নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৭ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০১৮
স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ এক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। সে সময় দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোটানোই ছিল মানুষের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। গানবাজনা করা তো ছিল এক রীতিমত বিলাসিতা। তার ওপর পশ্চিমা সংগীতের অন্যতম অনুসঙ্গ গিটার তো ছিল বিলাসিতার নামে রসিকতা। ঠিক ওই সময়েই অবস্থাশালী পরিবারের কিছু ছেলে মেয়ে গিটার হাতে ঘুরে বেড়াতো। স্কুল চত্তরে আড্ডার ফাঁকে গিটার বাজিয়ে দেওয়া হতো রক সংগীতের আগমনি বার্তা। তাঁদেরই একজন ছিলেন সংগীত তারকা আইয়ুব বাচ্চু।
সংগীতাঙ্গনে আইয়ুব বাচ্চু একটি বিশাল জায়গা দখল করে আছেন। শুধু রক সংগীত নয়, সমসাময়িক সংগীতের অনেক শাখায় তিনি মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। কিন্তু জীবদ্দশায় সবকিছু ছাপিয়ে তিনি নিজেকে একজন গিটার বাদক পরিচয় দিতেই পছন্দ করতেন। গিটার ছিল তার এমনই প্রিয়।
সময়কাল ১৯৭৫ সালে। সে সময় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তেন আইয়ুব বাচ্চু। বনেদি পরিবারের সন্তান হওয়ায় কখনো আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়নি তাঁকে। তবে সব রক্ষণশীল পরিবারের মতো তার পরিবারেও গান বাজনা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু বাবা কথা দিয়েছিলেন পরিক্ষার ফলাফল ভাল করলে ছেলে রবিনকে ( আইয়ুব বাচ্চুর ডাক নাম) গিটার কিনে দেবেন। কথা মতো তা-ই হলো। সেখান থেকেই গানের টানে অ্যাকুস্টিক গিটার হাতে নেমে পড়েন। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন এক সময় হয়ে উঠবেন ছয় তারের জাদুকর।
আইয়ুব বাচ্চুর গিটার শেখার শুরু মূলত রেডিও থেকে। সে সময় বিভিন্ন বিদেশী ব্যান্ডের গান শুনে শুনে গিটারে হাতেখড়ি তাঁর। মার্কিন রক তারকা জিমি হেনড্রিক্সের গিটার বাজানো শোনে একজন গিটারিস্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। জিমির মতো শারীরিক ভাষায় মঞ্চে বাজাতে শুরু করেন। ১৯৭৮ সালে একজন গিটার বাদক হিসেবে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডে যোগ দেন। পাশপাশি গানও গাইতেন। কিন্তু গিটারেই ছিল তাঁর ধ্যান জ্ঞান। এরপর জিমির পাশপাশি এরিক ক্লেপটন, জিমি পেইজ, রবার্ট জনসন, কার্লোস সান্তানা, বিবি কিং, জো স্যাট্রিয়ানি, স্টিভ ভাই, মামস্টেইন, ডেভিড গিলমোরেরমতো গিটারশিল্পীদের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে বাজাতে থাকেন গীটার। কঠোর অনুশীলন এক সময় তাঁকে পরিণত করে একজন কিংবদন্তি গিটার বাদকে। হয়ে ওঠেন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সেরা গিটার বাদক।
সব ঘরানার গানের সুর গিটারে তুলেছেন আইয়ুব বাচ্চু। মেলোডি, ডিস্টোরশন এমনকি ধ্রুপদী এবং লোকজ ঘরানার সুরও তাঁর গিটারে বেজেছে। তাঁর বাজনায় মুগ্ধ হয়ে বহু তরুণ হাতে তুলে নিয়েছেন গিটার, দেখেছেন রকস্টার হওয়ার স্বপ্ন। হয়েছেনও তাই। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আইয়ুব বাচ্চুর গিটারের ঝঙ্কার পৌঁছে গেছে ভারত পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এমনকি পশ্চিমের দেশগুলোতেও। সেসব দেশের অনেকের চোখে এশিয়ার সেরা গীটার বাদক আইয়ুব বাচ্চু। এমনকি একসময় যাঁদের অনুপ্রেরনায় গীটার বাদক হয়ে উঠেছিলেন, বেঁচে থাকলে তাঁরাও মুগ্ধ হতেন এবি’র গীটার বাজানো শুনে।
কনসার্টে প্রতিটি গানকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করতেন আইয়ুব বাচ্চু। আর সেটি করতেন গিটারে। ছয়তারে বিচিত্র সব সুর তুলতেন। যেগুলো বিশ্বের কিংবদন্তি গিটার বাদকেদের বাজনাতেই কেবল শোনা যায়। বিস্মিত চোখে মুগ্ধতা নিয়ে তাঁর গিটারে বুঁদ হয়ে থাকতেন হাজার হাজার দর্শক।
বাংলা ইনসাইডার/ এইচপি
মন্তব্য করুন
দক্ষিণী সিনেমার রকিং স্টার যশের সিনেমা পুরো বিশ্বে ব্যাবসায় রেকর্ড
গড়েছে। ‘কেজিএফ’ ও ‘কেজিএফ ২’ এর পর গীতু মোহনদাসের ‘টক্সিক’ ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ
হয়েছেন যশ।
জানা যায়, ‘টক্সিক’ এই সিনেমায় যশের বোনের চরিত্রে দেখা যাবে কারিনা
কাপুরকে। এমনকী, ‘ক্রু’ ছবির প্রচার চলাকালীন পরোক্ষভাবে সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বলিউড
বেবো নিজেই। কিন্তু সে আশা যেন উড়ে গেল কাপুরের মতো। সম্ভাবনার বাস্তব রূপ আর দেখতে
পাবেন না দর্শক।
ড্রাগ মাফিয়াদের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হবে এই সিনেমাটি। স্বাভাবিকভাবেই
‘কেজিএফ’ খ্যাত যশকে নিয়ে উন্মাদনা দর্শকমহলে। সম্প্রতি একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে এই
সিনেমার নির্মাতার তরফ থেকে। দর্শকের মধ্যে উত্তেজনা দেখে টিম টক্সিক খুবই আনন্দিত।
তবে সিনেমাটি নিয়ে কোনো মিথ্যে তথ্য ছড়াতে বারণ করেছেন নির্মাতা।
এদিকে সিনেমার জন্য চলছে জোরদার প্রস্তুতি। ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিনেতাদের বাছাই করা হয়েছে। কিন্তু যশের বিপরীতে কে অভিনয় করবেন
তা নিয়ে শুধু নির্মাতা নয়, যশ-প্রেমীরাও ছিলেন বেশ চিন্তিত। অবশেষে যশের নায়িকা হিসাবে
কিয়ারা আদভানি চূড়ান্ত করা হয়েছে। নির্মাতা মনে করছেন, যাদের কাস্ট করা হয়েছে তারা
শতভাগ উপযুক্ত।
অন্যদিকে ধোঁয়াশা রেখেই সিনেমাটি থেকে সরে গেলেন কারিনা। জানা যায়,
তারিখ নিয়ে সমস্যার কারণেই অভিনেত্রীর এমন সিদ্ধান্ত। নির্মাতার তরফেও তারিখ বদল করার
কোনও সম্ভাবনা নেই। স্বভাবতই ঘটনাটি নিয়ে কিছুটা হতাশ বেবোর অনুরাগীরা। তার পরিবর্তে
কাকে কাস্ট করা হবে সে অপেক্ষায় সিনেপ্রেমীরা।
যশ কারিনা কাপুর বলিউড দক্ষিণী সিনেমা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় মার্কিন অভিনেতা
ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ব্র্যাড পিটকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান।
নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও জনপ্রিয়তার শিখরে তিনি।
বলিউড বাদশাহ তখন বার্লিনে, সিনেমার শুটিং চলছে পুরোদমে। সেই সময়
শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ইউরোপ থেকে কাতারে কাতারে মানুষ এসেছেন, প্রিয় নায়ককে এক
পলক দেখার আশায়। শুটিংয়ের জন্য ১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ব্যারিকেডের
বাইরে পোস্টার হাতে অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানান অনুরাগীরা। অভিনেতাও প্রায় এক ঘণ্টা সময়
দিয়েছিলেন তাদের। শাহরুখের নজিরবিহীন স্টারডম!
সহ-অভিনেতা আলি খান ছিলেন শুটিং ফ্লোরে। তার কথায়, ‘আমরা বার্লিনে
যে হোটেলে ছিলাম, কিছু দিন আগে ব্র্যাড পিট এবং কুয়েন্টিন ট্যারেন্টিনো সেই হোটেলেই
ছিলেন। বার্লিনে তাদেরও একটি সিনেমার শুটিং চলছিল সেই সময়। তাদের ইউনিটের সদস্যরাই
আমাদের সিনেমাতে ছিলেন। তাদের মুখে শুনলাম, শাহরুখের জন্মদিনে এত মানুষ ঢল, এর আগে
কোনও শুটিংয়ে এত ভিড় দেখা যায়নি। এমনকি ব্র্যাড পিট যখন ছিলেন তখনও এত মানুষের দেখা
মেলেনি।
‘অ্যা মাইটি হার্ট’ সিনেমাতে অ্যাঞ্জেলিনার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন
আলি খান। প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানও ছিলেন সেই সিনেমায়। সেই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন
ব্র্যাড পিট। মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে আলি বলেন, ‘সিনেমার সেটের বাইরে অ্যাঞ্জেলিনা একেবারেই সাধারণ মানুষের মতো। আমি, আমার স্ত্রী আর অ্যাঞ্জেলিনা অনেক গল্প করলাম পার্টিতে। বিশেষত আমার স্ত্রীর সঙ্গে সন্তানের পরিচর্যা, তাদের খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় কথা বলেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা।’
ব্র্যাড পিট জনপ্রিয়তা শাহরুখ খান বলিউড
মন্তব্য করুন
ঢাকাই সিনেমার কিং খান শাকিবের বিয়ের
গুঞ্জন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বুবলী আর অপু বিশ্বাসকে নিয়ে বিরক্ত শাকিব খানের পরিবার।
শাকিবকে নিয়ে দুই নায়িকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কথাবার্তা-গল্পগুজব আর নিতে
পারছেন না অভিনেতা এবং তার পরিবার। শুধু তাই নয়, শাকিবকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চলছে পাত্রী
দেখাও।
অভিনেতার ঘনিষ্ঠজনেরা বলেছেন, ঢাকার পাশের জেলায় পাত্রী দেখছে শাকিবের পরিবার। এবার আর নিজের পছন্দে নয়, পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করবেন অভিনেতা। অতীত ভুলে সংসারী হবেন শাকিব।
আরও পড়ুন: এবার জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব
আরও পড়ুন: ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান
অর্থাৎ বুবলীর সঙ্গে যদি শাকিবের সত্যি বিয়ে হয়ে থাকে, তাহলে এবার তৃতীয় দফায় বিয়ের
পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন অভিনেতা। শোনা যাচ্ছে, চিকিৎসক পাত্রী পছন্দ করেছে তাঁর পরিবার।
শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার
পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জজেলার একটি মেয়েকে শাকিবের বউ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত
করেছে তার পরিবার। মেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন।
শাকিবেরও ডাক্তার মেয়ে পছন্দ।
একাধিক সূত্রে জানাগেছে, এ পর্যন্ত
দুই থেকে তিনজন পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জের চিকিৎসক মেয়েই
নাকি এগিয়ে আছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ দিকে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে
বসবেন শাকিব খান। আর এই আয়োজনের পুরো দায়িত্ব নিচ্ছে শাকিবের পরিবার।
শুধু তা–ই নয়, শাকিবকে নিয়ে কেউ কোনো
মিথ্যাচার করলেই আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাকিব খানের পরিবার। পাশাপাশি
জানা গেছে, শাকিবের বাড়িতে অপু-বুবলীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যদিও জবাবে
বুবলী বলেছেন, ছেলে বীরকে একা ছাড়বেন না তিনি। এই কথা প্রসঙ্গে অপুও বলেছেন, ‘তিনি
গেলে আমিও যাব।’
শাকিব খান ঢালিউড অপু বিশ্বাস বুবলী
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন।
এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।
শুধু কপিলই নয়, সামনে এসেছে তার সহকর্মী অর্চনা পূরণ সিং এবং সুনীল গ্রোভারের পারিশ্রমিকের কথাও।
ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গ্রোভার প্রতি পর্বের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ও অর্চনা পূরণ সিং নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্রুষ্ণা অভিষেক, কিকু শারদা ও রাজীব ঠাকুর পর্ব প্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ, ৭ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা করে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গত ৩০ মার্চ থেকে নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে এই শোয়ের প্রচার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে মোট পাঁচটি পর্ব।
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।