কালার ইনসাইড

সময়ের আলোচিত ৫ হিন্দী ওয়েব সিরিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০২ পিএম, ২৭ জুন, ২০২০


Thumbnail

এই ওয়েবসিরিজগুলো থেকে অন্যতম প্রাপ্তি হল বহু অখ্যাত অসামান্য অভিনেতাদের কাজ দেখতে পাওয়া। ওয়েবসিরিজ না হলে এরা হয়তো আড়াইঘন্টার বিগস্ক্রিনে কখনও সুযোগই পেতেন না। ওই খান-কাপুরদের ভিড়ের অনেক অনেক পিছনেই দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে একদিন নিঃশব্দে সরে আসতেন।

পাতাললোক

পাতাললোক ওয়ান অব দ্যা বেস্ট ইন্ডিয়ান সিরিজ। একটা সিরিজে কি নেই? সমাজের উচু-নিচু বর্ণ, দলিত, মুসলমান, বাস্তুহারা মিডিয়ার কারচুপি সব, সবার গল্প উঠে এসেছে এখানে।

পৃথিবীতেও মানুষ তিন ধাপে থাকে; স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল। স্বর্গের মানুষেরা পাতালের মানুষদের ব্যবহার করে, মর্ত্যের মানুষের কাঁধে চেপে বসে থাকে। নিচু শ্রেনীর মানুষের কাঁদে বন্ধুক রেখে শিকার করে।

দেশের সিস্টেম কে বাহির থেকে দেখলে করাপ্টেড আর নোংরা মনে হবে কিন্তু বাস্তবে সিস্টেম হচ্ছে well-oiled machinery প্রত্যেক পার্ট জানে কার কি কাজ। যে কাজ ভুলে যায় তাকে মেশিনের মতো সেই পার্টকে খুলে বদলে ফেলা হয়। কিন্তু সিস্টেম কখনো পাল্টায় না।

সিস্টেমের মাধ্যমে একজন মুসলমানকে যখন টেরোরিস্ট বানায় দেয় তখন তার পিতা বলে, `কেয়া সাব, যিসকো ম্যায়নে মুসলমান বাননে না দিয়ে, আপ নে উসকো জ্বিহাদী বানা দিয়া?`

অসুর

হিন্দু পুরাণ মতে সাত ঋষির সেরা কাশ্যপের ১৩ স্ত্রীদের মধ্যে দিতি এবং অদিতি সবচেয়ে প্রভাবশালী। উত্তর নক্ষত্রের প্রভাবে অদিতির গর্ভে জন্ম নেয় গুণবান পুত্র যাদের দেবতা বলা হয়। অন্যদিকে গ্রহের দোষে দিতির গর্ভে জন্ম নেয়া সন্তানতা হিংসা, ক্রোধ আক্রান্ত হয়ে জন্ম নেয় যাদেরকে অসুর বলা হয়। অসুর বনাম দেবতার লড়াইয়ে বিজয়ী হয় দেবতারা এবং অসুরদের ছুঁড়ে ফেলা হয় অন্ধকারে।

অনেকটা এই মূলধারাকে কেন্দ্র করেই নির্মিত হয়েছে ওয়েব সিরিজ `অসুর` যেটি মুক্তি পেয়েছে ভিডিও ষ্ট্রিমিং সাইট Voot-এ। নেটফিক্স কিংবা অ্যামাজনের মতো জনপ্রিয় প্লাটফর্মের সিরিজ না হয়েও গল্প আর নির্মানের জোড়ে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে ক্রাইম থ্রিলার জনরার এই ওয়েব সিরিজটি। হলিউডে মিথলজি নির্ভর অনেক ক্রাইম থ্রিলার মুক্তি পেলেও এই প্রথম ভারতে এমন ধারার কাজ বেশ মুগ্ধ করলো। অসুর ছদ্মনামের এক সিরিয়াল কিলারের নিখুত কিলিং মিশন আটকে রেখেছে দর্শককে সেই টানা ৮ পর্ব ধরে। কিলারের বৈশিষ্ট্য হিসেবে পাওয়া যায় লাশের কাটা আঙ্গুল ও অসুরের মুখোশ। কমেডিতে থিতু হওয়া আরশাদ ওয়ার্সিকে সিবিআই সিরিয়র অফিসার ধনঞ্জয় রাজপুতের মতো সিরিয়াস চরিত্রে পাওয়া দর্শকদের জন্য আলাদা প্রাপ্তি। সিরিজটির অন্যতম প্রধান চরিত্র ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ নিখিল নায়ার (বরুন সবতি) যাকে খুনী তার টোপের বশে বিদেশ থেকে ভারত নিয়ে আসে। অসুর দেখে এটাও মনে হয়েছে, এমন সিরিজ নির্মানে আরো বাজেট দাবি রাখে।

