নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৪ পিএম, ২০ নভেম্বর, ২০১৯
তাহসান রহমান খান। ঠিক এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকির ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন। আগামী বছরের শুরুতেই শুটিং শুরু। সমসাময়িক আরো অনেক বিষয় নিয়ে তিনি মুখোমুখি হয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের।
বাংলা ইনসাইডার: কেমন চলছে জীবন?
তাহসান রহমান খান: জীবনটা আশেপাশের বন্ধুবান্ধবের সঙ্গেও উপভোগ করা যায়। আবার একাও উপভোগ করা যায়। আমি দ্বিতীয় পক্ষে। একা থাকতেই একটু বেশি পছন্দ করি। শিল্পীদের জীবন কিন্তু অনেকটা যাযাবরের মত। বিশেষ করে যারা কনসার্ট করে বেড়ায় শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে ঘরের বাইরে যায়। তারা ঘরে কতক্ষণই বা থাকেন। আমার জীবনটাও এর ব্যতিক্রম নয়। তার সঙ্গে আছে ঘুরে বেড়ানোর শখ। পৃথিবীর অনেক অনেক সুন্দর শহর ঘুড়েছি। তারপরও বাসায় আসি। সেখানে নিজের মত করে সময়টা কাটাই।
আপনার বাসায় অনেক সুন্দর সুন্দর পেইন্টিং। এটা কি শুধুই শখের বশে?
বাংলাদেশের অনেক বিখ্যাত ও পছন্দের শিল্পীদের আঁকা ছবি আছে আমার দেয়ালে। আমি বসে থাকলে সেগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকি। আমি সবসময়ই চাই আমার চোখের সামনে যেন শিল্পকর্ম থাকে। আমি নিজেকে শিল্পী ভাবি এবং আমার জীবনের উদ্দেশ্যই শিল্প চর্চা করে জীবনটা পাড় করে দেওয়া। আমার শিল্প যেন আমার মৃত্যুর পর বেঁচে থাকে। এ কারণে অন্যের শিল্পকে অসম্ভব শ্রদ্ধা করি। আর যে শিল্পটার প্রতি আমার কোন দখল নেই সেটার প্রতি আরো বেশি।’
চড়ুই পাখি নাকি আপনার ভীষণ প্রিয়?
চড়ুই পাখিকে ‘লাকি’ পাখি মনে করি। আমি মনে করি চড়ুই পাখি যেদিন দেখি সেদিনটা আমার ভালো যায়। এটা কুসংস্কার হতে পারে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি। আর অনেকগুলো পাখির কলতান দেখলেই আমি তৃপ্তি পাই।
একা থাকতে কেন ভালো লাগে?
পৃথিবীতে আমরা সবাই একা। আমি মনে করি কেউ একাকিত্বটাকে উপভোগ করতে পারছে। আমরা যারা লাকি তারা উপভোগ করতে পারছি। আবার অনেকে সেটা পারে না। তবে আমি লাকি যে আমি পারি।
বর্তমানে সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু কে?
সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু পিয়ানো। সবচেয়ে বেশি সময় কাটানো হয় তার সঙ্গে। অনেক বছর ধরে মানুষ কিছু না কিছু পাওয়ার স্বপ্ন দেখে। সেটা যখন পেয়ে যায়। তখন প্রশান্তিটা আসলেই অন্যরকম। এবি ব্রান্ড পিয়ানোটা কেনার জন্য আমার অনেকদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। একে তো বেশ ব্যায়বহুল আর দেশে বিক্রীও হয় না। অর্ডার করে আনাতে হয়। সময় লাগে অনেক। সব বাসায় রাখাও যায় না। ব্লাকের ফার্স্ট অ্যালবাম রিলিজের পরে একটা পিয়ানো কিনেছিলাম ইয়ামাহা। সে সময় থেকে একটা স্বপ্ন ছিল। এখন বাসায় ঢুকে যখন দেখি আমার এ পিয়ানো বেশ ভালোই লাগে।
শিক্ষকতা করার ইচ্ছে আবার?
সর্বশেষ দুই বছর শিক্ষকতা জগত থেকে বিরতীতে আছি। বিনোদন জগতেই এখন ফুলটাইম। তার মানে এই নয় যে পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছি। এখনো সময় পেলে বই পড়ি। একদম একােডেমিক বই কিন্তু। ইচ্ছে আছে আবারো শিক্ষকতা করার।
শততম কাজ করে ফেললেন…
আমি দেখতাম, ভক্তরা আমার কাছে গানের সংখ্যা হিসাব করে পাঠাত। কিছুদিন আগে এক ভক্ত নাটকের তালিকা করে পাঠায়। দেখলাম, ৯৭টি নাটকের তালিকা। এরপর বিষয়টি আমাকে ভাবায়। কাছের পরিচালক ও একজন প্রযোজক শততম নাটক নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করলেন। নানা ধাপ পেরিয়ে আমরা এই কাজ করি। তাই তো নাটকের শুটিং শুরুর আগে আমরা কেকও কাটি।
অভিনয়ের শুরুটা কীভাবে?
একটু পেছনে ফিরে তাকালে ২০০৪ সালে আফসানা মিমি অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। শুরুতে অনাগ্রহী হলেও গল্প পড়ার পর মনে হয়, নাটকটিতে অভিনয় করা যায়। ছোটবেলায় স্কুলে যখন পড়তাম, আজাদ আবুল কালাম ভাইয়ের কাছে অভিনয়ের কর্মশালা করেছিলাম। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে টুকটাক অভিনয় করেছি। জয়া আহসানের মতো অভিনয়শিল্পীর বিপরীতে অভিনয় করব, এটা অবশ্য তখনো ভাবিনি। আর এই নাটকে আমার একটি সংলাপ ছিল, “হ্যালো আমি তাহসান, এ পাড়াতে থাকি।” অফবিট নাটকটি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল, কয়েক বছর ধরে এই সংলাপ অনেকের মুখে মুখে শুনেছি।’
জীবনের ২৫তম নাটকের কোন স্মৃতিময় গল্প আছে?
২৫তম নাটকের নাম নীলপরী নীলাঞ্জনা, সহশিল্পী মম। শুটিংয়ের সময় একটি লাল শার্ট পরাকে কেন্দ্র করে পরিচালকের সঙ্গে দর-কষাকষি হয়। আমি কখনো লাল শার্ট পরি না। এ নিয়ে আমার একরকম অ্যালার্জি আছে। কিন্তু পরিচালকের ভাবনাকে সম্মান জানিয়ে লাল শার্ট পরেছি এবং প্রচারের পর টের পেয়েছি কেন লাল শার্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই নাটক প্রচারের পর তাঁর চরিত্রটি নিয়ে কয়েক হাজার ফেসবুক আইডি খোলেন ভক্তরা।
৫০ তম নাটক করার সময়কার কোন স্মৃতি আছে?
শাফায়েত মনসুর রানা পরিচালিত ‘হাতটা বাড়িয়ে দাও না’ আমার অভিনীত ৫০তম নাটক। এই নাটকে অভিনয়ের সময় জনকে অনেক পচাইছিলাম। কারণ, আমার ব্যান্ড ছাড়ার পেছনে অন্যতম একটা কারণ জন। সে আমাকে শর্ত দিয়েছিল, নাটক করতে পারবা না, মডেলিং করতে পারবা না। অথচ পরে সে নিজে নাটকে অভিনয় শুরু করে দিল, ব্যান্ডটাও ছেড়ে দিল।
‘বাড়ি ফেরা’ ৭৫তম নাটক। বিপরীতে অভিনয় করেন তানজিন তিশা…
রোমান্টিক নাটক। নাটকটিরে গল্পটা বেশ ইন্টেরেস্টিং। আর তানজিন তিশার সঙ্গে কয়েকটা কাজ হবে হবে বলেও হয়নি। অবশেষে তার সঙ্গে প্রথম কাজ।
সর্বশেষ কি নাটকে অভিনয় করলেন?
শততম নাটকটি ছাড়াও সাগর জাহানের ‘মেঘ মিলন’, তপু খানের ‘শেষ ভালোবাসা’ প্রচার হয়েছে।
গানের খবর কী?
শততম নাটকে একটি গান পাওয়া যাবে। মালার সঙ্গে ‘আনমনে’ নামে একটি গানের ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। এটা নিয়ে একটু বলতে হবে, আপনারা যদি একটু পাশ্চাত্যের মিউজিক ভিডিও দেখেন, দেখতে পাবেন কোনও স্টোরি থাকে না। শুধু ফিল থাকে, কালারস থাকে, ইমোশন থাকে। আমার মনে হয় আমাদের এই গানটি ঠিক সেরকম কিছুই হয়েছে।
আপনার মিউজিক ভিডিও রিলিজ পেয়েছে সম্প্রতি সেটা নিয়ে বেশ আগ্রহী মনে হচ্ছে আপনাকে?
মিউজিক ভিডিও রিলিজ পেয়েছে বলবো না, আমি বলবো গান রিলিজ পেয়েছে। এখন গান মুক্তি পেলেও তার সঙ্গে ভিডিও থাকলে আর গানের প্রসঙ্গ আসেই না। সংবাদ হয় মিউজিক ভিডিও নিয়ে। বেসিক্যালি প্রকাশ পায় গান, আর সে গানেরই ভিডিও হয়। এটা আমার সে গানেরই ভিডিও। প্রতি বছরই আমার গান বের হয়। এ বছর আরো একটা গান প্রকাশ করবো। ‘আনমনে’ নিয়ে ভীষণ আশাবাদী কারণ নেই গান দিয়ে অসংখ্য দিন পরিশ্রম করেছি। গানটা লিখেছে মালা। শাকের রাজা আমার প্রিয় কম্পোজার তার সঙ্গে কাজ করেছি এটা ভালো লেগেছে। তানিম রহমান অংশু বানিয়েছেন। সবমিলিয়ে অনেকগুলো প্রিয় মুখ এই গানের সাথে যুক্ত।
আপনার কাছ থেকে একটা ভালো খবর শুনতে চাই...
বছরের শেষটা আমার জন্য স্পেশাল হবে। এটা ভালো খবর। কারণ ওই সময় আমার ১০০ তম নাটক রিলিজ পাবে। আরেকটা খবর তো মানুষ ইতিমধ্যেই জেনে গেছে, আমি মোস্তফা সরয়ার ফারুকি ভাইয়ের সিনেমা করছি। এটা নানা দিক থেকে আমার কাছে স্পেশাল। শেষদিকে আরেকটা গান বেরোচ্ছে সেটা রিলিজ পাবে। গানটা হলো ‘কী হতো ভুলে গেলে।’ এই গানটার মজার একটা গল্প আছে। যেদিন আমি গানটা রেকর্ডিং করি সেদিন আমার ড্রাইভার ছিলেন। উনি পরে বললেন, ভাই এই গানটা আমাকে দেন। এটা আমি শুনি, গাড়িতে রাখি। কিছু গান এমনভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে যায় আমি ঠিক এক্সপেক্ট করি না। এই গানটা মনে হয় সেরকম একটা গান হতে পারে, যেসব গান অনেকদিন বেঁচে থাকতে পারে।
এ বছরটা চলে যাচ্ছে, প্রাপ্তি অপ্রাপ্তিকে গুলোকে কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?
প্রতিটা বছর আমি শুরু করি সেই চিন্তা করে যে আমি আসলে কোন কাজটা করবো। আমি গান করবো, নাকি অভিনয় করবো নাকি লিখবো। কিন্তু ২০১৯ সালটা শুরু হয়েছিল অন্যরকম চিন্তা দিয়ে। আমি ভেবেছিলাম এ বছর আমি বড় পর্দায় ভালো একটা কাজ উপহার দেবো। গত ৭-৮ বছর অনেক ফিল্মের প্রস্তাব পেয়েছি। করার যে আগ্রহ ছিল না তা নয়। কিন্তু আমি যে চরিত্রতে নিজেকে প্রবেশ করতে পারবো, যেটা হৃদয়স্পর্শী গল্প হবে, পরিবার নিয়ে দেখার মতো হবে, তেমন ছবি করবো। আমি খুবই খুশি, যদি একদিনের মতো সিনেমায় আমি কাজ করেছি। স্টার সিনেপ্লেক্সে তিন মাসের মতো সিনেমাটি চলেছে। সারাদেশে অসংখ্য মানুষ ছবিটি দেখে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এই বছরের আর দুটো গল রয়েছে সেটা এখন পূরণের অপেক্ষায় রয়েছি।
‘বেইলি রোড` সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ে এই শব্দযুগল, এই সড়কের নাম, আপনার একটি ভিডিও; এ প্রসঙ্গে কিছু শোনার আগ্রহ আমাদের কিংবা পাঠকদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে, যদি বলতেন...
পৃথিবীটা এমনভাবে বদলে গেছে কখন কোন কথাটা বলি, আর কোন কথাটা কোথায় আকস্মিকভাবে টেনে আনা হচ্ছে তা বলা মুশকিল। সাম্প্রতিক সময়ে আমার পুরাতন ইন্টারভিউগুলো ভাইরাল হচ্ছে। ট্যাগলাইনগুলো এমনভাবে দেওয়া হচ্ছে মানুষ ভাবছে এটা বুঝি এখনই দেওয়া হচ্ছে। আমি আসলে এমন কিছুই বলতে চাই না যাতে মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয় বা মিস কমিউনিকেশন তৈরি হয়। এটা ভাইরালের যুগ। অনেকে চেষ্টা করে ভাইরাল হতে, আমি চেষ্টা করি না। যদি ভাইরাল হয় তাহলে হলো, সেটা আমার চিন্তা করার বিষয় নয়। তেমনই সেটাও পুরাতন একটি ভিডিও।
ভাইরাল নিয়ে আপনার কোনো অনুযোগ?
আমি গান লিখি, কবিতা লিখি। আমি একটা কবিতা লেখার চেষ্টা করেছিলাম। আসলে এই কবিটা মানুষকে শোনানো বা বলার ইচ্ছে ছিল। আমি গত বছরের ১৭ অক্টোবর আমার বার্থডের আগের দিন লিখেছিলাম, ভেবেছি পরেরদিন পোস্ট করবো। কিন্তু বাচ্চু ভাই মারা যাওয়ার পর সেটা প্রকাশ করা হয়নি। এই বছর ১৭ অক্টোবর সেটা যখন টাইমলাইনে আসলো, তখন আমি আবার পোস্ট করলাম। আমার ভালো লেগেছে যে মানুষ ভালো কথাও শোনে। আমরা বলি, নেগেটিভ হলেই ভাইরাল হয়। নেগেটিভ না করলে কাটতি আসে না। নেগেটিভ পাবলিসিটি অলরেডি স্ট্যাব্লিশড। আমার ভালো কথাগুলো তো মানুষ শুনেছে। জোর করে তো শোনাতে হয়নি। ভালো কথা যখন মানুষ শিখতে চায় তখন ভালো লাগে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন।
এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।
শুধু কপিলই নয়, সামনে এসেছে তার সহকর্মী অর্চনা পূরণ সিং এবং সুনীল গ্রোভারের পারিশ্রমিকের কথাও।
ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গ্রোভার প্রতি পর্বের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ও অর্চনা পূরণ সিং নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্রুষ্ণা অভিষেক, কিকু শারদা ও রাজীব ঠাকুর পর্ব প্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ, ৭ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা করে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গত ৩০ মার্চ থেকে নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে এই শোয়ের প্রচার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে মোট পাঁচটি পর্ব।
মন্তব্য করুন
চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে
সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন
ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি
(বাচসাস)।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার
কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি
ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল
মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক
রিমন মাহফুজ।
গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ
উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।
এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন,
‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা
ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি।
বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে
খুবই সামান্য টাকা পায়।
এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে
জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের
এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে
আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর
অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয়
নিয়ে কথা বলব’।
ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে
আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি
নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন
ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব।
প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।
চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ
খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক
করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব
দিতে হবে’।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন
উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের
সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে
আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প
ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’
এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি
অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র
আরও এগিয়ে যাবে’।
বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান
চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায়
না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে
বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান
বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।
শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র
শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের
চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু
সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ
করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে
গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।
এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর
রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক
জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক
সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ
সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক
এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড,
গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক
সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন,
অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ
ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস,
দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া,
আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।
উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়।
তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও
নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।
‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ গোলটেবিল বৈঠক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।