গতকাল নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত ‘খুফিয়া’ সিনেমাটি। এ সিনেমা নিয়ে বাংলাদেশের আগ্রহ অন্য কারণে। এখানে বাংলাদেশের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন অভিনয় করেছেন। কিন্তু স্পাই থ্রিলার ঘরানার এ চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে “এস্কেপ ২ নোহওয়ার” শিরোনামের একটি উপন্যাসের অবলম্বনে। এই উপন্যাসের প্রতিচ্ছবিই তুলে ধরা হয়েছে খুফিয়াতে।
আর এই গল্পের মূল উপজীব্য বিষয় হলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একটি জঙ্গিবাদী
রাষ্ট হবে, না আরেকটি আফগানিস্তান হবে নাকি একটি সেকুলার অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হবে এ
নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ভারতের দ্বন্দ্ব সংঘাত উঠে এসেছে খুফিয়ার কাহিনীতে। যেখানে
ভারতের ‘র’ এর এক জন এজেন্টকে কিনে ফেলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সিআইএ। মির্জা নামে
একজন জামায়াতের নেতা যিনি কিনা আইএসআই এর এজেন্ট তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা
করেন। রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ভারত থেকে ‘র’ এর গোপন প্রতিবেদনগুলো পাঠিয়ে তাকে সহায়তা করতে থাকেন। এমনকি ‘র’ এর পাতানো ফাঁদে তার অবধারিত মৃত্যু থেকেও সিআইএ তাকে রক্ষা করেন। তবে এই কাহিনী চিত্রে দেখানো
দ্বন্দ্বটির সাথে বাংলাদেশের বর্তমান পারিপার্শিক অবস্থার দারুণ মিল খুঁজে পাওয়া
যাবে।
এ সিনেমায় দেখানো হয়েছে সিআইএ সব সময়
মনে করে যে বাংলাদেশে জঙ্গি এবং জামায়াতের একটি অবস্থান থাকা দরকার। জামায়াতকে ক্ষমতায়
আনার জন্য সিআইএ চেষ্টা করেছিল বলে খুফিয়া চলচ্চিত্রে দেখা যায়। আর সেই চেষ্টা প্রতিহত
করার জন্যই কাজ করে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এবং ভারত। কিন্তু সিআইএ’র পৃষ্ঠপোষকতায়
ভারতের ‘র’ এর যে এজেন্ট সিআইএ’কে ‘র’ এর গোপন তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছিল সেই এজেন্টকে
সরিয়ে নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়ে রাজনৈতিক
আশ্রয় দেইয়া হয়। এরপর সেই এজেন্টের স্ত্রীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায় ভারতীয় গোয়েন্দা
সংস্থা ‘র’।
টান টান উত্তেজনার
এ থ্রিলার মুভিতে বাংলাদেশকে কে কোন চোখে দেখে তার একটি প্রতিচিত্র ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশের
আগামী নির্বাচনের চিত্রপট যেকোনো দর্শকেরই মনে পড়বে খুফিয়া মুভিটি দেখে। যেখানে ভারতের
‘র’ এর কর্মকর্তারা বার বার বলছেন, যে বাংলাদেশে জামায়াত ক্ষমতায় আসবে। আর তারা ক্ষমতায় এলে
এই উপমহাদেশের শান্তি নষ্ট হবে এবং মির্জাকে আর ঠেকানো যাবে না ভারতের বিরুদ্ধে চরম
নাশকতা এবং সন্ত্রাসবাদ থেকে।
অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে যে আফগানিস্তানের অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের জামায়াত এবং পাকিস্তানের
গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর পৃষ্ঠপোষকতায় পালিত জঙ্গিদেরকে মদদ দেয়া দরকার। আর এই মদদ
দেয়ার কাজটি বাংলাদেশে বসে করছে না সিআইএ, বরং ভারতের দিল্লিতে বসে এ কলকাঠি নাড়ানো
হচ্ছে।
বাংলাদেশেও রাজনীতি
নিয়ে এখন যে তৎপরতাগুলো দেখা যাচ্ছে তাতে দেখা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জামায়াতকে
সভা সমাবেশ করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করছে। জামায়াত নেতাদের বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
আবার অন্যদিকে ভারত বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে এই চুক্তিতে যে বাংলাদেশে যদি
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় না থাকে তাহলে এই রাষ্ট্রটি জঙ্গিবাদদের দখলে চলে যাবে এবং
বাংলাদেশ আরেকটি আফগানিস্তান হবে। নেটফ্লিক্সে প্রকাশিত খুফিয়া সিনেমাটি দেখলে যে কারও
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার কথা মনে হতে বাধ্য।
খুফিয়া নেটফ্লিক্স ভারত যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে তুরস্কের ইসলামিক বেশ কয়েকটি সিরিজ। যার মধ্যে অন্যতম ‘কুরুলুস উসমান’। সিরিজটির প্রধান চরিত্র উসমানের ভূমিকায় অভিনয় করা অভিনেতা বুরাক অ্যাজিভিট বাংলাদেশে আসছেন। কুরুলুস উসমান সিরিজের এই নায়কও বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) নিজের ফেসবুক পেজে বুরাক অ্যাজিভিট নিজেই জানিয়েছেন বাংলাদেশে আসার কথা। দিয়েছেন একটি ভিডিও বার্তাও। সেখানে তিনি বলেন, ‘সালাম বাংলাদেশ কেমন আছেন আপনারা? খুব শিগগিরই দেখা হবে আপনাদের সঙ্গে।’
জানা গেছে, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণেই বাংলাদেশে আসবেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক অ্যাজিভিট। তবে কবে আসছেন সে বিষয়ে ভিডিওতে কিছু জানাননি তিনি।
প্রসঙ্গত, বুরাক অ্যাজিভিট একজন তুরস্কের অভিনেতা। উসমানী সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট উসমানের ভূমিকায় অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি লাভ করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ভক্ত-অনুসারী তার।
কুরুলুস উসমান নায়ক বুরাক বাংলাদেশে
মন্তব্য করুন
বারবার শিল্পী সমিতির আদালতের দারস্থ হওয়া শিল্পীদের জন্য লজ্জার। একজনের জন্য সব শিল্পীকেই সেই দায়ভার বহন করতে হচ্ছে। গত নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কেউ শিল্পী সমিতির অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আদালতে যায়নি। ছোট ছোট যে সমস্যাগুলো হয়েছে তার সমাধান শিল্পীরাই করেছেন।
গতবার প্রথম নিপুণ আদালতে গেছেন। এবারও তাই করলেন। গতবার তার সঙ্গে প্যানেলের ১১ জন ছিলেন, এবার তার প্যানেল থেকে নির্বাচিত হওয়া তিনজন কিন্তু ইতোমধ্যে নতুন প্যানেলের সঙ্গে বসে মিটিং করেছেন। আগের কমিটির মতো আলাদা থাকেনি। এবার আদালতে যাওয়ার বিষয়টি অকল্পনীয় ব্যাপার, কল্পনাতীত। শিল্পী সমিতির আদালতের দারস্থ হওয়া শিল্পীদের জন্য লজ্জার বলে নিপুণের রিট প্রসঙ্গে এভাবেই বললেন গুণী অভিনেতা সোহেল রানা।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি মানেই যেন আলোচনা-সমালোচনা। একে অন্যের বিরুদ্ধে কথা বলে সমালোচিত হয়েছেন শিল্পী সমিতির নেতারা। ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের পর আদালত পর্যন্ত গেছেন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করা নিপুন আক্তার। পরে আদালতের হস্তক্ষেপে দায়িত্ব পালন করেন নিপুন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন তিনি। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করা হয়। রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। নির্বাচন মেনে নেওয়ার এক মাস পর তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শিল্পী সমিতি আদালত অভিনেতা সোহেল রানা
মন্তব্য করুন
দেশের বিতর্কিত উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। নানা সময় অতিথিদের আপত্তিকর প্রশ্নের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন তিনি। এবার শাকিব-মিষ্টির বিয়ের গুঞ্জনে যোগ দিয়েছেন জয়।
মিষ্টি জান্নাতকে নিয়ে জয় বলেছেন, ‘ওই মেয়ে ভাইরাল হতেই শাকিবকে জড়িয়ে এসব কথা বলছেন। শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে হলেও সেটা টিকবে না।’ এরপরই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেন মিষ্টি। তার দাবি, শাহরিয়ার নাজিম জয় তাকে চেনেন। তবুও না চেনার অভিনয় করেছেন।
অভিনেত্রী মিষ্টি বলেন, ‘‘জয় ভাইয়াকে দেখলাম, সে বলছেন, ‘ওই যে একটা মেয়ে, শাকিব খানকে নিয়ে ভাইরাল হতে চান। তিনি একজন ডাক্তার পাশাপাশি অভিনেত্রী, যেটা মিলে গেছে। তাদের বিয়ে হলেও সেটা টিকবে না।’ এটা উনি কীভাবে জানল? কীভাবে বলল? এটা আমার প্রশ্ন।’’
এরপর জয় তাকে নিয়মিত কু-প্রস্তাব দিয়েছেন জানিয়ে মিষ্টি জান্নাত আরও বলেন, ‘সে আমাকে চেনে। গত পরশুদিন আমাকে টেক্সট করে বলছে, মিষ্টি কোথায় আছো? চলো লং ড্রাইভে যাই। অথচ, এমন একটা ভাব নিল, সে আমাকে চেনেই না। সে বললো, ওই যে একটা মেয়ে। এটা কেন বলবে? আমি কষ্ট পেয়েছি। যদি সে সিনিয়র না হতেন, তাহলে তাকে ধরে থাপড়াতাম। তার প্রোগ্রামে গেলেও এমন করে। অফস্ক্রিনে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করে। আমার কাছে সেসবের ভিডিও আছে। সে অনেক নেগেটিভ কথা বলে।’
মন্তব্য করুন
প্রতি বছরের ন্যায় ফ্রান্সের দক্ষিণ উপকূলীয় শহরে বসেছে চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব।’ শোবিজ দুনিয়ার অন্যতম বড় এই চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠছে মঙ্গলবার (১৪ মে)।
প্রতিবারের মতো এবারের আসরেও রেড কার্পেটে হাঁটবেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই। সেই উদ্দেশেই বুধবার ভারত ছেড়েছেন তিনি। উড়াল দিয়েছেন কান উৎসবে যোগ দিতে। মেয়ে আরাধ্যকে সঙ্গে নিয়েই ভারত ছাড়তে দেখা গেছে ঐশ্বরিয়াকে।
তবে ঐশ্বরিয়া ভক্তদের মনে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে নতুন একটি বিষয়, সেটি হলো ঐশ্বরিয়ার ডান হাত! একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ঐশ্বরিয়া কোনোভাবে ডান হাতে চোট পেয়েছেন। করা হয়েছে প্লাস্টার।
এত বড় একটি উৎসবের আগে হাতে কীভাবে ব্যাথা পেলেন ঐশ্বরিয়া, সেই প্রশ্ন তুলেছেন ভক্তরা। চোট নিয়ে এক ভক্ত লিখেছেন, ‘এভাবে চোট পাওয়া হাতে কানে হাঁটবে, ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন।’
২০০২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারী সোনার গয়না পরে হেঁটেছিলেন ঐশ্বরিয়া। ওই বছরই তার ছবি দেবদাস সেখানে প্রিমিয়ার হয়েছিল। সেবার অভিনেতা শাহরুখ খান এবং পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন নায়িকা। এরপর থেকে প্রায় প্রতি বছরই উৎসবে হাজির থেকেছেন এই অভিনেত্রী। ল’রিয়াল প্যারিসের অন্যতম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসাবে রেড কার্পেট রেখেছেন মাতিয়ে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন নির্বাচনে পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অভিনেত্রী নিপুণ। রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।
জানা গেছে, নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এই ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন। এতে সভাপতি পদে মিশা ২৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। ১৬ ভোট কম পেয়ে হেরে যান তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ। তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট।
এদিকে, একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে নিপুণের এই রিটের প্রতিক্রিয়ায় জায়েদ খান বলেন, ‘একজন মানুষ লোভে পড়ে, যোগ্যতাহীনভাবে একটা চেয়ারকে ধরে রাখার জন্য কতটা নিচে নামতে পারেন সেটা উনি দেখিয়ে দিয়েছেন। ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে বলে গেলেন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। সব মেনে নিয়ে ওনার এত দিন পরে মনে হলো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।’
মন্তব্য করুন