নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৭ পিএম, ২৩ অগাস্ট, ২০১৯
ঈদ অনুষ্ঠানমালায় নাট্য নির্মাতা হিসেবে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন। তার মধ্যে বেশকিছু কাজ আলোচিত হয়েছে। সময়ের জনপ্রিয় নাট্য নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ কথা বললেন ঈদের নাটক ও সামনের দিনের পরিকল্পনা নিয়ে।
অভিনয়শিল্পীরাও যেমন অনেক কাজ করলে সমালোচনায় পড়েন, এবার ঈদে আপনারও বেশকিছু নাটক-টেলিফিল্ম প্রচার হয়েছে। দর্শকের সমালোচনার মুখোমুখি কিংবা মান ঠিক রাখতে পেরেছেন?
মাবরুর রশীদ বান্নাহ: সমালোচনাটা হচ্ছে ব্যক্তিগত ব্যাপার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইচ্ছে করলেই বলা যায় এর মতো বিচ্ছিরি পরিচালক আর একটি নেই। কিন্তু যখন সেই পরিচালক সেটা জানতে চাইবেন যে বাজে বললেন কেন? তখন যদি কেউ তার যুক্তিসঙ্গত কারণ বলতে না পারেন। তাহলে তো ওই কথার কোন ভিত্তি থাকে না। আমার কথা হচ্ছে আমি যদি কোয়ালিটির সঙ্গে কোয়ানটিটি মিক্স করে করতে পারি, আমার কাজ যদি ভালো হয়, তাহলে তো আর কোন সমস্যা থাকেনা। আমি সেটাই জানতে চেয়েছি, এমনকি আমি এটাই বলবো আমার যদি কোন কাজ খারাপ হয়ে থাকে তাহলে বলুক সেটা, এই কাজটা খারাপ হয়েছে। আমি চেষ্টা করবো নিজেকে ওই জায়গা থেকে শুধরে নিতে, বা আমি পরবর্তীতে ঐটা করবো না। কারণ দর্শকের রিঅ্যাকশন আমি অনেক বেশি গুরুত্ব দেই। তাছাড়া আমি একশত নাটক একশত মানুষকে ভালো লাগাতে পারবো না, এটা সম্ভব না। কারো নাটক ১০০% ভালো লাগেনা। একজন অভিনেতা যেমন অনেকগুলো নাটকে একসাথে অভিনয় করে, তাকে এই প্রশ্নটা করা যেতে পারেনা আপনি কেন এতগুলো নাটকে অভিনয় করলেন। একজন ডিরেক্টরকে তাহলে এই প্রশ্নটা কেন করবে! আপনি এতগুলো নাটক কেন করলেন! আর একটা তথ্যগত ভুল সবাই করছেন। আমার আসলে ১৮টি নাটক রিলিজ হয়নি। এবার সব মিলিয়ে রিলিজ হয়েছে ১৪টি নাটক। একটা তথ্যগত ভুল চারদিকে দেখতে পাচ্ছি। এর মধ্যে ৫ টি নাটক করা ছিলো আগে, আর নতুন নাটক করেছি ৯ থেকে ১০টি। আমার সমালোচনা আর আলোচনা যেটাই বলেন, আমি সমালোচনার থেকে পজেটিভ রিভিউই বেশি পাচ্ছি। যদি আমি এমন দেখতাম ১০টি কমেন্টের মধ্যে ৮টি কমেন্ট খারাপ আসছে তাহলে আমি কনফার্ম থাকতাম। গড়পড়তায় আমাকে নিয়ে পজেটিভ কত পার্সেন্ট বলছে আর নেগেটিভ কত পার্সেন্ট বলছে? সাধারণ মানুষ কি বলছে আমার নাটক নিয়ে? বোদ্ধা শ্রেণীর দর্শক আমি খুব একটা গ্রাহ্য করিনা। কারণ তারা সার্বিক দিক বিবেচনা করে কথা বলেন না। সাধারণ মানুষ যদি দেখি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভালো বলছে তাহলে আমি মনে করি আমি ঠিক আছি। আর যদি দেখি সাধারণ দর্শক বলছে নেগেটিভ বেশি তাহলে আমি বলবো আমি ঠিক নাই , আমি ভুল করেছি। আমার রেসপন্স এখন পর্যন্ত অনেক ভালো। আলহামদুলিল্লাহ এবার ঈদটা আমার ভালো কেটেছে। আর একটি কারণে আমি বেশ খুশি যে, ইউটিউবের চেয়েও এবার দর্শক টিভিতে নাটক দেখে বেশি রেসপন্স করেছে।
বেশি রেসপন্স পাচ্ছেন কোন নাটকগুলোতে?
আশ্রয়, ডেইট, মুগ্ধ ব্যাকরণ, এটাই ভালোবাসা, থার্ড জেন্ডার- র্যাংকিং করলে এগুলোকে টপে রাখা যায়। পাশাপাশি ‘আমি মিস্টার পরিস্কার’, ‘লেডি কিলার২’সহ অন্যান্য নাটকগুলো থেকেও প্রত্যাশিত রেসপন্স পাচ্ছি। মোট কথা হচ্ছে যে, ইয়ুথ নিয়ে যে কয়টা কাজ করেছি। যেমন থার্ড জেন্ডারটা নির্মাণ করলাম হিজরা শ্রেণীর মানুষদের নিয়ে। নাটকটি ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে ‘এক’ নাম্বারে চলে আসছিল। থার্ড জেন্ডারে শাওন আর ফারহানের মতো তরুনদের নিয়ে করা নাটকটি যে এত মানুষ দেখবে এটা আমি কল্পনাও করতে পারিনি। অন্যান্য কাজগুলোর মধ্যে তাহসান ভাই ও মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে যে কাজগুলো করেছি এবার আমি, সেগুলো স্পেসিফিকেলি প্রত্যেকটা কাজের রেসপন্সই খুব ভালো।
তারপরও ‘আশ্রয়’ নাটকটি থেকে তো একটু বেশি রেসপন্স পাওয়া হচ্ছে?
এই কাজটা হলো এবার ঈদে আমার সবচেয়ে ‘ম্যাচিউরড’ কাজ। ‘আশ্রয়’ যিনি দেখেছেন, সেই আমাকে কাজটি নিয়ে জানাচ্ছেন কোন না কোনভাবে। কাজটা মানুষ পছন্দ করছে ভালোবাসছে, প্রচুর টেক্সট পাচ্ছি। এমন এমন মানুষ রেসপন্স করছেন যাদের কাছ থেকে সাধারণত আমি নাটকের রেসপন্স পাইনা। সেটা আমার কাছে উল্লেখযোগ্য বিষয়। নাটকের এই দর্শক শ্রেনীটা হয়তো আমার মিসিং ছিলো, ওই দর্শকগুলোও আমার এই নাটক নিয়ে পজেটিভ রেসপন্স করছে।
‘আশ্রয়’- টেলিফিল্মের আইডিয়াটা মাথায় আসলো কেন?
আইডিয়াটা খুব সিম্পল, যদি সন্তান এডপ্ট করা যায় তাহলে মা বাবা এডপ্ট করা যাবে না কেন! এই সমাজে তো অনেকেই অন্যের সন্তানকে এডপ্ট করে। তাহলে যেই সন্তানের বাবা-মা নেই। তারা তো চাইলে বাবা-মাও এডপ্ট করতে পারে। এই গল্প ভাবনাটা দিয়েছেন নাটকটা প্রডিউসার আকবার হায়দার মুন্না ভাই। এই লাইনটাই উনি আমাকে বলছেন, কেন হয় না? আমি আর সেতু আরিফ মিলে বাকিটা ঠিক করেছি। স্পেশালি প্রথম দৃশ্যটার স্ক্রিনপ্লে আমি তৈরী করার পরে সেতু আরিফকে দিই, তারপর সে পান্ডুলিপি তৈরী করে। একটা টিমওয়ার্ক ছিলো কাজটার মধ্যে। আশ্রয় নাটকে আটিস্টরা আমাকে যে পরিমানে সাহায্যে করেছে সেটা অবিশ্বাসযোগ্য। চারজন নাটকের সুপারস্টার এখানে কাজ করেছেন। মোশাররফ ভাই এবং মম বৃদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করেছে। এটা খুব চ্যালেঞ্জিং ক্যারেকটার। আমার সব থেকে বড় অস্ত্রটা ছিলো এটার গল্পটা। সবচেয়ে বড় হাতিয়ার গল্পটা। এই অ্যাডভান্টেজ পয়েন্টা দিয়ে সবার কাছে বলতে সাহসটা পাই। গল্পটা প্রথমে শোনাই মোশাররফ ভাইকে, তারপর তাহসান ভাই, তারপর তিশা- মমকে। যাকে যখনি শুনিয়েছি, খুব পজেটিভ রেসপন্স দিয়ে সবাই রাজি হয়েছে। কেউ দুইবার চিন্তা করেনি কাজটি করার জন্য। মোশারফ ভাইকে বলেছি ৬০ বছরের বৃদ্ধের অভিনয় করতে হবে। সবাই আমার কথায় সাড়া দিয়েছে। অভিনেতা অভিনেত্রীরা কী পরিমান হেল্প করতে পারে তা আশ্রয় করার পরে বুঝতে পেড়েছি। আমি অনেক নাটক করেছি কিন্ত এতটা হেল্প কোন নাটকেই আর্টিস্টদের থেকে পাইনি।
এই ঈদের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নাটক বলেও শোনা যাচ্ছে…
এটার ক্রেডিট দিতে হয় আকবর হায়দার মুন্না ভাইকে। এই প্রোডাকশনটা অনেক ব্যয়বহুল। এটার বাজেট হাই ছিলো এটা সবাই বুঝেছে। এর চেয়ে বেশি বাজেটে এবার ঈদে কোন নাটক আছে কিনা জানি না। এখানে আর্টিস্টদের পারিশ্রমিকই একটা বড় অংক ছিল। মুন্না ভাইয়ের টার্গেট ছিলো একটা ভালো কাজ করতে চাই। টাকা কোন বিষয় না। এখানে যদি আমার ক্ষতি হয় তাতেও কোন সমস্যা নেই। এটা ছিলো মূললক্ষ্য। তিনি টাকা পয়সার দিকে তাঁকায়নি। তিনি তার দায়িত্ব পালন করেছে। কোথাও কোন কৃপণতা নেই, কোথাও কোন ছাড় নেই। যেখানে যেখানে টাকা দেওয়া প্রয়োজন মনে করেছে সেখানে সেখানে টাকা তিনি দিয়েছে। যে কারণে আমি অনেক ফ্লেক্সিবল ছিলাম। আমার বিষয়টি হয়েছে অন্যান্য নাটকে নানা দিক নিয়ে ভাবতে হয় এই নাটকে এতটা ভাবতে হয়নি। ডিরেকশন ছাড়া ভাবনার পুরো দায়িত্ব মুন্না ভাই নিয়ে নিয়েছেন। এটা আমার জন্য কাজের ক্ষেত্রে সহজ হয়ে গেছে। আমার শুধু ডিরেশনেই আমার কনস্রেনটেশন ছিল। অন্য কোন কাজে আমার কোন চিন্তা ছিলোনা। আমাদের দেশের ডিরেক্টটররা তো ম্যানেজারিও করে, খেয়েছে কিনা বসছে কিনা, আর্টিস্টকে চেয়ারটা দেওয়া হলো কিনা, টাকাটা দেওয়া হলো কিনা অনেক কিছু নিয়ে চিন্তা করে। সেই চিন্তাটা আমার এই প্রডাকশনে করতে হয়নি।
রোমান্টিক গল্পের নাটক থেকে কি দূরে সরে যাচ্ছেন?
রোমান্টিক কচলাইয়া, চিবাইয়া তিতা বানাইয়া ফেলছি সবাই। আমার কাছে মনে হয়েছে এই রোমান্টিক জনরা আমার জন্য স্টপ। আমি আপাতত এই রোমান্টিকে একদমই কমফোর্টেবল না। কারণ সবাই রোমান্টিক- কমেডি বানাচ্ছেন। সবার ইনটেনশন শুধু ভিউয়ের পেছনে ছোটা। আমরা যখন ‘আশ্রয়’ করি, আমাদের এতটুকু ইনটেনশন ছিল না যে এই নাটকটি অনেকবেশি ভিউ হবে। আমরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো একটা কাজ করতে চেয়েছি। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ভিউ পর্নের। তাই আমি ভিউয়ের পিছনে ছুটি না। রোমান্টিক নাটকে এখন একই আর্টিস্ট একই চরিত্রে দশজন পরিচালকের সঙ্গে করছেন। এখন রোমান্টিক নাটকের নামগুলো ফেলে দিলে আলাদা করা কষ্টকর হবে।
ঈদের পরের ব্যস্ততা কি?
এখন আমি ফুল বিশ্রামে। গত দুই ঈদে অনেক কাজ করেছি। এখন লম্বা ব্রেক নিতে চাই। এখন একটু ভাবতে চাই, পড়াশুনা করতে চাই, সিনেমা দেখতে চাই। অনেকগুলো বই, সিনেমা জমে গেছে। আমি এজন্য একটা লম্বা বিরতিতে যাবো। আমার ইনটেনশন ছিল দুটি ঈদে অনেক কাজ করবো। সবচেয়ে বড় কথা একটু ব্রেক নিয়ে আমি আবার নতুন করে শুরু করতে চাই। আমি নেক্সট ইয়ারে একই ধরনের কাজ আবার করতে চাই না। একদম নতুনভাবে আসতে চাই।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী গণভবন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ রেহানা
মন্তব্য করুন
মেট গালায় ২০২৪ এ ঝড় তুলেছে তারকাদের লুক। বলিউডের আলিয়া ভাট, ইশা আম্বানি থেকে শুরু করে হলিউডের মিন্ডি কালিং, জেনিফার লোপেজ...নজরকাড়া লুকে ঝলমল করছে 'মেট গালা'র রেড কার্পেট । তবে, তাদের মধ্যে সবথেকে বেশি ভাইরাল হয়েছে মিন্ডি কালিং-এর 'মেট গালা' ড্রেস । যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে হলিউড নায়িকাকে নিয়ে চলছে ট্রোলিং।
২০২২ সালে বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই 'কান' উৎসবে যে পোশাক পরে গিয়েছিলেন, তার সঙ্গে দারুণ মিল পাওয়া গেছে হলিউড নায়িকা মিন্ডি কালিংয়ের 'মেট গালা'য় পরা জামাটির।
এ ঘটনার পর অনেকে মিন্ডি-কে 'কপি ক্যাট' বলতেও শুরু করেছেন ।
গত ৬ মে মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্টের ভিতরে পা রাখেন কালিং। ফটোগ্রাফাররা তার লুকের প্রশংসা করলেও, সোশ্যাল মিডিয়া দেরি করেনি 'চুরি' ধরতে। ঠিকই তারা খুঁজে খুঁজে বের করেছেন, লুকিয়ে থাকা মিলগুলো।
মিন্ডি কালিং ভারতের গৌরব গুপ্তের ডিজাইন করা শ্যাম্পেন রঙের গাউনে মেট গালা ২০২৪-এ রেড কার্পেটে ঝড় তোলেন। 'গার্ডেন অব টাইম' থিম অনুসারে, গাউনটির পিছনে বানানো হয়েছিল ফুলের মতো কাঠামো। পোশাকের পিছনটা দেখলে কারও কারও মনে হবে, যেন কোনও ফুলের পাঁপড়ি। থরে থরে বিছিয়ে রাখা হয়েছে। মেট গালাতে সকলেই বাহবা জানান, কালিংয়ের ফ্যাশন স্টেটমেন্টকে।
কিছু ভারতীয় ফ্যাশন উৎসাহী ঐশ্বরিয়ার কান পোশাকের সঙ্গে এর অদ্ভুত মিল খুঁজে পান। আশ্চর্যজনকভাবে সে পোশাকটিও ডিজাইন করেছিলেন গৌরব গুপ্তই। গোলাপি এবং ব্লাশ রঙের আশ্চর্য মেলবন্ধন ছিল সেটি। যা তৈরি করতে সময় লেগেছিল ৩ হাজার ৫০০ ঘণ্টা। সে গাউনের কাট থেকে শুরু করে ভেইল, সবই যেন হুবহু এক।
এক নেটিজেন মিন্ডি কালিংয়ের পোশাক নিয়ে মন্তব্য করেন, 'আমি ভেবেই চলেছি কোথায় যেন দেখেছি… কোথায় যেন দেখেছি। এ যে কান থেকে আমাদের ঐশ্বরিয়া'। দ্বিতীয়জন লিখলেন, 'কালিংকে দেখতে সুন্দর লাগছে ঠিকই, তবে কানে ঐশ্বরিয়া যে পোশাক পরেছিলেন, তার থেকে লুকটা একটু অন্যরকম হতে পারত।'
মন্তব্য করুন
তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি নির্মিত
‘তুফান’ সিনামাটি মুক্তির আগেই কুড়ালো নকলের দুর্নাম। সিনেমাটির টিজার প্রকাশ্যে আসতেই
আরেক দফা হাসাহাসি রাফির নির্মাণ নিয়ে। অবশ্য এই পরিচালকের বিরুদ্ধে নকলের অভিযোগ নতুন
কিছু নয়। তার ওপর আসা নকলের অভিযোগের ফর্দ বেশ লম্বা। ‘কপিরাজ’ শব্দটি যেন রায়হান রাফির
পদবী হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার (৭ মে) ছবির অফিসিয়াল টিজার
ছবির নায়ক শাকিব খানের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়। এর মেকিংয়ে ভারতীয় সিনেমা কেজিএফ
ও অ্যানিমেলের মিশ্রণ খুঁজে পেয়েছেন নেটিজেনরা। এরপরই রাফিকে একহাত নিচ্ছেন সিনেমাপ্রেমীরা।
রাহাত নামে একজন তো তুফানকে সরাসরিই
কেজিএফ ও অ্যানিমেলের কপি বলে ফেলেছেন। রাশেদ নামে একজন টিজার দেখে বলেছেন, মনে হচ্ছে
সাউথ ইন্ডিয়ান মুভির টিজার দেখলাম। তুফানে নায়কের পোশাক ও অভিব্যক্তিকে কেজিএফ স্টার
যশ ও অ্যনিমেল স্টার রণবীরের লুকের খিচুড়ি পাকিয়েছেন নির্মাতা রাফি। লুক, গেটআপ, সেট
ও মেকআপ সব কিছুতেই কেজিএফ সিনেমার কপির আলামত রেখেছেন এই পরিচালক। যদিও রাফির দাবি,
এই ছবির লুক ও অ্যাকশন নাকি একদমই আলাদা। তবে কেজিএফ সিনেমার বাজেট নকল করতে পারেননি
নির্মাতা। বড় বাজেট না থাকায় ছোট ছোট অস্ত্র সস্ত্র দিয়েই কেজিএফফের স্বাদ তুফানে মেটাতে
চেয়েছেন নির্মাতা। কপির অপবাদে অবশ্য নির্মাতা রাফির কিছু যায় আসে না।
এর আগেও এসব অপবাদ টলাতে পারেনি এই
কপিরাজ পরিচালককে। টিজার মুক্তির পর রাফি জানান, তুফান তার লাইফের একটা ড্রিম প্রজেক্ট।
দেশের একজন নির্মাতার স্বপ্ন ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে আমদানি হতে দেখে হেসেছেন
নেটিজেনদের অনেকে।
এর আগে, ওয়েব ফিল্ম ‘নিঃশ্বাস’-এর টাইটেল
ট্রাকের মিউজিক চুরির অভিযোগ উঠেছিল রাফির বিরুদ্ধে। অবশ্য তিনি সেটিকে নকল বলতে নারাজ।
অভিযোগ সামাল দিতে অভিধান ঘেঁটে ‘অনুপ্রাণিত’ শব্দটি এনে সে যাত্রায় পিঠ বাঁচিয়েছিলেন
তিনি। এছাড়া আফরান নিশো অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘সুড়ঙ্গ’-র বিরুদ্ধেও ব্যাকগ্রাউন্ড
মিউজিক নকলের অভিযোগ উঠেছে। এটিও রাফির নির্মাণ। নেটিজেনরা নকলের তথ্য-উপাত্ত হাজির
করলেও রাফি মেরুদণ্ড টান রেখেই জানিয়েছিলেন, তিনি যা করেছেন, সহি পদ্ধতিতেই করেছেন।
রাফি যে মিউজিক থেকেই অনুপ্রাণিত হন,
তা কিন্তু নয়। অন্যের পোস্টারও তাকে অনুপ্রাণিত করে। এর আগে তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম
‘ফ্রাইডে’র পোস্টারটিও নকল বলে চিহ্নিত করেছিল নেট নাগরিকরা। সেটি নাকি ছিল সাউথ কোরিয়ান
সিনেমা ‘প্যারাসাইটের নকল!
এবার তুফান সিনেমার টিজার বেরোতেই উঠল নকলের অভিযোগ। তবে শাকিবিয়ানরা তাদের পছন্দের নায়ককে এমন লুকে দেখ বেজায় আনন্দিত। ফলে সোশ্যাল মাধ্যমে দুর্নামের ঝড়টা বয়ে যাচ্ছে কেবল রাফির ওপর দিয়েই। আসছে ঈদ-উল-আজহায় মুক্তি পাবে তুফান। এ সিনেমায় আরও থাকবেন চঞ্চল চৌধুরী, মিমি চক্রবর্তী, নাবিলা অনেকে।
মন্তব্য করুন
পদ্মশ্রী পুরস্কার রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
মন্তব্য করুন
ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন টালিউট অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। সোমবার (৬ মে) নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে এক প্রকার বিপদে পড়েন এই অভিনেত্রী। প্রচারণাকালীন সময়ে তার গাড়ির সামনে ভেঙ্গে পড়ে গাছের ডাল। এতে অল্পের জন্য বেঁচে যান এই অভিনেত্রী। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনে কঙ্গনার বিরুদ্ধে লড়তে চান রাখি সাওয়ান্ত
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, সোমবার ঝড়ের
মধ্যেই গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন সায়নী। এরপর তৃণমূলের র্যালির সামনেই
ভেঙ্গে পড়ে গাছের ডাল। এসময় নেতা-কর্মীরা সতর্কতার সাথে সরিয়ে নেন অভিনেত্রীকে এবং
গাছের ডাল সরিয়ে আবারও প্রচারণায় বের হতে দেখা যায় তাদের।
উল্লেখ্য, ভারতে এবার লোকসভা নির্বাচনে ৫৪৩টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে সাত দফায়। সে অনুযায়ী গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশটির ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ভোট শুরু হয় ২৬ এপ্রিল। ৭ মে মঙ্গলবার তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে। এ দফায় ভোট নেওয়া হচ্ছে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মোট ৯৩টি কেন্দ্রে।
লোকসভা নির্বাচন সায়নী ঘোষ তৃণমূল
মন্তব্য করুন
মেট গালায় ২০২৪ এ ঝড় তুলেছে তারকাদের লুক। বলিউডের আলিয়া ভাট, ইশা আম্বানি থেকে শুরু করে হলিউডের মিন্ডি কালিং, জেনিফার লোপেজ...নজরকাড়া লুকে ঝলমল করছে 'মেট গালা'র রেড কার্পেট । তবে, তাদের মধ্যে সবথেকে বেশি ভাইরাল হয়েছে মিন্ডি কালিং-এর 'মেট গালা' ড্রেস । যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে হলিউড নায়িকাকে নিয়ে চলছে ট্রোলিং।
তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি নির্মিত ‘তুফান’ সিনামাটি মুক্তির আগেই কুড়ালো নকলের দুর্নাম। সিনেমাটির টিজার প্রকাশ্যে আসতেই আরেক দফা হাসাহাসি রাফির নির্মাণ নিয়ে। অবশ্য এই পরিচালকের বিরুদ্ধে নকলের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তার ওপর আসা নকলের অভিযোগের ফর্দ বেশ লম্বা। ‘কপিরাজ’ শব্দটি যেন রায়হান রাফির পদবী হয়ে উঠেছে।