নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৮ পিএম, ২১ জুলাই, ২০১৮
পৃথিবীতে খুব কম কৌতুক অভিনেতাই নিজের হাস্যরস ইমেজ থেকে বেরিয়ে সফল হয়েছেন। তাঁদের একজন হলিউড অভিনেতা রবিন উইলিয়ামস। অভিনয় দিয়ে একই সঙ্গে মানুষ হাঁসানো এবং কাঁদানো দুটিই তিনি সফলভাবে করেছেন। তাঁর ‘পপআই’ ‘ক্লাব প্যারাডাইস’ ‘গুড মর্নিং ভিয়েতনাম’ ছবি যেমন দর্শকদের পেটে খিল ধরিয়েছে, তেমনি ‘ডেড পোয়েটস সোসাইটি’, ‘গুড উইল হান্টিং’ ‘অগাস্ট রাস’ দর্শকমনে গভীর দাগ কেটেছে। আজ ২১ জুলাই বেঁচে থাকলে ৬৭ বছরে পা ফেলতেন রবিন উইলিয়ামস।
১৯৫১ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে জন্মগ্রহণ করেন রবিন উইলিয়ামস। আর্থিকভাবে সচ্ছল পরিবারেই জন্ম রবিন উইলিয়ামসের। বাবা ছিলেন বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ফোর্ড’র কর্মকর্তা এবং মা ছিলেন মডেল ও অভিনেত্রী। মা-বাবার পেশাগত ব্যস্ততার কারনে উইলিয়ামসের ছোটবেলা বেশ নিঃসঙ্গতায় কাটে।
শিক্ষাজীবনে রবিন উইলিয়ামসের প্রধান বিষয় ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান। কিন্তু অভিনয়ের প্রতি প্রবল আগ্রহ থেকে একসময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান ছেড়ে নাট্য কলায় ভর্তি হন। ধীরে ধীরে নাট্যকলা বিভাগের সেরা ছাত্রদের একজন হয়ে ওঠেন তিনি। রবিন উইলিয়ামস এতোটাই অগ্রসরমান ছাত্র ছিলেন যে, নাট্যকলা বিভাগে তাঁর এক শিক্ষক তাঁকে বলেন- ‘ছকে বাঁধা পুরনো ধাঁচের লেখাপড়া তোমাকে ঠিক মানায় না।’ পরবর্তীতে উইলিয়ামস পুঁথিগত বিদ্যা ছেড়ে দিয়ে সৃজনশীল অভিনয়ে মনযোগী হন।
সত্তরের দশকে একজন কৌতুক অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন রবিন উইলিয়ামস। টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘মঙ্ক অ্যান্ড মাইন্ডি’র মাধ্যমে তাঁর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৭৯ সালে ‘রিয়্যালিটি হোয়াট এ কনসেপ্ট’ টেলিভিশন শো’র জন্য গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডও জিতে নেন তিনি।
রবিন উইলিয়ামস প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন ১৯৭৭ সালে ‘ক্যান আই ডু ইট... টিল আই নিড গ্লাসেস’ ছবিতে। এরপর একে একে ‘ডেড পোয়েটস সোসাইটি’, ‘দ্য ফিশার কিং’, ‘ওয়ান আওয়ার ফটো’, ‘ইনসমনিয়া’, ‘গুড উইল হান্টিং’, ‘ওয়ার্ল্ডস গ্রেটেস্ট ড্যাড’, ‘গুড মর্নিং ভিয়েতনাম’ এর মতো বহু জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন এই অভিনেতা।
অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ একবার অস্কার পুরস্কার জিতেছেন রবিন উইলিয়ামস। এছাড়া তিনি পাঁচটি গ্র্যামি, চারটি গোল্ডেন গ্লোবসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
প্রাণোচ্ছল এই অভিনেতা প্রায়ই বিষণ্ণতায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকতেন। এক সময় প্রবলভাবে কোকেনে আসক্ত হয়ে পড়েন। অতিমাত্রায় কোকেন সেবনে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু জন বেলুশির মৃত্যু হলে তিনি কোকেন ছেড়ে দেন। এরপর মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়েন।
জীবদ্দশায় বিভিন্ন সময় নিজেকে মানবতার সেবায় বিলিয়ে দিয়েছেন রবিন উইলিয়ামস। উপার্জিত অর্থের অধিকাংশই তিনি বিভিন্ন দাতব্য সংস্থায় ব্যয় করতেন। এছাড়া নারী ও শিশু অধিকার নিয়ে আজীবন কাজ করেছেন তিনি।
জীবনের শেষ দিকে হতাশার কাছে পরাজয় বরণ করতে হয় রবিন উইলিয়ামসেকে। বিষণ্ণতার সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরে ২০১৪ সালের ১১ আগস্ট আত্মহত্যার পথ বেছে নেন কিংবদন্তি এই অভিনেতা।
বাংলা ইনসাইডার/ এইচপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে ও বিচ্ছেদ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। অপু বিশ্বাস ও বুবলী এই নায়কের দুই সাবেক স্ত্রী হলেও বাবা হিসেবে দুই সন্তান আব্রাম ও শেহজাদের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন ঢালিউড কিং।
নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।
গুঞ্জন চলছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।
শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।
এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।
শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন ঢালিউড কিং।
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ায় স্টেজ শো করেছেন জায়েদ খান। রোববার মেলবোর্নের টাউন হলে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে। সেখানকার বাঙালি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ‘সোনার চর’ সিনেমার এই নায়ক। স্টেজ থেকে ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা জায়েদ খানের ভক্ত’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন দর্শকরা। বিষয়টিতে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।