কালার ইনসাইড

এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ফেসবুক-গুগল-ইউটিউব-নেটফ্লিক্সরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:১২ পিএম, ০৩ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

করোনাকালে একটি জিনিসের প্রতি নির্ভরতা আমাদের সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, তা হলো অনলাইন। আমাদের ২৪ ঘন্টাই যেন অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল হতে হয়েছে। আর বাংলাদেশিদের এত এত অনলাইন নির্ভরতা বাড়িয়েছে গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু, টুইটার, টিকটক, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজানের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু দেশ তাতে কতটা লাভবান হচ্ছে?

গুগল-ফেসবুক-ইউটিউব- ইয়াহু বাংলাদেশ থেকে বছরে হাজার কোটি টাকার বেশি নিয়ে যাচ্ছে। এই মাধ্যমগুলো ব্যবহার করতে ব্যবহারকারীদের কোনও টাকা না লাগলেও মূলত বিজ্ঞাপন থেকেই এই বিপুল পরিমাণ অর্থ পায় প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়া নিজের একটি পোস্ট বা ছবি ফেসবুকের মাধ্যমে অধিক সংখ্যক ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছাতেও টাকা দিতে হয়। টাকা দিয়ে পোস্ট বুস্ট করলে তা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায়। এর মাধ্যমেই সংশ্লিষ্ট মাধ্যমগুলো হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে রয়েছে বিনোদনের অনলাইন প্লাটফর্মগুলো- নেটফ্লিক্স, জি ফাইভ, হইচই, অ্যামাজান, জি ফাইভ। বিনোদনের এই প্লাটফর্মগুলো ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ করলেও বাংলাদেশে তাদের কড়ি পয়সা বিনিয়োগের নাম নেই। অন্যদিকে নেটফ্লিক্স, অ্যামাজানের মতো এমন বিশ্ব মাত করা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে লড়ে আমাদের দেশীয় ওয়েব প্লাটফর্মগুলোর বেহাল দশা। বিদেশি এ কোম্পানিগুলো অবাধে বাংলাদেশে বিচরণ করলেও সরকার কোনভাবেই লাভবান হচ্ছে না।

প্রতিবছর দেশ থেকে অবৈধভাবে দুই শ’কোটি টাকারও বেশি নিয়ে যাচ্ছে নেটফ্লিক্স। যার কোনও খবর কারো কাছে নেই। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর কাছে নেটফ্লিক্স সংক্রান্ত কোনো তথ্যও মিলছে না। অথচ ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশে দিব্যি ব্যবসা করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশে নেটফ্লিক্স ব্যবহারকারীর সংখ্যা দুই লাখেরও বেশি। যাদের কাছ থেকে মাসে গড়ে অন্তত ১০ ডলার চার্জ করলেও বিশাল অঙ্ক দাড়ায়। অনলাইন স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে সিনেমা, নাটক ও সিরিজ দেখিয়ে, কার্ড থেকে অনলাইনেই চার্জ করে নিয়ে নিচ্ছে এই অর্থ। যার জন্য কোনো ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ করা হচ্ছে না। যা অবৈধ ও দেশের জন্য বড় ক্ষতি বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশের জন্য অনুমোদিত সেলস পার্টনার হিসেবে এইচটিটিপুল’কে গতমাসে নিযুক্ত করেছে ফেসবুক। এইচটিটিপুল স্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও এজেন্সিগুলোকে সহায়তা করবে। বিজ্ঞাপনের জন্য ফেসবুককে টাকায় অর্থ পরিশোধ করা যাবে এইচটিটিপুলের মাধ্যমে। ফেসবুকের অনুমোদিত সেলস পার্টনার হিসেবে এইচটিটিপুল বাংলাদেশের স্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও এজেন্সিগুলোকে বিনামূল্যে উন্নতমানের ফেসবুক মিডিয়া পরামর্শ দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষিত করবে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও এজেন্সিগুলোকে নতুন ও প্রয়োজনীয় কৌশল শেখাতে ফেসবুক ব্লুপ্রিন্টসহ বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারবে। এইচটিটিপুলের মাধ্যমে টাকায় ফেসবুককে বিজ্ঞাপনের জন্য অর্থ পরিশোধ করা যাবে। বিশ্বব্যাপী আরও ১০টি মার্কেটে এইচটিটিপুল ফেসবুক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। সেক্ষেত্রে এইচটিটিপুল নামের বিজ্ঞাপনী সংস্থাটি থার্ড পার্টি হিসাবে কাজ করছে।

গুগল-ফেসবুক-ইউটিউব হাজার কোটি টাকা এ দেশ থেকে নিয়ে গেলেও সরকারকে কোনও কর দিচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানগুলো এ দেশে নিবন্ধিত না হওয়ায় বা কোনও অফিস না থাকায় তাদের করের আওতায় আনতে পারছে না সরকার। বৈধ চ্যানেলে না থাকার কারণে (বৈধ চ্যানেলে গেলেও তার পরিমাণ খুব অল্প) ঠিক কত পরিমাণ অর্থ বছরে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে তার কোনও সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। তবে হাজার কোটি টাকার বেশিই যে দেশের বাইরে যায় বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

জানা গেছে, দেশের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, টেলিকম অপারেটর, বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো দিন দিন ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের দিকে বেশি ঝুঁকে যাচ্ছে। টেলিকম অপারেটরগুলোর সাম্প্রতিক ট্রেন্ড দেখলে দেখা যায়, সংবাদ মাধ্যমগুলোতে তাদের বিজ্ঞাপন নেই বললেই চলে। অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য পৃথক বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইনও করে থাকে।

দেশের প্রতিষ্ঠিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে মাসে গড়ে ৮-১০ হাজার ডলার খরচ করে থাকে। সেই হিসেবে এসব প্রতিষ্ঠান বছরে ১ লাখ ডলারের বেশি খরচ করে। প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে প্রমোশনের জন্য এই ব্যয় করে থাকে। অনলাইনে বিজ্ঞাপন না দিলে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে পণ্যের অর্ডার আসা কমে যায়। ফলে বিজ্ঞাপন না দিয়ে উপায় থাকে না প্রতিষ্ঠানগুলোর। অন্যদিকে ফেসবুক নির্ভর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের সাইটের ও নতুন পণ্যের প্রচারের কারণে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে।

প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিদিন ৫-১০ ডলারের বিজ্ঞাপন বুস্ট (বিজ্ঞাপন প্রচার বাবদ খরচ) করে থাকে। আর্থিক সক্ষমতা কম থাকায় স্বল্প পরিমাণে করে হয়। বর্তমানে ১০-১৫ হাজার এফ-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে সক্রিয় পেজগুলোই সাধারণত নিজেদের পেজ থেকে বুস্টিং করে থাকে।

ফেসবুক-গুগলকে করের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যদিও ফলপ্রসু কোন ফলাফল মেলেনি। কোন কিছুকেই তোয়াক্কা করে না এসব প্রতিষ্ঠান। একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সির প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘এটা করা হলে সরকার বিপুল অংকের অর্থ আয় করতে পারবে। তবে তার আগে গুগল-ফেসবুক-ইউটিউবকে এ দেশে নিবন্ধন বা অফিস খুলতে বাধ্য করতে হবে। যদি ফেসবুকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সরকারকে টাকা দিতে না চায় তাহলে তাদের কঠোর ভাষায় জানাতে হবে, এ দেশের কোনও বিজ্ঞাপন যেন ওরা না দেখায়। তাহলে ওরা একটা ইতিবাচক আয়োজনে আসতে বাধ্য হবে। ওদের আয় বন্ধ করার উদ্যোগ নিলে ঠিকই ওরা আমাদের কথা শুনতে বাধ্য।’

তিনি বলেন, ‘এই খাতে কাজ করতে এসে দেখছি বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে গুগল-ফেসবুক-ইউটিউবসহ অন্যরা। যদিও এর বেশি অংশই বৈধ চ্যানেলে যাচ্ছে না।’

সেক্ষেত্রে যতদূর জানা যায়, ফেসবুক, গুগল, ইউটিউবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বলেছে বাংলাদেশের যে মার্কেট তাতে অফিস দিতে চাচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন শত কোটি টাকার মার্কেট হলেও হাজার কোটি টাকার মার্কেট হতে খুব বেশি সময় নেবে না বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে অবশ্যই এর লাগাম টেনে ধরা উচিত।

গুগল, ফেসবুক, ইয়াহু, ইউটিউব ও অ্যামাজনের মতো অনলাইন জায়ান্টের বাংলাদেশে কার্যালয় থাকা দরকার বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও। এতে জনপ্রিয় এসব মাধ্যমে প্রচারিত বিজ্ঞাপন বাবদ লেনদেন তদারকি সহজ হবে। এমন সুপারিশসহ উচ্চ আদালতে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গত বছর বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও এখন পর্যন্ত তার সুরাহা হয়নি।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী

প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড অভিনেত্রী রাগিনি খান্না। তার আরেক পরিচয় তিনি বরেণ্য অভিনেতা গোবিন্দর ভাগনি। কয়েক দিন আগে এ অভিনেত্রী ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে হইচই ফেলে দেন। কিন্তু এ ঘোষণা দেওয়ার একদিন পরই নিজ ধর্মে ফেরার কথা জানান এই অভিনেত্রী।

কয়েক দিন আগে রাগিনি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন। তাতে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি ঘোষণা করছি যে, এখন থেকে খ্রিস্টান ধর্মের ঐতিহ্য, রীতিনীতি অনুসরণ করব।

রাগিনি এ ঘোষণা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্ষমা চান। এতে তিনি বলেন, আমি রাগিনি খান্না। আমার পূর্বের রিলস ভিডিওর জন্য ক্ষমা চাইছি। যাতে আমি খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণের কথা জানিয়েছিলাম। আমি পুনরায় আমার শিকড়ে ফিরে এসেছি। এখন থেকে হিন্দু সনাতন ধর্ম অনুসরণ করব।

রাগিনি খান্না একাধারে মডেল-অভিনেত্রী ও সঞ্চালক। ২০০৮ সালে হিন্দি ভাষার টিভি ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর অনেক সিরিয়ালে কাজ করেছেন।

২০১১ সালে রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার ‘টিন থাই ভাই’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে। পরের বছরই পাঞ্জাবি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন রাগিনি। এরপর আরও বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।

বলিউড   রাগিনি খান্না  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ব্র্যাড পিটকে পেছনে ফেলে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে শাহরুখ খান

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ব্র্যাড পিটকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান। নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও জনপ্রিয়তার শিখরে তিনি।

বলিউড বাদশাহ তখন বার্লিনে, সিনেমার শুটিং চলছে পুরোদমে। সেই সময় শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ইউরোপ থেকে কাতারে কাতারে মানুষ এসেছেন, প্রিয় নায়ককে এক পলক দেখার আশায়। শুটিংয়ের জন্য ১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ব্যারিকেডের বাইরে পোস্টার হাতে অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানান অনুরাগীরা। অভিনেতাও প্রায় এক ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন তাদের। শাহরুখের নজিরবিহীন স্টারডম!

সহ-অভিনেতা আলি খান ছিলেন শুটিং ফ্লোরে। তার কথায়, ‘আমরা বার্লিনে যে হোটেলে ছিলাম, কিছু দিন আগে ব্র্যাড পিট এবং কুয়েন্টিন ট্যারেন্টিনো সেই হোটেলেই ছিলেন। বার্লিনে তাদেরও একটি সিনেমার শুটিং চলছিল সেই সময়। তাদের ইউনিটের সদস্যরাই আমাদের সিনেমাতে ছিলেন। তাদের মুখে শুনলাম, শাহরুখের জন্মদিনে এত মানুষ ঢল, এর আগে কোনও শুটিংয়ে এত ভিড় দেখা যায়নি। এমনকি ব্র্যাড পিট যখন ছিলেন তখনও এত মানুষের দেখা মেলেনি।

‘অ্যা মাইটি হার্ট’ সিনেমাতে অ্যাঞ্জেলিনার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন আলি খান। প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানও ছিলেন সেই সিনেমায়। সেই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন ব্র্যাড পিট। মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়। 

এ প্রসঙ্গে আলি বলেন, ‘সিনেমার সেটের বাইরে অ্যাঞ্জেলিনা একেবারেই সাধারণ মানুষের মতো। আমি, আমার স্ত্রী আর অ্যাঞ্জেলিনা অনেক গল্প করলাম পার্টিতে। বিশেষত আমার স্ত্রীর সঙ্গে সন্তানের পরিচর্যা, তাদের খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় কথা বলেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা।’


ব্র্যাড পিট   জনপ্রিয়তা   শাহরুখ খান   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শাকিব খানের জন্য যে জেলার পাত্রী ঠিক করেছে তার পরিবার

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই সিনেমার কিং খান শাকিবের বিয়ের গুঞ্জন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বুবলী আর অপু বিশ্বাসকে নিয়ে বিরক্ত শাকিব খানের পরিবার। শাকিবকে নিয়ে দুই নায়িকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কথাবার্তা-গল্পগুজব আর নিতে পারছেন না অভিনেতা এবং তার পরিবার। শুধু তাই নয়, শাকিবকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চলছে পাত্রী দেখাও।

অভিনেতার ঘনিষ্ঠজনেরা বলেছেন, ঢাকার পাশের জেলায় পাত্রী দেখছে শাকিবের পরিবার। এবার আর নিজের পছন্দে নয়, পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করবেন অভিনেতা। অতীত ভুলে সংসারী হবেন শাকিব।

আরও পড়ুন:  এবার জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব

আরও পড়ুন: ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান

অর্থাৎ বুবলীর সঙ্গে যদি শাকিবের সত্যি বিয়ে হয়ে থাকে, তাহলে এবার তৃতীয় দফায় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন অভিনেতা। শোনা যাচ্ছে, চিকিৎসক পাত্রী পছন্দ করেছে তাঁর পরিবার।

শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জজেলার একটি মেয়েকে শাকিবের বউ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে তার পরিবার। মেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন। শাকিবেরও ডাক্তার মেয়ে পছন্দ।

একাধিক সূত্রে জানাগেছে, এ পর্যন্ত দুই থেকে তিনজন পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জের চিকিৎসক মেয়েই নাকি এগিয়ে আছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ দিকে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন শাকিব খান। আর এই আয়োজনের পুরো দায়িত্ব নিচ্ছে শাকিবের পরিবার।

শুধু তা–ই নয়, শাকিবকে নিয়ে কেউ কোনো মিথ্যাচার করলেই আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাকিব খানের পরিবার। পাশাপাশি জানা গেছে, শাকিবের বাড়িতে অপু-বুবলীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যদিও জবাবে বুবলী বলেছেন, ছেলে বীরকে একা ছাড়বেন না তিনি। এই কথা প্রসঙ্গে অপুও বলেছেন, ‘তিনি গেলে আমিও যাব।’


শাকিব খান   ঢালিউড   অপু বিশ্বাস   বুবলী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কপিল শর্মার এক পর্বে ৫ কোটি!

প্রকাশ: ১০:৪০ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। 

এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।

শুধু কপিলই নয়, সামনে এসেছে তার সহকর্মী অর্চনা পূরণ সিং এবং সুনীল গ্রোভারের পারিশ্রমিকের কথাও।

ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গ্রোভার প্রতি পর্বের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ও অর্চনা পূরণ সিং নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্রুষ্ণা অভিষেক, কিকু শারদা ও রাজীব ঠাকুর পর্ব প্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ, ৭ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা করে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গত ৩০ মার্চ থেকে নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে এই শোয়ের প্রচার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে মোট পাঁচটি পর্ব।


কপিল শর্মা   নেটফ্লিক্স  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৯:৩৪ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ।

গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।

এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি। বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে খুবই সামান্য টাকা পায়।

এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয় নিয়ে কথা বলব’।

ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব। প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।

চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব দিতে হবে’।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’

এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র আরও এগিয়ে যাবে’।

বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায় না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।

শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।

এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড, গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।

আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন, অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া, আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।

উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়। তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।


‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’   গোলটেবিল বৈঠক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন