কালার ইনসাইড

যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে মুখ খুলবেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০৬ পিএম, ১৬ অক্টোবর, ২০১৮


Thumbnail

‘হার্ভি ওয়াইনস্টিন কাণ্ড’র পর হলিউডে রীতিমতো ঝড়! বলিউডেও এসে লাগলো সেই ধাক্কা। কাস্টিং কাউচের মতো অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিল হলিউড ও বলিউড। যৌন হেনস্থার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে #MeToo ক্যাম্পেন সাড়া ফেলেছিল গোটা বিশ্বে। কিভাবে ‘কাস্টিং কাউচের’ শিকার হতে হয়েছিল সেটাও বর্ণনা করেছেন অনেক অভিনেত্রী। সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত বিখ্যাত অভিনেতা নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন শুটিংয়ে যৌন হেনস্থার। এমন অভিযোগ নিয়ে বলিউডের আরও অনেক অভিনেতা- অভিনেত্রী মুখ খুলছেন। যেখানে জড়িয়ে পড়ছে অমিতাভ বচ্চন, ‘সংস্কারি বাবুজি’ খ্যাত অলোক নাথ মতো অভিনেতাদেরও নাম। এর কিছুদিন আগে বাংলাদেশের মডেল-অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন দাবি করেছিলেন, কাজ পাওয়ার বিনিময়ে ‘অনৈতিক প্রস্তাব’ পেয়েছিলেন তিনি। ফল ভালো হয়নি, হলিউডের মতো বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনের বাসিন্দারা বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। এ নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি।

ফারিয়ার বক্তব্যের পর এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বন্যা মির্জা, নাফিজা জাহান, মৌসুমি হামিদসহ আরও কয়েকজন। ফারিয়া কাজ পেতে চায় বলেই এমন কথা বলছে বলে অভিযোগ করেন বন্যা মির্জা। ফারিয়াকে নিয়ে সরাসরি এই কজন কথা বললেও অভিনয়শিল্পী ও প্রযোজকদের কেউ কেউ বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করে সমর্থন দিয়েছেন। এদের মধ্যে আছেন নাদিয়া আহমেদ, শ্রাবণী ফেরদৌস, তুহিন বড়ুয়া, পল্লব বিশ্বাস, আলভী, জেনী, শশী, নওশীন, শ্যামল মাওলা, মৌসুমী নাগ, বাঁধন, তিন্নি, চয়নিকা চৌধুরী, মৌসুমী হামিদ প্রমুখ। সহকর্মীদের কাছ থেকে তিরস্কার জুটলেও ফারিয়ার সাহসী বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন অনেকে।

এমন অভিযোগ আরও অনেকেই করেছেন। ফারিয়ার এমন অভিযোগের কিছুদিন আগে অভিযোগ তুলেছিলেন অভিনেত্রী সারিকা। তিনি অভিযোগ করে বলেন,‘ শুটিং ডেটের একদিন আগে ক্লায়েন্টের গাড়িতে করে মানিকগঞ্জ (যেখানে যেতে ১ ঘণ্টার কিছু বেশি সময় লাগতে পারে আমার বাসা থেকে) যাওয়া এবং প্রিভিয়াস ডে অ্যান্ড নাইট তার সঙ্গে সেখানে অবস্থান করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কি কোনো অপরাধের খাতায় পড়ে? এটা কি অপেশাদারিত্ব?’ রাঙাপরী মেহেদির একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং করার কথা ছিল তার। আশ্চর্য্য জনক হলেও সত্য, পরবর্তীতে সারিকার ছেড়ে দেয়া কাজটি করেন পূর্ণিমা।

অথচ এমন অভিযোগ পূর্ণিমাই তুলেছিলেন পরিচালক পি এ কাজলকে নিয়ে। পি এ কাজলকে নিষিদ্ধও করা হয়েছিল এফডিসি থেকে। ক্যারিয়ারের শুরুতেই পরীমনি এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তিনি সাফ না করে দেন এক প্রযোজককে। পিয়া বিপাশা রীতিমতো আঙ্গুল তুলেছিলেন শাকিব খান ও পরিচালক বুলবুল বিশ্বাসের দিকে। শাকিব খান অশোভন আচরন করেছেন বলে অভিযোগ তুলেন। এ জন্যই তিনি সিনেমাটি না করার সিদ্ধান্ত নেন। তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করাসহ ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি।

এক ছবির নায়িকা হুমায়রা ফারিন খানের শুরুটা জাজের হাত ধরে। তিনি অভিযোগ করে বলেছিলেন,‘মিডিয়ায় কাজ করার মতো অবস্থা নেই। তাই ছেড়ে দিয়েছি মিডিয়া।’ তিনি এখন বিয়ে করে ঘর সংসার করছেন।  নায়িকা অমৃতাও বিদায় নিয়েছিলেন শোবিজ থেকে। তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন ডিপজলের বিরুদ্ধে। তার কথায় সায় না দেওয়াতে নাকি ছবি থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল। আচঁলও এমন অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু তারা যাদের বিপরীতে কথা বলেছেন, তাদের হাতটা লম্বা হওয়াতে ঘটনা খুব বেশি সামনে এগুয়নি।

টুকটাক করে এদিক ওদিকে করে এমন কানকথা সংবাদকর্মীরা শুনতে পায়। আবার অনুরোধও আসে যেন নিউজ না করা হয়। তাহলে হয়তো তাঁর ক্যারিয়ারই ধ্বংস হয়ে যাবে। এ প্রজন্মের অভিনেত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হল বিষয়টি নিয়ে। কই! অনেকে জানেনই না, শোবিজে এমন কিছুর অস্তিত্ব আছে! একজন তো বলেই দিলেন, কোনোভাবেই যেন এ ধরনের সংবাদে তাঁর নাম না থাকে। তবে কিছু পরামর্শ দিলেন, ‘এ ধরনের খবর সংবাদপত্রে না আসাই ভালো। আমাদের কাজের খবর প্রকাশ করেন। এসব প্রকাশ্যে আসতে হবে কেন?’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকজন বললেন, সব প্রফেশনেই কিন্তু এমনটা হয়, শোবিজেরটাই কেন হাইলাইট করতে হবে। এতে হিতে বিপরীত হয়, সবাই ভাবে শুধু শোবিজেই এসব হয়। কথাটি মিথ্যে নয়, শোবিজের কেউ অভিযুক্ত হলে পেশাটাকেই অভিযুক্ত করে ফেলেন কিছু মানুষ।

শোবিজ-সংশ্লিষ্টরা নিজেদের পেশার সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ব্যক্তি অধিকার ক্ষুণ্ন করছেন কি না সেটাও দেখতে হবে। ‘মি টু’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে বহির্বিশ্বের অভিনেত্রীরা যখন একের পর এক ফাঁস করছেন মুখোশের আড়ালে থাকা অভিযুক্তদের, তখন আমাদের অভিনেত্রীরা বিষয়টাকে রেখেঢেকে রাখতে চাইছেন। অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা হয়তো কখনোই এমন কিছুর শিকার হননি; কিন্তু অন্যজন যখন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে হাজির হবেন তাঁকে যেন কটূক্তির মুখে না পড়তে হয়। সেটাও খেয়াল করা উচিত, অন্তত সিনিয়রদের। অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ বলেছিলেন, ‘শোবিজে কেউ ধর্ষিত হয় না, যা হয় পারস্পরিক সম্মতিতেই।’ সম্মতি ও বাধ্য হওয়া-দুটির মধ্যে পার্থক্য আছে। অনেক অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, এই পার্থক্যটা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। ‘বাধ্য হওয়া’র বিরুদ্ধে সবাই সোচ্চার হলে বরং শোবিজেরই লাভ হতো। ইস্যুটার একটা রফা হয়ে যেত। সেদিন ফারিয়ার পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্কে না গিয়ে এটাকে সুযোগ হিসেবে নেওয়া যেত। হার্ভি ওয়াইনস্টিন, কেভিন স্পেসি কিংবা নানা পাটেকারের মতো অভিযুক্তরা চিহ্নিত হতেন, বাকিরা তখন বুক ফুলিয়ে বলতে পারতেন,‘দেখো, আমি নেই এই তালিকায়।’ যে পেশাটার মর্যাদা নিয়ে সবাই চিন্তিত সেই পেশাটাও হতো কলঙ্কমুক্ত। নতুনদের ভয় পেতে হত না শোবিজকে।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

নেটিজেনদের মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন স্বস্তিকা

প্রকাশ: ০৯:২১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। জীবনটা নিজের শর্তে উপভোগ করেন এই অভিনেত্রী। ঠোঁটকাটা স্বভাব, সমাজের বাঁকা দৃষ্টিকে পাত্তা না দেওয়ায় বছর জুড়েই আলোচনায় থাকেন। আবার সমকালীন বিষয় নিয়ে কথা বলেও বহুবার সমালোচিত হয়েছেন স্বস্তিকা।

জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। গেল এপ্রিল থেকেই এখানে প্রচণ্ড দাবদাহ দেখা যাচ্ছে। শুধু এপার বাংলা নয়, ওপার বাংলার মানুষও হাঁসফাঁস করছেন তীব্র দাবদাহে।

পরিবেশ বাঁচাতে বিজ্ঞানীরা যেমন গাছ লাগানোর কথা বলছেন, তেমনি তারকাদের মধ্যেও অনেকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু এ প্রসঙ্গে কথা বলে নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন স্বস্তিকা। তবে তিনিও কম যান না। রীতিমতো নেটিজেনদের এক হাত নিলেন তিনি।

বুধবার (১ মে) নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন স্বস্তিকা। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আরও গাছ কাটো/ আরও পুকুর বোজাও/ কংক্রিটের জঙ্গলে বাস করবে মানুষের লাশ।’

আর এতেই খেপে গিয়ে স্বস্তিকার দিকে প্রশ্নের তীর ছোড়া শুরু করেন তারা। সুপ্রিয়া নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনি থাকেন কোথায়? কয়টা গাছ লাগিয়েছেন এই পর্যন্ত? ফ্ল্যাট কেনা নেই তো একটাও?’

প্রশ্নগুলো দেখে থেমে থাকেননি স্বস্তিকাও। সুপ্রিয়ার সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী লেখেন, ‘হ্যাঁ, গাছ লাগিয়েছি। আমাদের বাড়ির গলিতে যত গাছ আছে সবগুলো আমি এবং আমার বাবা দুজনে মিলে লাগিয়েছি। আর আমার ফ্ল্যাট কেনা নেই। আমি আমার বাবার বাড়িতে থাকি। আর মুম্বাইতে থাকি ভাড়া বাসায়।

জবাবে অভিনেত্রী আরও লেখেন, ফেসবুকে এসে কাউকে আক্রমণ করার আগে চেক করে নিবেন আমার কয়টা ফ্ল্যাট আছে। আর গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের দায় আমাদের সবার। আমাকে তীর ছুড়ে প্রকৃতির কোনো সুরাহা হবে না।

অন্যদিকে সায়ন্তন ঘোষ লেখেন, ‘দিদি ভাই কংক্রিটের ফ্ল্যাটে বসে এবং এসিতে বসে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।’ এই মন্তব্যেরও কড়া জবাব দিয়েছেন স্বস্তিকা। তিনি লেখেন, ফুটপাতে বসে স্ট্যাটাস দিতে পারব না দাদা। আমি গত ৪ দিন ধরে রাস্তায় কাজ করছি। পোর্টবেল এসি তো পাওয়া যায় না, পাওয়া গেলে না হয় সঙ্গে নিয়ে আসতাম।

আরেক নেটিজেন লিখেছেন, ‘এসি ঘরে বসে জ্ঞান দিচ্ছেন।’ এর জবাবে স্বস্তিকা লেখেন, ‘কী করে জানলেন আমি এসি ঘরে বসে জ্ঞান দিচ্ছি?’

এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে স্বস্তিকার কমেন্টসবক্সে। আর কেউ কেউ তো আবার স্বস্তিকার বাসার ছবিই চেয়ে বসেছেন। তারা আসলে দেখতে চান স্বস্তিকা এসি ঘরে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন কিনা। মূলত এসব বিষয় নিয়ে জোর চর্চা চলছে নেটদুনিয়ায়।

স্বস্তিকা মুখার্জি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। নিজের অভিনয়গুণে খুব অল্প সময়েই দর্শকদের নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। তবে জানেন কি? অভিনেত্রী নয় সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা।

জানা গেছে, সবসময়ই একজন সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন অনুশকা। কিন্তু ভাগ্যের টানে হয়ে গেলেন অভিনেত্রী। সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করার বদলে নিজেই একজন পেজ থ্রির নিউজে থাকেন। আর অভিনেত্রীর এই সফরটাই তখন শুরু হয় যখন ফ্যাশন ডিজাইনার ভেন্ট্রেল রড্রিকস তাকে একটি শপিং মলে দেখেন।

আনুশকাকে সেখানে দেখার পর একটি ফ্যাশন শোতে হাঁটার জন্য বলেন ভেন্ট্রেল রড্রিকস। সেই থেকে শুরু হলো আনুশকার শোবিজে পথ চলা। প্রথমে মডেলিং, পরে সেখান থেকে বলিউড যাত্রা।

২০০৮ সালে ‘রাব নে বানা দি জোড়ি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় আনুশকার। আর ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমাতেই শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। এরপর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালে ক্রিকেটার বিরাট কোহলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন আনুশকা। তাদের সংসারে রয়েছে দুটি সন্তান। মেয়ে ভামিকা এবং ছেলে অকায়। বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই দিন পার করছেন এই অভিনেত্রী।

বলিউড   আনুশকা শর্মা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সালমান খানের বাড়িতে হামলায় অভিযুক্তদের রহস্যময় মৃত্যু

প্রকাশ: ০১:৪৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায় বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।

সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।

গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।


সালমান খান   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মধ্যরাতে ফেসবুকে তানজিন তিশার রহস্য ঘেরা পোস্ট

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যরাতে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেওয়া বা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোটা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে দেশের বিনোদন অঙ্গনের তারকাদের। এর আগে পরীমণি, মাহিয়া মাহিকে মাঝরাতে এরকম করতে দেখা গেছে। এবার তালিকায় নাম উঠল তানজিন তিশার। দুপুর রাতে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দিলেন কড়া হুঁশিয়ারি। 

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে তিশা নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি চাইলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন অপরাধীর গল্প শেয়ার করতে পারি। সেই সাহস এবং প্রমাণ আমার আছে।’ 

এরপর অভিনেত্রী লেখেন, ‘মনে রেখো আমি তোমার খারাপ কাজের জন্য তোমাকে সবার সামনে রক্ষা করেছি। বিখ্যাত অভিনেতা হওয়ার আগে একজন ভালো ও বিশ্বস্ত মানুষ হওয়া খুব প্রয়োজন।’

তিশার এমন উত্তপ্ত পোস্ট দেখে নড়েচড়ে বসেন নেটিজেনরা। কাকে এমন হুমকি দিলেন নায়িকা এমনটা যখন ভাবছিলেন অনেকে তখন দেখা যায় ওই পোস্টটি আর নেই। নিজের ফেসবুক থেকে মুছে দিয়েছেন তিনি।

এর আগে মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় তুলকালাম বাঁধিয়েছিলেন তিশা। পরে মিটেও যায় তা। অনেকের ধারণা ফের হয়তো তাকে ঘিরেই রাত দুপুরে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে রাতের আঁধারেই পোস্ট মুছে দিয়ে বিরত রইলেন অপরাধীর গল্প বলা থেকে। 

বলে রাখা ভালো, মাঝে এই প্রেমজনিত কারণেই ঢাকা মেডিকেলেও ভর্তি হতে হয়েছিল মধ্যরাতে। জানা গেছে, সেই যাত্রায় তিনি আত্মহননের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তখনও উঠে আসে সহশিল্পী মুশফিক আর ফারহানের নাম।

তানজিন তিশা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ২০১৭ সালে মায়ের ইচ্ছায় অভিনয়ে নাম লেখান। তারপর অংসখ্য নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী।

গত ঈদুল ফিতরে গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তাসনিয়া ফারিণ। ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামের গানটি দ্বৈতভাবে কণ্ঠে তুলেন তাহসান খান ও ফারিণ। গানটি ‘ইত্যাদি’-তে প্রচারের পর গত ১৬ এপ্রিল ইউটিউবে মুক্তি পায়। তারপর গানটি যেন লুফে নেন শ্রোতারা।

এখন পর্যন্ত গানটির মোট ভিউ দাঁড়িয়েছে ৯৫ লাখ ৭২ হাজারের বেশি। দর্শক-শ্রোতারা গানটির ভূয়সী প্রশংসা করছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশ অংশে (মিউজিক) ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছে গানটি।

বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত উপস্থাপক হানিফ সংকেত। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, “প্রিয় দর্শক, ঈদ উপলক্ষে ঈদের বিশেষ ইত্যাদিতে প্রচারিত সবগুলো গানই আপনারা পছন্দ করেছেন জেনে আমরা আনন্দিত। গানটির মধ্যে শিল্পী তাহসান ও তাসনিয়া ফারিণের গাওয়া ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ গানটি আপনাদের বিচারে সেরা গান নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে মিউজিক বিভাগে এক নম্বর স্থানে উঠে আসে, যা এখনো অটুট আছে।”

গায়িকা হিসেবে ফারিণকে দর্শক এখন চিনলেও অনেক আগে থেকেই গানের চর্চা করেন তিনি। এ বিষয়ে ফারিণ বলেন, ‘আমি কিন্তু নায়িকার আগে গায়িকা। যশোর থেকে ঢাকায় এসেও গানের চর্চা করেছি। দিনের পর দিন গান শিখেছি। জাতীয়, বিভাগীয় পর্যায়ে গান করেছি। গান গেয়ে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু অভিনয়ের কারণে গানের প্রতিভা এতদিন কেউ জানতে পারেনি।’

‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামে গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল।

তাসনিয়া ফারিণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন