কালার ইনসাইড

মাধ্যমিক পাশ করার আগেই যারা বাংলা সিনেমার নায়িকা হয়েছে!

প্রকাশ: ০৮:০৪ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশের সিনেমার ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। তার অন্যতম একটি কারণ এদেশের অভিনেত্রী তথা নায়িকাদের অভিনয়গুণ ও সৌন্দর্য। আর এ অভিনেত্রীদের অনেকেই রয়েছেন যারা খুব অল্প বয়সে এমনকি স্কুর পর্যায় তথা মাধ্যমিক পাশের আগেই সিনেমার পর্দায় নায়িকা হিসেবে নাম লিখিয়েছেন। এদেশের দর্শকদের নজর কেড়েছেন, তাদেরকে মাতিয়ে রেখেছেন পাশাপাশি তাদের হৃদয়ের মণিকোটায় আসনও গেড়ে নিয়েছেন। তেমনই কয়েকজন অভিনেত্রীর পরিচয় জানবো এই আয়োজনে যারা অল্প বয়সে নায়িকা হিসেবে ধরা দিয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্রে।

শাবানা
১৯৬৭ সালে 'চকোরি' সিনেমায় চিত্রনায়ক নাদিমের বিপরীতে অভিনয় করে চলচ্চিত্রে আবির্ভাব ঘটে শাবানার। এ অভিনেত্রীর প্রকৃত নাম রত্না। ভালো নাম আফরোজা সুলতানা। তবে পরিচালক এহতেশাম তাকে শাবানা নামটি প্রদান করেন। শাবানার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার তাই ইতি ঘটে মাত্র ৯ বছর বয়সে। আর পর্দায় অভিষেক ১৫ বছর বয়সে। বলা যায়, স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর আগেই চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন ১১ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেত্রী। শাবানা অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ছিল 'ঘরে ঘরে যুদ্ধ'।

ববিতা
৭০ এর দশকে অভিনয়ের মাধ্যমে গোটা দশকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন অভিনেত্রী ববিতা।  ’শেষ পর্যন্ত’ নামক সিনেমা দিয়ে ১৯৬৯ সালে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় এ অভিনেত্রীর। যেখানে তিনি প্রথম নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৬৯ সালের ১৪ আগস্ট সিনেমাটি মুক্তি পায় এবং ঐদিন তার মা মারা যান। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি তার ভগ্নিপতি জহির রায়হানের পথ প্রদর্শনে চললেও পরবর্তীতে একাই পথ চলেছেন। ববিতা পড়াশোনা করেছেন যশোর দাউদ পাবলিক বিদ্যালয়ে। সেখানে অধ্যয়নকালে বড় বোন কোহিনুর আক্তার চাটনীর (সুচন্দা) চলচ্চিত্রে প্রবেশের সূত্রে পরিবারসহ চলে আসেন ঢাকায়। গেণ্ডারিয়ার বাড়িতে শুরু হয় কৈশোরের অবশিষ্টাংশ। চলচ্চিত্রে অত্যন্ত ব্যস্ত হয়ে পড়ায় প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট অর্জন না করলেও ববিতা ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে শিক্ষিত করে তোলেন। দক্ষতা অর্জন করেন ইংরেজিসহ কয়েকটি বিদেশি ভাষায়। নিজেকে পরিমার্জিত করে তোলেন একজন আদর্শ শিল্পীর মাত্রায়।

শাবনূর
১৯৭৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন এই অভিনেত্রী। পারিবারিকভাবে তার নাম রাখা হয় কাজী শারমিন নাহিদ নূপুর। পরে স্বনামধন্য নির্মাতা এবং তার মেন্টর এহতেশাম তার নাম রাখেন শাবনূর। শাবনূর শব্দের অর্থ রাতের আলো। শাবনূরের পিতার নাম শাহজাহান চৌধুরী। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবচেয়ে বড় তিনি। শাবনূরের প্রথম সিনেমা 'চাঁদনী রাতে'। তার বিপরীতে নায়ক ছিলেন সাব্বির। সিনেমাটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়। যা ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায়। উইকিপিডিয়া অনুসারে মাত্র ১৩ বছর বয়সে এই সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন শাবনূর। শাবনূরের পড়াশোনা সম্পর্কে জানা যায়, তিনি আইএ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তবে নায়িকা হিসেবে শুরুটা যে স্কুল পেরোনোর আগেই ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

রত্না
২০০২ সালে ক্লাস সেভেনে পড়া অবস্থায় 'কেন ভালোবাসলাম' সিনেমার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লেখান রত্না। সেলিম আজম পরিচালিত এ সিনেমায় তিনি ফেরদৌসের বিপরীতে অভিনয় করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হন রত্না, কাজ করেন শীর্ষ নায়কদের সঙ্গেও। কিন্তু চলচ্চিত্রে অশ্লীলতার জোয়ার বইতে শুরু করলে নিজেকে গুটিয়ে নেন চলচ্চিত্র থেকে। এ সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকল্যাণ বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। নতুনভাবে চলচ্চিত্রে ফিরে আসার চেষ্টাও করছেন রত্না। দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন এ অভিনেত্রী। তার বাবা মান্নান কবির একজন মুক্তিযোদ্ধা।

পূর্ণিমা
পূর্ণিমার চলচ্চিত্র জগতে পথচলা শুরু হয়েছিল জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত 'এ জীবন তোমার আমার' সিনেমার মাধ্যমে। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে, তখন তিনি মাত্র নবম শ্রেণিতে পড়েন। ড. তুহিন মালিক পরিচালিত 'ওরা আমাকে ভালো হতে দিলো না' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে ২০১০ সালে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এ অভিনেত্রী।

অমৃতা খান
২০০২ সালে মডেল ও  নৃত্যশিল্পী হিসেবে মিডিয়াতে প্রথম পা রাখেন অমৃতা খান। তিনি একাধারে অভিনেত্রী এবং মডেল।  তিনি একটি নাটকেও কাজ করেছেন, যার নাম 'উনিশ বছর পরে'। ২০১৩ সালে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে তার অবির্ভাব ঘটে রয়েল এবং অনিক দুজন নতুন পরিচালকের যৌথ পরিচালনায় 'গেইম' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০১৫ সালের ২ জানুয়ারি। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সময় তিনি একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ও’লেভেলে পড়ছিলেন। 

পূজা চেরি
পোড়ামন-২ সিনেমায় নায়িকা হিসেবে পূজা চেরির অভিনয় শুরু। তবে তার আগে তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পোড়ামন ২ এর কাজ শুরু না হতেই আসে নতুন খবর। কলকাতার আদিত্যর বিপরীতে 'নূরজাহান'  নামের একটি সিনেমায় অভিনয় করেন।  কলকাতার রাজ চক্রবর্তী প্রডাকশনের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় ছিল বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া। আলোচিত মারাঠি সিনেমা 'সাইরাত'-এর রিমেক 'নূরজাহান'। তবে শাকিবের সঙ্গে গলুই সিনেমায় অভিনয় করে তুমুল আলোচিত হন পূজা চেরী।


শাবানা   ববিতা   শাবনুর   পূর্ণিমা   পূজা চেরি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

লাবণ্যময়ী সেই ভাইরাল হাসি নিয়ে মুখ খুললেন পিয়া

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি আইনজীবীর পোশাকে পিয়া জান্নাতুল এর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। আর তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে সেই কথা শুনে লাবণ্যময়ী হাসি দিচ্ছেন মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল। ব্যস্, এই হাসিতেই ঘায়েল নেটিজেনরা। বিভিন্ন গানের সঙ্গে ভিডিওটি জুড়ে দিয়ে তৈরি হচ্ছে রিলস ও মিম।

রাতারাতি ট্রেন্ডিংয়ে উঠে যাওয়া কিংবা যাকে নিয়ে চারদিকে এত হইচই, এবার পিয়া জান্নাতুলই মুখ খুললেন বিষয়টি নিয়ে। গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, মোটেই আমি স্রোতে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি না। কারণ বুঝি, যারা ২ সেকেন্ডে ওপরে ওঠাতে পারে, তারা পরে আবার ১ সেকেন্ডেই নামিয়ে ফেলতে পারে।

পিয়ার ভিডিওটি দেখে তরুণদের একটি বড় অংশ তাকে ‘জাতীয় ক্রাশ’বলে ডাকছেন। কেউ কেউ তো সোশ্যালমিডিয়ায় অবলীলায় লিখেও ফেলছেন, ‘প্রেমে পড়ে গেলাম। আহ্ কী হাসি!’

বিষয়টিকে ‘দোষের’ দেখছে না পিয়া জান্নাতুল। তিনি বলেন, আমি বুঝতে পেরেছি কনটেন্ট বা রিলস যে যেটাই তৈরি করছেন, তাদের বেশিরভাগই তরুণ-যুবক। আর তাদের জীবনে এখনো অনেক কিছু দেখার বাকি আছে।

পিয়া আরও বলেন, আসলে এগুলো এখন ট্রেন্ডের মাধ্যমে যাচ্ছে। আর যখন যে ট্রেন্ড আসে, সবাই সেটাকেই অনুসরণ করে। এটাতে দোষের কিছু দেখছি না।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’ খেতাব জিতে আলোচনায় আসেন পিয়া জান্নাতুল। এরপর ২০০৮ সাল থেকে র‍্যাম্প মডেলিং দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু। পরবর্তীতে ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি শিরোপা অর্জন করেন। এছাড়া মিশরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড টপ মডেল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ারও সাফল্য অর্জন করেন।


ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন   পিয়া জান্নাতুল  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মুক্তির আগেই আটকে গেল রায়হান রাফির ‘অমীমাংসিত’

প্রকাশ: ১১:১৮ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।

গত ২৪ এপ্রিল (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে চূড়ান্ত রায় জানানো হয়, ছবিটি দর্শকদের সামনে প্রদর্শনযোগ্য নয়। তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ‘অমীমাংসিত’ নির্মাতা রায়হান রাফী। নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সিনেমা বাস্তবের সাথে মিলে গেছে তাই এটা মুক্তি দেওয়া যাবে না! সিনেমা হতে হবে অবাস্তব! ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সেন্সর বোর্ডে আটকে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টা তাহলে এমন, কোনো সিনেমায় কোনো সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না? কাল্পনিক কাহিনি উল্লেখ করার পরেও যদি কোনো ঘটনার সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না টাইপ।’

রাফি আরও লেখেন, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমায় কোনো কিছুই প্রমাণ করা হয়নি, কেবল বিভিন্ন জনের ধারণা দেখানো হয়েছিল, তারপরও এই সিনেমা আটকে দেওয়াটা সত্যি দুঃখজনক!’

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘সিনেমায় কোনো খুন দেখানো যাবে না, কোনো ধর্ষণ দেখানো যাবে না, কোনো অপহরণ দেখানো যাবে না, কোনো গুম দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে। এখানে কোনো খুন হয় না, কোনো গুম হয় না, কোনো ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত পা বেঁধে সাঁতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।’

‘অমীমাংসিত’কে দর্শকের সামনে অপ্রদর্শনযোগ্য বলে রায় দিয়ে যে কারণগুলো দেখানো হয়েছে সেগুলো হলো, ১) চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য রয়েছে। (২) কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সাথে মিল রয়েছে। (৩) এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। (৪) চলচ্চিত্রটির কাহিনি/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সাথে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।


অমীমাংসিত   রায়হান রাফি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০৯:৪৩ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরাকে এক নারী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাসসের খবর অনুযায়ী স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মোটরসাইকেলে নিয়ে আসা এক বন্দুকধারী ওই নারীকে গুলি করে হত্যা করেন। ওই নারীর নাম ওম ফাদাহ।

ইরাকের সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি অনেক প্রভাবশালী এবং সুপরিচিত ছিলেন। বাগদাদে তার বাড়ির বাইরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এএফপি’কে এই কথা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, অজ্ঞাতনামা এক হামলাকারী জায়উনা জেলায় ওম ফাহাদকে তার গাড়িতে গুলি করে। অন্য এক নিরাপত্তা সূত্র জানায়, ওই হামলাকারী খাবার ডেলিভারি দেওয়ার ভান করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওম ফাহাদ আঁটসাঁট পোশাক পরে ইরাকি সঙ্গীতে তার নাচের টিকটক ভিডিওগুলোর জন্য পরিচিত হয়েছিলেন।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি আদালত ‘শালীনতা এবং জনসাধারণের নৈতিকতাকে ক্ষুন্ন করে এমন অশালীন বক্তৃতা সম্বলিত ভিডিও’ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য তাকে ছয় মাসের কারাদ- দেয়।

ইরাকের জনসাধারণের ‘নৈতিকতা এবং ঐতিহ্য লঙ্ঘন করে এমন বিষয়বস্তু সম্বলিত কন্টেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য গত বছর দেশটির সরকার অভিযান শুরু করে।

টিকটক, ইউটিউব এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে পোস্টকৃত আক্রমণাত্মক বিভিন্ন ক্লিপ চিহ্নিত করে তা সরিয়ে ফেলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, এরপর থেকে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালে বন্দুকধারীরা বাগদাদে প্রভাবশালী মডেল তারকা ফারেসকে গুলি করে হত্যা করে।


টিকটক তারকা   হত্যা   ইরাক  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ: চিত্রনায়িকা অপু

প্রকাশ: ০৬:১৭ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সঙ্গে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি টেনেছেন অনেক আগেই। তবে এখনও মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন মিডিয়ায় শাকিবের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন দুই নায়িকাই।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাকিবের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের অনেক খুঁটিনাটি ফাঁস করেছেন বুবলী। যা নিয়ে বর্তমানে দর্শকমহলে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস।

সাক্ষাৎকারে বুবলী বলেছিলেন, ‘আইনগতভাবে আমি এখনও শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী।’ আবার বলছেন, ‘আমি শাকিবের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।’

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বুবলীর সেসব কথার প্রেক্ষিতে কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস।

বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

অপু বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেওয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’

অপু আরো বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগে আপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না। এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’

বুবলীকে ইঙ্গিত করে নাম প্রকাশ না করে অপু আরও বলেন, ‘এখন আমরা একটা জায়গায় চলে এসেছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখতে হবে। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি উনাকে সুস্থ থাকা দরকার।’


অপু বিশ্বাস   শবনম বুবলী   ঢালিউড   সুপারস্টার শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মুক্তির আগেই ইতিহাস গড়ল ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’!

প্রকাশ: ০৪:০৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের স্বাধীনতা দিবসে বড়সড় ধামাকা আসতে চলেছে। মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘পুষ্পা: দ্য রুল’। মুক্তির চার মাস আগে থেকেই এই সিনেমা শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রচার শুরু হয়নি সিনেমার। তা সত্ত্বেও, খবরের শিরোনাম দখল করে নিচ্ছে ‘পুষ্পা’। কেন জানেন? 

শোনা যাচ্ছে, প্রচারের আগে, মুক্তির অনেক আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে এই সিনেমা। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এমন ঘটনা এটিই প্রথম। অনন্য নজিরটি গড়ল আল্লু অর্জুন অভিনীত এই সিনেমা।

১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত শক্তি সামন্ত পরিচালিত ‘অমর প্রেম’ সিনেমায় শর্মিলা ঠাকুরের কান্না দেখে রাজেশ খান্না বলেছিলেন ‘পুষ্পা, আই হেট টিয়ার্স’। কাট টু, ২০২১ সালে, ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমায় দক্ষিণের সুপারস্টার আল্লু অর্জুন বললেন, ‘পুষ্পা, ম্যায় ঝুঁকে গা নেহি সালা…’। 

পুষ্পাকে কেন্দ্র করে দুই সংলাপে আকাশ-পাতালের তফাত। তফাত সোয়্যাগে। এক পুষ্পা (‘অমর প্রেম’ সিনেমায় শর্মিলা ঠাকুর অভিনীত চরিত্রের নাম ছিল পুষ্পা) কান্নাকাটি করে ভাসায়। ১৯৭২ সাল থেকে দর্শকের মনে বদ্ধমূলভাবে গেঁথে গিয়েছে– ফুলের মতো নাজুক পুষ্পারা কেবল কাঁদতেই পারে। ফোঁস করতে পারেন না। 

২০২১ সালে আল্লু অর্জুন প্রথম দেখালেন, পুষ্পাদের কাঁটাও আছে। ফোঁস করতেও পারে। পুষ্পার নতুন সংজ্ঞা তৈরি করলেন এই বলে যে, সে মাথা নোয়াতে রাজি নয়, ‘পুষ্পা ঝুঁকে গা নেহি!’ সোয়্যাগে পরিপূর্ণ ডায়ালগ ডেলিভারি, থুতনির নিচ দিয়ে আঙুলগুলো কায়দা করে নিতে-নিতে পুষ্পা বলে ‘ঝুঁকে গা নেহি সালা’!

এই সিনেমায় অভিনয় করে প্রকৃত অর্থেই শোরগোল ফেলে দিলেন দক্ষিণ ভারতীয় তারকা আল্লু অর্জুন। যিনি অতীতে কেবল নিজের ঘরের মাঠেই গোল দিয়েছেন। কখনও ‘দেসামুদুরু’, কখনও ‘পারুগু’ তো কখনও ‘ইয়েভাদু’ সিনেমায়। রাতারাতি প্যান ইন্ডিয়া স্টারের তকমা পেয়ে গেলেন আল্লু। হয়ে উঠলেন গোটা দেশের ঘরের ছেলে।

গ্ল্যামারের মোড়ক থেকে আগাগোড়া বেরিয়ে, রোদে পোড়া চেহারা নিয়ে ক্যামেরার সামনে এসে দাঁড়ালেন পুষ্পারূপী আল্লু অর্জুন। পাখির চোখ করলেন গোটা দেশের দর্শককে। ‘মহাভারত’ মহাকাব্যের বীরের মতো লক্ষ্যভ্রষ্ট ছিলেন না বলেই পুষ্পার সিক্যুয়েল নিয়ে এখন থেকেই এত হাঙ্গামা শুরু হয়ে গেছে।


ইতিহাস   ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’   বলিউড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন