আমাদের দলের কেউ না, তাতে ছাত্রলীগ এই ধর্ষণের দায় এড়াতে পারে না’।

তিনি আরও বলেন, যারা ছাত্রজীবনে নিপীড়নের সাথে যুক্ত ছিলেন তারাই হলগুলোতে প্রভোস্টের দায়িত্ব পাচ্ছেন। তারা কিভাবে হলের নির্যাতন বন্ধ করবেন?

অছাত্রদের হল থেকে বের করার নামে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছেন। একজন শিক্ষার্থীকে যখন গণরুমে ্যাগ দেওয়া হয় তখন বড় ভাই , শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি তার আত্মবিশ্বাস চলে যায়, আত্মসম্মান চলে যায়, বিশ্বাস চলে যায়। ফলে একদিন সে ধর্ষক মোস্তাফিজুর হয়ে ওঠে।

যৌন নিপীড়ন মাদককাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদাসীন উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন বলেন, যৌন নিপীড়নের ঘটনার কিছুদিন আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন ৫২তম ব্যাচ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছে।

দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্বিবদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁদেরকে স্বশরীরে ক্লাস থেকে বঞ্চিত করেছে, তাদেরকে হলে আসন দেয়নি। থেকে প্রমানিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করে না।

সমাবেশে অন্যান্যদের মাঝে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল আব্দুল্লাহ আল নোমান,জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাথী মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর জোটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামি আল জাহিদ, প্রাণ রসায়ন অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, সরকার রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম সেলিম, ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার প্রমুখ।


মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী   মো. জামাল উদ্দিন   জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আই‌আই‌ইউসির ট্রাস্টিজ চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ১১:০৩ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আই‌আইইউসি) বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। 

মঙ্গলবার (৭ মে) মালয়েশিয়ার সান ওয়ে সিটিতে দুদিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব রিলিজিয়াস লিডারস শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎ করেন তারা। 

আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় নেতারা অংশগ্রহণ করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সৌদি আরবের উপপ্রধানমন্ত্রী, সৌদি বাদশাহর প্রধান উপদেষ্টা ও মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগের মহাসচিব ড. আব্দুল করিম আল ঈসা। ওয়ার্ল্ড মুসলিম লীগের তত্ত্বাবধানে মালয়েশিয়া সরকার এ সম্মেলনের আয়োজন করে। 


মালয়েশিয়া   প্রধানমন্ত্রী   আই‌আই‌ইউসি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: ৮ মে বন্ধ থাকবে ইবির সকল ক্লাস-পরীক্ষা

প্রকাশ: ০৪:৩৯ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৮ মে (বুধবার) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সকল ক্লাস-পরীক্ষা ও অফিসসমূহ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জন প্রশাসন মন্ত্রণায়ের স্বারক মোতাবেক ১৪১ টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোট গ্রহণের দিন অর্থাৎ ০৮ মে ২০২৪ তারিখ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় উক্ত নির্বাচনী এলাকার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, পরীক্ষা ও অফিসসমূহ বন্ধ থাকবে। এবং  অফিস বন্ধকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরী সেবাসমূহ (চিকিৎসা, পানি, বিদ্যুৎ, আইসিটি সেল, নিরাপত্তা ও এস্টেট) চালু থাকবে।


উপজেলা নির্বাচন   ইবি   ক্লাস-পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে কুবি শিক্ষক সমিতির অবস্থান কর্মসূচি

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

২৪ ঘন্টার মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ও আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার আল্টিমেটামের পর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক সমিতি। সোমবার (৬ মে) বেলা ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

 

অবস্থান কর্মসূচি সম্পর্কে কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ‘এটি আমাদের ধারাবাহিক কর্মকান্ডেরই একটা অংশ। গত ২৮ এপ্রিল উপাচার্যের নেতৃত্বে শিক্ষক পিটিয়ে প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করেছেন তিনি। শিক্ষকদের পিটিয়ে আইনগত এবং নৈতিকতার মানদণ্ডেও এই পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন তিনি। চেয়ারে বসে তিনি আবার নির্দেশ দিয়েছেন হামলা করার। এটা তো ফৌজদারী অপরাধ।'

 

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবির পাশাপাশি সিন্ডিকেটে যে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন যে, হলের শিক্ষার্থীদের অস্ত্র ও টাকা সরবরাহ হচ্ছে বলে হল বন্ধ করেছেন সে বিষয়ে ক্ষমা চাইতে হবে৷’


এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলো খুলে দিয়ে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ চালু করার দাবিও জানান তিনি। 


কুবি   শিক্ষক সমিতি   অবস্থান কর্মসূচী  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়ে কুবি ছাত্রলীগের পদযাত্রা

প্রকাশ: ০৩:৫০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপি চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

 

সোমবার (০৬ মে) সাড়ে ১২টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্বাধীন রাষ্ট্রের ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে পদযাত্রা করে। 


আরও পড়ুন: স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা

 

ক্যাম্পাসের গোল চত্বর প্রাঙ্গণে এ পদযাত্রা শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মূল ফটকের সামনে এসে সামনে এসে শেষ হয়। পদযাত্রায় কুবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখরিত হয়। 'ইসরায়েলের কালো হাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও। ফিলিস্তিন ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই' সহ বিভিন্ন স্লোগানে নেতাকর্মীরা ফেটে পড়ে। 


আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির অভিযোগে জবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক সেলিম আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নির্দেশে দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের মানুষের উপর ইসরায়েলের যে নৃশংস হামলা সেটার প্রতিবাদ জানিয়ে আজকের এই পদযাত্রা। আমরা চাই, ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন দেশের মর্যাদা পাক। আমাদের দেশের মতো ফিলিস্তিনেও রক্তপাতহীন সেদেশের পতাকা উড়ুক। সাধারণ মানুষ স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারবে। এটাই আমরা চাই।’


ছাত্রলীগ   ফিলিস্তিন   পদযাত্রা   কুবি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা

প্রকাশ: ০১:৫৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর বর্বরোচিত নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ ও শিক্ষকরা যে আন্দোলন শুরু করেছে তার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বিশাল পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সোমবার (৬ মে) সাড়ে ১২টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাপ্ত হয়।

এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ফিলিস্তিন বাংলাদেশের পতাকা, ব্যানার প্লাকার্ড হাতে নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা অন্যান্য ইউনিট থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী এ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়াও ‘মিছিলে ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড, উই ওয়ান্ট জাস্টিস-জয় জয় ফিলিস্তিন, স্বৈরাচার নিপাত যাক-ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের।

পদযাত্রায় অংশ নেওয়া ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, ‘ইসরায়েল ফিলিস্তিনের মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে। ধ্বংস করছে পুরো গাজাকে। আমরা সাধারণ মানুষ হিসেবে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

এসময় ইসরাইর যে গণহত্যা চালাচ্ছে তার প্রতি নিন্দা জানিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় তাদের শাস্তি দাবি করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

এর আগে রবিবার (৫ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে একযোগে বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ।


ছাত্রলীগ   ফিলিস্তিন   পদযাত্রা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন