কলিম শরাফী। নামটি এ দেশের সংগীত প্রিয় মানুষের কাছে একটি প্রিয় নাম। বিশেষ করে রবীন্দ্র সংগীত জগতেতিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মুখ। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, সংগীত পরিচালনা, তথ্যচিত্র নির্মাণ, উদীচীর কর্মকাণ্ডে যোগদান, সংগীত ভবন’ নামে একটি সংগীত বিদ্যালয় গড়ে তোলা, শিল্পকলা একাডেমী কাউন্সিল ও শিশু একাডেমী কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করাসহ শিল্পী জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম কলিম শরাফী।
আজ
২ নভেম্বর ২০১০ সালের এই দিনে তিনি চলে গেছেন সকলকে ছেড়ে। তিনি চলে গেছেন তবে তার অনুপস্থিতিতেও সংগীত প্রেমীদের মাঝে আজও জ্বলজ্বল করছে তার কীর্তি।
১৯২৪
সালের ৮ মে ভারতের
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার খৈরাডিঁহি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন
কলিম শরাফী। তার সম্পূর্ণ নাম
মাখদুমজাদা শাহ সৈয়দ কলিম
আহমেদ শরাফী। কলিম শরাফীর পিতার
নাম সামি আহমেদ শরাফী
ও মাতার নাম আলিয়া বেগম।
মাত্র চার বছর বয়সে
মা আলিয়া বেগমকে হারান তিনি। তার পড়াশুনার হাতেখড়ি
হয় আরবি ওস্তাদজী আর
বাংলা পণ্ডিত মশাইয়ের হাতে। ১৯২৯ সালে পাঠশালায়
ভর্তি হয়ে শিক্ষাজীবন শুরু
করেন তিনি। তাঁতিপাড়া প্রাইমারি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে চলে আসেন
কলকাতায় বাবা সামি আহমেদ
শরাফীর কাছে।
১৯৩৫
সালে ভর্তি হন মাদ্রাসা-ই-আলিয়াতে। অ্যাংলো পার্শিয়ান বিভাগে চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি হন তিনি। পরবর্তীকালে
খ্যাতিমান সাংবাদিক শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার
তার সহপাঠি হন। ১৯৪৬ থেকে
১৯৫০ সাল পর্যন্ত কলকাতার
বিখ্যাত সংগীত বিদ্যালয় ‘দক্ষিণী’তে সংগীত শিক্ষা
লাভ করেন। এরপর ১৯৫০ সালে
ঢাকায় এসে বসবাস শুরু
করেন কলিম শরাফী।
১৯৪৯
সালে কলিম শরাফী প্রথমবার
বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। প্রথম স্ত্রীর
সঙ্গে ১৯৫৭ সালে বিচ্ছেদ
ঘটে। তারপর ১৯৬৩ সালে দ্বিতীয়বারের
মতো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। কলিম
শরাফীর দ্বিতীয় স্ত্রী অধ্যাপক নওশেবা খাতুন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
মনোবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করতেন। আলেয়া শরাফী এবং আজিজ শরাফী
নামের দুই সন্তান রয়েছে
কলিম শরাফীর।
একটি
রক্ষণশীল পরিবার থেকে উঠে আসেন
কলিম শরীফ। তবুও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক
কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছিলেন। ১৯৪৪ সালে তিনি
ইন্ডিয়ান পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশন (আইপিটিএ)-তে যোগ দিয়ে
কলকাতার হাজারা পার্কে প্রথম হাজার হাজার দর্শকের সামনে সর্বপ্রথম গণসংগীত পরিবেশন করেন। তারপর ১৯৪৬ সালে গ্রামোফোন
কোম্পানি এইচএমভি থেকে বের হয়
কলিম শরাফীর প্রথম গণসংগীতের রেকর্ড। এর সঙ্গে কলকাতা
বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হয়ে যান কলিম
শরাফী।
শুভ
গুহঠাকুরতার রবীন্দ্র সংগীতের প্রতিষ্ঠান ‘দক্ষিণী’তে নিয়মিত রবীন্দ্র
সংগীত চর্চা শুরু করেন। এক
সময় কলিম শরাফী এ
দক্ষিণীতেই যোগ দিয়েছিলেন শিক্ষক
হিসেবে। দক্ষিণীতে কলিম শরাফী সংগীতগুরু
দেবব্রত বিশ্বাস, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও সুচিত্রা মিত্রের
সাহচর্য পেয়েছিলেন। ১৯৪৮ সালে নীতিগত
বিরোধের কারণে মহর্ষি মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, শম্ভু মিত্র, তৃপ্তি মিত্র, অশোক মজুমদার, মোহাম্মদ
ইসরাইল, কলিম শরাফী প্রমুখ
আইপিটিএ থেকে বেরিয়ে এসে
গঠন করেন নাট্যসংস্থা ‘বহুরূপী’।
১৯৫৬ সালে শেরে বাংলার
মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করে সেকশন নাইনটি
টু জারি করার ফলে
কলিম শরাফীকে আত্মগোপন করতে হয়। সে
বছরের শেষ দিকে তিনি
আবার ঢাকায় ফিরে আসেন। ঢাকায়
‘হ-য-ব-র-ল’ নামে একটি
সংগঠন গড়ে তোলেন। এ
সংগঠনের ব্যানারেই মঞ্চস্থ করেন ‘তাসের দেশ’ নাটকটি। সে
সময় কলিম শরাফীর সহযোগী
ছিলেন ড. আনিসুর রহমান
ও ড. রফিকুল ইসলাম।
১৯৫৭ সালে কলিম শরাফী
প্রথমবারের মতো সংগীত গান
আকাশ আর মাটি চলচ্চিত্রে।
এরপর ১৯৫৮ সালে কলিম
শরাফীর এ গান রেডিওতে
সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়। স্বাধীনতা
পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল
ছিল।
কলিম শরাফী ১৯৬০ সালে সোনার
কাজল চলচ্চিত্রে প্রযোজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে
সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন পরবর্তী
প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান। এ
সময় কলিম শরাফীর সংগীত
পরিচালনায় নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র ‘ভেনিস’ আন্তর্জাতিক পুরস্কারও অর্জন করে। তারপর ‘সূর্যস্নান’
ছবিতে পথে পথে দিলাম ছড়াইয়া রে গানটি গেয়ে তিনি শ্রোতামহলে ব্যাপক
জনপ্রিয়তা পান।
এছাড়া কবিয়াল রমেশ শীলের জীবন
নিয়ে একটি তথ্য চিত্রও
নির্মাণ করেন কলিম শরাফী।
১৯৬৪ সালে ঢাকায় প্রথম
টিভি সেন্টার চালু হলে তিনি
সেখানে প্রোগ্রাম ডিরেক্টর পদে যোগ দেন।
কলিম শরাফী ১৯৬৯ সালে সত্যেন
সেনের সঙ্গে উদীচীর কর্মকাণ্ডে যোগ দেন। ১৯৭৭
থেকে প্রায় অনেকগুলো বছর সভাপতি ও
সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৭৯ সালে গঠিত হয়
‘জাহিদুর রহিম স্মৃতি পরিষদ’। কলিম শরাফী
এই উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক। পরে এই ‘জাহিদুর
রহিম স্মৃতি পরিষদ’ই ‘জাতীয় রবীন্দ্র
সংগীত সম্মিলন পরিষদ’-এ পরিণত হয়।
কলিম শরাফী ১৯৮৩ সালের এপ্রিলে
‘সংগীত ভবন’ নামে একটি
সংগীত বিদ্যালয় গড়ে তোলেন ।
প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই শিল্পী কলিম শরাফী এ
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। কলিম
শরাফী একাধিক চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন। ‘স্মৃতি
অমৃত’ তার প্রকাশিত গ্রন্থ
৷ তার গানের পনেরটি
ক্যাসেট ও তিনটি সিডি
ক্যাসেট প্রকাশিত হয়েছে। তিনি শিল্পকলা একাডেমী
কাউন্সিল ও শিশু একাডেমী
কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও
তিনি বাংলাদেশ বেতার টিভি শিল্পী সংস্থা,
বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা ও নাগরিক নাট্য
অঙ্গনে প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
সুদীর্ঘ সাংস্কৃতিক জীবনে কলিম শরাফীর মাত্র
৫টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এগুলোর নাম হল- এই
কথাটি মনে রেখো, আমি
যখন তার দুয়ারে, কলিম
শরাফীর যত গান, রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুরের গান এবং জ্যোতিরিন্দ্র
মৈত্রের কথা ও সুরে
নবজীবনের গান।
সংগীত শিল্পে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ কলিম শরাফী পয়েছেন
একুশে পদক (১৯৮৫), স্বাধীনতা
দিবস পুরস্কার (১৯৯৯), ‘নাসিরউদ্দিন স্বর্ণ পদক’ (১৯৮৮), ‘বেগম জেবুন্নেছা ও
কাজী মাহবুব উল্লাহ স্বর্ণ পদক’ (১৯৮৭), সত্যজিত রায় পুরস্কার (১৯৯৫)
এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চা
কেন্দ্র হতে ‘কৃতি বাঙালি
সম্মাননা পদক’ (১৯৮৮)।
বাংলা একাডেমী ফেলোশিপ, রবীন্দ্র সুবর্ণ জয়ন্তী পাটনা, কলিকাতার শিল্প মেলার বঙ্গ সংস্কৃতি, বুলবুল
ললিতকলা একাডেমী, সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড অব অনার, রাষ্ট্রপতি
আবু সাঈদ চৌধুরী অ্যাওয়ার্ড,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গুণীজন সংবর্ধনা, পশ্চিমবঙ্গের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১২৫তম জন্ম বার্ষিকী, ডি-৮ আর্ট অ্যান্ড
কালচার ফেস্টিভেল, পাকিস্তান ইত্যাদি অনুষ্ঠানে সম্মানিত এ গুণী মানুষটি।
সর্বশেষ ২০১০ সালে তিনি
বাংলা একাডেমী প্রবর্তিত রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত হন।
শিল্পী কলিম শরাফী রবীন্দ্র সংগীত পরিচালক
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির
নেতৃবৃন্দ। নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলের নেতৃত্বে তারা গেল
শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে জাতির পিতার সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা
নিবেদন করেন।
এ সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সহসভাপতি
ডিএ তায়েব, সহসাধারণ সম্পাদক আরমান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর
ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, কোষাধ্যক্ষ কমল, কার্যনির্বাহী সদস্য সুচরিতা, রোজিনা,
আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, চুন্নু ও সনি রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্রনায়িকা
রুমানা ইসলাম মুক্তি, নাহিদা আশরাফ আন্না, ডি জে সোহেলসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই
উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হয়। মিশা
সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট এবং ২২৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ার হোসেন
ডিপজল।
মন্তব্য করুন
ঈদ উপলক্ষে বরাবরই তারকাদের নিয়ে আড্ডার আয়োজন
করে বেসরকারি টেলিভিশনগুলো। বিভিন্ন ব্যান্ডের ফটোশুটে প্রায় তাদের একসঙ্গে দেখতে পাওয়া
যায় ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস ও তরুন নায়ক ইমন খান কে। কাজের সূত্র ধরেই দুই তারকার
বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছে। বন্ধুত্বের জায়গা থেকেই এবারে ইমন অপু বিশ্বাসকে ঢালিউডের ‘গসিপ
কুইন’ বলেন।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে
হাজির হয়েছিলেন ইমন। ওই অনুষ্ঠানে ‘জানতে চাই’ নামের একটি অংশ নায়কের কাছে উপস্থাপক
জানতে চান ঢালিউডের ‘গসিপ কুইন’ কে। এমন প্রশ্নের জবাবে অবলীলায় ইমন অপু
বিশ্বাসের কথাবলেন।
ইমন একটু হেসেই বলেন, অপু
বিশ্বাসের কাছে ঢালিউডের সব খবর থাকে। মানে অপু বিশ্বাসকে সবাই বলে
নায়ক মান্না ভাই। আগে মান্না ভাইয়ের কাছে সব ধরনের খবর থাকত। এখন থাকে তার কাছে। সে
জানে ইন্ডাস্ট্রিতে কোথায় কী হচ্ছে। এমনকি সে খুব সঠিক তথ্যও দিয়ে দেয়।
ব্যক্তি জীবনের নানান বিষয় নিয়ে আলোচনায় থাকেন অপু বিশ্বাস। ঢাকাই সিনেমার নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে এবং বিচ্ছেদ নিয়েই বেশি আলোচনা চলে এই অভিনেত্রীকে নিয়ে। বর্তমানে নিজের ব্যবসা নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনেত্রী।
অপু বিশ্বাস ঢালিউড ‘গসিপ কুইন’ ইমন খান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন পিয়া জান্নাতুল
মন্তব্য করুন
প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা
পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির
গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে
অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ
আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।
গত ২৪ এপ্রিল (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
সেন্সর বোর্ড থেকে চূড়ান্ত রায় জানানো হয়, ছবিটি দর্শকদের সামনে প্রদর্শনযোগ্য নয়।
তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন
‘অমীমাংসিত’ নির্মাতা রায়হান রাফী। নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সিনেমা বাস্তবের সাথে মিলে
গেছে তাই এটা মুক্তি দেওয়া যাবে না! সিনেমা হতে হবে অবাস্তব! ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’
সেন্সর বোর্ডে আটকে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টা তাহলে এমন, কোনো সিনেমায় কোনো
সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না? কাল্পনিক কাহিনি উল্লেখ করার পরেও যদি কোনো ঘটনার
সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না টাইপ।’
রাফি আরও লেখেন, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমায়
কোনো কিছুই প্রমাণ করা হয়নি, কেবল বিভিন্ন জনের ধারণা দেখানো হয়েছিল, তারপরও এই সিনেমা
আটকে দেওয়াটা সত্যি দুঃখজনক!’
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘সিনেমায় কোনো
খুন দেখানো যাবে না, কোনো ধর্ষণ দেখানো যাবে না, কোনো অপহরণ দেখানো যাবে না, কোনো গুম
দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে। এখানে কোনো খুন হয় না, কোনো গুম
হয় না, কোনো ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত পা বেঁধে সাঁতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।’
‘অমীমাংসিত’কে দর্শকের সামনে অপ্রদর্শনযোগ্য
বলে রায় দিয়ে যে কারণগুলো দেখানো হয়েছে সেগুলো হলো, ১) চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য
রয়েছে। (২) কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সাথে মিল রয়েছে।
(৩) এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
(৪) চলচ্চিত্রটির কাহিনি/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সাথে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে
পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ। নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলের নেতৃত্বে তারা গেল শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে জাতির পিতার সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ঈদ উপলক্ষে বরাবরই তারকাদের নিয়ে আড্ডার আয়োজন করে বেসরকারি টেলিভিশনগুলো। বিভিন্ন ব্যান্ডের ফটোশুটে প্রায় তাদের একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যায় ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস ও তরুন নায়ক ইমন খান কে। কাজের সূত্র ধরেই দুই তারকার বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছে। বন্ধুত্বের জায়গা থেকেই এবারে ইমন অপু বিশ্বাসকে ঢালিউডের ‘গসিপ কুইন’ বলেন।
সম্প্রতি আইনজীবীর পোশাকে পিয়া জান্নাতুল এর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। আর তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে সেই কথা শুনে লাবণ্যময়ী হাসি দিচ্ছেন মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল। ব্যস্, এই হাসিতেই ঘায়েল নেটিজেনরা। বিভিন্ন গানের সঙ্গে ভিডিওটি জুড়ে দিয়ে তৈরি হচ্ছে রিলস ও মিম।
প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।