নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪০ এএম, ০৩ জুলাই, ২০১৭
পড়াশুনায় ভালো, নাচ গানে তার চেয়েও ভালো। চেহারা সুরতও তাক লাগানো। নাম খ্যাতি রয়েছে স্কুল কলেজ জুড়ে। সবার উৎসাহ তুমি মিডিয়ায় ভালো করবে। মেয়েও স্বপ্ন দেখতে শুরু করে নায়িকা হওয়ার। একদিন তাঁর খ্যাতি হবে দেশ জুড়ে। সারা দেশের মানুষ তাকে চিনবে। মেয়ের স্বপ্নের সাথে মায়েরও একাত্নতা রয়েছে। বাবা বাধ সাধলেন। না , ও মাধ্যম নানা কারনে কলুষিত। ভদ্র সমাজের হয়ে ওখানে যেতে পারবে না। নানা যুক্তি দেখালেন। সেই যুক্তির তোয়াক্কা কে করে। মেয়ের মনে সুপ্ত বাসনা লুকিয়ে আছে। তা তো হারিয়ে যাবার নয়। মাকে নিয়েই যাত্রা শুরু করলেন। মরিচিকার খোঁজে। এই যাত্রার শুরুটা কীভাবে হতে পারে? যোগাযোগ হলো একজন ফটোগ্রাফারের সঙ্গে। প্রথমেই ধাক্কা। এমন পোষাকে তো মিডিয়ায় থাকা যাবে না! কেমন হবে পোষাক ? একটু খোলামেলা তাক লাগানো। প্রথমে রাজি না হলেও স্বপ্ন তো বিসর্জন দেওয়া যাবে না। কিছুটা ছাড় দিতেই হলো। ছবি হলো নানা ঢংয়ে। এরপর সেই ছবি দিয়ে কি করতে হবে? চলতে চলতে মিডিয়ায় কিছু বন্ধু জুটে গেল। তাদের কাছ থেকে কয়েক জায়গার সন্ধান মিললো। ছবি দেওয়া হলো সব হাউসে। পেয়েও গেলেন কোনো হাউজ থেকে ডাক। ভাল মন্দ বিচারের আগে কাজটা শুরু করতে হবে। সেই শুরু আর শুরু হয় না। মাঝে চলে ঘোরাঘোরি। ক্লাইন্ট এর সঙ্গে এই রেস্টুরেন্ট খাও, ওখানে যাও। এটা বলো, ওটা করো। ফটোগ্রাফারের ইচ্ছেমতো ছবি তোলো। হরদম চলছে স্বপ্ন পূরণ। ব্যর্থতা ক্রমশই ঢেকে ফেলছে। ফেরার কোনো পথ নেই। আশ-পাশ মানুষ জেনে ফেলছে মেয়ে মিডিয়ায় কাজ করার জন্য ছুটছে। ব্যর্থ হয়ে তো ঘরে ফেরা যায় না। টানা পোড়ানোর মাঝেই ডাক আসলো অন্য আর একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার কাছ থেকে। এ যাত্রায় তার কপাল সুপ্রসন্ন। কাজটি তাড়াতাড়ি হয়ে গেল। প্রচারের পর নাম-ডাক হলো। কিন্তু বিপত্তী হলো অন্য জায়গায়। শুরুর সেই অধ্যায় ছিড়ে ফেলা গেল না। তাদের কাছে রয়ে গেছে আপত্তিকর কিছু ডকুমেন্ট। তারপর শুরু ব্ল্যাকমেইল। সে থেকে পরিত্রান পেতে তার ভোগান্তির শেষ নেই। এই গল্প কাল্পনিক নয়। বাংলাদেশের মিডিয়ার একজন স্বনামধন্য অভিনেত্রীর।
তাঁর সঙ্গে পরিপূরক গল্প অনেকেরই রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁরা। স্ট্রাগল পিরিয়ডে যা হবার হয়েছে। এই ভোগান্তি সবার কপালে না আসুক। সেটাই প্রত্যাশা । কিন্তু এসে যায়। না চাইলেও সহজ কথা ‘গিভ অ্যান্ড টেক’। কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হবে। স্বপ্ন বিসর্জন নয়। স্বপ্ন পূরনের জন্য যেথায় যেতে হয় যাবো। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারও মেনে নেয় এই বিসর্জন। ভাবে এটাই তো নিয়ম হয়ে আছে। ভুরি ভুরি উদাহরন আছে। মেয়েকে মডেল বানানোর জন্য মা এই হাউজ ওই হাউজ ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার কাছে প্রস্তাব আসছে। সেও এই ছাড় দিতে রাজি।
ওই গল্পের সঙ্গে না মিললেও নায়িকা হওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন ঢাকার মেয়ে পূর্ণিমা (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, মূলত একটি নাচের স্কুলে নাচ শেখার জন্য যেতাম। জামিল নামে একজন কোরিওগ্রাফার আমাকে মডেল বানানোর প্রস্তাব দেন। এরপর আমি টাকা জমিয়ে এক মডেল ফটোগ্রাফারের কাছে ১২ হাজার টাকা দিয়ে ফটোসেশন করি। তারপরও সেই ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার আমাকে ভালো কোনো কাজে ডাকতেন না। ডিজে পার্টি, মহানগর নাট্যমঞ্চের শোতে ডাক দিতেন। সেখানে নাচের পাশাপাশি বিভিন্ন র্যাম্প শোতে কাজ করে ১২০০-১৫০০ টাকা পেতাম। একটা সময় নায়িকা হওয়ার জন্য মন টানতো। কারণ আমাদের সঙ্গে অনেক নামিদামি মডেলরাও নাচ শিখতেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে কাজও করেছেন। পূর্ণিমার নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন। পরিবারে মাও চাইতেন মেয়ে নায়িকা হোক। অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ার সময়ে পূর্ণিমা একদিন বনানীর এক ডিজে পার্টিতে যান। পূর্ণিমা বলেন, ২০০৭ সালের কথা। তখন ফ্যাশন শো’র পাশাপাশি ডিজে শো প্রচুর ছিল। আর এসব পার্টিতে যাবার জন্য বাসায় মিথ্যা কথা বলে বের হতাম। সমাজের উচ্চশ্রেণির মানুষরাও ডিজে অনুষ্ঠানগুলোতে আসতেন। বনানীতে সেরকম একটি অনুষ্ঠানে দেখা হলো একজন চলচ্চিত্র পরিচালকের সঙ্গে। তিনি আমাকে নায়িকা বানাবেন বলে ওয়াদা দিলেন। বাসায় যাবার জন্য বার বার অনুরোধ করলেন। এক পর্যায়ে আমি রাজি হয়ে গেলাম। কিন্তু ওনার বাসায় গিয়ে দেখি বাসায় কেউ নেই। তিনি একা থাকেন। তিনি বললেন, আজ এখানে থাকো। আগামীকাল ছবির প্রযোজক তোমার সঙ্গে এসে কথা বলবেন। কিন্তু আমি ভয়ে পালিয়ে এসেছি। কারণ বাসার মধ্যে মাদকদ্রব্যসহ অবৈধ অস্ত্রও আমি দেখেছি। অবশ্য চলচ্চিত্রে কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে। ১০টির মতো ছবিতে কাজও করেছি। নাটকেও অভিনয় করেছি। তবে প্রধান চরিত্রে আমাকে কেউই নেয়নি। বারবার পরিচালক-প্রযোজকরা প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথার বরখেলাপ করেছেন। এরমাঝে আমার চোখের সামনে অনেকে নায়িকা হয়েছেন। আমাকেও অনেক নায়ক ভালোবাসার প্রস্তাব দিয়েছেন। আমিও নিজের অজান্তে তাদের মিষ্টি কথায় গলে গেছি। কিন্তু আমি আজও চলচ্চিত্রের এক্সট্রা শিল্পী হিসেবেই পরিচিত। চলচ্চিত্রে থেকে অনেক কিছু হারিয়েছি। যেটুকু পেয়েছি সেটা আর বলার মতো না। তবে দোষটা আমারই। পরিবারের কথা না শুনে এফডিসিতে সারাদিন পড়ে থাকতাম। শোবিজে মেয়েরা কাজ করা মানে তাদের সমাজে ভিন্ন চোখে দেখা হয়। তাও আবার চলচ্চিত্রের নায়িকা। টিভি বা বড়পর্দায় তারকাদের দেখতে দেখতে নিজের অজান্তেই নায়িকা হওয়ার বাসনা মনে জন্ম নিতে থাকে অনেকের। অনেক বন্ধু, বান্ধবীরাও বলতে শুরু করে তোর চেহারা বলিউডের অমুক নায়িকার মতো। আত্মীয়স্বজনরাও বলা শুরু করে শোবিজে বুঝে না বুঝে অনেকে পা দেন। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে কাজ করে কেউ নাম কামান আর কেউ ভবিষ্যৎ জীবনটা অন্ধকারে ঠেলে দেন।
এমনটা কি সবক্ষেত্রে হচ্ছে? মোটেও না। কিছু নামহীন পরিচালক আর প্রযোজক সংস্কৃতিকে কলুষিত করছে। আর নায়িকা হওয়ার দৌড়ে ছুটছে স্বপ্নাকাঙ্খী কিছু তরুণী। আর এমনই নিয়ম হয়ে গেছে। কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হবে। কেন কিছু দিতে হবে ? মিডিয়ায় কাজ করার জন্য চাই দক্ষতা। কিছু অসাধু, যারা ব্যাক্তিস্বার্থে মিডিয়াকে অাজ দূষিত করছে। তাদের প্রত্যাখ্যান করুন।
বাংলা ইনসাইডার/ এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান এক বছরেই জাওয়ান, পাঠান এবং ডাঙ্কির মতো
হিট ছবি উপহার দিয়েছেন সিনেমা প্রেমিদের। বর্তমানে নতুন ছবির কাজ শুরুর আগে বিশ্রাম
নিতে পারেন বলিউডের এই কিং খান। বিশ্রাম সেরে এ বছরের জুনে তিনি তার পরবর্তী ছবির শ্যুটিং
শুরু করতে চান।
শুক্রবার (৩ মে) ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা
জানিয়েছেন শাহরুখ খান।
অভিনেতা বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমার একটু বিশ্রাম নেওয়া উচিত। তিনটি
সিনেমা পরপর করে ফেলেছি। যার জন্য আমার শরীরে অনেক ধকল গেছে। আমি কলকাতা নাইট রাইডার্স
দলকে বলেছিলাম যে এইবার শুধু মূল ম্যাচে আসব।
সৌভাগ্যবশত, আমার পরবর্তী ছবির শ্যুটিং আগস্ট থেকে শুরু হবে বা
হয়তো জুলাই। যদিও আমরা জুনে শুরু করার প্ল্যান করছি। আমি সব হোম ম্যাচে আসতে চাই কারণ
কলকাতা আমার বাড়ির মতো। তবে শাহরুখ ছবির নাম বা অন্যান্য বিবরণ প্রকাশ করেননি।
এদিকে, শাহরুখকে স্টেডিয়ামে প্রায়ই তার ছোট ছেলে আব্রাম নিয়ে আসতে
দেখা গেছে।
মন্তব্য করুন
বলিউডে জনপ্রিয় অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। প্রায় দু'দশক ধরে জনপ্রিয়তার
শীর্ষে থেকে বলিউড ইন্ড্রাষ্ট্রিতে রাজত্ব করে যাচ্ছেন তিনি। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন
একের পর এক হিট সিনেমা। অবিনেত্রী নিজের মত করেই দায়িত্ব পালন করেন, হোক সেটা বলিউড
কিংবা নিজের পারিবারিক স্থান থেকে। কারিনা দুই সন্তানের মা, ঘর-সংসার এবং কাজ সবই সমান
তালে চালাচ্ছেন। এবার আরও বড় এক দায়িত্ব পেলেন তিনি। ইউনিসেফের রাষ্ট্রদূত হিসেবে
মনোনীত হয়েছেন বলিউডের সুপারস্টার কাপুরকন্যা।
শনিবার (৪ মে) নিজেই ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে এ খবর জানান কাপুরকন্যা। তিনি
লেখেন, আমার জন্য খুব আবেগের একটা দিন। UNICEF-এর রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পেয়ে আমি ধন্য়।
ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত দশ বছর ধরে
ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছেন কারিনা কাপুর। শুরুটা হয়েছিল সেই ২০১৪ সালে সেলেব্রিটি অ্যাডভোকেট
হিসেবে। এবার সেই পদ থেকেই উত্তরণ হয়ে সরাসরি ইউনিসেফ-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের
দায়িত্ব পেলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে কারিনা বলেন, গত দশ বছর ধরে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছি। গত বছরগুলোতে দেশের শিশু এবং নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য আমাদের টিম যে কাজগুলো করেছে, তাতে আমি সত্যিই গর্বিত। আমি প্রতিদিন অনুপ্রেরণা পাই সেগুলো থেকে। আশা রাখি ভবিষ্যতেও এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করে যাব।
ইউনিসেফ রাষ্ট্রদূত কারিনা কাপুর বলিউড
মন্তব্য করুন
দক্ষিণী সিনেমার রকিং স্টার যশের সিনেমা পুরো বিশ্বে ব্যাবসায় রেকর্ড
গড়েছে। ‘কেজিএফ’ ও ‘কেজিএফ ২’ এর পর গীতু মোহনদাসের ‘টক্সিক’ ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ
হয়েছেন যশ।
জানা যায়, ‘টক্সিক’ এই সিনেমায় যশের বোনের চরিত্রে দেখা যাবে কারিনা
কাপুরকে। এমনকী, ‘ক্রু’ ছবির প্রচার চলাকালীন পরোক্ষভাবে সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বলিউড
বেবো নিজেই। কিন্তু সে আশা যেন উড়ে গেল কাপুরের মতো। সম্ভাবনার বাস্তব রূপ আর দেখতে
পাবেন না দর্শক।
ড্রাগ মাফিয়াদের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হবে এই সিনেমাটি। স্বাভাবিকভাবেই
‘কেজিএফ’ খ্যাত যশকে নিয়ে উন্মাদনা দর্শকমহলে। সম্প্রতি একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে এই
সিনেমার নির্মাতার তরফ থেকে। দর্শকের মধ্যে উত্তেজনা দেখে টিম টক্সিক খুবই আনন্দিত।
তবে সিনেমাটি নিয়ে কোনো মিথ্যে তথ্য ছড়াতে বারণ করেছেন নির্মাতা।
এদিকে সিনেমার জন্য চলছে জোরদার প্রস্তুতি। ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিনেতাদের বাছাই করা হয়েছে। কিন্তু যশের বিপরীতে কে অভিনয় করবেন
তা নিয়ে শুধু নির্মাতা নয়, যশ-প্রেমীরাও ছিলেন বেশ চিন্তিত। অবশেষে যশের নায়িকা হিসাবে
কিয়ারা আদভানি চূড়ান্ত করা হয়েছে। নির্মাতা মনে করছেন, যাদের কাস্ট করা হয়েছে তারা
শতভাগ উপযুক্ত।
অন্যদিকে ধোঁয়াশা রেখেই সিনেমাটি থেকে সরে গেলেন কারিনা। জানা যায়,
তারিখ নিয়ে সমস্যার কারণেই অভিনেত্রীর এমন সিদ্ধান্ত। নির্মাতার তরফেও তারিখ বদল করার
কোনও সম্ভাবনা নেই। স্বভাবতই ঘটনাটি নিয়ে কিছুটা হতাশ বেবোর অনুরাগীরা। তার পরিবর্তে
কাকে কাস্ট করা হবে সে অপেক্ষায় সিনেপ্রেমীরা।
যশ কারিনা কাপুর বলিউড দক্ষিণী সিনেমা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় মার্কিন অভিনেতা
ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ব্র্যাড পিটকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান।
নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও জনপ্রিয়তার শিখরে তিনি।
বলিউড বাদশাহ তখন বার্লিনে, সিনেমার শুটিং চলছে পুরোদমে। সেই সময়
শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ইউরোপ থেকে কাতারে কাতারে মানুষ এসেছেন, প্রিয় নায়ককে এক
পলক দেখার আশায়। শুটিংয়ের জন্য ১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ব্যারিকেডের
বাইরে পোস্টার হাতে অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানান অনুরাগীরা। অভিনেতাও প্রায় এক ঘণ্টা সময়
দিয়েছিলেন তাদের। শাহরুখের নজিরবিহীন স্টারডম!
সহ-অভিনেতা আলি খান ছিলেন শুটিং ফ্লোরে। তার কথায়, ‘আমরা বার্লিনে
যে হোটেলে ছিলাম, কিছু দিন আগে ব্র্যাড পিট এবং কুয়েন্টিন ট্যারেন্টিনো সেই হোটেলেই
ছিলেন। বার্লিনে তাদেরও একটি সিনেমার শুটিং চলছিল সেই সময়। তাদের ইউনিটের সদস্যরাই
আমাদের সিনেমাতে ছিলেন। তাদের মুখে শুনলাম, শাহরুখের জন্মদিনে এত মানুষ ঢল, এর আগে
কোনও শুটিংয়ে এত ভিড় দেখা যায়নি। এমনকি ব্র্যাড পিট যখন ছিলেন তখনও এত মানুষের দেখা
মেলেনি।
‘অ্যা মাইটি হার্ট’ সিনেমাতে অ্যাঞ্জেলিনার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন
আলি খান। প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানও ছিলেন সেই সিনেমায়। সেই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন
ব্র্যাড পিট। মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে আলি বলেন, ‘সিনেমার সেটের বাইরে অ্যাঞ্জেলিনা একেবারেই সাধারণ মানুষের মতো। আমি, আমার স্ত্রী আর অ্যাঞ্জেলিনা অনেক গল্প করলাম পার্টিতে। বিশেষত আমার স্ত্রীর সঙ্গে সন্তানের পরিচর্যা, তাদের খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় কথা বলেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা।’
ব্র্যাড পিট জনপ্রিয়তা শাহরুখ খান বলিউড
মন্তব্য করুন
বলিউডে জনপ্রিয় অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। প্রায় দু'দশক ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকে বলিউড ইন্ড্রাষ্ট্রিতে রাজত্ব করে যাচ্ছেন তিনি। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। অবিনেত্রী নিজের মত করেই দায়িত্ব পালন করেন, হোক সেটা বলিউড কিংবা নিজের পারিবারিক স্থান থেকে। কারিনা দুই সন্তানের মা, ঘর-সংসার এবং কাজ সবই সমান তালে চালাচ্ছেন। এবার আরও বড় এক দায়িত্ব পেলেন তিনি। ইউনিসেফের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বলিউডের সুপারস্টার কাপুরকন্যা।