কালার ইনসাইড

‘ইসলামের বিপক্ষের সিনেমা নয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৫০ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

খিজির হায়াত খান, অভিনয়ে নাম লিখিয়েছিলেন নিজের পরিচালনায় ‘অস্তিত্বে আমার দেশ’ সিনেমার মাধ্যমে। পরবর্তীতে দেশের প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র খেলাধুলা বিষয়ক সিনেমা ‘জাগো’ পরিচালনা করে আলোচনায় আসেন। নায়ক হয়ে মাতাতে ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ সিনেমায় আসছেন। তিনি মুখেমুখি হয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের। 

বাংলা ইনসাইডার: পরিচালনা থেকে অভিনয় কিভাবে?

খিজির হায়াত খান: সিচুয়েশন বাধ্য করেছে। একজন আর্টিস্ট শেষ মুহূর্তে আসেনি। তাছাড়া এটার টপিকটাই এত সেন্সেটিভ। যেই পূর্ব প্রস্তুতি দরকার ছিল। শুটিংয়ে যেভাবে সময় দেয়ার দরকার ছিল। যেই লোকেশনে শুট করবো। যেভাবে শুট করবো। এটার জন্য আসলে প্রতিষ্ঠিত কারো কাছে সময়টা এক্সপেক্ট করাটা বা কারো সময় পাওয়াটা বা তাকে আসলে ওই পরিমানের পারিশ্রমিক দেওয়াটা সম্ভব হচ্ছিল না। খুবই রিস্কি একটি প্রজেক্ট। এই রিস্কটা আমি আসলে আমাদের যারা প্রতিষ্ঠিত, তাদের পাইনি। এরপরে যেটা, আরেকটা অপশন ছিল নতুন কাউকে নেয়া। নতুন কাউকে দিয়ে এতবড় রিস্ক আমি নিতে চাইনি। সে কারণে নিজে ক্যামেরার সামনে চলে আসছি।

প্রস্তুতি কেমন ছিল?

প্রায় ৮ মাস ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি। ৮ মাস প্রস্তুতি নেয়ার পর গত বছরের নভেম্বরের ১০ তারিখ শুটিং শুরু হয়। এই নভেম্বরে মুক্তি। অ্যাকশনের জন্য ট্রেনার ছিলেন, এডওয়ার্ড ফ্রান্সিস গোমস। তিনি ট্রেনড করেছেন। এছাড়া সিনেমাটির সুইমিংটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সমুদ্রের মধ্যে ফাইট সিকোয়েন্স ছিল। অ্যাকটিংয়ের জন্য আলাদা করে প্রশিক্ষন নিয়েছি। ভাগ্যিস নাচ ছিল না। সেক্ষেত্রে বেচে গিয়েছি। আর এই ক্যারেক্টারটায় আমি অ্যাক্টিং করার চেষ্টা করিনি। যে ক্যারেক্টারটা প্লে করেছি। ওটা যদি আমি হতাম। আর ওখানে যদি আমার সঙ্গে এমন ঘটনাগুলো ঘটতো। তাহলে আমি যা করতাম। আমি ওটাই করার চেষ্টা করেছি। এখন আসলে ওটা কতটুকু অভিনয় হয়েছে আর কতটুকু রিয়েলিস্টিক হয়েছে। দর্শকই তার বিচার করবে।



নিজের চোখে সিনেমার সেরা দৃশ্য কী?

দুটি দৃশ্যকে আমি একটু বেশি এগিয়ে রাখবেন। একটা ফিজিক্যালি খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। সমুদ্রের মধ্যে একটি ফাইট সিকোয়েন্স। যেখানে আমাকে ভেসে থাকতে হয়। আমার মনে আছে, জানুয়ারী মাসের ঠান্ডার মধ্যে ৮ ঘন্টা পানিতে ভেসে থাকতে হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে ফাইট সিকোয়েন্স আমার জন্য খুবই একটা টাফ সিকোয়েন্স ছিল। আর সবচেয়ে ইমোশনাল ছিল যখন আমার ফ্যামিলিটাকে আমি হারাই। মর্গের ভিতরে দৃশ্যটা আমরা করেছিলাম। ওই দৃশ্যটা ইমোশনালি খুবই খুবই টাফ ছিল। এই দুইটা দৃশ্য আমার জন্য বলবো খুবই কঠিন ছিল। একটি ফিজিক্যালি। আরেকটি ইমোশনাল।

কোন প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়েছে?

এ ধরনের একটি সিনেমা করার জন্য টাকা যোগাড় করা ছিল সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। কারণ এ ধরনের সিনেমার জন্য টাকা যোগাড় করা খুবই কষ্টসাধ্য ছিল। আর হ্যা, আমার এবং আমার ইউনিটের কিছু সদস্যদের উপর তো জীবনের হুমকি আছেই। ওইটা স্পেসেফিক আর বললাম না। এটা একটা যুদ্ধের মতো। যুদ্ধের ময়দানে আছি। হুমকি তো আসবেই। সেটা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত। তবে কেউ ছবিটা সম্পর্কে না জেনে না বুঝে এ নিয়ে মন্তব্য না করলে খুশি হবো। গল্পটা নিয়ে মানুষের মধ্যে বাইর থেকে নানা ধারণা হতে পারে। আমি বলবো আগে সিনেমাটি দেখুন। তারপর বিচার- বিশ্লেষন করেন। আমরা ভাবছিলাম হয়তো সিনেমা রিলিজের পর হুমকি আসবে, কিন্তু সিনেমা রিলিজের আগেই আমাদের ইউনিটের অনেকের জন্য নানা হুমকি আসছে!

ধর্ম ও জঙ্গিবাধ উঠে এসেছে সিনেমায়?

হ্যা। আমাদের মূল থিটাই এটা। সিনেমাটি ইসলামের বিপক্ষে নয়, এটা জোর দিয়ে বলছি। ইসলামের সপক্ষের একটি ছবি। আমরা দেখাতে চেয়েছি কিভাবে ইসলামকে অপব্যাখ্যা করে লক্ষ্যভ্রষ্ট তরুণদের যে অন্ধকারে ফেলে দেয়া হয়।



এমন গল্প কেন বেছে নেয়া?

গল্পটি খুবই একটি ব্যাক্তিগত জায়গা থেকে বেেেছ নেয়া। আমার খুব কাছের বন্ধুকে হলি আর্টিজনে হারাই। আমার আরও কিছু বন্ধু , ছোট ভাই তারা জঙ্গিবাদের দিকে চলে গেছে। যখন এমন একটা ইস্যুতে আপন মানুষগুলোকে হারাতে শুরু করবেন। তখন তো আপনারও কিছু করতে ইচ্ছে করবে। তো আমি একজন ফিল্ম মেকার। আমি কি করতে পারি! আমি ফিল্মই বানাতে পারবো। আমি তো অস্ত্র নিয়ে প্রতিহত করতে পারবো না। ফিল্মটাই আমার কাছে অস্ত্র। তাই এই এমন একটি সিনেমা করা।

পরিচালক আবু আকতারুল ইমান। প্রথম ছবি। তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কী?

‘মাটির ময়না’তে তিনি তারেক মাসুদের প্রধান সহকারী ছিলেন। এছাড়াও সোহানুর রহমান সোহান, এজে মিন্টু, শাহ আলম কিরণের মতো বড় বড় পরিচালকের সঙ্গে প্রধান সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমারও সহকারী ছিলেন। একটা অভিমানে উনি এতদিন সিনেমা বানাননি। ডকুমেন্টরি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। দেড়শোর বেশি আন্তর্জাতিক ক্লাইন্টের জন্য ডকুমেন্টরি নির্মাণ করেছেন। ৫২ বছর বয়সে তাকে পরিচালনায় আনলাম। ওনার সঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে কাজ করেছি। আমার প্রডাকশন হাউজের ডকুমেন্টরিগুলো উনি দেখেন। তার সঙ্গে আমার অনেকদিনের রিলেশন। আমার কাছে মনে হয়েছে একজন মানুষ যিনি সারা জীবন কমার্শিয়াল মুভির মধ্যে ছিলেন। কিন্তু সিনেমাটি বানাননি। এটা আসলে আমাদের একটা হতাশার জায়গা। ওনাকে আমি বলেছি আপনি একটি কমার্শিয়াল স্ট্রাকচারে সিনেমাটি বানাবেন। যেখানে ফাইট থাকবে, গান থাকবে কিন্তু দিনশেষে এই সেন্সেটিভ ম্যাসেজটা দিবেন। আমার কাছে মনে হয়েছে উনি সেটা শতভাগ দক্ষতার সঙ্গে ওনার কাজটি করতে পেরেছেন।

নায়িকা লাক্স সুন্দরী সানু কেমন করেছেন?

খবুই হার্ডওয়ার্কিং একজন অভিনেত্রী। সে আপ্রান চেষ্টা করেছে তার চরিত্রটা ফুটিয়ে তোলার জন্য। সে আমাকে প্রচুর হেল্প করেছে। সে তো প্রতিদিন ক্যামেরার সামনে দাড়ায়নি। আমি দাড়িয়েছি। কিন্তু তিনি ক্যামেরার সামনে না দাড়ালেও হেল্প করেছেন। আমাদের গল্পের যে চরিত্রটা, তার জন্য শানুর মতোই একজন অভিজ্ঞ অ্যাকট্রেস দরকার ছিল। রোমান্টিক সিনে তো আমার হাত পা কাপছিল। কিসের সিনও ছিল। ও যথেষ্ট হেল্প করেছে। আমার জন্য সমুদ্রের মাঝে ফাইট করা যতটা না কঠিন ছিল, তারচেয়ে বেশি কঠিন ছিল রোমান্টিক সিন বা গানের দৃশ্যে অভিনয়। চলন্ত বাইকে চুমুর সিন ছিল। চলন্ত বাইকে চুমুর সিন করা যে কত ডিফিকাল্ট। সেটা আমি বুঝলাম। পর্দায় হয়তো অনেকের সহজ লাগবে। সহজ কিছু হয়েছে বলে ধরে নিবে। আরেকটা দৃশ্য ছিল ওকে কোলে তুলে লেকের মত একটা জায়গা ক্রস করবো। ও পায়ে ব্যাথা পায়। ১২/১৩ বার টেক হয়েছে দৃশ্যটি।

পরিশেষে, সিনেমাটি নিয়ে কী বলতে চান?

আমরা একটা দায়িত্বের জায়গা থেকে। অত্যান্ত ঝুকি এবং সেন্সেটিভ একটা জায়গা থেকে এই সিনেমাটি বানিয়েছি। সাদাকে সাদা বলেছি, যেটা কালো সেটা দেখিয়েছি। মানুষ বুঝে নিবে। আমাদের দেশের তরুণদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জঙ্গিবাদের দিকে। দর্শকের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে। তারাও যেন ছবিটা দেখে এবং ছবিটা ছড়িয়ে দেয়। আমরা যদি একটা ছেলে বা মেয়েকেও এই সিনেমার মাধ্যমে বাঁচাতে পারি। তাহলেই বুঝবো যে আমাদের ছবি সফল।



বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

টাইটানিক: মারা গেছেন সিনেমাটির অভিনেতা বার্নার্ড হিল

প্রকাশ: ০৩:৪১ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

হলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা ‘টাইটানিক’ ও ‘লর্ড অব দ্য রিংস’ খ্যাত অভিনেতা বার্নার্ড হিল মারা গেছেন। রোববার (৫ মে) ভোরে মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে ৭৯ বছর বয়স হয়েছিল এ অভিনেতার। স্কটিশ লোক সংগীতশিল্পী বারবারা ডিকসন টুইটারে বার্নার্ডের মৃত্যুর খবর জানান।

অভিনেতার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও থিয়েটারে। টাইটানিক সিনেমায় ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড জে স্মিথ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বড় পরিচিত পান তিনি।

বার্নার্ড হিলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন বারবারা ডিকসন টুইট করেছেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, বার্নার্ড হিলের মৃত্যুর খবর। আমরা জন পল জর্জ রিঙ্গো এবং বার্ট, উইলি রাসেলের এই দুর্দান্ত শো-তে ১৯৭৪-১৯৭- এ একসঙ্গে কাজ করেছি। সত্যিই অসাধারণ একজন অভিনেতা। তার সঙ্গে পথ অতিক্রম করার সৌভাগ্য হয়েছিল। 


বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুর খবর জানতে পেরে শোক প্রকাশ করেছেন অনুরাগীরা। টাইটানিক ও দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস-এ তার অভিনয়ের প্রশংসা করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সিনেমাপ্রেমীরা। অনেক ব্যবহারকারী ব্রিটিশ মিনি সিরিজ ‘বয়েজ ফ্রম দ্য ব্ল্যাকস্টাফ’-এ ইয়োসার হিউজের মতো একটি জটিল চরিত্রের চিত্রায়নের জন্য প্রশংসা করেছেন প্রয়াত অভিনেতার। দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস-এ কিং থিওডেনের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল বার্নার্ড-কে, যা ছিল বহুল চর্চিত। 


বার্নার্ড জেমস ক্যামেরনের টাইটানিক সিনেমায় ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন ও নৌ কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড জে স্মিথের ভূমিকায় অভিনয় করেন। নৌকাডুবির সময় তার সেই শান্ত-সৌম্য চেহারা, এখনও ভুলতে পারেনি দর্শকরা। যেভাবে সবাইকে বাঁচিয়ে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন সমুদ্র বুকে, তা ভোলার নয়। 

বার্নার্ড একমাত্র অভিনেতা, যার একাধিক সিনেমা ১১টি একাডেমি পুরস্কার জিতেছিল।


টাইটানিক   অভিনেতা বার্নার্ড হিল   হলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

দুই বছর পর এক ফ্রেমে জোভান-তিশা জুটি

প্রকাশ: ০৩:১৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের জনপ্রিয় জুটি ফারহান আহমেদ জোভান ও তানজিন তিশা। টানা দুই বছর দেখা যায়নি নতুন কোনও নাটকে। এবার ইমরোজ শাওনের পরিচালনায় ফিরলেন এই জুটি।

তরুণ নির্মাতা ইমরোজ শাওন পরিচালিত, যোবায়েদ আহসানের রচনায় সিএমভি’র ব্যানারে নির্মিত বিশেষ নাটক নাম ‘কাপল অব দ্য ক্যাম্পাস’ এর মাধ্যমে ফিরছেন তারা।

সদ্য শুটিং শেষ হওয়া এই নাটকে জোভান অভিনয় করেছেন রাকিব চরিত্রে আর তিশারে নাম রিদা। দু’জনে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস ক্লাবের নেতৃত্বে অন্যজন সাংস্কৃতিক ক্লাবের।

নির্মাতা বলেন, ‘তার মানে এই নয়, দুটি দলের প্রধান বলে তাদের মধ্যে মধুর বা প্রেমময় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। গল্পে মূলত তাদের দেখা যাবে বিরোধী অবস্থানে। এমনকি দুর্ঘটনাও ঘটে তাদের এই বিরোধের জেরে। গল্পটা প্রেমের বটে, তবে এটি দেখলে মূলত ক্যাম্পাস জীবনে ফিরে যাবেন দর্শকরা।’  

প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ‘কাপল অব দ্য ক্যাম্পাস’ নাটকটি শিগগিরই উন্মুক্ত হবে সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে।


ফারহান আহমেদ জোভান   তানজিন তিশা   বাংলা নাটক  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বিশ্রামে যাচ্ছেন বলিউড বাদশাহ!

প্রকাশ: ০১:২১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান এক বছরেই জাওয়ান, পাঠান এবং ডাঙ্কির মতো হিট ছবি উপহার দিয়েছেন সিনেমা প্রেমিদের। বর্তমানে নতুন ছবির কাজ শুরুর আগে বিশ্রাম নিতে পারেন বলিউডের এই কিং খান। বিশ্রাম সেরে এ বছরের জুনে তিনি তার পরবর্তী ছবির শ্যুটিং শুরু করতে চান।

শুক্রবার (৩ মে) ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন শাহরুখ খান।

অভিনেতা বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমার একটু বিশ্রাম নেওয়া উচিত। তিনটি সিনেমা পরপর করে ফেলেছি। যার জন্য আমার শরীরে অনেক ধকল গেছে। আমি কলকাতা নাইট রাইডার্স দলকে বলেছিলাম যে এইবার শুধু মূল ম্যাচে আসব।

সৌভাগ্যবশত, আমার পরবর্তী ছবির শ্যুটিং আগস্ট থেকে শুরু হবে বা হয়তো জুলাই। যদিও আমরা জুনে শুরু করার প্ল্যান করছি। আমি সব হোম ম্যাচে আসতে চাই কারণ কলকাতা আমার বাড়ির মতো। তবে শাহরুখ ছবির নাম বা অন্যান্য বিবরণ প্রকাশ করেননি।

এদিকে, শাহরুখকে স্টেডিয়ামে প্রায়ই তার ছোট ছেলে আব্রাম নিয়ে আসতে দেখা গেছে।


বলিউড বাদশাহ   শাহরুখ খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ইউনিসেফের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে কারিনা কাপুর

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডে জনপ্রিয় অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। প্রায় দু'দশক ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকে বলিউড ইন্ড্রাষ্ট্রিতে রাজত্ব করে যাচ্ছেন তিনি। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। অবিনেত্রী নিজের মত করেই দায়িত্ব পালন করেন, হোক সেটা বলিউড কিংবা নিজের পারিবারিক স্থান থেকে। কারিনা দুই সন্তানের মা, ঘর-সংসার এবং কাজ সবই সমান তালে চালাচ্ছেন। এবার আরও বড় এক দায়িত্ব পেলেন তিনি। ইউনিসেফের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বলিউডের সুপারস্টার কাপুরকন্যা।

শনিবার (৪ মে) নিজেই ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে এ খবর জানান কাপুরকন্যা। তিনি লেখেন, আমার জন্য খুব আবেগের একটা দিন। UNICEF-এর রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পেয়ে আমি ধন্য়।

ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত দশ বছর ধরে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছেন কারিনা কাপুর। শুরুটা হয়েছিল সেই ২০১৪ সালে সেলেব্রিটি অ্যাডভোকেট হিসেবে। এবার সেই পদ থেকেই উত্তরণ হয়ে সরাসরি ইউনিসেফ-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের দায়িত্ব পেলেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে কারিনা বলেন, গত দশ বছর ধরে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছি। গত বছরগুলোতে দেশের শিশু এবং নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য আমাদের টিম যে কাজগুলো করেছে, তাতে আমি সত্যিই গর্বিত। আমি প্রতিদিন অনুপ্রেরণা পাই সেগুলো থেকে। আশা রাখি ভবিষ্যতেও এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করে যাব।


ইউনিসেফ   রাষ্ট্রদূত   কারিনা কাপুর   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

যশের ছবি থেকে যে কারণে সরলেন কারিনা কাপুর

প্রকাশ: ১০:০৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

দক্ষিণী সিনেমার রকিং স্টার যশের সিনেমা পুরো বিশ্বে ব্যাবসায় রেকর্ড গড়েছে। ‘কেজিএফ’ ও ‘কেজিএফ ২’ এর পর গীতু মোহনদাসের ‘টক্সিক’ ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন যশ।

জানা যায়, ‘টক্সিক’ এই সিনেমায় যশের বোনের চরিত্রে দেখা যাবে কারিনা কাপুরকে। এমনকী, ‘ক্রু’ ছবির প্রচার চলাকালীন পরোক্ষভাবে সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বলিউড বেবো নিজেই। কিন্তু সে আশা যেন উড়ে গেল কাপুরের মতো। সম্ভাবনার বাস্তব রূপ আর দেখতে পাবেন না দর্শক।

ড্রাগ মাফিয়াদের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হবে এই সিনেমাটি। স্বাভাবিকভাবেই ‘কেজিএফ’ খ্যাত যশকে নিয়ে উন্মাদনা দর্শকমহলে। সম্প্রতি একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে এই সিনেমার নির্মাতার তরফ থেকে। দর্শকের মধ্যে উত্তেজনা দেখে টিম টক্সিক খুবই আনন্দিত। তবে সিনেমাটি নিয়ে কোনো মিথ্যে তথ্য ছড়াতে বারণ করেছেন নির্মাতা।

এদিকে সিনেমার জন্য চলছে জোরদার প্রস্তুতি। ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিনেতাদের বাছাই করা হয়েছে। কিন্তু যশের বিপরীতে কে অভিনয় করবেন তা নিয়ে শুধু নির্মাতা নয়, যশ-প্রেমীরাও ছিলেন বেশ চিন্তিত। অবশেষে যশের নায়িকা হিসাবে কিয়ারা আদভানি চূড়ান্ত করা হয়েছে। নির্মাতা মনে করছেন, যাদের কাস্ট করা হয়েছে তারা শতভাগ উপযুক্ত।

অন্যদিকে ধোঁয়াশা রেখেই সিনেমাটি থেকে সরে গেলেন কারিনা। জানা যায়, তারিখ নিয়ে সমস্যার কারণেই অভিনেত্রীর এমন সিদ্ধান্ত। নির্মাতার তরফেও তারিখ বদল করার কোনও সম্ভাবনা নেই। স্বভাবতই ঘটনাটি নিয়ে কিছুটা হতাশ বেবোর অনুরাগীরা। তার পরিবর্তে কাকে কাস্ট করা হবে সে অপেক্ষায় সিনেপ্রেমীরা।


যশ   কারিনা কাপুর   বলিউড   দক্ষিণী সিনেমা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন