নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১১ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
সিনেমা অর্থাৎ কাহিনীচিত্র। যেখানে কিছু চরিত্র, কিছু ঘটনার সমাহার থাকবে। যেখানে একটি সুন্দর নিটোল গল্প থাকবে। সিনেমা বানানোর আগে মনে রাখতে হবে। আপনি ঘরের মাঠে ডায়নোসর ছোটাতে পারবেন না। একটি ছোটো প্রেমের গল্প, সামাজিক গল্প, জীবন থেকে উঠে আসা হাসির গল্প ইত্যাদি নিয়ে সিনেমা বানানো সত্যি জলভাত। ভালো গল্প বলতে আপনার শাকিব খান কিংবা মোশাররফ করিম দরকার নেই। সব সিনেমা আপনার হলে চালানোরও দরকার নেই। ভালো সিনেমা থেকে আপনি দেশ-বিদেশ জয় করতে পারেন। জিরো বাজেটের সিনেমার কথা ভাবছেন? তাহলে আগে আপনাকে ভালো সংগঠক হতে হবে। মাথা ঠান্ডা রেখে মানুষকে বোঝানোর ক্ষমতাটা আপনার মধ্যে থাকতে হবে। যদি অতি সহজে সিনেমা বানাতে চান, তাহলে জেনে নিতে পারেন এই উপায়গুলো…
গল্প কেমন হবে?
প্রথমে তো আপনার গল্প ভাবতে হবে। চেনা জানা পরিবেশকে প্রেক্ষাপট করেই আপনাকে গল্প বিবেচনা করতে হবে। গল্পে একটা ট্রেন বিস্ফোরণ বা ফাইভস্টার হোটেল চেয়ে কান্নাকাটি করলে তো হবে না। হবে না বললে কিছুটা ভুল হবে, সেক্ষেত্রে হয়ত আপনার সিনেমার বাজেটটা বাড়বে। গল্প ভাবার আগে মনে রাখা জরুরি, গল্পই হল সিনেমার প্রাণ। ক্যামেরা কতটা হাই রেজুলেশনের, এডিটিং ঝঁকঝকে হল কিনা, এসব কিছুই গুরুত্ব পাবে না। যদি আপনার গল্পটি দুর্দান্ত না হয়।
গল্পের চরিত্র কেমন হবে?
অপ্রয়োজনীয় চরিত্রের ভীড়ে সিনেমাকে ভারী করে তুলবেন না। সিনেমার সময়সীমা ছোট করুন, অযথা টেনে হিচঁড়ে বড় করলেই ভালো সিনেমা হয় না। মনে রাখবেন এখন আর ঢিল সিনেমা মানুষ খুব একটা দেখে না। এক মুহুর্ত ঢিল দেবেন তো টিভির চ্যানেল বদলে যাবে। এইতো ভারতে অস্কারে গেল ‘ভিলেন রকস্টার’ সিনেমাটি। ভিলেজ রকস্টার ধনু নামের এক বিদ্রোহী, উচ্চাকাঙ্ক্ষী মেয়ের সংগ্রামের গল্প, যে নিজের দরিদ্র অবস্থাকে অস্বীকার করে স্বপ্ন দেখে একটি গিটারের মালিক হওয়ার এবং একটি রক ব্যান্ড গড়ে তোলার। খুব বেশি চরিত্রের সমাহার ছিল না সিনেমাটিতে।
দরকার নামী অভিনেতা?
পকেটে পয়সা থাকলে নামী অভিনেতার দিকে দৌঁড়তে পারেন কিন্তু খেয়াল রাখবেন ‘পথের পাঁচালী’ থেকে ‘ভিলেজ রকস্টার’ কোনটাতেই নামী তারকা ছিলেন না। কাহিনীতে দম হাকলে স্টার ছাড়াও মানুষ সিনেমা দেখে। তাই বলে খারাপ অভিনেতাদের নেয়া নয়। ভালো দক্ষ, ছাত্র-অভিনেতা বা থিয়েটারের জগত থেকে নিজের অভিনেতা খুঁজে বের করুন। তাদেরকে বোঝান এটা একটা সর্বমিলিত প্রচেষ্টা, টাকা-পয়সা এখানে মুখ্য নয়। আপনি যদি সিনেমা পাগল হয়ে থাকেন, আশেপাশে প্রচুর এমন মানুষ পাবেন। এনার্জেটিক দক্ষ ছেলে মেয়ে পাবেন আপনার সিনেমায় যারা উৎসাহের সঙ্গে অভিনয় করবেন।
দরকার বন্ধু…
একজন স্টুডেন্ট এডিটর এবং ক্যামেরা পার্সন জোগাড় করুন। যারা কাজের সুযোগ খুঁজছে। তাদের নিয়ে নিজের টীম তৈরী করুন। ট্যালেন্টের অভাব নেই। প্রত্যেকেই দারুণ কিছু করার অপেক্ষায়। নিজেদের যোগাযোগ ও যোগ্যদের খুঁজে বের করার জন্য স্যোশাল মিডিয়া কিংবা বিভিন্ন সিনেমা সংশ্লিষ্ঠ গ্রুপে পোস্ট দিতে পারেন। সেখানে সিনেমাকে ভালবাসে এমন মানুষের আনাগোনা থাকে।
সংগীতের কী করবেন?
একটি সিনেমায় সংগীত অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি ভাল পরিচালক হতে চান। সংগীতের সেন্সটা থাকা জরুরি। আশেপাশে খোঁজ নিয়ে দেখুন, অনেক উঠতি ভালো ব্যান্ড বা গায়ক- গায়িকা পেয়ে যাবেন। তাদের বলুন আপনার সিনেমার মিউজিক বা গানের জন্য। তারা উৎসাহের সঙ্গে রাজী হবে।
ক্যামেরা নিয়ে চিন্তিত?
ভালো বা দামী ক্যামেরার জন্যে পিছিয়ে পড়ছেন? তাহলে খোঁজ নিয়ে দেখুন কত সিনেমা ডিএসএলআর ক্যামেরাতে শ্যুট করা হয়েছে। আপনার 7D ব্যবহার করারও দরকার নেই। জাস্ট একটা সাধারণ HD হ্যান্ডিক্যাম ইউজ করুন। এখন প্রচুর ছবিতে বহু শট হ্যান্ডিক্যামে শুট করা হয়। চেন্নাই এক্সপ্রেস-এর বেশ কিছু অ্যাকশান দৃশ্য এই ক্যামেরায় শুট করা হয়েছিল। তাছাড়া বন্ধুবান্ধবের মধ্যে আজকাল অনেকেই আজকাল শখ করে ভালো ফটোগ্রাফি ক্যামেরা কিনে। সেখানে বুম লাগিয়ে আপনি ক্যামেরাটা ব্যবহার করতে পারেন।
শ্যুট শেষে এডিটিং:
এর জন্যে ম্যাক বা FCP-র নাম শুনেছেন, ভাবছেন কি না কি! কিছুই না। প্রিমিয়ার এবং FCP, দুটো প্রায় একই। একটি অ্যাপেলের এডিটিং সফটওয়ার। আর প্রিমিয়ার সাধারণত ইউন্ডোজে ব্যবহার হয়। আমাদের অনেকের বাসাতেই অ্যাপল না থাকলে কম্পিউটার তো আছে। একটু ভালো র্যাম হলে আপনি সেখানে সহজেই এডিট করতে পারেন। AVATAR সিনেমা এডিটিং কিন্তু FCP তে নয়, প্রিমিয়ারেই হয়েছিল। FCP না পেলে প্রিমিয়ারেই কাজ করুন। রেজাল্ট একই।
মোদ্দা কথা আপনার মাঠে নামতে হবে। জলে না নামলে সাঁতার কি করে শিখবেন। নিজে ভুল করুন এবং নিজের ভুল থেকেই শিক্ষা নিন। এসব কিছুর আগে সবথেকে বড় ব্যাপার। নিয়মিত শর্টফিল্ম দেখুন। ভালো শর্টফিল্ম দেখুন। যত দেখবেন তত শিখবেন। দুটো মাত্র চরিত্র দিয়ে একটা ঘরের মধ্যে সাধারণ আলো এবং একটি ছোট ক্যামেরা ব্যবহার করে প্রতি বছর বহু লোক বহু অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে। আপনি কেন পিছিয়ে থাকবেন? আপনার কাছে যদি সত্যি সত্যি একটি ভালো ইউনিক গল্প থাকে তাহলে ভাবনা সরিয়েই আজ থেকেই শুটিং শুরু করে দিন। কথাগুলো শুনতে অবাস্তব লাগলেও ব্যাপারটা এক্কেবারে সত্যি। সবার প্রথমেই বলে রাখা ভালো, আমরা এখানে সিনেমা বানানোর কথা বলছি, কোনো 3D বা নানারকম ভিজুয়াল এফেক্টসের কথা বলছি না। ও হ্যা, আপনি এই সিনেমা বানিয়ে যদি তাক লাগাতে পারেন। দামী প্রযোজক পেয়েও যেতে পারেন পরবর্তী সিনেমার জন্য।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় মার্কিন অভিনেতা
ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ব্র্যাড পিটকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান।
নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও জনপ্রিয়তার শিখরে তিনি।
বলিউড বাদশাহ তখন বার্লিনে, সিনেমার শুটিং চলছে পুরোদমে। সেই সময়
শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ইউরোপ থেকে কাতারে কাতারে মানুষ এসেছেন, প্রিয় নায়ককে এক
পলক দেখার আশায়। শুটিংয়ের জন্য ১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ব্যারিকেডের
বাইরে পোস্টার হাতে অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানান অনুরাগীরা। অভিনেতাও প্রায় এক ঘণ্টা সময়
দিয়েছিলেন তাদের। শাহরুখের নজিরবিহীন স্টারডম!
সহ-অভিনেতা আলি খান ছিলেন শুটিং ফ্লোরে। তার কথায়, ‘আমরা বার্লিনে
যে হোটেলে ছিলাম, কিছু দিন আগে ব্র্যাড পিট এবং কুয়েন্টিন ট্যারেন্টিনো সেই হোটেলেই
ছিলেন। বার্লিনে তাদেরও একটি সিনেমার শুটিং চলছিল সেই সময়। তাদের ইউনিটের সদস্যরাই
আমাদের সিনেমাতে ছিলেন। তাদের মুখে শুনলাম, শাহরুখের জন্মদিনে এত মানুষ ঢল, এর আগে
কোনও শুটিংয়ে এত ভিড় দেখা যায়নি। এমনকি ব্র্যাড পিট যখন ছিলেন তখনও এত মানুষের দেখা
মেলেনি।
‘অ্যা মাইটি হার্ট’ সিনেমাতে অ্যাঞ্জেলিনার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন
আলি খান। প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানও ছিলেন সেই সিনেমায়। সেই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন
ব্র্যাড পিট। মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে আলি বলেন, ‘সিনেমার সেটের বাইরে অ্যাঞ্জেলিনা একেবারেই সাধারণ মানুষের মতো। আমি, আমার স্ত্রী আর অ্যাঞ্জেলিনা অনেক গল্প করলাম পার্টিতে। বিশেষত আমার স্ত্রীর সঙ্গে সন্তানের পরিচর্যা, তাদের খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় কথা বলেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা।’
ব্র্যাড পিট জনপ্রিয়তা শাহরুখ খান বলিউড
মন্তব্য করুন
ঢাকাই সিনেমার কিং খান শাকিবের বিয়ের
গুঞ্জন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বুবলী আর অপু বিশ্বাসকে নিয়ে বিরক্ত শাকিব খানের পরিবার।
শাকিবকে নিয়ে দুই নায়িকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কথাবার্তা-গল্পগুজব আর নিতে
পারছেন না অভিনেতা এবং তার পরিবার। শুধু তাই নয়, শাকিবকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চলছে পাত্রী
দেখাও।
অভিনেতার ঘনিষ্ঠজনেরা বলেছেন, ঢাকার পাশের জেলায় পাত্রী দেখছে শাকিবের পরিবার। এবার আর নিজের পছন্দে নয়, পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করবেন অভিনেতা। অতীত ভুলে সংসারী হবেন শাকিব।
আরও পড়ুন: এবার জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব
আরও পড়ুন: ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান
অর্থাৎ বুবলীর সঙ্গে যদি শাকিবের সত্যি বিয়ে হয়ে থাকে, তাহলে এবার তৃতীয় দফায় বিয়ের
পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন অভিনেতা। শোনা যাচ্ছে, চিকিৎসক পাত্রী পছন্দ করেছে তাঁর পরিবার।
শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার
পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জজেলার একটি মেয়েকে শাকিবের বউ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত
করেছে তার পরিবার। মেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন।
শাকিবেরও ডাক্তার মেয়ে পছন্দ।
একাধিক সূত্রে জানাগেছে, এ পর্যন্ত
দুই থেকে তিনজন পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জের চিকিৎসক মেয়েই
নাকি এগিয়ে আছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ দিকে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে
বসবেন শাকিব খান। আর এই আয়োজনের পুরো দায়িত্ব নিচ্ছে শাকিবের পরিবার।
শুধু তা–ই নয়, শাকিবকে নিয়ে কেউ কোনো
মিথ্যাচার করলেই আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাকিব খানের পরিবার। পাশাপাশি
জানা গেছে, শাকিবের বাড়িতে অপু-বুবলীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যদিও জবাবে
বুবলী বলেছেন, ছেলে বীরকে একা ছাড়বেন না তিনি। এই কথা প্রসঙ্গে অপুও বলেছেন, ‘তিনি
গেলে আমিও যাব।’
শাকিব খান ঢালিউড অপু বিশ্বাস বুবলী
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন।
এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।
শুধু কপিলই নয়, সামনে এসেছে তার সহকর্মী অর্চনা পূরণ সিং এবং সুনীল গ্রোভারের পারিশ্রমিকের কথাও।
ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গ্রোভার প্রতি পর্বের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ও অর্চনা পূরণ সিং নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্রুষ্ণা অভিষেক, কিকু শারদা ও রাজীব ঠাকুর পর্ব প্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ, ৭ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা করে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গত ৩০ মার্চ থেকে নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে এই শোয়ের প্রচার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে মোট পাঁচটি পর্ব।
মন্তব্য করুন
চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে
সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন
ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি
(বাচসাস)।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার
কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি
ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল
মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক
রিমন মাহফুজ।
গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ
উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।
এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন,
‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা
ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি।
বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে
খুবই সামান্য টাকা পায়।
এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে
জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের
এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে
আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর
অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয়
নিয়ে কথা বলব’।
ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে
আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি
নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন
ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব।
প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।
চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ
খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক
করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব
দিতে হবে’।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন
উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের
সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে
আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প
ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’
এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি
অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র
আরও এগিয়ে যাবে’।
বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান
চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায়
না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে
বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান
বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।
শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র
শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের
চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু
সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ
করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে
গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।
এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর
রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক
জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক
সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ
সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক
এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড,
গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক
সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন,
অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ
ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস,
দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া,
আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।
উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়।
তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও
নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।
‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ গোলটেবিল বৈঠক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।