নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৩ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
১৯৫৯ সালের শেষের দিকে আমজাদ হোসেন গ্রামের বাড়ি জামালপুর থেকে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় এসে সাহিত্য ও নাট্যচর্চা নতুন উদ্যোমে শুরু করলেন। নাটকের কাজের জন্য সে সময় দৈনিক ২০ টাকা করে পেতেন। সড়ক, সিটি ডেভেলপমেন্ট ডিভিশন ওয়ান ও বিভিন্ন অফিস পাড়ার জন্য নাটক করতেন, এমনকি জেলখানার কয়েদিদের জন্যও নাটক করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে এক বড় ভাইয়ের রুমে থাকতেন। সেই ঘরে বসেই ভাষা আন্দোলনের উপর নাটক লিখলেন ‘ধারাপাত’। নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়ার পর ইত্তেফাকে কভার ফিচার হয়, যা নিয়ে চারিদিকে হইচই পরে গেলো। সৈয়দ শামসুল হকও সাপ্তাহিক চিত্রালিতে ‘ধারাপাত’ নাটকটির প্রশংসা করে কলাম লিখলেন।
বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম লোককথা নিয়ে নির্মিত ফোক ছবি রূপবানের পরিচালক সালাহউদ্দিন আমজাদ হোসেনকে ডেকে পাঠান। তিনি ধারাপাত নাটকের গল্পটি দিয়ে ছবি নির্মাণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। অবশেষে সালাহউদ্দিন ‘ধারাপাত’ নামের ছবি নির্মাণ করেন। ছবিতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন আমজাদ হোসেনই। এ ছবির আগে মহিউদ্দিনের ‘তোমার আমার’ চলচ্চিত্রে আমজাদ হোসেন অভিনয় করে সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন। ক্যাপ্টেন মোস্তাফিজের ‘হারানো সুর’- এও অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু ‘ধারাপাত’ ছবি দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। ‘ধারাপাত’-এর সফলতার পর জহির রায়হানের ইউনিটে কাজ করা শুরু করেন। সেই সময় চিত্রনাট্য নাম লিখা না থাকলেও জহির রায়হানের অনেক ছবির ‘স্ক্রিপ্ট’ লিখেছিলেন আমজাদ হোসেন।
১৯৬৭ সালে আমজাদ হোসেন ‘জুলেখা’ ছবির মধ্যে পরিচালনায় আসেন। ছবি মুক্তির হিসাবে আমজাদ হোসেন হলেন বাংলা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির তালিকায় ৩০তম পরিচালক যে তালিকার ১নং স্থানটি দখল করে আছেন ‘মুখ ও মুখোশ’ এর পরিচালক আব্দুল জব্বার। এরপর জহির রায়হান প্রযোজিত ও মোস্তফা মেহমুদ, রহিম নেওয়াজ ও নুরুল হক বাচ্চুর সঙ্গে পরিচালনা করেন ‘দুইভাই’ ছবিটি।
১৯৬৯ সালে করাচি থেকে ফিরে জহির রায়হান আমজাদ হোসেনের সাথে আবার যুক্ত হলেন এবং দুজনে মিলে নির্মাণ করলেন ‘জীবন থেকে নেয়া’ নামের এক কালজয়ী ঐতিহাসিক ছবি যেখানে আমাদের ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব ঘটনাবলির এক দলিল হিসেবে ঠাই করে নিয়েছে। সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন তিনি।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে ও বিচ্ছেদ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। অপু বিশ্বাস ও বুবলী এই নায়কের দুই সাবেক স্ত্রী হলেও বাবা হিসেবে দুই সন্তান আব্রাম ও শেহজাদের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন ঢালিউড কিং।
নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।
গুঞ্জন চলছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।
শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।
এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।
শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন ঢালিউড কিং।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ায় স্টেজ শো করেছেন জায়েদ খান। রোববার মেলবোর্নের টাউন হলে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে। সেখানকার বাঙালি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ‘সোনার চর’ সিনেমার এই নায়ক। স্টেজ থেকে ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা জায়েদ খানের ভক্ত’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন দর্শকরা। বিষয়টিতে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।