বাংলা চলচ্চিত্রে ৯০ দশকেও যখন চলছিল রাজ্জাক, আলমগীর, রুবেল, সোহেল রানা, জসিম, ইলিয়াস কাঞ্চন, শাবানা, সুচরিতা, সুনেত্রা, অঞ্জু, রোজিনা, দিতি, চম্পা ও ববিতাদের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দাপট, তাদের নতুন কোন ছবি মুক্তি পেলেও যেখানে হতো হিট-সুপার হিট, বইছিল চলচ্চিত্রে চারদিকে সুবাতাস। কিন্তু তার পরেও কোথায় যেন একটা শূন্যতা বিরাজ করছিল দর্শকদের মনে, কিসের যেন আকাঙ্ক্ষা ছিল তাদের।
ঠিক তখনই দর্শকদের মনের শূন্যতা বুঝতে পেরেছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের প্রবাদ পুরুষ ক্যাপ্টেন এহতেশাম সাহেব। নতুন তারকা তৈরির এ কারিগর বাম্পার হিট ‘চাঁদনী’র মাধ্যমে দর্শকদের উপহার দিলেন একেবারেই নতুন দুটি মুখ নাঈম ও শাবনাজ। সিনেমাটি নাঈম-শাবনাজ জুটির জন্য একটি মাইল ফলক।
নাঈম-শাবনাজ রুপালি পর্দার মতো বাস্তব জীবনেও জুটি বেঁধেছেন। তাদের ফেসবুক পেইজে ‘চাঁদনী’ সিনেমার স্মৃতিচারণ করেছেন দুজন। কয়েকটি ছবি পোস্ট করে ছবিগুলোর নেপথ্যের ঘটনার বর্নণা দিয়ে তারা লিখেছেন: ‘‘চাঁদনী’ ছবিটিতে যারা অভিনয় করেছিল তখন মোটামোটি সবাই নতুন ছিলেন দুই একজন ছাড়া। ১৯৯০ সনে কাজ শুরু করার আগে আমরা যারা এই ছবিটিতে অভিনয় করেছিলাম তাদেরকে নিয়ে একটি শিল্পী ও কলাকুশলী পরিচিতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়, বা বলা যেতে পারে যে ছবিটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়। সেই মহরত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।’
ছবিতে দেখা যায়, ‘চাঁদনী’ ছবির পরিচালক মরহুম এহতেশামুর রহমান, বিখ্যাত প্রযোজক এবং পরিচালক মরহুম কাজী জহির, বিশিষ্ট পরিচালক এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের পথিকৃৎ জনাব মরহুম আব্দুল জব্বার খান, তখনকার সময়ের এফডিসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম, খান আতাউর রহমান, অভিনেতা খালেদ, অভিনেত্রী রোজী, অভিনেত্রী শাবনাজ, অভিনেতা নাঈম, লিলি, সাদেক বাচ্চু, কৌতুক অভিনেতা তাম্বুরা বাদী এবং স.ম. হুমায়ুনকে (শাবনাজের বাবা)।ছবিতে একটা অংশে দেখা যায় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব খান আতাউর রহমান শাবনাজের গলায় মালা পরিয়ে দিচ্ছেন।
সিনেমার মুক্তির ৩১ বছর পেরিয়ে গেলেও আজো লাখো ভক্তদের মনে ‘চাঁদনী’ রয়ে গেছে। এই সিনেমার পর ‘চোখে চোখে’, ‘লাভ’, ‘অনুতপ্ত’, ‘জিদ’ প্রভৃতি সিনেমায় দেখা গেছে নাইম-শাবনাজকে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন