কালার ইনসাইড

‘তেলা মাথায় তেল দেয়ার স্বভাব আমাদের কবে যাবে জানি না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০১৯


Thumbnail

চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। আরিফিন শুভর বিপরীতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি। ‘মিশন এক্সট্রিম’ শিরোনামে ছবিটি পরিচালনা করছেন যৌথভাবে ফয়সাল আহমেদ ও সানী সানোয়ার। সামাজিক কাজেও ঐশীর রয়েছে ব্যাপক উপস্থিতি। সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তুতি ও অন্যান্য বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন ঐশী।

সিনেমার অফারটি কিভাবে আসলো?

কলটা পেলাম বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের সময়। আদনান আল রাজিব ভাইয়ার পরিচালনায় গ্রামীন ফোনের বিজ্ঞাপনের শুটিং করছিলেন। যে বিজ্ঞাপনটি এখন টিভিতে ব্যাপক প্রচার হচ্ছে। আমার এক কাজিন আমাকে কল দেয়। সে বলে একটা মুভি হাউজ থেকে নাম্বার চাচ্ছে। আমি কি তোমার নাম্বার দিতে পারি? বললাম দেও। সিনেমার কাস্টিং ডিরেক্টর অরুপ দাদা আমাকে কল দিলো। তিনি জানালো যে আমাদের লাস্ট প্রডাকশন ছিল ‘ঢাকা অ্যাটাক’। আমাদের নেক্সট কাজের জন্য আপনার সঙ্গে বসতে চাচ্ছি। একদিন সময় করে পরিচালক সানী সানোয়ার ভাইয়া ও ফয়সাল ভাইয়ার সঙ্গে বসলাম। প্রথম দিন কথাবার্তা হওয়ার পর তারা বললেন ঠিক আছে আজকের মতো কথা এ পর্যন্তই থাক। পরে আমরা তোমাকে জানাবো। কিছুদিন পর আবার ডাকা হলো। তখন তারা জানালেন আসলে আমরা পজিটিভলি ভাবছি। আমার মতামত জানতে চাইলো। তখন বললাম ঠিক আছে ভাইয়া স্ক্রিপ্ট নিয়ে বসি। পুরো ব্যাপারটা জানি। গল্প ও তাদের মেকিং প্ল্যান শুনে মনে হলো এটাকে আমার লুফে নেওয়া উচিত।

সিনেমার চরিত্রটি কেমন?  

সিনেমায় আত্মনির্ভরশীল একজন কর্মজীবী নারীর চরিত্রে অভিনয় করছি। ঘটনাক্রমে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাব। শুভ ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক দেখানো হবে। নাচ, গান , নায়িকা বলতে সবটাই থাকবে আমার চরিত্রে।

আরেফিন শুভ সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন। তার সঙ্গে এই কয়দিন কেমন সম্পর্ক হলো?

এই মুভির থ্রুতেই ভাইয়ার সঙ্গে প্রথম দেখা ও কথা বলা। দ্বিতীয় দিন যখন সিনেমার কলাকুশলির সঙ্গে দেখা করতে যাই। একদম আচমকাই তার সঙ্গে দেখা। হ্যান্ডসাম তো আছেনই। তার কথাবার্তাও তেমন। এরকম একটা অ্যাকশন সিনেমার জন্য তার মতোই কাউকে দরকার ছিল বলে আমি মনে করি। আর ওনার কাজ তো আমি অনেকদিন আগে থেকেই দেখি। তিনি অনেক আন্তরিকও। প্রথম দেখায় তিনি আমায় বলেছেন, আপনাকে আমি টিভিতে, ইউটিউবে ও ফেসবুকে দেখেছি। আমিও মজা করে তাঁকে বলেছি, আমিও আপনাকে টিভিতে, ইউটিউবে ও ফেসবুকে দেখেছি। এ ছাড়া ভাইয়াকে আমি বলেছিলাম, আমার অনেক ভয় হচ্ছে, অভিনয় পারব তো? উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘অবশ্যই পারবা। আমারও প্রথম প্রথম এমন হতো।
সিনেমায় অভিনয়ের জন্য নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করছেন?

অভিনয় পারি না মোটেও। একদম শুন্যের কোঠা থেকে শিখছি। গেল কয়েকদিন ধরে আমাদের সিনেমার পুরো টিমটা গ্রুমিং করছি তারিক আনাম খান স্যারের তত্বাবধানে। সেখানে সিনেমার সকল কলাকুশলীরা আছেন। খুঁটিনাটি অনেককিছুই শিখতে পারছি। তবে এই একটা সিনেমাতেই যে সবকিছু শিখে ফেলবো তা নয়। অনেক ভুলত্রুটি হয়তো নতুন হিসেবে করবো। আমি আস্তে আস্তে নিজেকে পোক্ত করতে চাই। সিনেমার প্রত্যেকেই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। শুধুমাত্র আমিই বিগেনার।

নতুন কোন সিনেমার অফার আসছে?

শুরু থেকে আট দশটা সিনেমার অফার এসেছে। অনেকের সঙ্গে বসাও হয়েছে। কিন্তু করা হয়নি কোন কারণে। মতামত মেলেনি। ব্যাটে বলে মিলেনি। দুইয়ে দুইয়ে চার হয়নি। বর্তমানে সিনেমার প্রতিই সকল মনোযোগ দিয়েছি। অন্যকোন বিষয়ে ফোকাস করতে চাচ্ছি না। সিনেমাটি নিয়ে আসলে খুবই ভয়ে আছি। এটা আমার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ।

টিভি খুললেই দেখা মেলে ‘গ্রামীনফোন’ বিজ্ঞাপনের বদৌলতে, কেমন রেসপন্স পাচ্ছেন?

মিস ওয়ার্ল্ডের প্রতিযোগিতার পর ইচ্ছে ছিল শুরুটা যেন টিভিসি থেকে হয়। আমার ক্যামেরার সামনে প্রথম দাড়ানো মিউজিক ভিডিও দিয়ে হলেও প্রথম প্রচার হয়েছে টিভিসি। সেটা যে আদনান আল রাজিব ভাইয়ের মতো মেধাবি একজন নির্মাতার সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি সেটা অনেক তৃপ্তির। আর আমার টিভিসিটাও ছিল একটু নাটকীয়। যে বিষয়টা আমাকে আরও বেশি টাচ করেছে। ওই সময় অনেকগুলো কাজেরই অফার ছিল। প্রথম কাজ হিসেবে এটাকেই পিক করলাম। এখন তো সবার কাছ ভালোই রেসপন্স পাচ্ছি। মিস ওয়ার্ল্ডের পর এখন পর্যন্ত সাড়া পাওয়া সবচেয়ে ভালো কাজ বলা যায়।



কিছুদিন আগে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া আপনার একটি ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করেছেন। সিনিয়রদের কাছ থেকে কেমন সহযোগিতা পাচ্ছেন কাজের বেলায়?

ফারিয়া আপুরা তো আমার সিনিয়র। একটা প্রগ্রামে প্রথমদিন দেখা হয়েছে তার সঙ্গে। প্রথম দিনই সে নিজে এসে আমাকে কনগ্রাচুলেট করেছেন। আমার প্রশংসা করেছেন। অবাক হলাম আমার কাজগুলো তিনি ফলো করেন। তিনি আমাকে কাজগুলো করার ব্যাপারে উৎসাহ দিলেন। এরপরও ফারিয়া আপুর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। উনি সবসময়ই আমাকে উৎসাহিত করেন। খুবই স্নেহ করেন আমাকে। স্ক্রিনে দেখে কখনো বুঝিনি। উনি পার্সোনালি এতটা সুইট। এমনভাবে মিডিয়ায় যার সঙ্গেই আমার পরিচয় হয়, সেই আমাকে সাহস ও উৎসাহ দেয়। সে যে আমাকে উৎসাহটা দিলো। আমার তো দায়িত্ববোধ তখন আরও বাড়ে। মনে হয় এভাবে আরও কাজ করে যাই।

সামাজিক কাজেও ব্যাপক তৎপর দেখা যায়…

সম্প্রতি ভোলার চরফ্যাশনে গিয়েছিলাম। ফারিয়া আপু যে পোস্টটি শেয়ার করেছেন। আমি একটা পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছি, তেলা মাথায় তেল দেয়ার স্বভাব আমাদের কবে যাবে জানিনা! যারা পাচ্ছে সেটা তো ভালোই। কিন্তু গ্রামে জন্মানো তো কোন অপরাধ নয়। আর তুলনামূলকভাবে যারা শহরে থাকেন তারা গ্রামের মানুষজনের চেয়ে স্বচ্ছল। ভোলার চরফ্যাশন গ্রামের বিশেষ শিশুদের একটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। সেখানকার শিক্ষকগণ বাচ্চাদেরকে পড়াচ্ছেন বিনাবেতনে। আর বাচ্চাগুলো ও তাদের বাবা-মায়ের কষ্টের কথা নাই বা বললাম। এটা সত্যিই আনন্দের যে শহরের এসব বিশেষ শিশুদের কোনো অভাব নেই। তবে পাশাপাশি এটাও কষ্টের যে আমাদের দেশের বেশীর ভাগ গ্রামাঞ্চলের বিশেষ শিশুরা সেসব সুবিধা পায়না। এমনকি ওখানকার বেশীর ভাগ শিশু প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আসেনি। আমরা কি পারিনা ওদের পাশে দাঁড়াতে? যাদের দরকার আমরা কেন তাদের দিকে সাহায্যের হাত টা আগে বাড়াইনা? সেখানকার যে চেয়ারম্যান উনি নিজে এই প্রতিষ্ঠানটি তৈরী করেছেন। নিজের টাকা দিয়ে চালাচ্ছেন। উনি জমি বিক্রী করে করে এটা চালাচ্ছেন। ওনার কথা, অসৎ উপায়ে তো উপার্জন করতে পারি না। তাই নিজের জমি বিক্রি করেই এটা চালাচ্ছি। ওনার নাম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। স্কুলটার নাম আম্বিয়া খাতুন মেমোরিয়াল প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। আমি এইসব শিশুদের নিয়ে সারাজীবন কাজ করে যেতে চাই। আমার সামর্থ্য হলে নিজে একটা ফাউন্ডেশন করতে চাই, যেটা আমার স্বপ্ন।

পড়াশুনার খবর কী?

২০১৮ সালে এইচএসসি কমপ্লিট করেছি। এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয়নি। খুব শিগগিরই কোন ভালো ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছে আছে।

 

বাংলা ইনসাইডার

 

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী

প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড অভিনেত্রী রাগিনি খান্না। তার আরেক পরিচয় তিনি বরেণ্য অভিনেতা গোবিন্দর ভাগনি। কয়েক দিন আগে এ অভিনেত্রী ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে হইচই ফেলে দেন। কিন্তু এ ঘোষণা দেওয়ার একদিন পরই নিজ ধর্মে ফেরার কথা জানান এই অভিনেত্রী।

কয়েক দিন আগে রাগিনি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন। তাতে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি ঘোষণা করছি যে, এখন থেকে খ্রিস্টান ধর্মের ঐতিহ্য, রীতিনীতি অনুসরণ করব।

রাগিনি এ ঘোষণা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্ষমা চান। এতে তিনি বলেন, আমি রাগিনি খান্না। আমার পূর্বের রিলস ভিডিওর জন্য ক্ষমা চাইছি। যাতে আমি খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণের কথা জানিয়েছিলাম। আমি পুনরায় আমার শিকড়ে ফিরে এসেছি। এখন থেকে হিন্দু সনাতন ধর্ম অনুসরণ করব।

রাগিনি খান্না একাধারে মডেল-অভিনেত্রী ও সঞ্চালক। ২০০৮ সালে হিন্দি ভাষার টিভি ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর অনেক সিরিয়ালে কাজ করেছেন।

২০১১ সালে রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার ‘টিন থাই ভাই’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে। পরের বছরই পাঞ্জাবি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন রাগিনি। এরপর আরও বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।

বলিউড   রাগিনি খান্না  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ব্র্যাড পিটকে পেছনে ফেলে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে শাহরুখ খান

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ব্র্যাড পিটকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান। নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও জনপ্রিয়তার শিখরে তিনি।

বলিউড বাদশাহ তখন বার্লিনে, সিনেমার শুটিং চলছে পুরোদমে। সেই সময় শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ইউরোপ থেকে কাতারে কাতারে মানুষ এসেছেন, প্রিয় নায়ককে এক পলক দেখার আশায়। শুটিংয়ের জন্য ১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ব্যারিকেডের বাইরে পোস্টার হাতে অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানান অনুরাগীরা। অভিনেতাও প্রায় এক ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন তাদের। শাহরুখের নজিরবিহীন স্টারডম!

সহ-অভিনেতা আলি খান ছিলেন শুটিং ফ্লোরে। তার কথায়, ‘আমরা বার্লিনে যে হোটেলে ছিলাম, কিছু দিন আগে ব্র্যাড পিট এবং কুয়েন্টিন ট্যারেন্টিনো সেই হোটেলেই ছিলেন। বার্লিনে তাদেরও একটি সিনেমার শুটিং চলছিল সেই সময়। তাদের ইউনিটের সদস্যরাই আমাদের সিনেমাতে ছিলেন। তাদের মুখে শুনলাম, শাহরুখের জন্মদিনে এত মানুষ ঢল, এর আগে কোনও শুটিংয়ে এত ভিড় দেখা যায়নি। এমনকি ব্র্যাড পিট যখন ছিলেন তখনও এত মানুষের দেখা মেলেনি।

‘অ্যা মাইটি হার্ট’ সিনেমাতে অ্যাঞ্জেলিনার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন আলি খান। প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানও ছিলেন সেই সিনেমায়। সেই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন ব্র্যাড পিট। মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়। 

এ প্রসঙ্গে আলি বলেন, ‘সিনেমার সেটের বাইরে অ্যাঞ্জেলিনা একেবারেই সাধারণ মানুষের মতো। আমি, আমার স্ত্রী আর অ্যাঞ্জেলিনা অনেক গল্প করলাম পার্টিতে। বিশেষত আমার স্ত্রীর সঙ্গে সন্তানের পরিচর্যা, তাদের খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় কথা বলেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা।’


ব্র্যাড পিট   জনপ্রিয়তা   শাহরুখ খান   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শাকিব খানের জন্য যে জেলার পাত্রী ঠিক করেছে তার পরিবার

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই সিনেমার কিং খান শাকিবের বিয়ের গুঞ্জন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বুবলী আর অপু বিশ্বাসকে নিয়ে বিরক্ত শাকিব খানের পরিবার। শাকিবকে নিয়ে দুই নায়িকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কথাবার্তা-গল্পগুজব আর নিতে পারছেন না অভিনেতা এবং তার পরিবার। শুধু তাই নয়, শাকিবকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চলছে পাত্রী দেখাও।

অভিনেতার ঘনিষ্ঠজনেরা বলেছেন, ঢাকার পাশের জেলায় পাত্রী দেখছে শাকিবের পরিবার। এবার আর নিজের পছন্দে নয়, পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করবেন অভিনেতা। অতীত ভুলে সংসারী হবেন শাকিব।

আরও পড়ুন:  এবার জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব

আরও পড়ুন: ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান

অর্থাৎ বুবলীর সঙ্গে যদি শাকিবের সত্যি বিয়ে হয়ে থাকে, তাহলে এবার তৃতীয় দফায় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন অভিনেতা। শোনা যাচ্ছে, চিকিৎসক পাত্রী পছন্দ করেছে তাঁর পরিবার।

শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জজেলার একটি মেয়েকে শাকিবের বউ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে তার পরিবার। মেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন। শাকিবেরও ডাক্তার মেয়ে পছন্দ।

একাধিক সূত্রে জানাগেছে, এ পর্যন্ত দুই থেকে তিনজন পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জের চিকিৎসক মেয়েই নাকি এগিয়ে আছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ দিকে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন শাকিব খান। আর এই আয়োজনের পুরো দায়িত্ব নিচ্ছে শাকিবের পরিবার।

শুধু তা–ই নয়, শাকিবকে নিয়ে কেউ কোনো মিথ্যাচার করলেই আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাকিব খানের পরিবার। পাশাপাশি জানা গেছে, শাকিবের বাড়িতে অপু-বুবলীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যদিও জবাবে বুবলী বলেছেন, ছেলে বীরকে একা ছাড়বেন না তিনি। এই কথা প্রসঙ্গে অপুও বলেছেন, ‘তিনি গেলে আমিও যাব।’


শাকিব খান   ঢালিউড   অপু বিশ্বাস   বুবলী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কপিল শর্মার এক পর্বে ৫ কোটি!

প্রকাশ: ১০:৪০ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। 

এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।

শুধু কপিলই নয়, সামনে এসেছে তার সহকর্মী অর্চনা পূরণ সিং এবং সুনীল গ্রোভারের পারিশ্রমিকের কথাও।

ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গ্রোভার প্রতি পর্বের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ও অর্চনা পূরণ সিং নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্রুষ্ণা অভিষেক, কিকু শারদা ও রাজীব ঠাকুর পর্ব প্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ, ৭ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা করে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গত ৩০ মার্চ থেকে নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে এই শোয়ের প্রচার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে মোট পাঁচটি পর্ব।


কপিল শর্মা   নেটফ্লিক্স  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৯:৩৪ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ।

গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।

এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি। বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে খুবই সামান্য টাকা পায়।

এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয় নিয়ে কথা বলব’।

ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব। প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।

চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব দিতে হবে’।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’

এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র আরও এগিয়ে যাবে’।

বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায় না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।

শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।

এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড, গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।

আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন, অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া, আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।

উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়। তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।


‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’   গোলটেবিল বৈঠক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন