নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৩ পিএম, ০৭ অগাস্ট, ২০১৮
নাটক- সিনেমার কলাকুশলীদের প্রথম ঘর ‘শুটিং হাউস’। নিজের ঘরের চেয়ে শুটিং হাউসেই বেশি সময় কাটে। শুধু দিন নয়, কোনো সময় গভীর রাত অবধি শুটিং স্পটে থাকতে হয়।
বর্তমান সময়ে ঢাকার উত্তরায় প্রায় ১৩ টির মত বাড়িতে দিন-রাত শুটিং করা হয়। সারা বছর যে এই শুটিং হাউসগুলোতে শুটিং চলে এমনটা নয়। তবে ঈদের সময় হাউসফুল।
একটা সময়ে একেক পরিচালকের কাছে শুটিং বাড়ির ভাড়া একেক রকম রাখা হত। এ নিয়ে বিভিন্ন পরিচালকের অভিযোগ ছিল। তবে এই সব জটিলতা নিরসনের জন্য ২০০৫ সালে গঠন করা হয়েছে শুটিং হাউস মালিক সমিতি। এ সমিতির আওতায় থাকা শুটিং হাউজগুলোতে যে কোনো পরিচালক নির্ধারিত ভাড়া দিয়ে শুটিং করতে পারেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- আশ্রয়, মন্দিরা, স্বপ্নীল১-২, শিশির, রাজ্য, আনন্দবাড়ী, আপনঘর, লাবণী প্রভৃতি। এসব শুটিং হাউসে সাধারণত এক শিফটের জন্য ৫০০০ টাকা এবং দুই শিফট (সকাল- রাত ১২টা) এর জন্য ১০,০০০ টাকা নেয়া হয় শুটিং হাউসগুলোতে।
তবে বিজ্ঞাপনের জন্য ভাড়া বাড়ানো হয়। সেক্ষেত্রে কমপক্ষে দশ হাজার টাকা বেড়ে যায়। সিনেমার জন্যও বাড়ে ভাড়া। কারণ হিসেবে জানা যায়, এ ধরণের সেটে অনেক লাইট ব্যবহার করা হয়।
বেশ কয়েকজন অভিনয়শিল্পী ও পরিচালকের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তাঁরা অভিযোগ করেছেন বাড়ির পরিবেশ ও নিয়মকানুন নিয়ে। তবে তারা কেউই নাম প্রকাশ করতে চাননি। এককথা, নাম প্রকাশ করে আর কি হবে। নিজের ঘরকে খারাপ বললে নিজেই ছোট হতে হবে। তবে এসব সমস্যা খুঁজে পাওয়া গেছে তাদের কথায়।
১. মেকআপ রুমে ছারপোকা।
২. বাথরুমসহ পুরো বাড়ি অপরিষ্কার।
৩. প্রপস (শুটিংয়ের অনুষঙ্গ) সংকট।
৪. পর্যাপ্ত বিকল্প বিদ্যুৎব্যবস্থা না থাকা।
৫. একসঙ্গে একাধিক শুটিং ইউনিট ভাড়া।
৬. পর্যাপ্ত লোকবলের অভাব।
৭. নিরাপত্তার অভাব।
জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্দেশক, নাট্যকার ও অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুল আলম সাচ্চু বলেন,‘ এমন অভিযোগ মিথ্যে নয়। আমিও ফেইস করি। একটা বাড়িতে দিনের ১৫-১৬ ঘণ্টা সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ জন মানুষ অবস্থান করেন। তাঁদের জন্য বরাদ্দ থাকে মাত্র ২-৩টি টয়লেট। সেগুলোর অবস্থাও খুব খারাপ। আমরা এসব অভিযোগ নিয়ে বাড়ির মালিকদের ও ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে কথাও বলি। কিন্তু আজ না হয় কাল এর সমাধান হবে। এমনভাবেই চলছি।’
অভিযোগগুলো নিয়ে কথা হয় শুটিং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খলিলুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন,‘ অভিযোগগুলো সবটা মিথ্যে সেটা আমি বলবো না। আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করি।’
তিনি আরও জানান, ‘একটা শুটিংবাড়ির ভাড়া কমপক্ষে এক থেকে দেড় লাখ টাকা। কেয়ারটেকার, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ আনুষঙ্গিক অনেক খরচ আছে। সব মিলিয়ে মাস শেষে লাভের পরিমাণ খুব কম। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে দুই থেকে তিন ইউনিট ভাড়া দিতে হয়। প্রপস সংকটও একই কারণে। এরই মধ্যে বেশ কিছু বাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে ৩/৪ জন নিরাপত্তকর্মীও। প্রযোজক ও পরিচালকেরা ভাড়া বাড়ালেই কেবল এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। সে বিষয়ে বসে কথা বলতে হবে।’
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ায় স্টেজ শো করেছেন জায়েদ খান। রোববার মেলবোর্নের টাউন হলে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে। সেখানকার বাঙালি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ‘সোনার চর’ সিনেমার এই নায়ক। স্টেজ থেকে ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা জায়েদ খানের ভক্ত’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন দর্শকরা। বিষয়টিতে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।