আগামী
১০ নভেম্বর ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে কোক স্টুডিও বাংলার দ্বিতীয় সিজনের কনসার্ট। প্রায় ১০০ শিল্পীকে নিয়ে বসবে এবারের এ আসর। এরই
মধ্যে কনসার্ট উপভোগ করতে চাওয়া দর্শকদের মধ্যে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। ভক্তদের একটি জাদুকরী সময় উপহার দিতে প্রস্তুতিরও কোনো কমতি রাখছে না আয়োজকরা।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ কনসার্ট উপভোগ করতে দর্শক-শ্রোতাদের মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শর্তগুলো জানিয়েছে আয়োজকরা। দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে গেট খুলবে এবং ভক্তরা ভেন্যুর বিভিন্ন জোনে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন। এসব কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে তারা পাবেন কোক স্টুডিও বাংলা স্পেশাল মার্চেন্ডাইজ জিতে নেওয়ার সুযোগ।
কনসার্টে একটি ফুড জোনও থাকছে। যেখানে বিভিন্ন স্টল থেকে ভক্তরা তদের পছন্দের খাবার কিনতে পারবেন। এছাড়াও ভেন্যুতে দর্শকদের যাতায়াত ঝামেলামুক্ত করার জন্য পাঠাও-এর সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে একটি বিশেষ পাঠাও পিকআপ জোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কনসার্ট দেখতে যেসব শর্ত মানতে হবে:
১. অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সাথে টিকিট থাকতে হবে। ভেন্যুতে প্রবেশ করার জন্য অবশ্যই টিকিটের ডিজিটাল/প্রিন্ট কপি সাথে রাখুন।
২. টিকিট একবার যাচাই করা হলে ভেন্যুতে প্রবেশের জন্য সেই টিকিট পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না।
৩. ১৩ বছরের কম বয়সীরা কনসার্টে প্রবেশ করতে পারবে না।
৪. ভেন্যুতে বড় ব্যাগ/ব্যাকপ্যাক নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।
৫. বাইরে থেকে খাবার ও পানীয় আনা যাবে না।
৬. ভেন্যুতে গাড়ি পার্ক করার কোনো ব্যবস্থা থাকবে না।
৭. ভেন্যুতে ধূমপান, মদপান, মাদক গ্রহণ অথবা অন্য কোনো বেআইনি কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেউ এমন কাজ করলে তাকে আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।
৮. নিরাপত্তাজনিত কারণে আয়োজকরা তল্লাশি চালাতে পারেন এবং অনুষ্ঠানস্থল বা অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত যে কোনো ব্যক্তির জন্য বিপদ সৃষ্টি করতে পারে বা অনুষ্ঠান ব্যাহত করতে পারে এমন কোনো জিনিস বাজেয়াপ্ত করতে পারে।
৯. নিষিদ্ধ বস্তু: ল্যাপটপ, চার্জার, প্রফেশনাল ক্যামেরা, বড় ব্যাগ, লাইটার, ম্যাচবক্স, ই-সিগারেট, সিগারেট, অস্ত্র এবং ধারালো বস্তু।
১০. সম্পত্তি বা ব্যক্তিগত জিনিসের কোনো ক্ষতি বা চুরির ঘটনায় আয়োজক কর্তৃপক্ষ কোনো দায় নেবে না।
১১.
টিকিটের ব্যাপারে কোনো সমস্যা দেখা দিলে এ ব্যাপারে আয়োজক
কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।
উল্লেখ্য,
এবারের আয়োজনের
লাইনআপে থাকছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব, অনিমেষ রায়, পান্থ কানাই, মমতাজ বেগম, মিজান রহমান, ঋতু রাজ, সানজিদা মাহমুদ নন্দিতা, নিগার সুলতানা সুমি, জালালি সেট, রিপন কুমার সরকার (বগা), সুনিধি নায়েক, সৌম্যদীপ শিকদার (মুর্শিদাবাদী), কানিজ খন্দকার মিতু, মো. মাখন মিয়া, রুবাইয়াত রেহমান, জান্নাতুল ফেরদৌস আকবর, শানিলা ইসলাম, আরমীন মুসা ও ঘাসফড়িং কয়্যার,
রিয়াদ হাসান, পল্লব ভাই, মেঘদল, সোহানা (ডটার অফ কোস্টাল), মুকুল
মজুমদার ঈশান, প্রীতম হাসান, ইসলাম উদ্দিন পালাকার, ফজলু মাঝি, ইমন চৌধুরী, এরফান মৃধা শিবলু, আলেয়া বেগম, ফুয়াদ আল মুক্তাদির, তাসফিয়া
ফাতিমা (তাশফি), সূচনা শেলী, বাপ্পা মজুমদার, হামিদা বানুসহ দুই সিজনের শিল্পীরা। আরো থাকবেন এলিটা করিম, শুভ (ডি রকস্টার), অনুরাধা
মণ্ডল, শাওন গানওয়ালা ও মোক্তাদির দেওয়ান
শান্ত। ব্যান্ড হিসেবে থাকছে হাতিরপুল সেশনস ও লালন ব্যান্ড।
এছাড়াও, যারা কনসার্টে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, তারা ঘরে বসেও কোক স্টুডিও বাংলা লাইভ-এর ব্রডকাস্ট পার্টনার দীপ্ত টিভির মাধ্যমে সরাসরি কনসার্টটি উপভোগ করতে পারবেন। এর বাইরে কোক স্টুডিও বাংলার ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল এবং দীপ্ত টিভির ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দীপ্ত প্লেতেও কনসার্টটি দেখা যাবে।
মন্তব্য করুন
হ্যাকারদের কবলে পড়েছিলো জনপ্রিয় উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেতের
অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ। তবে দুর্বৃত্তরা বেশিক্ষণ পেজটি নিজেদের দখলে রাখতে পারেনি।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হানিফ সংকেতের পেজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে
একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছবি পোস্ট করে হ্যাকাররা। কিছুক্ষণের মধ্যেই হানিফ সংকেতের
কারিগরি দল পেজের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
১ কোটির বেশি অনুসারীর এই পেজটি ফিরে পেয়ে সন্ধ্যা
সাতটার হানিফ সংকেতের নামে দেয়া এক পোস্টে বলা হয়, ‘কিছুক্ষণ আগে কে বা কারা পেজটি
হ্যাক করে সেখানে অত্যন্ত অরুচিকর একটি দৃশ্য সংযোজন করে, যা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই
আমার টেকনিক্যাল টিম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অপসারণ করে।’ ‘আমাদের এই পোস্ট দেওয়ার আগেই
অনেকে পেজ হ্যাক হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাদের সতর্ক করেছেন, সে জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ
ও কৃতজ্ঞতা।’
জনপ্রিয় টেলিভিশন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র গ্রন্থনা, পরিকল্পনা
ও উপস্থাপনা করেন হানিফ সংকেত। তিনি নাটকও নির্মাণ করেছেন। হানিফ সংকেত করেছেন অভিনয়,
লিখেছেন রম্যরচনা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন পিয়া জান্নাতুল
মন্তব্য করুন
প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা
পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির
গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে
অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ
আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।
গত ২৪ এপ্রিল (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
সেন্সর বোর্ড থেকে চূড়ান্ত রায় জানানো হয়, ছবিটি দর্শকদের সামনে প্রদর্শনযোগ্য নয়।
তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন
‘অমীমাংসিত’ নির্মাতা রায়হান রাফী। নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সিনেমা বাস্তবের সাথে মিলে
গেছে তাই এটা মুক্তি দেওয়া যাবে না! সিনেমা হতে হবে অবাস্তব! ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’
সেন্সর বোর্ডে আটকে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টা তাহলে এমন, কোনো সিনেমায় কোনো
সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না? কাল্পনিক কাহিনি উল্লেখ করার পরেও যদি কোনো ঘটনার
সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না টাইপ।’
রাফি আরও লেখেন, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমায়
কোনো কিছুই প্রমাণ করা হয়নি, কেবল বিভিন্ন জনের ধারণা দেখানো হয়েছিল, তারপরও এই সিনেমা
আটকে দেওয়াটা সত্যি দুঃখজনক!’
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘সিনেমায় কোনো
খুন দেখানো যাবে না, কোনো ধর্ষণ দেখানো যাবে না, কোনো অপহরণ দেখানো যাবে না, কোনো গুম
দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে। এখানে কোনো খুন হয় না, কোনো গুম
হয় না, কোনো ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত পা বেঁধে সাঁতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।’
‘অমীমাংসিত’কে দর্শকের সামনে অপ্রদর্শনযোগ্য
বলে রায় দিয়ে যে কারণগুলো দেখানো হয়েছে সেগুলো হলো, ১) চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য
রয়েছে। (২) কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সাথে মিল রয়েছে।
(৩) এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
(৪) চলচ্চিত্রটির কাহিনি/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সাথে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে
পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
মন্তব্য করুন
ইরাকে এক নারী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাসসের
খবর অনুযায়ী স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মোটরসাইকেলে নিয়ে আসা এক বন্দুকধারী
ওই নারীকে গুলি করে হত্যা করেন। ওই নারীর নাম ওম ফাদাহ।
ইরাকের সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি অনেক প্রভাবশালী এবং সুপরিচিত
ছিলেন। বাগদাদে তার বাড়ির বাইরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা
এএফপি’কে এই কথা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, অজ্ঞাতনামা
এক হামলাকারী জায়উনা জেলায় ওম ফাহাদকে তার গাড়িতে গুলি করে। অন্য এক নিরাপত্তা সূত্র
জানায়, ওই হামলাকারী খাবার ডেলিভারি দেওয়ার ভান করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওম ফাহাদ আঁটসাঁট পোশাক পরে ইরাকি সঙ্গীতে তার নাচের টিকটক ভিডিওগুলোর
জন্য পরিচিত হয়েছিলেন।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি আদালত ‘শালীনতা এবং জনসাধারণের নৈতিকতাকে
ক্ষুন্ন করে এমন অশালীন বক্তৃতা সম্বলিত ভিডিও’ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার
জন্য তাকে ছয় মাসের কারাদ- দেয়।
ইরাকের জনসাধারণের ‘নৈতিকতা এবং ঐতিহ্য লঙ্ঘন করে এমন বিষয়বস্তু
সম্বলিত কন্টেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য গত বছর দেশটির সরকার
অভিযান শুরু করে।
টিকটক, ইউটিউব এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে পোস্টকৃত আক্রমণাত্মক
বিভিন্ন ক্লিপ চিহ্নিত করে তা সরিয়ে ফেলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন
করে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এরপর থেকে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালে বন্দুকধারীরা বাগদাদে প্রভাবশালী মডেল তারকা ফারেসকে গুলি করে হত্যা করে।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি আইনজীবীর পোশাকে পিয়া জান্নাতুল এর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। আর তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে সেই কথা শুনে লাবণ্যময়ী হাসি দিচ্ছেন মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল। ব্যস্, এই হাসিতেই ঘায়েল নেটিজেনরা। বিভিন্ন গানের সঙ্গে ভিডিওটি জুড়ে দিয়ে তৈরি হচ্ছে রিলস ও মিম।
প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।