কালার ইনসাইড

কেন তাঁরা এত জনপ্রিয়?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

বাংলা ছবি পছন্দ করেন, অথচ কলকাতার সিনেমা দেখেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। কলকাতার সিনেমা দেখতে গেলে আপনি প্রসেনজিৎ, জিৎ কিংবা দেবের ফ্যান। কিন্তু এদের পাশাপাশি কিছু মুখ কিন্তু আপনার ভীষণ পছন্দের। কলকাতার সিনেমা দেখতে গেলে সেসব মুখ আপনার সামনে আসবেই। তাদের অভিনয় আপনাকে বিনোদন দেয়। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন তাদের নাম কি? অনেকেই জানি না এমন অভিনেতাদের নামটা পর্যন্ত। তাদের খোঁজ খবর তো দূরের কথা। তবু তাদের ভালো লাগে, তাদের অভিনয় ভালো লাগে। যখন তারা চোখের সামনে আসে, বিনোদিত হই আমরা। 

এমন কয়েকজনের খোঁজ আজ দেওয়া হল:



কাঞ্চন মল্লিক: সিনেমায় আসার আগে সেলসের চাকরি করতেন। বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। পড়াশুনার পাশাপাশি চানাচুরও বিক্রী করতেন। সংসার চালাতে হত এটা করেই। সঙ্গে থিয়েটারটাও করতেন নিয়মিত। সেটা ছিল প্যাশন। থিয়েটার করার সময় কখনো ভাবেননি ফটোশুট করে সিরিয়াল বা সিনেমার প্রোডাকশান হাউজে দেওয়া হবে। নিজের চেহারা নিয়ে কনফিউশনে ছিলেন। সেটা নব্বই দশকের গল্প। নব্বইয়ের দশকের শেষে সিরিয়ালের ছোট ছোট চরিত্রে কাজ করার সুযোগ পেলেন। সেখান থেকে আসলো সিনেমার অফার। তবে তার পরিচিত মিললো জিতের সঙ্গে অভিনয় করে। জিৎ যখন তুমুল ফর্মে। তার বন্ধু কিংবা চ্যালার চরিত্রে দেখা যেত কাঞ্চন। শুকনো লিকলিকে এ অভিনেতাকে। সবাইতো তাকে যে নামেই ডাকুক। তাতে তার মন খারাপ হয় না।‘কেন নিজেকে রোগা কাঞ্চন বলতে ইতস্তত করব। আমি তো বাঁটুল কাঞ্চন নই।আমি যদি আমার শরীরকে নিয়ে মজা করি। বা মকারি করি,সেটা তো মিথ্যে নয়। আর লোকের তা ভালো লাগছে।আমি তাদের এন্টারটেইন করতে পারছি। দ্যাটস ইট।’

ব্যাক্তি জীবনে কাঞ্চনের স্ত্রীর নাম পিংকি। আর ছেলের নাম সানা।

খরাজ মুখার্জি: এই মুহূর্তে কলকাতা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অপরিহার্য একটা নাম। শুধু বাংলা নয়, ক্রমশ হিন্দি ছবিতেও খরাজ জায়গা করে নিচ্ছেন। পড়াশোনায় ভাল ছিলেন না। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে বাবা বলেছিলেন, ‘পরীক্ষাটা যখন দিবিই ঠিক করেছিস, তখন একটু ভাল করেই দে’। কথাটা মাথায় ঢুকে গিয়েছিল। তাই বাংলা-হিন্দি-লো বাজেট-হাই বাজেট-সিরিয়াস-এলেবেলে যাই আসুক, সব ক্ষেত্রেই খরাজ দক্ষতার সঙ্গে অভিনয়টা করেন। ২০১৯ সালে তার বয়স ৫৬। তিনি গীতিকার, সুরকার এবং গায়কও। ১৯৮০ সালে ‘হুলস্থুল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে সিনেমায় নাম লেখান। বিগত ৩৯ বছরে তিনি পাতালঘর, বাই বাই ব্যাংকক, কাহানী, নেমসেক, এক্সিডেন্ট, মুক্তোধারা, স্পেশাল ২৬, জাতিস্মর সহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি নাট্যশিক্ষক রামপ্রসাদ বণিকের ছাত্র ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের শাকিব খানের সঙ্গেও অভিনয় করেছেন।



বিশ্বনাথ বসু: ছোট থেকেই একটু বেশি কথা বলার অভ্যাস। সঙ্গে ছিল অভিনয়ের উপর প্রচণ্ড টান। সিনেমা ভাল লাগত। ছোট থেকেই গোলগাল সুন্দর দেখতে। তাই গ্রামের স্বামী বিবেকানন্দের উপর যখন নাটক হত, তখনই ডাক পড়ত তাঁর। আরবালিয়ার স্কুল জীবন শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্বনাথ চলে আসেন কলকাতায়। স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়তে পড়তে অজস্র পথ নাটিকা, শ্রুতি নাটক করেছেন তিনি। সে সুবাধেই পরিচয় অভিনেতা শুভাশিস মুখার্জির সঙ্গে। শুভাশিসের হাত ধরেই সিনেমা জগতে পথ চলা।

১৯৯৬-৯৭ থেকেই ছোট ও বড়পর্দায় সুযোগ পাওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগা। প্রত্যেক পরিচালক, প্রযোজক, প্রত্যেকটি চ্যানেলের দফতর, কোথাও যেতে বাকি ছিল না। নখদর্পণে ছিল শহরের কোথায় কোন প্রোডাকশনের কাজ চলছে। তার সঙ্গে কারা কারা যুক্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটা কাজের সুযোগ চেয়ে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে দেখা করতেন সেসময়ের স্ট্রাগলিং বিশ্বনাথ। তার ভাবনায় ছিল, চাকরি করতে গেলেও তো এমনভাবে খুঁজতে হত।

ইটিভিতে প্রিয়া কার্ফার সঙ্গে একটি টেলিফিল্মে অভিনয়ে প্রথম নজর কাড়েন। তবে ‘এক পশলা বৃষ্টি’  সিরিয়ালে অভিনয়ের পর সকলের নজড় কাড়েন।

‘ক্রান্তি’ থেকে ‘উড়োচিঠি’, প্রতিটি সিনেমায় নতুন বিশ্বনাথকে দেখছেন দর্শকরা। মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায় বেশ কয়েকটি ছবি। ছোট পর্দাতেও এখনো দেখা যায় তাকে।

স্ত্রীর নাম দেবিকা। প্রেম করে বিয়ে করেছেন। দুই ছেলের জনক তিনি।

রুদ্রনীল ঘোষ: ২০০৫ সালে ‘দিন প্রতিদিন’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে পা রাখেন। তারপর ‘কাঁটাতার’,‘তিন ইয়ারির কথা’, ‘কালবেলা’, ‘থানা থেকে আসছি’, ‘ব্যোমকেশ বক্সী’,‘খাদ’, ‘রাজকাহিনী’- এর মতো জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেন রুদ্রনীল। এই অভিনেতা চরিত্রের প্রয়োজনে নানাভাবে নিজেকে ভেঙেছেন। চরিত্রাভিনেতা হিসেবেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন বারবার। আজকের রুদ্রনীল এক দিনে তৈরি হননি। যেদিন তার মা মৃত্যুবরণ করেন সেদিনও স্টেজ শো করতে গিয়েছিলেন এই অভিনেতা। অভিনয়ের ভালো সুযোগ না পেয়ে এক সময় চিত্রনাট্য রচনা করে আয় রোজগার করতেন তিনি। কিন্তু চিত্রনাট্যে তার নাম দেওয়া হতো না। কিন্তু আজ তিনি কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা।

অপরাজিতা আঢ্য: ছোটবেলায় নাচের প্রতি বেশি মনোযোগি ছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিকের পর একটা নাটকের দলে জয়েন করলেন। ওখানেই তাকে দেখলেন শঙ্কর চক্রবর্তী। তার কথায় জগন্নাথ গুহর সঙ্গে দেখা করলেন। উনি তখন ‘মনোরমা কেবিন’-এর জন্য নতুন মুখ খুঁজছিলেন। সেখান থেকে শুরু। ‘মনোরমা কেবিন’-এর পর করলেন ‘কুয়াশা যখন’ এবং ‘তৃষ্ণা।’ এর পাশাপাশি বড় পর্দাতেও কাজ শুরু করলেন। প্রথম ছবি ‘এবং তুমি আর আমি’। গৌতম বসু পরিচালিত ছবিতে লিড করেছিলেন। এখন তিনি নিয়মিতই অভিনয় করছেন। এই বয়সে এসে ‘প্রাক্তন’ এর মতো সিনেমায় প্রসেনজিতের স্ত্রীর চরিত্রে দেখা যায় তাকে।



শান্তিলাল মুখার্জি: ভিলেনের চরিত্রেই বেশি দেখা যায় তাকে।  ছেলে ঋতব্রতও অভিনয়ে নাম লিখিয়েছেন। এইতো কিছুদিন আগে অভিনয় করলেন ‘জেনারেশন আমি’ ছবিতে। সেখানে বাবার চরিত্রে শান্তিলালকে দেখা গেছে।  অভিনয় শুরু হয়েছিল পার্শ্বচরিত্র দিয়ে, এখনও ক্যারেক্টর আর্টিস্ট। সেখানেই ফাটিয়ে অভিনয় করছেন তিনি। 


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

নেটিজেনদের মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন স্বস্তিকা

প্রকাশ: ০৯:২১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। জীবনটা নিজের শর্তে উপভোগ করেন এই অভিনেত্রী। ঠোঁটকাটা স্বভাব, সমাজের বাঁকা দৃষ্টিকে পাত্তা না দেওয়ায় বছর জুড়েই আলোচনায় থাকেন। আবার সমকালীন বিষয় নিয়ে কথা বলেও বহুবার সমালোচিত হয়েছেন স্বস্তিকা।

জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। গেল এপ্রিল থেকেই এখানে প্রচণ্ড দাবদাহ দেখা যাচ্ছে। শুধু এপার বাংলা নয়, ওপার বাংলার মানুষও হাঁসফাঁস করছেন তীব্র দাবদাহে।

পরিবেশ বাঁচাতে বিজ্ঞানীরা যেমন গাছ লাগানোর কথা বলছেন, তেমনি তারকাদের মধ্যেও অনেকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু এ প্রসঙ্গে কথা বলে নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন স্বস্তিকা। তবে তিনিও কম যান না। রীতিমতো নেটিজেনদের এক হাত নিলেন তিনি।

বুধবার (১ মে) নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন স্বস্তিকা। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আরও গাছ কাটো/ আরও পুকুর বোজাও/ কংক্রিটের জঙ্গলে বাস করবে মানুষের লাশ।’

আর এতেই খেপে গিয়ে স্বস্তিকার দিকে প্রশ্নের তীর ছোড়া শুরু করেন তারা। সুপ্রিয়া নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনি থাকেন কোথায়? কয়টা গাছ লাগিয়েছেন এই পর্যন্ত? ফ্ল্যাট কেনা নেই তো একটাও?’

প্রশ্নগুলো দেখে থেমে থাকেননি স্বস্তিকাও। সুপ্রিয়ার সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী লেখেন, ‘হ্যাঁ, গাছ লাগিয়েছি। আমাদের বাড়ির গলিতে যত গাছ আছে সবগুলো আমি এবং আমার বাবা দুজনে মিলে লাগিয়েছি। আর আমার ফ্ল্যাট কেনা নেই। আমি আমার বাবার বাড়িতে থাকি। আর মুম্বাইতে থাকি ভাড়া বাসায়।

জবাবে অভিনেত্রী আরও লেখেন, ফেসবুকে এসে কাউকে আক্রমণ করার আগে চেক করে নিবেন আমার কয়টা ফ্ল্যাট আছে। আর গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের দায় আমাদের সবার। আমাকে তীর ছুড়ে প্রকৃতির কোনো সুরাহা হবে না।

অন্যদিকে সায়ন্তন ঘোষ লেখেন, ‘দিদি ভাই কংক্রিটের ফ্ল্যাটে বসে এবং এসিতে বসে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।’ এই মন্তব্যেরও কড়া জবাব দিয়েছেন স্বস্তিকা। তিনি লেখেন, ফুটপাতে বসে স্ট্যাটাস দিতে পারব না দাদা। আমি গত ৪ দিন ধরে রাস্তায় কাজ করছি। পোর্টবেল এসি তো পাওয়া যায় না, পাওয়া গেলে না হয় সঙ্গে নিয়ে আসতাম।

আরেক নেটিজেন লিখেছেন, ‘এসি ঘরে বসে জ্ঞান দিচ্ছেন।’ এর জবাবে স্বস্তিকা লেখেন, ‘কী করে জানলেন আমি এসি ঘরে বসে জ্ঞান দিচ্ছি?’

এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে স্বস্তিকার কমেন্টসবক্সে। আর কেউ কেউ তো আবার স্বস্তিকার বাসার ছবিই চেয়ে বসেছেন। তারা আসলে দেখতে চান স্বস্তিকা এসি ঘরে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন কিনা। মূলত এসব বিষয় নিয়ে জোর চর্চা চলছে নেটদুনিয়ায়।

স্বস্তিকা মুখার্জি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। নিজের অভিনয়গুণে খুব অল্প সময়েই দর্শকদের নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। তবে জানেন কি? অভিনেত্রী নয় সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা।

জানা গেছে, সবসময়ই একজন সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন অনুশকা। কিন্তু ভাগ্যের টানে হয়ে গেলেন অভিনেত্রী। সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করার বদলে নিজেই একজন পেজ থ্রির নিউজে থাকেন। আর অভিনেত্রীর এই সফরটাই তখন শুরু হয় যখন ফ্যাশন ডিজাইনার ভেন্ট্রেল রড্রিকস তাকে একটি শপিং মলে দেখেন।

আনুশকাকে সেখানে দেখার পর একটি ফ্যাশন শোতে হাঁটার জন্য বলেন ভেন্ট্রেল রড্রিকস। সেই থেকে শুরু হলো আনুশকার শোবিজে পথ চলা। প্রথমে মডেলিং, পরে সেখান থেকে বলিউড যাত্রা।

২০০৮ সালে ‘রাব নে বানা দি জোড়ি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় আনুশকার। আর ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমাতেই শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। এরপর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালে ক্রিকেটার বিরাট কোহলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন আনুশকা। তাদের সংসারে রয়েছে দুটি সন্তান। মেয়ে ভামিকা এবং ছেলে অকায়। বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই দিন পার করছেন এই অভিনেত্রী।

বলিউড   আনুশকা শর্মা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সালমান খানের বাড়িতে হামলায় অভিযুক্তদের রহস্যময় মৃত্যু

প্রকাশ: ০১:৪৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায় বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।

সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।

গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।


সালমান খান   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মধ্যরাতে ফেসবুকে তানজিন তিশার রহস্য ঘেরা পোস্ট

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যরাতে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেওয়া বা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোটা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে দেশের বিনোদন অঙ্গনের তারকাদের। এর আগে পরীমণি, মাহিয়া মাহিকে মাঝরাতে এরকম করতে দেখা গেছে। এবার তালিকায় নাম উঠল তানজিন তিশার। দুপুর রাতে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দিলেন কড়া হুঁশিয়ারি। 

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে তিশা নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি চাইলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন অপরাধীর গল্প শেয়ার করতে পারি। সেই সাহস এবং প্রমাণ আমার আছে।’ 

এরপর অভিনেত্রী লেখেন, ‘মনে রেখো আমি তোমার খারাপ কাজের জন্য তোমাকে সবার সামনে রক্ষা করেছি। বিখ্যাত অভিনেতা হওয়ার আগে একজন ভালো ও বিশ্বস্ত মানুষ হওয়া খুব প্রয়োজন।’

তিশার এমন উত্তপ্ত পোস্ট দেখে নড়েচড়ে বসেন নেটিজেনরা। কাকে এমন হুমকি দিলেন নায়িকা এমনটা যখন ভাবছিলেন অনেকে তখন দেখা যায় ওই পোস্টটি আর নেই। নিজের ফেসবুক থেকে মুছে দিয়েছেন তিনি।

এর আগে মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় তুলকালাম বাঁধিয়েছিলেন তিশা। পরে মিটেও যায় তা। অনেকের ধারণা ফের হয়তো তাকে ঘিরেই রাত দুপুরে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে রাতের আঁধারেই পোস্ট মুছে দিয়ে বিরত রইলেন অপরাধীর গল্প বলা থেকে। 

বলে রাখা ভালো, মাঝে এই প্রেমজনিত কারণেই ঢাকা মেডিকেলেও ভর্তি হতে হয়েছিল মধ্যরাতে। জানা গেছে, সেই যাত্রায় তিনি আত্মহননের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তখনও উঠে আসে সহশিল্পী মুশফিক আর ফারহানের নাম।

তানজিন তিশা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ২০১৭ সালে মায়ের ইচ্ছায় অভিনয়ে নাম লেখান। তারপর অংসখ্য নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী।

গত ঈদুল ফিতরে গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তাসনিয়া ফারিণ। ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামের গানটি দ্বৈতভাবে কণ্ঠে তুলেন তাহসান খান ও ফারিণ। গানটি ‘ইত্যাদি’-তে প্রচারের পর গত ১৬ এপ্রিল ইউটিউবে মুক্তি পায়। তারপর গানটি যেন লুফে নেন শ্রোতারা।

এখন পর্যন্ত গানটির মোট ভিউ দাঁড়িয়েছে ৯৫ লাখ ৭২ হাজারের বেশি। দর্শক-শ্রোতারা গানটির ভূয়সী প্রশংসা করছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশ অংশে (মিউজিক) ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছে গানটি।

বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত উপস্থাপক হানিফ সংকেত। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, “প্রিয় দর্শক, ঈদ উপলক্ষে ঈদের বিশেষ ইত্যাদিতে প্রচারিত সবগুলো গানই আপনারা পছন্দ করেছেন জেনে আমরা আনন্দিত। গানটির মধ্যে শিল্পী তাহসান ও তাসনিয়া ফারিণের গাওয়া ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ গানটি আপনাদের বিচারে সেরা গান নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে মিউজিক বিভাগে এক নম্বর স্থানে উঠে আসে, যা এখনো অটুট আছে।”

গায়িকা হিসেবে ফারিণকে দর্শক এখন চিনলেও অনেক আগে থেকেই গানের চর্চা করেন তিনি। এ বিষয়ে ফারিণ বলেন, ‘আমি কিন্তু নায়িকার আগে গায়িকা। যশোর থেকে ঢাকায় এসেও গানের চর্চা করেছি। দিনের পর দিন গান শিখেছি। জাতীয়, বিভাগীয় পর্যায়ে গান করেছি। গান গেয়ে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু অভিনয়ের কারণে গানের প্রতিভা এতদিন কেউ জানতে পারেনি।’

‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামে গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল।

তাসনিয়া ফারিণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন