নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২০ মার্চ, ২০১৯
২১ মার্চ মুক্তি পেতে যাচ্ছে অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘কেসারি’ সিনেমাটি। ১৮৯৭ সালে মাত্র ২১ জন শিখ সৈনিক নিয়ে হাবিলদার ঈশ্বর সিং ১০ হাজার আফগান সৈনিকের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন। ঐতিহাসিক সেই সারাগারহি যুদ্ধ নিয়ে তৈরি হয়েছে এই চলচ্চিত্রটি। ছবিটি পরিচালনা করেছেন অনুরাগ সিং। অভিনয়ে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে আছেন পরিণীতি চোপড়াও। ছবিটি অনেকটা খোলামাঠে আছে। এ মাসে আলোচিত সিনেমা ‘বদল’ মুক্তি পেয়েছিল ৮ মার্চ। তার দম কমে এসেছে। এ সপ্তাহে ‘কেসারি’র সঙ্গে টক্কর দেওয়া কোন সিনেমা নেই। আগামী সপ্তাহে মুক্তি পাবে ‘জঙ্গল’ ও ‘নোটবুক’। আগামী সপ্তাহে এ দুই সিনেমাও যে খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে না তা আগেই আঁচ করা যায়। সেক্ষেত্রে অক্ষয়ের ‘কেসারি’ কেমন সফল হয় সেটাই দেখার বিষয়।
ইতিহাসনির্ভর ছবি বলিউডে আগে যে কখনো হয়নি তা নয়, তবে ইদানিং ঝোঁকটা বেড়েছে। আলোচিত ছবির বেশির ভাগই হয় ঐতিহাসিক, নয়তো বায়োপিক। এ বছরও তেমনটা লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে এ বছরে বায়োপিকের থেকে নির্মিত ও নির্মিতব্য ইতিহাসনির্ভর ছবির সংখ্যা বেশি।
শুধু যে ব্যবসা তা নয়। ইতিহাসকে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখার জন্যও নাকি বলিউড ঐতিহাসিক সিনেমার প্রতি জোর দিচ্ছে। আর নিয়ে ঝামেলাও তাদের কম পোহাতে হয়না। যেমন ‘পদ্মাবত’ নিয়ে হামলা, ভাঙচুর এমনকি প্রাণহানি পর্যন্ত হয়েছে, সেটি স্মরণ করাই যথেষ্ট।
২০১৯ সালে এখন পর্যন্ত এ ধারায় মুক্তি পেয়েছে ‘উড়ি:দ্যা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’, ‘মনিকার্ণিকা: দ্যা কুইন অব ঝাঁসি’, ‘দ্যা অ্যক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’,‘ঠাকরে’, ‘সঞ্চারিয়া’র মতো সিনেমা। এ বছর আরও মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে ‘কেসারি’,‘রোমিও আকবর ওয়াল্টার’,‘দ্যা তাসকেন্ট ফাইল’,‘কলঙ্ক’, ‘তানহাজি দ্যা আনসাঙ ওয়ারিওর’ এবং ‘পানিপথ’।
এর মধ্যে আলোচনা তৈরী করতে পারে পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকের ‘পানিপথ’। আশুতোষের বরাবরই ইতিহাসনির্ভর ছবি তৈরির ঝোঁক। ‘লগন’,‘যোধা আকবর’,‘খেলে হাম জি জান সে’ ও ‘মহেঞ্জোদারো’ ছবি তার প্রমাণ। এবার এই নির্মাতা পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ নিয়ে একটি চলচ্চিত্র তৈরি করতে যাচ্ছেন। মারাঠা প্রধানের চরিত্রে এই ছবিতে অভিনয় করেছেন অর্জুন কাপুর। আর আহমেদ শাহ দুররানি হবেন সঞ্জয় দত্ত। নায়িকার চরিত্রে থাকবেন কৃতী শ্যানন। আশুতোষের এই ছবি মুক্তি পাবে ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর।
করণ জোহরের ‘কলঙ্ক’ ছবিটিও নানা কারণে আলোচিত। এটি তাঁর প্রয়াত বাবা যশ জোহরের স্বপ্নের প্রকল্প ছিল। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দুই দশক পর একসঙ্গে জুটি বাঁধছেন সাবেক প্রেমিক-প্রেমিকা সঞ্জয় দত্ত ও মাধুরী দীক্ষিত। এই ছবিতে চল্লিশের দশকে ভারতবর্ষকে দেখবে দর্শক। ছবিতে আরও অভিনয় করবেন আলিয়া ভাট, বরুণ ধাওয়ান, সিদ্ধার্থ রায় কাপুর ও সোনাক্ষী সিনহা।
করণ জোহরের ‘তাখাত’ সিনেমাটিও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত।
অজয় দেবগনের ‘তানাজি: দ্য আনসাং ওয়ারিয়র’কেও এই তালিকায় রাখা যায়। ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী শহীদ ভগত সিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করার অনেক বছর পর আরেকটি বায়োপিকে অভিনয় করছেন অজয় দেবগন। কিংবদন্তি মারাঠা যোদ্ধা সুবেদার তানাজিকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘তানাজি: দ্য আনসাং ওয়ারিয়র’। মারাঠারাজ ছাত্রপতি শিবাজির সৈনিক ছিলেন তানাজি। ছবির পোস্টার প্রকাশ পেয়েছে। এবছরই মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে ছবিটির।
অতীতেও নির্মাণ হয়েছে একাধিক সুপারহিট ঐতিহাসিক বলিউড সিনেমা:
বেন কিংসলেরও ‘গান্ধী’, শ্যাম বেনেগালের ‘নোতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস’, দীলিপ কুমার, মধুবালা ও পৃথ্বিরাজ কাপুরের ‘মুঘল- ই-আজম’, কেতন মেহতার পরিচালনায় আমির খানের ‘মঙ্গল পান্ডে’, সঞ্জয় লীলা বানসালীর ‘পদ্মাবত’, আশুতোষ গোয়ারিকারের পরিচালনায় আমির খানের ‘লগান’, হৃত্বিক ও ঐশ্বরিয়ার ‘যোধা আকবর’, অজয় দেবগনের ‘লিজেন্ড অব ভাগাত সিং’, আমির খানের ‘আর্থ’,পরেশ রাওয়ালের ‘সর্দার’, শাহরুখ খানের ‘অশোকা’, রেখা অভিনীত ‘ওমরাওজান’, অক্ষয় কুমারের ‘গোল্ড’ ছবিগুলোকে উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায়।
একটা বিষয় অবশ্যই লক্ষনীয়। বলিউডে আজ্যবদি যত ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে সিনেমা নির্মাণ হয়েছে বেশিরভাগ ব্যবসাসফল। ব্যবসাসফল না হতে পারলেও সমলোচকদের মন কেড়ে নেয় এ ধাঁচের সিনেমা।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
ঢাকাই সিনেমার কিং খান শাকিবের বিয়ের
গুঞ্জন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বুবলী আর অপু বিশ্বাসকে নিয়ে বিরক্ত শাকিব খানের পরিবার।
শাকিবকে নিয়ে দুই নায়িকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কথাবার্তা-গল্পগুজব আর নিতে
পারছেন না অভিনেতা এবং তার পরিবার। শুধু তাই নয়, শাকিবকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চলছে পাত্রী
দেখাও।
অভিনেতার ঘনিষ্ঠজনেরা বলেছেন, ঢাকার পাশের জেলায় পাত্রী দেখছে শাকিবের পরিবার। এবার আর নিজের পছন্দে নয়, পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করবেন অভিনেতা। অতীত ভুলে সংসারী হবেন শাকিব।
আরও পড়ুন: এবার জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব
আরও পড়ুন: ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান
অর্থাৎ বুবলীর সঙ্গে যদি শাকিবের সত্যি বিয়ে হয়ে থাকে, তাহলে এবার তৃতীয় দফায় বিয়ের
পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন অভিনেতা। শোনা যাচ্ছে, চিকিৎসক পাত্রী পছন্দ করেছে তাঁর পরিবার।
শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার
পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জজেলার একটি মেয়েকে শাকিবের বউ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত
করেছে তার পরিবার। মেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন।
শাকিবেরও ডাক্তার মেয়ে পছন্দ।
একাধিক সূত্রে জানাগেছে, এ পর্যন্ত
দুই থেকে তিনজন পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জের চিকিৎসক মেয়েই
নাকি এগিয়ে আছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ দিকে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে
বসবেন শাকিব খান। আর এই আয়োজনের পুরো দায়িত্ব নিচ্ছে শাকিবের পরিবার।
শুধু তা–ই নয়, শাকিবকে নিয়ে কেউ কোনো
মিথ্যাচার করলেই আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাকিব খানের পরিবার। পাশাপাশি
জানা গেছে, শাকিবের বাড়িতে অপু-বুবলীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যদিও জবাবে
বুবলী বলেছেন, ছেলে বীরকে একা ছাড়বেন না তিনি। এই কথা প্রসঙ্গে অপুও বলেছেন, ‘তিনি
গেলে আমিও যাব।’
শাকিব খান ঢালিউড অপু বিশ্বাস বুবলী
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন।
এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।
শুধু কপিলই নয়, সামনে এসেছে তার সহকর্মী অর্চনা পূরণ সিং এবং সুনীল গ্রোভারের পারিশ্রমিকের কথাও।
ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গ্রোভার প্রতি পর্বের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ও অর্চনা পূরণ সিং নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্রুষ্ণা অভিষেক, কিকু শারদা ও রাজীব ঠাকুর পর্ব প্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ, ৭ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা করে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গত ৩০ মার্চ থেকে নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে এই শোয়ের প্রচার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে মোট পাঁচটি পর্ব।
মন্তব্য করুন
চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে
সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন
ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি
(বাচসাস)।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার
কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি
ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল
মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক
রিমন মাহফুজ।
গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ
উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।
এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন,
‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা
ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি।
বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে
খুবই সামান্য টাকা পায়।
এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে
জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের
এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে
আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর
অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয়
নিয়ে কথা বলব’।
ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে
আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি
নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন
ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব।
প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।
চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ
খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক
করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব
দিতে হবে’।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন
উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের
সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে
আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প
ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’
এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি
অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র
আরও এগিয়ে যাবে’।
বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান
চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায়
না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে
বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান
বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।
শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র
শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের
চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু
সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ
করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে
গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।
এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর
রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক
জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক
সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ
সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক
এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড,
গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক
সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন,
অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ
ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস,
দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া,
আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।
উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়।
তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও
নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।
‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ গোলটেবিল বৈঠক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।