পঞ্চায়েত

টিভিএফ মানেই ভিন্ন কিছু। টিভিএফের অনন্যতার অন্যতম প্রধান দিক হচ্ছে খুব সহজ, সাধারণ আর শিক্ষণীয় ব্যাপারটাকেই তারা খুব মজায় মজায় তুলে ধরে।টিভিএফের গল্প, চিত্রনাট্য এবং নির্মাণ নিয়ে তাই কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। একদমই সিম্পল একটা গল্পকে কি করে দারুণ আকর্ষণীয় আর বিনোদনময় করে তুলতে হয় তার প্রমাণ যেন টিভিএফ। গল্প একদমই সাদামাটা তবে হ্যাঁ চিত্রনাট্য ছিল দুর্দান্ত। বিশেষ করে সংলাপ। কেননা, সাদামাটা গল্প হলেও সংলাপ এবং চরিত্রায়নগুলো এমন মোক্ষমভাবে তৈরি করা হয়েছে যে হাস্যরসাত্মকের কারণে গল্পটার মধ্যে অনায়াসেই ডুবে যাওয়া যায়।

একদম শুরুটাই আপনাকে এত মজা দিবে যে, মজার তালে কোন ফাঁকে যে সিজন শেষ হবে তা টেরই পাবেন না। কমেডি ড্রামা হলেও সিরিজে সুখ, দুঃখ, প্রেম, একাকীত্ব, বন্ধুত্ব, সঙ্গীহীনতা এমনকি ডেয়ারিং সিন আর একশনও ছিল – সবই যেন গল্পের ভাঁজে ভাঁজে ফুটে উঠেছে এক এক করে। চিত্রনাট্যকার চন্দন কুমার তাই একটা বাহবা পাওয়ার যোগ্যই বটে।

অভিনয় বেশ ভালো। অভিষেক চরিত্রে ছিলেন জিতেন্দ্র কুমার। এই ছেলেটার অভিনয় দেখলে মনে হয় মঞ্চাভিনেতা ছিল কোন এককালে হয়তো; আর নয়তো একদম গডগিফটেড। যে কোন চরিত্রে কেমন দারুণভাবে মিশে যায়। পঞ্চায়েত প্রধানের চরিত্রে রাগুবির যাদব এবং তার স্ত্রী মঞ্জু দেবীর চরিত্রে নীনা গুপ্তা। এদের অভিনয় নিয়ে কমবেশি সবারই ধারণা আছে। বেশ জমিয়ে অভিনয় করেছেন। এছাড়া, বাদবাকি সবাইই বেশ ভালো অভিনয় করেছে। নয়তো সিরিজটা আইএমডিবিতে ৮.৯/১০ রেটিং পায় না এবং গুগলের হিসেবে প্রতি ১০০ জনে ৯৭ জন এটাকে পছন্দ করতো না।

আরিয়া

কেন দেখবেনঃ ১। সুস্মিতা সেন, ২। মেকিং ৩। চমৎকার চরিত্রাঙ্কন।

কেন দেখবেন নাঃ রিমেক শো দেখতে না চাইলে।

প্রায় দুই দশক পর হারিয়ে যাওয়া সুষ্মিতা যেই রাজকীয়ভাবে এই সিরিজ দিয়ে পদার্পন করলেন, তা আসলেই বলিউডপ্রেমীদের জন্য অভাবনীয় একটা ঘটনা। Neerja দিয়ে জাতীয় পুরষ্কার পাওয়া রাম মাদভানি এই সিরিজে শুধু সুস্মিতাই না, এমন অনেক আন্ডাররেটেড পুরানো অভিনেতাদের জড় করেছেন, যারা বহুদিন বলিউডে থেকেও জায়গা বানাতে পারেনি। তাদের এতো চমৎকারভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা একটা সাদাসিধা প্লটকেও সমৃদ্ধ করেছে।

Aariya এর গল্পে এক বড় ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানির ৩ অংশীদার এক স্থানীয় মাদকচক্রের কাছ থেকে মাল চুরি করে ফ্যাসাদে পড়ে, তাদের ক্রিয়াকর্মের ল্যাঠা পরিবারকে চুকাতে হয়। একদিকে পুলিশ, আরেকদিকে কার্টেল। সবার পাওনা মিটিয়ে পরিবারকে নিরাপদে থাকতে গৃহিণী আরিয়াকে হাল শক্ত করে ধরতে হয়। এটাই কাহিনী, যা অনেকটাই নেটফ্লিক্সের Ozark কে মনে করায়, পার্থক্য সেখানে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মিলিত প্রয়াস, আর এখানে প্রায় One-Woman-Show!

ভায়োলেন্স, রক্তারক্তিতেও দারুণ সহনশীলতা দেখেছি। যৌনতা আছে, কিন্তু কোনটাই বাড়াবাড়ি না, বরং ফ্রেশ ও রুচিশীলভাবে করা।

পুরা শো জুড়ে পুরানো দিনের চমৎকার সব মিষ্টি গান, যা শুরু থেকেই আলাদা একটা স্পর্শে মুখর রেখেছে। সাথে আবার উচ্চবিত্ত সমাজের প্রাচীনত্ব নিয়ে ফিউশান হিপহপের ছোঁয়াও আছে। কোনকিছুতেই বাড়াবাড়ি নেই।

ইউর অনার

এটি কোনো মৌলিক গল্প না, বরং একই নামের ইসরাইলী টিভি সিরিজ এর ভারতীয় সংস্করণ বলা যেতে পারে। গল্পের প্রেক্ষাপট পাঞ্জাব এর লুধিয়ানা শহর। যেখানে সারাক্ষণ ২ টি গ্যাং এর ঝামেলা লেগেই থাকে। একটি হলো পাঞ্জাবি দের গ্যাং যার প্রধান সতবির মুড়কি এবং আর একটি হলো ভাইয়া গ্যাং যার প্রধান হলো পণ্ডিত। নিজেদের ক্ষমতা জহির এর জন্য এরা খুন জখম দাঙ্গা করতেই থাকে। তো এইরকম এক সময়ে শহরের এক আদালতের জাজ বিশান খোসলা(জিমি শেরগীল) এর ছেলে আবির ড্রাইভিং টেস্ট এ ফেল করে রাগের মাথায় গাড়ি চালাতে গিয়ে অ্যাকসিডেন্ট করে বসে সৎবির মুরকির বড়ো ছেলে সতনাম মুড়কি কে। নিজের ছেলে কে বাঁচানোর জন্য বিষাণ খোসলা পুলিশ এ গিয়ে ফলস কমপ্লেইন করে এই বলে যে ওর গাড়ি টি চুরি হয় এ গিয়েছে এবং উনি ওই গাড়ি টি ওনার ই এক পরিচিত সিআরপিএফ জওয়ান কাশী কে গিয়ে বলেন যে গাড়িটি যেভাবে হোক সরিয়ে ফেলতে। কাশী তখন ওর পরিচিত এক গাড়ি চোর guddan কে ডেকে গাড়িটি দিয়ে বলে যে আজ রাতের মধ্যেই গাড়িটির রং নম্বর প্লেট সব পাল্টে ফেলতে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে guddan গাড়ি সমেত সেই রাতেই পুলিশ এর হাতে ধরা পড়ে। এর পরে শুরু হলো, নিজেকে এবং নিজের ছেলে কে পুলিশ ও মুড়কি গ্যাং এর হাত থেকে বাঁচাতে বিষাণ খসলার একের পর এক মিথ্যে এবং ক্ষমতার অপ্যবহারের খেলা।

Bishan Khosla এর ভূমিকায় জিম্মি সেরগিল খুব ভালো কাজ করেছেন। মূলত পুরো ওয়েব সিরিজ টি একার কাধেই টেনে নিয়ে গেছেন। তাকে যোগ্য সঙ্গত করে গেছেন পুলিশ অফিসার এর ভূমিকায় মিতা বশিষ্ঠ এবং সিআরপিএফ জওয়ান এর ভূমিকায় বরুণ বাদলা। বাকিরাও ঠিকঠাক। ছেলের ভূমিকায় আবির কে দেখে মাঝে মাঝে রাগ লাগবে। মনে হবে এরকম ছেলের জেল হলেই ভালো হয়। সব মিলিয়ে কিছুটা দুর্বল চিত্রনাট্য হলেও জিমি সেরগীল এর জন্য একবার দেখে নেওয়াই যায়।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মধ্যরাতে ফেসবুকে তানজিন তিশার রহস্য ঘেরা পোস্ট

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যরাতে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেওয়া বা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোটা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে দেশের বিনোদন অঙ্গনের তারকাদের। এর আগে পরীমণি, মাহিয়া মাহিকে মাঝরাতে এরকম করতে দেখা গেছে। এবার তালিকায় নাম উঠল তানজিন তিশার। দুপুর রাতে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দিলেন কড়া হুঁশিয়ারি। 

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে তিশা নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি চাইলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন অপরাধীর গল্প শেয়ার করতে পারি। সেই সাহস এবং প্রমাণ আমার আছে।’ 

এরপর অভিনেত্রী লেখেন, ‘মনে রেখো আমি তোমার খারাপ কাজের জন্য তোমাকে সবার সামনে রক্ষা করেছি। বিখ্যাত অভিনেতা হওয়ার আগে একজন ভালো ও বিশ্বস্ত মানুষ হওয়া খুব প্রয়োজন।’

তিশার এমন উত্তপ্ত পোস্ট দেখে নড়েচড়ে বসেন নেটিজেনরা। কাকে এমন হুমকি দিলেন নায়িকা এমনটা যখন ভাবছিলেন অনেকে তখন দেখা যায় ওই পোস্টটি আর নেই। নিজের ফেসবুক থেকে মুছে দিয়েছেন তিনি।

এর আগে মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় তুলকালাম বাঁধিয়েছিলেন তিশা। পরে মিটেও যায় তা। অনেকের ধারণা ফের হয়তো তাকে ঘিরেই রাত দুপুরে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে রাতের আঁধারেই পোস্ট মুছে দিয়ে বিরত রইলেন অপরাধীর গল্প বলা থেকে। 

বলে রাখা ভালো, মাঝে এই প্রেমজনিত কারণেই ঢাকা মেডিকেলেও ভর্তি হতে হয়েছিল মধ্যরাতে। জানা গেছে, সেই যাত্রায় তিনি আত্মহননের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তখনও উঠে আসে সহশিল্পী মুশফিক আর ফারহানের নাম।

তানজিন তিশা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ২০১৭ সালে মায়ের ইচ্ছায় অভিনয়ে নাম লেখান। তারপর অংসখ্য নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী।

গত ঈদুল ফিতরে গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তাসনিয়া ফারিণ। ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামের গানটি দ্বৈতভাবে কণ্ঠে তুলেন তাহসান খান ও ফারিণ। গানটি ‘ইত্যাদি’-তে প্রচারের পর গত ১৬ এপ্রিল ইউটিউবে মুক্তি পায়। তারপর গানটি যেন লুফে নেন শ্রোতারা।

এখন পর্যন্ত গানটির মোট ভিউ দাঁড়িয়েছে ৯৫ লাখ ৭২ হাজারের বেশি। দর্শক-শ্রোতারা গানটির ভূয়সী প্রশংসা করছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশ অংশে (মিউজিক) ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছে গানটি।

বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত উপস্থাপক হানিফ সংকেত। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, “প্রিয় দর্শক, ঈদ উপলক্ষে ঈদের বিশেষ ইত্যাদিতে প্রচারিত সবগুলো গানই আপনারা পছন্দ করেছেন জেনে আমরা আনন্দিত। গানটির মধ্যে শিল্পী তাহসান ও তাসনিয়া ফারিণের গাওয়া ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ গানটি আপনাদের বিচারে সেরা গান নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে মিউজিক বিভাগে এক নম্বর স্থানে উঠে আসে, যা এখনো অটুট আছে।”

গায়িকা হিসেবে ফারিণকে দর্শক এখন চিনলেও অনেক আগে থেকেই গানের চর্চা করেন তিনি। এ বিষয়ে ফারিণ বলেন, ‘আমি কিন্তু নায়িকার আগে গায়িকা। যশোর থেকে ঢাকায় এসেও গানের চর্চা করেছি। দিনের পর দিন গান শিখেছি। জাতীয়, বিভাগীয় পর্যায়ে গান করেছি। গান গেয়ে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু অভিনয়ের কারণে গানের প্রতিভা এতদিন কেউ জানতে পারেনি।’

‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামে গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল।

তাসনিয়া ফারিণ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের আলোচিত-সমালোচিত নায়ক জায়েদ খান। বিভিন্ন সময় তার নানান কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত হতে হয়। অন্যদিকে বিভিন্ন ঘটনায় অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে হঠাৎ নিজের মেজাজ হারাতে দেখা গেছে। এবার তাকে দেখা গেছে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপে সাকিবের ক্ষোভের বিষয়টি দেখা গেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সুইমিংপুলের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে যাচ্ছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তার ঠিক পাশেই দাঁড়ানো ছিল চিত্রনায়ক জায়েদ খান। হঠাৎ দেখা যায়, সাকিব তার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি সুইমিংপুলে ছুড়ে ফেলে দিয়ে হেঁটে চলে যান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাকিবের এমন আচরণে হতভম্ব হয়ে যান জায়েদ খান। ধারণা করা হচ্ছে, পানিতে ছুড়ে ফেলা ফোনটি জায়েদ খানের।

ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সেকারণেই হয়তো জায়েদ খানের ওপর চটেছেন সাকিব আল হাসান। শেষমেশ মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে হাতে থাকা ফোনটি পানিতে ছুঁড়ে মারেন। 

ভিডিওটি ঠিক কোন জায়গায় ধারণ করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে ভিডিওটির বিশ্লেষণে অনুমান করা যায়, সেটি কোনো রিসোর্ট কিংবা হোটেলের সুইমিংপুল হতে পারে।

জানা গেছে, ব্যক্তিগত কাজে গিয়ে সেখানে সাকিবের সঙ্গে দেখা হয় জায়েদ খানের। তখন একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের মাঝেই ঘটে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

যদিও এই ঘটনার রেশ ধরে এখনো তাদের কেউই প্রকাশ্যে কথা বলেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।

জায়েদ খান   সাকিব আল হাসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা জায়েদ খানের ভক্ত

প্রকাশ: ০৬:২৯ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার অস্ট্রেলিয়ায় স্টেজ শো করেছেন জায়েদ খান। রোববার মেলবোর্নের টাউন হলে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে। সেখানকার বাঙালি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ‘সোনার চর’ সিনেমার এই নায়ক। স্টেজ থেকে ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা জায়েদ খানের ভক্ত’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন দর্শকরা। বিষয়টিতে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।

অনুষ্ঠানে ফিগার দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ভক্তদের মাথা ঘুরিয়ে দিলেন ঢাকাই ছবির মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর জায়েদ খান। স্টেজে পারফর্ম করতে করতে একপর্যায়ে জামা খুলে ফেলেন সুদর্শন এই নায়ক। এরপর স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে দুই হাতের পেশী ফোলাতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন দর্শক সারিতে থাকা জায়েদ ফ্যানরা। এ ছাড়া ভক্তদের অনুরোধে মেলবর্নের ওই অনুষ্ঠানে দিতে হয়েছে ডিগবাজিও। এসময় স্টেজে বেজে চলছিল জায়েদের লেস্টেস্ট সুপার-ডুপার হিট সং ‘বিড়ি খাইলে হয় ক্যানসার’ গানটি।

অস্ট্রেলিয়ায় স্টেজ শো করতে গিয়েছেন জায়েদ খান। রোববার মেলবোর্নের টাউন হলে হয়েছে অনুষ্ঠানটি। সেখানকার বাঙালি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ‘সোনার চর’ সিনেমার এই নায়ক। স্টেজ থেকে ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা জায়েদ খানের ভক্ত’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন দর্শকরা। বিষয়টিতে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।

অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে জায়েদ খানকে ডিগবাজি দেওয়ার জন্য চিৎকার করে অনুরোধ করেন দর্শকরা। এ বিষয়ে জায়েদ বলেন, বেশির ভাগ দর্শকই ডিগবাজির জন্য অনুরোধ করছিলেন। তাই ডিগবাজি না দিয়ে কোনো উপায় ছিল না। স্টেজে দর্শকের জন্যও ডিগবাজি দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। তাতে তিনজন দর্শক অংশগ্রহণ করেছেন। ডিগবাজিতে যিনি প্রথম হয়েছেন, সেই দর্শককে জায়েদের ছবিসহ বালিশের কভার উপহার দেওয়া হয়েছে। নায়কের হাত থেকেই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন বিজয়ী দর্শক।

জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ায় আরও একটি পারফর্ম করবেন জায়েদ। আগামী ৫ মে সিডনির ওরিয়ন ফাংশন সেন্টারে বৈশাখী আড্ডা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে অতিথি হিসেবে পারফর্ম করবেন এই নায়ক।

জায়েদ খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বিয়ে করছেন শাকিব খান, জানেন পাত্রী কে?

প্রকাশ: ১০:২৩ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে ও বিচ্ছেদ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। অপু বিশ্বাস ও বুবলী এই নায়কের দুই সাবেক স্ত্রী হলেও বাবা হিসেবে দুই সন্তান আব্রাম ও শেহজাদের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন ঢালিউড কিং।

নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।
 
গুঞ্জন চলছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।
 
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।
 
শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।

এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।
 
শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন ঢালিউড কিং।


বিয়ে   শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন