নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০১ পিএম, ১২ অগাস্ট, ২০২০
‘আগস্ট ১৯৭৫’ নামে একটি সিনেমা নির্মাণ করেছে শাপলা মিডিয়া। বাংলাদেশের ইতিহাসের কলঙ্কময় এই দিনকে নিয়ে এর আগে পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণ হয়নি। এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা। সেই ঘটনার পরের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। কী আছে এই সিনেমায়?
সিনেমার প্ল্যানিং:
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার সঙ্গে পরিচালক শামীম আহমেদ রনির প্রথম ছবি ‘শাহেনশাহ’। বছর দুই আগের কথা। ‘শাহেনশাহ’র কাজ তখনও শেষ হয়নি। প্রযোজক সেলিম খান রনিকে ডেকে বললেন আমরা কি ১৫ আগস্ট নিয়ে কিছু করতে পারি না? এখানে উল্লেখ্য সেলিম খান একজন আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি বঙ্গবন্ধুর অনুসারী। সেলিম খান বললেন, আমরা ১৫ আগস্ট নিয়ে অনেক গল্পই কিন্তু জানি না। আমরা অনেক সময় অনেক গল্প পড়ি। কিন্তু ১৫ আগস্টের পরের দিন কি ঘটেছিল? বঙ্গবন্ধুর দাফন কিভাবে হয়েছিল? এগুলো নিয়ে কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না। এটা নিয়ে কি বড় করে কিছু করা যায় না? পরিচালক সায় দিলেন। প্রযোজক উৎসাহ দিতে থাকলেন। এরপর শুরু হয় একটা টিম নিয়ে গবেষণা। বঙ্গবন্ধুর লাশ ১৫ তারিখ সারাদিন পড়ে ছিলো ৩২ নম্বরে। ১৬ তারিখে তার লাশের ব্যবস্থা করা হয়। পরিচালক রনি বলেন, ‘ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওই দিনের যারা যারা বেঁচে আছেন তাদেরকে আমরা খোঁজার চেষ্টা করি। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে কথা হয়। কে এম শফিউল্লাহ থেকে শুরু করে লাশ দাফনে যারা যুক্ত ছিলেন। সেটা প্রায় দেড় বছরের মতো সময় গেছে আমাদের এই রিসার্চে। রিসার্চ কমপ্লিট হওয়ার পর আমরা স্ক্রিপ্টটা করি। ১৫-১৬ তারিখে কি ঘটনা ঘটেছিলো সেটা সবার সঙ্গে কথা বলে একটা জায়গায় এসেছি। যে এটাই সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য।
উদ্দেশ্য:
রিসার্চটা করতে গিয়ে মনে হয়েছে আসলেই এই ঘটনাগুলোর খুঁটিনাটি এই প্রজন্ম অনেকেই জানে না। স্পেশালি নতুন প্রজন্ম জানেই না। তৎকালীন মানুষেরা হয়তো কমবেশি সবাই জানতেন। জেনেও একটা লম্বা সময় তারা মুখ খুলতে পারেননি।’ প্রযোজক সেলিম যোগ করেন, ‘একটা লোক যে কোন রাজনৈতিক দলই করতে পারে। কিন্তু ‘বঙ্গবন্ধু’ কিন্তু সবার ওপরে। বঙ্গবন্ধুর যখন জানাযা হয়েছে তখন কেন ২০/২৫ জন লোক ছিলো। হয়তো অনেকে অনুমান করে নেয় যে ওদের ভয়ে। কিন্তু আসলেই সেদিন কি কি ঘটেছিলো? আশেপাশের ১৯ জেলা কারফিউ দিয়ে ব্লক করে রাখা হয়েছিলো। মানুষ কিভাবে আসবে? ওরা মুসলমান হয়ে ডিরেক্ট কফিনসহ কবরে ঢুকিয়ে দিতে চেয়েছে। এটা কয়জন মানুষ জানে?’ মৌলবী হালিম, কনস্টেবল সিরাজ, কে কিভাবে ছিলেন সেই অবস্থায়? মেজর হায়দার যার দায়িত্বে ছিলো টুঙ্গিপাড়া নিয়ে গিয়ে লাশ দাফন করা। সেটা কোন সিচুয়েশনে নিয়ে গিয়ে লাশ দাফন করা হয়েছে। এমনকি যারা আওয়ামী লীগ করে এই প্রজন্ম তারাও অনেকে এই প্রকৃত ইতিহাসটা জানে না। পরিচালক- প্রযোজকের এটাই ছিলো সবচেয়ে বড় চাওয়া।
প্রযোজক সেলিম খান বলেন,‘আমরা চেয়েছি এই ইতিহাসটা মানুষকে জানাতে। এবং সেটা একদম সত্য ঘটনা। যারা যারা ওই সময়ে ছিলো তাদের কাছ থেকে যেটা শুনেছি ওটাই আমরা স্ক্রিপ্টে এনেছি, ওটাই শ্যুট করেছি। আমরা এক বিন্দুও মিথ্যা বলিনি। এক বিন্দুও কল্পনা থেকে করিনি। এটা করার কারণ মানুষ প্রকৃত ইতিহাসটা জানুক।’
অভিনয়শিল্পীদের বক্তব্য:
সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাক অভিনয়শিল্পী। ৭৫ সালের ভয়াল ১৫ আগস্টের পরদিন থেকে ছবির গল্প শুরু হবে। তাই এতে বঙ্গবন্ধু বা উনার পরিবারের কোনও চরিত্র থাকছে না। তবে এতে বেইমান খন্দকার মোশতাক ও জাতীয় চার নেতার মতো ঐতিহাসিক চরিত্রগুলো থাকবে। খন্দকার মোশতাক হিসেবে আছেন শহীদুজ্জামান সেলিম ও জাতীয় চার নেতার একজন হিসেবে আছেন তৌকীর আহমেদ। খন্দকার মোশতাকের চরিত্রটা ইতিহাসের অন্যতম ঘৃণিত চরিত্র। কিভাবে নিজের মধ্যে নিয়েছেন চরিত্রটা? সেলিম বলেন,‘প্রথমেই বলবো চরিত্রটাকে আমি ঘৃণা করতে পারিনি। তাহলে বিশ্বাসযোগ্য করতে পারতাম না। চরিত্রটাকে আমার ভালোবাসতে হয়েছে। ভালোবেসে নিজের মধ্যে নিতে পেরেছি। এমন একটা চরিত্র তার জন্য প্রাকটিস তো ছিলোই। কিন্তু আমার জন্য সবচেয়ে বড় কষ্টের ব্যাপার ছিলো চরিত্রটাকে আমি ঘৃণা করতে পারিনি। আর কিছু ব্যাপর তো ছিলো, সে কিভাবে হাটতো। কিভাবে কথা বলতো। সেটা কিন্তু ৮/১০ জন মানুষের মতো নর্মাল না। খন্দকার মোশতাক কখনো ‘ছ’ বলতে পারতো না। উনি সবসময় ‘চ’ বলতো। এটা কিন্তু রপ্ত করতে হয়েছে।’
তৌকির আহমেদ বলেন, ‘যখনই তাজউদ্দিন সাহেবের চরিত্রের কথা ওঠে। সবাই আমাকেই ভাবেন। এটা হয়তো আমার একটা বাড়তি পাওয়া যে এই মহান মানুষটার সঙ্গে আমার কিছু মিল পায়। বঙ্গবন্ধুর পরে তাজ উদ্দিন সাহেব বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এই সিনেমায় এই চরিত্রটা অনেক বিশরদ করে না। ওই দিন বঙ্গবন্ধুর অন্যতম কাছের মানুষটার অনুভূতিটা কি হতে পারে। সেটা তুলে ধরেছি। একটা বেদনার চরিত্র। একটা মানুষের সব হারানো চরিত্র।’
নাবিলা বলেন, আমি অভিনয় করেছি বেবী মওদুদের চরিত্রে। অভিনয়ে আমি সব সময় নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাই। যখনই জানলাম বেবী মওদুদের চরিত্রে অভিনয় করতে হবে, তখন তাঁর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি। কিছু ভিডিও ক্লিপ দেখে তাঁর কথা বলার ধরন, বাচনভঙ্গি রপ্ত করার চেষ্টা করেছি। কাহিনির প্রেক্ষাপট নিয়ে পড়াশোনাও করেছি। শুটিংয়ের আগে দুই দিন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। ১৫ আগস্টের সেই গুলির আওয়াজ কিন্তু বেবী মওদুদও শুনতে পেয়েছিলেন। তার বাসাও ছিলো ৩২ নম্বরের কাছেই।’
আনিসুর রহমান মিলন বলেন,‘শুটিংটা হয়েছে একটা থমথমে পরিস্থিতিতে। ওই ক্যারেক্টারগুলো যে ধারণ করেছে সে আসলে অন্য কিছু বলতে পারেনি। সেটে এসে সে আসলে একটা পরীক্ষার আগে যেমন মানুষের ভিতর যেমন একটা ভয় কাজ করে। সবার মধ্যে তেমনটা দেখেছি। প্রতিজন অভিনয়শিল্পী এত সিরিয়াস ছিলো যে সেটা সত্যিই অবাক করার মতো। আর যেটা হয়েছে অনেক জায়গায় আবেগটা আমাদের এত এসেছে যে কান্না ধরে রাখতে পারিনি। ক্যামেরাম্যান শ্যুট করতে পারছিলেন না। তিনি নিজেও এতটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছিলেন। এই সিনেমায় তো অনেক গুণী গুণী অভিনয়শিল্পী অভিনয় করেছেন। তারা তো আবেগের দৃশ্য হাজারবার করেছেন। কিন্তু এই চরিত্রগুলো করতে গিয়ে তাদের শরীরের লোম দাড়িয়ে গেছে। তারা ঠিকভাবে নিতে পারছিলেন না। অনেকেই বলেছে, আমরা বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করি। কিন্তু এই ইতিহাসটুকু তো আমরা জানতাম না।’
একটা দৃশ্য ছিলো বঙ্গবন্ধুর লাশ দাফন হয়ে গেছে। কনস্টেবল সিরাজের ক্যারেক্টারটা করেছেন আনিসুর রহমান মিলন। আর্মিরা লাশ দাফন করে চলে গেছে পুলিশদের দায়িত্ব দিয়ে। একটা দৃশ্য আছে কবরের পাশে উনি আসে। এসে স্যালুট দেয়। ওই জায়গাটায় আমাদের প্রযোজকও ছিলেন। ওই দৃশ্যটা দেখে সবাই কেঁদে উঠছে। একটা কান্নার রোল উঠে গেছে। সবাই এত ইমোশনালী হয়ে গেছিলো বলে জানান মিলন।
পরিচালক রনী বলেন, ‘অনেক শিল্পী অনেক ক্যারেক্টার করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর রক্ত বুকে নিয়ে শুটিং করবো। এটা তারা নিতেই পারেনি। প্রত্যেকটা ক্যারেক্টারের জন্য আমরা যত ডকুমেন্ট পেয়েছি তাদের কাছে দিয়েছি। তারা নিজেরাই সংগ্রহ করেছেন। একদম ছোট ক্যারেক্টারগুলোও। মোশতাক সালাম কিভাবে নিতো। মুখে কিভাবে হাত দিতো। তাজউদ্দিন সাহেব চশমাটা কিভাবে চোখে পড়তো। যে জিয়াউর রহমান ক্যারেক্টারটা করেছেন সে ওটা ধারণ করেছে। সে কিভাবে হাটতেন। কিভাবে কথা বলতেন। সানগ্লাসটা কিভাবে ধরতেন।’
চরিত্র নির্বাচন:
পরিচালক রনি বলেন, ‘চরিত্র নির্বাচনে প্রথমেই আমরা খুঁজেছি লুক অ্যালাইক। কিন্তু এর সঙ্গে ঝানু অভিনয়শিল্পী খুঁজেছি। কারণ একটা দুর্বল চরিত্র পুরো সিনেমাটা নষ্ট করে দিতে পারে। এখানে অনেক সিনিয়র অভিনয়শিল্পী যেমন আছেন তেমনি কিছুটা অপরিচতরাও আছেন। তবে সেই অপরিচিতরাও কিন্তু নিজেকে কোথাও না কোথাও প্রমাণ করেছেন। তাজউদ্দীন আহমেদ সাহেব কিভাবে কথা বলতেন। কিভাবে সে চশমাটা খুলতেন।কিভাবে কথা বলার সময় চশমাটা হাতে ধরে রাখতেন এগুলো কিন্তু আমাদের অনেক রিসার্চ করতে হয়েছে। আমরা রিসার্চ করতে গিয়েই এমন খুঁটিনাটি অনেক কিছুই জেনেছি।’
বাজেট:
পরিচালক রনি বলেন, ‘প্রযোজক আমাকে বলেছে তুমি একটা ভালো সিনেমা বানাও। ভালো অভিনয়শিল্পী কাস্টিং করো। তাতে যে খেরচ লাগে সেটা আমি দেবো। এটা থেকে ব্যবসা করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য না। আমরা আমাদের জায়গা থেকে জাতির কাছে যেন কিছু একটা দিতে পারলাম সেটাও বড় বিষয়।’
সিনেমাটি মাত্র ১৪ দিনে শুটিং কমপ্লিট করা হয়েছে। এই ১৪ দিনে প্রায় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এফডিসিতে এর জন্য সেট নির্মাণ করতে হয়েছে। কারণ ওই সময়ের মতো বাড়িঘর এখন পাওয়া সম্ভব নয়।
মুক্তি:
প্রযোজক বলেন, ‘একটা ইতিহাসকে প্রেজেন্ট করতে যাচ্ছি। এটাও একটা ইতিহাস হয়ে থাকবে। ১৪ তারিখ সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার প্লানিং ছিলো। কিন্তু আমরা ১৪ তারিখ পারছি না। ২১ তারিখে ছবিটা রিলিজ করবো। তথ্য মন্ত্রণালয় আমাদের একটা আশ্বাস দিয়েছে যে আমরা যদি সেন্সরটা পেয়ে যাই। এই ছবিটার জন্য সীমিত সময়ের জন্য হলেও হলগুলো খুলে দেবে। ’
কে কোন চরিত্রে অভিনয় করেছেন:
তৌকির আহমেদ- তাজউদ্দিন আহমেদ
শহীদুজ্জামান সেলিম- খন্দকার মোশতাক
আনিসুর রহমান মিলন- কনস্টেবল সিরাজুল হক
মাজনুন মীজান- মেজর ডালিম
নাবিলা- বেবী মওদুদ
সুইটি- জোহরা তাজউদ্দীন
শাহেদ আলী- প্রণব (রেডিও স্টেশন শিফট ইনচার্জ)
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় - মৌলভি আবদুল হালিম
ফজলুর রহমান বাবু- বায়োস্কোপওয়ালা
মুনিরা মিঠু- মৌলভির স্ত্রী
তুষার খান- শেখ মান্নান
জিয়াউর রহমান- আশরাফুল আশীষ
খালেদ মোশারফ- আগুণ
দিলারা জামান- বেবী মওদুদের মা
মন্তব্য করুন
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান এক বছরেই জাওয়ান, পাঠান এবং ডাঙ্কির মতো
হিট ছবি উপহার দিয়েছেন সিনেমা প্রেমিদের। বর্তমানে নতুন ছবির কাজ শুরুর আগে বিশ্রাম
নিতে পারেন বলিউডের এই কিং খান। বিশ্রাম সেরে এ বছরের জুনে তিনি তার পরবর্তী ছবির শ্যুটিং
শুরু করতে চান।
শুক্রবার (৩ মে) ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা
জানিয়েছেন শাহরুখ খান।
অভিনেতা বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমার একটু বিশ্রাম নেওয়া উচিত। তিনটি
সিনেমা পরপর করে ফেলেছি। যার জন্য আমার শরীরে অনেক ধকল গেছে। আমি কলকাতা নাইট রাইডার্স
দলকে বলেছিলাম যে এইবার শুধু মূল ম্যাচে আসব।
সৌভাগ্যবশত, আমার পরবর্তী ছবির শ্যুটিং আগস্ট থেকে শুরু হবে বা
হয়তো জুলাই। যদিও আমরা জুনে শুরু করার প্ল্যান করছি। আমি সব হোম ম্যাচে আসতে চাই কারণ
কলকাতা আমার বাড়ির মতো। তবে শাহরুখ ছবির নাম বা অন্যান্য বিবরণ প্রকাশ করেননি।
এদিকে, শাহরুখকে স্টেডিয়ামে প্রায়ই তার ছোট ছেলে আব্রাম নিয়ে আসতে
দেখা গেছে।
মন্তব্য করুন
বলিউডে জনপ্রিয় অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। প্রায় দু'দশক ধরে জনপ্রিয়তার
শীর্ষে থেকে বলিউড ইন্ড্রাষ্ট্রিতে রাজত্ব করে যাচ্ছেন তিনি। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন
একের পর এক হিট সিনেমা। অবিনেত্রী নিজের মত করেই দায়িত্ব পালন করেন, হোক সেটা বলিউড
কিংবা নিজের পারিবারিক স্থান থেকে। কারিনা দুই সন্তানের মা, ঘর-সংসার এবং কাজ সবই সমান
তালে চালাচ্ছেন। এবার আরও বড় এক দায়িত্ব পেলেন তিনি। ইউনিসেফের রাষ্ট্রদূত হিসেবে
মনোনীত হয়েছেন বলিউডের সুপারস্টার কাপুরকন্যা।
শনিবার (৪ মে) নিজেই ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে এ খবর জানান কাপুরকন্যা। তিনি
লেখেন, আমার জন্য খুব আবেগের একটা দিন। UNICEF-এর রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পেয়ে আমি ধন্য়।
ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত দশ বছর ধরে
ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছেন কারিনা কাপুর। শুরুটা হয়েছিল সেই ২০১৪ সালে সেলেব্রিটি অ্যাডভোকেট
হিসেবে। এবার সেই পদ থেকেই উত্তরণ হয়ে সরাসরি ইউনিসেফ-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের
দায়িত্ব পেলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে কারিনা বলেন, গত দশ বছর ধরে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছি। গত বছরগুলোতে দেশের শিশু এবং নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য আমাদের টিম যে কাজগুলো করেছে, তাতে আমি সত্যিই গর্বিত। আমি প্রতিদিন অনুপ্রেরণা পাই সেগুলো থেকে। আশা রাখি ভবিষ্যতেও এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করে যাব।
ইউনিসেফ রাষ্ট্রদূত কারিনা কাপুর বলিউড
মন্তব্য করুন
দক্ষিণী সিনেমার রকিং স্টার যশের সিনেমা পুরো বিশ্বে ব্যাবসায় রেকর্ড
গড়েছে। ‘কেজিএফ’ ও ‘কেজিএফ ২’ এর পর গীতু মোহনদাসের ‘টক্সিক’ ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ
হয়েছেন যশ।
জানা যায়, ‘টক্সিক’ এই সিনেমায় যশের বোনের চরিত্রে দেখা যাবে কারিনা
কাপুরকে। এমনকী, ‘ক্রু’ ছবির প্রচার চলাকালীন পরোক্ষভাবে সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বলিউড
বেবো নিজেই। কিন্তু সে আশা যেন উড়ে গেল কাপুরের মতো। সম্ভাবনার বাস্তব রূপ আর দেখতে
পাবেন না দর্শক।
ড্রাগ মাফিয়াদের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হবে এই সিনেমাটি। স্বাভাবিকভাবেই
‘কেজিএফ’ খ্যাত যশকে নিয়ে উন্মাদনা দর্শকমহলে। সম্প্রতি একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে এই
সিনেমার নির্মাতার তরফ থেকে। দর্শকের মধ্যে উত্তেজনা দেখে টিম টক্সিক খুবই আনন্দিত।
তবে সিনেমাটি নিয়ে কোনো মিথ্যে তথ্য ছড়াতে বারণ করেছেন নির্মাতা।
এদিকে সিনেমার জন্য চলছে জোরদার প্রস্তুতি। ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিনেতাদের বাছাই করা হয়েছে। কিন্তু যশের বিপরীতে কে অভিনয় করবেন
তা নিয়ে শুধু নির্মাতা নয়, যশ-প্রেমীরাও ছিলেন বেশ চিন্তিত। অবশেষে যশের নায়িকা হিসাবে
কিয়ারা আদভানি চূড়ান্ত করা হয়েছে। নির্মাতা মনে করছেন, যাদের কাস্ট করা হয়েছে তারা
শতভাগ উপযুক্ত।
অন্যদিকে ধোঁয়াশা রেখেই সিনেমাটি থেকে সরে গেলেন কারিনা। জানা যায়,
তারিখ নিয়ে সমস্যার কারণেই অভিনেত্রীর এমন সিদ্ধান্ত। নির্মাতার তরফেও তারিখ বদল করার
কোনও সম্ভাবনা নেই। স্বভাবতই ঘটনাটি নিয়ে কিছুটা হতাশ বেবোর অনুরাগীরা। তার পরিবর্তে
কাকে কাস্ট করা হবে সে অপেক্ষায় সিনেপ্রেমীরা।
যশ কারিনা কাপুর বলিউড দক্ষিণী সিনেমা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় মার্কিন অভিনেতা
ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ব্র্যাড পিটকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান।
নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও জনপ্রিয়তার শিখরে তিনি।
বলিউড বাদশাহ তখন বার্লিনে, সিনেমার শুটিং চলছে পুরোদমে। সেই সময়
শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ইউরোপ থেকে কাতারে কাতারে মানুষ এসেছেন, প্রিয় নায়ককে এক
পলক দেখার আশায়। শুটিংয়ের জন্য ১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ব্যারিকেডের
বাইরে পোস্টার হাতে অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানান অনুরাগীরা। অভিনেতাও প্রায় এক ঘণ্টা সময়
দিয়েছিলেন তাদের। শাহরুখের নজিরবিহীন স্টারডম!
সহ-অভিনেতা আলি খান ছিলেন শুটিং ফ্লোরে। তার কথায়, ‘আমরা বার্লিনে
যে হোটেলে ছিলাম, কিছু দিন আগে ব্র্যাড পিট এবং কুয়েন্টিন ট্যারেন্টিনো সেই হোটেলেই
ছিলেন। বার্লিনে তাদেরও একটি সিনেমার শুটিং চলছিল সেই সময়। তাদের ইউনিটের সদস্যরাই
আমাদের সিনেমাতে ছিলেন। তাদের মুখে শুনলাম, শাহরুখের জন্মদিনে এত মানুষ ঢল, এর আগে
কোনও শুটিংয়ে এত ভিড় দেখা যায়নি। এমনকি ব্র্যাড পিট যখন ছিলেন তখনও এত মানুষের দেখা
মেলেনি।
‘অ্যা মাইটি হার্ট’ সিনেমাতে অ্যাঞ্জেলিনার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন
আলি খান। প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানও ছিলেন সেই সিনেমায়। সেই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন
ব্র্যাড পিট। মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে আলি বলেন, ‘সিনেমার সেটের বাইরে অ্যাঞ্জেলিনা একেবারেই সাধারণ মানুষের মতো। আমি, আমার স্ত্রী আর অ্যাঞ্জেলিনা অনেক গল্প করলাম পার্টিতে। বিশেষত আমার স্ত্রীর সঙ্গে সন্তানের পরিচর্যা, তাদের খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় কথা বলেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা।’
ব্র্যাড পিট জনপ্রিয়তা শাহরুখ খান বলিউড
মন্তব্য করুন
বলিউডে জনপ্রিয় অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। প্রায় দু'দশক ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকে বলিউড ইন্ড্রাষ্ট্রিতে রাজত্ব করে যাচ্ছেন তিনি। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। অবিনেত্রী নিজের মত করেই দায়িত্ব পালন করেন, হোক সেটা বলিউড কিংবা নিজের পারিবারিক স্থান থেকে। কারিনা দুই সন্তানের মা, ঘর-সংসার এবং কাজ সবই সমান তালে চালাচ্ছেন। এবার আরও বড় এক দায়িত্ব পেলেন তিনি। ইউনিসেফের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বলিউডের সুপারস্টার কাপুরকন্যা।