কালার ইনসাইড

‘টাইগার-৩’ এর আগে ভারতের বাইরে নিষিদ্ধ হয়েছিল যেসব বলিউডি সিনেমা!

প্রকাশ: ০৪:২৯ পিএম, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বহুকাল ধরেই ভারতীয় সিনেমা ও বিনোদন জগতের খ্যাতি রয়েছে সারা বিশ্ব জুড়ে। প্রতিবছর নির্মিত চলচ্চিত্রের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম চলচ্চিত্রশিল্পের একটি ‘বলিউড’। বর্তমানে বলিউড নামে পরিচিত হলেও এবং পূর্বে বোম্বে সিনেমা নামে পরিচিত ছিল এই চলচ্চিত্রশিল্প। বিশ্বের নানা দেশে ভারতীয় চলচ্চিত্রের বড় একটি বাজার রয়েছে। ভারতের অধিকাংশ হিট সিনেমা বিদেশেও মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করে থাকে। কিন্তু ভারতে মুক্তি পাওয়ার পর কিছু সিনেমা ব্যবসায়ীকভাবে সফল হলেও অনেক সময় বিতর্ক, ছবির আপত্তিকর বিষয়বস্তু, বিভিন্ন সংলাপ কিংবা ধর্মীয় কারণে পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য বা আরবের কয়েকটি দেশ সিনেমা মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যার সর্বশেষ  নজির ১২ নভেম্বর মুক্তি পাওয়া ‘টাইগার-৩’। এমন কিছু নিষিদ্ধ সিনেমা নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের এই প্রতিবেদন।

টাইগার-৩(Tiger-3):

গতকাল ১২ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছে সালমান খান, ক্যাটরিনা কাইফ ও ইমরান হাশমী অভিনীত সিনেমা ‘টাইগার-৩’। কিন্তু মুক্তির পূর্বেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায় এশিয়ার ৩টি দেশ ওমান, কুয়েত এবং কাতারে সিনেমাটির মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে সিনেমায় ইসলামী দেশ ও চরিত্র গুলোকে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করার কথা বলা হয়েছে। যদিও এতে অভিনয় করা সালমান খান কিংবা যশরাজ ফিল্মসের পক্ষ থেকে এই নিয়ে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।

দ্য কাশ্মীর ফাইলস(The Kashmir Files):

২০২২ সালেন ১৩মে ভারতে মুক্তি পায় বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত দ্য কাশ্মীর ফাইলস সিনেমাটি। কিন্তু মুসলিমদের বিতর্কিতভাবে দেখানোর অভিযোগে বলিউড এই সিনেমাকে নিষিদ্ধ করা হয় সিঙ্গাপুরে।

সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ জানায়, এই সিনেমায় মুসলিমদের আক্রমণাত্মক ও একতরফাভাবে দেখানো হয়েছে এবং তাতে শুধু হিন্দুদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা তুলে ধরা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘এই ধরনের উপস্থাপন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করার এবং আমাদের বহুজাতিক এবং বহু-ধর্মীয় সামাজিক সংহতি এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি ব্যাহত করার আশঙ্কা রয়েছে।’

সিনেমাটি ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কাশ্মীর ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছিল। সিনেমাটিতে অভিনয় করেন অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী, পল্লবী যোশী, দর্শন কুমার, পুনীত ইসার, মৃণাল কুলকার্নি, চিন্ময় মণ্ডলেকর প্রমুখ।

পদ্মাবত(Padmaavat):

বলিউডের আলোচিত সিনেমা ‘পদ্মাবত’। রণবীর সিং, দীপিকা পাড়ুকোন ও শহিদ কাপুর অভিনীত এ সিনেমা পরিচালনা করেন সঞ্জয়লীলা বানসালি। ২০১৮ সালে মুক্তির পর মুসলিম শাসক আলাউদ্দিন খিলজিকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরায় বলিউডের বিতর্কিত এ সিনেমাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে মালয়েশিয়ার সরকার। ওই সময়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘মালয়েশিয়ার প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি প্রদর্শন করা যাবে না। আলাউদ্দিন খিলজিকে যেভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’ চৌদ্দশত শতকের আলাউদ্দিন খিলজি, রাজপুত রাজা রতন শিং ও হিন্দু রানী পদ্মাবতীর গল্প নিয়ে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে।

ও মাই গড(Oh My God): 

অক্ষয় কুমার ও পরেশ রাওয়াল অভিনীত এই সিনেমার নির্মাতাদের ভারতেই বিরোধের মুখে পরতে হয়েছিল। যার কারণ, এই সিনেমার মাধ্যমে ঈশ্বর সম্পর্কে মানুষের মনে থাকা সকল ধারণাকে কুসংস্কার বলে প্রমাণ করতে চাওয়া। এই কারণে শুধু মাত্র ভারত নয়, বিদেশেও এই সিনেমা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সিনেমাটি মুক্তি পায় এ বছরের ১১ অগাস্ট।

বেল বটম(Bell Bottom):

অক্ষয় কুমার ও লারা দত্ত অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘বেল বটম’। স্পাই-থ্রিলার ঘরানার এ সিনেমা ২০২১ সালেন ১৯ আগস্ট মুক্তি পায়। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় লারা দত্তের অভিনয় দেখে সকলে অনেক প্রশংসাও করেছিল। আশির দশকে একটি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে ‘বেল বটম’ সিনেমার গল্প গড়ে উঠে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে সিনেমাটি প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সৌদি আরব, কুয়েত ও কাতার।  

দ্যা ডার্টি পিকচার(The Dirty Picture):

দক্ষিণ ভারতের সাহসী অভিনেত্রী সিল্ক স্মিতার জীবনী অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল দ্যা ডার্টি পিকচার সিনেমাটি। এতে বিদ্যা বালান, নাসিরউদ্দিন শাহ, ইমরান হাশমি ও তুষার কাপুরকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। ছবির গল্পে সিল্ক স্মিতার সাহসীকতার ঘটনা দেখানো হয়েছিল। একাধিক বোল্ড ও সাহসী দৃশ্য থাকার অভিযোগ এনে কুয়েতসহ কিছু দেশে সিনেমাটি নিষিদ্ধ করা হয়। সাহসী এ সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০১১ সালের ২ ডিসেম্বর। 

প্যাডম্যান(Padman):

অক্ষয় কুমার, সোনম কাপুর ও রাধিকা আপ্তে অভিনীত সিনেমা ‘প্যাডম্যান’। সিনেমাটি ২০১৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায়। ভারতের তামিলনাড়ুর অরুনাচালম মুরুগানানথাম নামের এক ব্যক্তিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে এ সিনেমার গল্প। মহিলাদের শারীরিক প্রকিয়া ঋতুচক্র বা মাসিক এবং মাসিকের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির জন্য ইতিবাচক সাড়া পাওয়া সিনেমাটি  নিষিদ্ধ করা হয়েছিল পাকিস্থান ও কুয়েতে।

বোম্বে(Bombay): 

ভারতীয় সিনেমার অন্যতম সেরা সিনেমা হল ‘বোম্বে’। বলিউড অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা ও দক্ষিণী অভিনেতা অরবিন্দ স্বামী অভিনীত এই ছবির গল্পে উঠে এসেছিল মুম্বাই দাঙ্গার ঘটনা। গল্পে এক হিন্দু ছেলে ও মুসলিম মেয়ের প্রেম কাহিনী দেখানো হয়েছে। সিনেমার গল্প ও বিষয়বস্তুর জন্য সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়সহ বেশ কিছু দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

বেবি (Baby):      

ভারতীয় সিনেমার স্পাই থ্রিলারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রশংসিত সিনেমাগুলোর মধ্যে নাম রয়েছে এই সিনেমার। মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন অক্ষয় কুমার। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গিয়েছে অনুপম খের, রানা দাগ্গুবতি, তাপসী পান্নু ও ড্যানিকে। এই সিনেমাটিও পাকিস্তানে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পাকিস্তানি সেন্সর বোর্ডের দাবি- এ চলচ্চিত্রে মুসলিমদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া সিনেমাটির সব নেতিবাচক চরিত্রে মুসলিম নাম রাখা হয়েছে যার মাধ্যমে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। তাই এই সিনেমা নিষিদ্ধ করেছেন তারা।


টাইগার-৩   সালমান খান   ক্যাটরিনা কাইফ   ইমরান হাশমি   পদ্মাবত   দ্যা ডার্টি পিকচার  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

নেটিজেনদের মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন স্বস্তিকা

প্রকাশ: ০৯:২১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। জীবনটা নিজের শর্তে উপভোগ করেন এই অভিনেত্রী। ঠোঁটকাটা স্বভাব, সমাজের বাঁকা দৃষ্টিকে পাত্তা না দেওয়ায় বছর জুড়েই আলোচনায় থাকেন। আবার সমকালীন বিষয় নিয়ে কথা বলেও বহুবার সমালোচিত হয়েছেন স্বস্তিকা।

জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। গেল এপ্রিল থেকেই এখানে প্রচণ্ড দাবদাহ দেখা যাচ্ছে। শুধু এপার বাংলা নয়, ওপার বাংলার মানুষও হাঁসফাঁস করছেন তীব্র দাবদাহে।

পরিবেশ বাঁচাতে বিজ্ঞানীরা যেমন গাছ লাগানোর কথা বলছেন, তেমনি তারকাদের মধ্যেও অনেকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু এ প্রসঙ্গে কথা বলে নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন স্বস্তিকা। তবে তিনিও কম যান না। রীতিমতো নেটিজেনদের এক হাত নিলেন তিনি।

বুধবার (১ মে) নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন স্বস্তিকা। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আরও গাছ কাটো/ আরও পুকুর বোজাও/ কংক্রিটের জঙ্গলে বাস করবে মানুষের লাশ।’

আর এতেই খেপে গিয়ে স্বস্তিকার দিকে প্রশ্নের তীর ছোড়া শুরু করেন তারা। সুপ্রিয়া নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনি থাকেন কোথায়? কয়টা গাছ লাগিয়েছেন এই পর্যন্ত? ফ্ল্যাট কেনা নেই তো একটাও?’

প্রশ্নগুলো দেখে থেমে থাকেননি স্বস্তিকাও। সুপ্রিয়ার সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী লেখেন, ‘হ্যাঁ, গাছ লাগিয়েছি। আমাদের বাড়ির গলিতে যত গাছ আছে সবগুলো আমি এবং আমার বাবা দুজনে মিলে লাগিয়েছি। আর আমার ফ্ল্যাট কেনা নেই। আমি আমার বাবার বাড়িতে থাকি। আর মুম্বাইতে থাকি ভাড়া বাসায়।

জবাবে অভিনেত্রী আরও লেখেন, ফেসবুকে এসে কাউকে আক্রমণ করার আগে চেক করে নিবেন আমার কয়টা ফ্ল্যাট আছে। আর গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের দায় আমাদের সবার। আমাকে তীর ছুড়ে প্রকৃতির কোনো সুরাহা হবে না।

অন্যদিকে সায়ন্তন ঘোষ লেখেন, ‘দিদি ভাই কংক্রিটের ফ্ল্যাটে বসে এবং এসিতে বসে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।’ এই মন্তব্যেরও কড়া জবাব দিয়েছেন স্বস্তিকা। তিনি লেখেন, ফুটপাতে বসে স্ট্যাটাস দিতে পারব না দাদা। আমি গত ৪ দিন ধরে রাস্তায় কাজ করছি। পোর্টবেল এসি তো পাওয়া যায় না, পাওয়া গেলে না হয় সঙ্গে নিয়ে আসতাম।

আরেক নেটিজেন লিখেছেন, ‘এসি ঘরে বসে জ্ঞান দিচ্ছেন।’ এর জবাবে স্বস্তিকা লেখেন, ‘কী করে জানলেন আমি এসি ঘরে বসে জ্ঞান দিচ্ছি?’

এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে স্বস্তিকার কমেন্টসবক্সে। আর কেউ কেউ তো আবার স্বস্তিকার বাসার ছবিই চেয়ে বসেছেন। তারা আসলে দেখতে চান স্বস্তিকা এসি ঘরে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন কিনা। মূলত এসব বিষয় নিয়ে জোর চর্চা চলছে নেটদুনিয়ায়।

স্বস্তিকা মুখার্জি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। নিজের অভিনয়গুণে খুব অল্প সময়েই দর্শকদের নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। তবে জানেন কি? অভিনেত্রী নয় সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা।

জানা গেছে, সবসময়ই একজন সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন অনুশকা। কিন্তু ভাগ্যের টানে হয়ে গেলেন অভিনেত্রী। সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করার বদলে নিজেই একজন পেজ থ্রির নিউজে থাকেন। আর অভিনেত্রীর এই সফরটাই তখন শুরু হয় যখন ফ্যাশন ডিজাইনার ভেন্ট্রেল রড্রিকস তাকে একটি শপিং মলে দেখেন।

আনুশকাকে সেখানে দেখার পর একটি ফ্যাশন শোতে হাঁটার জন্য বলেন ভেন্ট্রেল রড্রিকস। সেই থেকে শুরু হলো আনুশকার শোবিজে পথ চলা। প্রথমে মডেলিং, পরে সেখান থেকে বলিউড যাত্রা।

২০০৮ সালে ‘রাব নে বানা দি জোড়ি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় আনুশকার। আর ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমাতেই শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। এরপর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালে ক্রিকেটার বিরাট কোহলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন আনুশকা। তাদের সংসারে রয়েছে দুটি সন্তান। মেয়ে ভামিকা এবং ছেলে অকায়। বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই দিন পার করছেন এই অভিনেত্রী।

বলিউড   আনুশকা শর্মা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সালমান খানের বাড়িতে হামলায় অভিযুক্তদের রহস্যময় মৃত্যু

প্রকাশ: ০১:৪৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায় বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।

সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।

গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।


সালমান খান   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মধ্যরাতে ফেসবুকে তানজিন তিশার রহস্য ঘেরা পোস্ট

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যরাতে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেওয়া বা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোটা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে দেশের বিনোদন অঙ্গনের তারকাদের। এর আগে পরীমণি, মাহিয়া মাহিকে মাঝরাতে এরকম করতে দেখা গেছে। এবার তালিকায় নাম উঠল তানজিন তিশার। দুপুর রাতে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দিলেন কড়া হুঁশিয়ারি। 

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে তিশা নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি চাইলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন অপরাধীর গল্প শেয়ার করতে পারি। সেই সাহস এবং প্রমাণ আমার আছে।’ 

এরপর অভিনেত্রী লেখেন, ‘মনে রেখো আমি তোমার খারাপ কাজের জন্য তোমাকে সবার সামনে রক্ষা করেছি। বিখ্যাত অভিনেতা হওয়ার আগে একজন ভালো ও বিশ্বস্ত মানুষ হওয়া খুব প্রয়োজন।’

তিশার এমন উত্তপ্ত পোস্ট দেখে নড়েচড়ে বসেন নেটিজেনরা। কাকে এমন হুমকি দিলেন নায়িকা এমনটা যখন ভাবছিলেন অনেকে তখন দেখা যায় ওই পোস্টটি আর নেই। নিজের ফেসবুক থেকে মুছে দিয়েছেন তিনি।

এর আগে মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় তুলকালাম বাঁধিয়েছিলেন তিশা। পরে মিটেও যায় তা। অনেকের ধারণা ফের হয়তো তাকে ঘিরেই রাত দুপুরে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে রাতের আঁধারেই পোস্ট মুছে দিয়ে বিরত রইলেন অপরাধীর গল্প বলা থেকে। 

বলে রাখা ভালো, মাঝে এই প্রেমজনিত কারণেই ঢাকা মেডিকেলেও ভর্তি হতে হয়েছিল মধ্যরাতে। জানা গেছে, সেই যাত্রায় তিনি আত্মহননের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তখনও উঠে আসে সহশিল্পী মুশফিক আর ফারহানের নাম।

তানজিন তিশা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ২০১৭ সালে মায়ের ইচ্ছায় অভিনয়ে নাম লেখান। তারপর অংসখ্য নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী।

গত ঈদুল ফিতরে গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তাসনিয়া ফারিণ। ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামের গানটি দ্বৈতভাবে কণ্ঠে তুলেন তাহসান খান ও ফারিণ। গানটি ‘ইত্যাদি’-তে প্রচারের পর গত ১৬ এপ্রিল ইউটিউবে মুক্তি পায়। তারপর গানটি যেন লুফে নেন শ্রোতারা।

এখন পর্যন্ত গানটির মোট ভিউ দাঁড়িয়েছে ৯৫ লাখ ৭২ হাজারের বেশি। দর্শক-শ্রোতারা গানটির ভূয়সী প্রশংসা করছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশ অংশে (মিউজিক) ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছে গানটি।

বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত উপস্থাপক হানিফ সংকেত। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, “প্রিয় দর্শক, ঈদ উপলক্ষে ঈদের বিশেষ ইত্যাদিতে প্রচারিত সবগুলো গানই আপনারা পছন্দ করেছেন জেনে আমরা আনন্দিত। গানটির মধ্যে শিল্পী তাহসান ও তাসনিয়া ফারিণের গাওয়া ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ গানটি আপনাদের বিচারে সেরা গান নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে মিউজিক বিভাগে এক নম্বর স্থানে উঠে আসে, যা এখনো অটুট আছে।”

গায়িকা হিসেবে ফারিণকে দর্শক এখন চিনলেও অনেক আগে থেকেই গানের চর্চা করেন তিনি। এ বিষয়ে ফারিণ বলেন, ‘আমি কিন্তু নায়িকার আগে গায়িকা। যশোর থেকে ঢাকায় এসেও গানের চর্চা করেছি। দিনের পর দিন গান শিখেছি। জাতীয়, বিভাগীয় পর্যায়ে গান করেছি। গান গেয়ে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু অভিনয়ের কারণে গানের প্রতিভা এতদিন কেউ জানতে পারেনি।’

‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামে গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল।

তাসনিয়া ফারিণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন