কালার ইনসাইড

ওটিটি প্ল্যাটফর্মঃ বৈশ্বিক বিনোদন বাজার (পর্ব–১)

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:১০ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

চলুন একটা হিসেবের গল্প করে ফেলি! কল্পনা করি নিশ্চিন্তপুর নামক একটি অঞ্চলে ২০ ঘর বাসিন্দার বসবাস। তাদের আছে আলাদা রূপ, আলাদা সংস্কৃতি আর আলাদা ভাষা। তারা একদা চিন্তা করলো তারা তাদের ওই অঞ্চলের গল্প নিয়ে একটি সিনেমা বানাবে। সেই সিনেমা বানাবার পর ওই অঞ্চলের মধ্যে একমাত্র বিনোদনের স্থান সিনেমা হলটিতে তারা সেই সিনেমা মুক্তি দিয়ে সবাই মিলে দেখবে। যেই কথা সেই কাজ, ওই অঞ্চলের সংস্কৃতি আর অসাধারণ গল্পের মিশ্রণে তৈরী হলো সিনেমার গল্প। পরিকল্পনা মতো শুটিং শেষ করা হলো। সিনেমার নির্মাতা একটি নির্দিষ্ট দিনে ওই অঞ্চলের সবাইকে দাওয়াত করলেন সিনেমা দেখতে। অবশেষে নির্মাতার ঘোষিত দিন তারিখে মুক্তি পেল অসাধারণ সেই সিনেমাটি। অসাধারণ গল্প আর নির্মাতার মুন্সিয়ানায় সিনেমা দেখতে আসা দর্শকেরা খুবই খুশী।

এবার হিসাবের খাতা খুলে বসলেন সিনেমার নির্মাতা, তার ইচ্ছা ছিলো ওই অঞ্ছলের বাসিন্দাদের সিনেমা দেখানোর বিনিময়ে উপার্জিত অর্থ দিয়েই সিনেমা নির্মাণের খরচ উঠিয়ে আনার। তার হিসাব অনুযায়ী যতজন লোক সিনেমা দেখতে আসার কথা সেই হিসাব মিলছিলো না, কারণ অনেকের ব্যস্ততা বা অন্য কাজ থাকায় আসতে পারেননি নির্মাতার অসাধারণ সিনেমাটি দেখতে। অন্যদিকে সিনেমার শো থেকে বঞ্চিত হওয়া দর্শকদেরও আফসোস থেকে গেলো সিনেমাটি না দেখতে পেরে। ফলস্বরূপ অনেক মানুষ বঞ্চিত হলেন অসাধারণ সিনেমাটি দেখা থেকে আর সেই নির্মাতা বঞ্চিত হলেন তার লগ্নি করা টাকা উঠে আসা থেকেও।

একজন সিনেমা প্রডিউসার সিনেমার পেছনে টাকা লগ্নি করার পেছনে বেশ কয়েকটি কারনের মধ্যে প্রধান দুটি কারণ হচ্ছে একটি ভালো সিনেমা নির্মাণ করার পরে সেই সিনেমাটিকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া এবং সেটি থেকে টাকা উপার্জন করা। সেই কারণেই একজন সিনেমা নির্মাতা বা একজন সিনেমার প্রডিউসার এর প্রথম ভাবনা থাকে তার নির্মিত সিনেমাটি কোথায় কিভাবে মুক্তি দিবেন এবং সেটি থেকে লভ্যাংশ ঘরে তুলবেন।

ধরুন একটা দেশে মোট ১২০০ সিনেমা হল আছে, এখন যদি সিনেমার বাজেট এমন হয় যে একজন প্রডিউসার যে টাকা লগ্নি করলেন ১২০০ সিনেমা হলে রিলিজের পরেও লাভের মুখ দেখা সম্ভব নয় তখন অবশ্যই তাকে বিকল্প চিন্তা করতে হবে। একজন লগ্নিকারক তখনই বড় বাজেটের সিনেমায় টাকা ঢালতে পারবেন যখন সিনেমার বাজার বড় হবে। আর সিনেমার বাজার তখনই খুব বড় হবে যখন আপনি গোটা বিশ্ববাজারকেই আপনার বাজার হিসাবে বিবেচনায় নেবার মতো সক্ষমতা রাখবেন। এবার আসি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের গল্পে! ওটিটি হচ্ছে ওভার দ্যা টপ শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ।

বর্তমান বিনোদন দুনিয়ায় একটি পরিচিত ও একইসাথে আলোচিত শব্দ। ওটিটির আলোচনার আগে আরেকটি আলোচনা করে আসি চলুন। সভ্যতার বিবর্তনের সাথে সাথে দেশে দেশে বদলেছে অনেক কিছুই। নব্বই পরবর্তী সময়ে বৈশ্বিক শব্দটির প্রচলন হতে শুরু করে বেশ। মুক্ত বাজার অর্থনীতি আর সংস্কৃতির বাউন্ডারি টপকানোর সাহস আর উৎসাহ জুগিয়েছিলো রাষ্ট্রই। সেই প্রেক্ষাপট থেকেই বিশ্ব সিনেমা আর বিনোদন বাজার গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিলো দেশে দেশে। ওই সময়টা থেকেই সিনেমা হয়ে উঠতে শুরু করেছিলো শক্তিশালী রাজনৈতিক অস্ত্রেও। হলিউড, বলিউড, রাশিয়া, কোরিয়ান কিংবা চাইনিজ সিনেমা শুধুমাত্র নিজের দেশের মধ্যে আবদ্ধ না থেকে বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে পড়ার প্রয়োজন বোধ করলো। কেবল সংযোগের সময়ে গণ্ডী পার হলেও মানুষের আলাদা আলাদা রুচির জন্য আলাদা আলাদা কন্টেন্ট এর চাহিদা তখনো পূরণ হচ্ছিলো না।

এরপর ইন্টারনেট যুগের আগমনে সেই পালে হাওয়া লাগলো ভালোভাবেই। বর্তমানে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বলতে গেলে বিশ্ব বিনোদনের বড় বাজারটি আপনার হাতের মুঠোকেই বোঝায়, যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের বিভিন্ন ঘরানার সিনেমা বা যে কোনো ধরণের বিনোদন উপভোগ করতে পারছেন নির্দিষ্ট পরিমাণ সাবস্ক্রিপশন ফি এর বিনিময়ে। এতে দৃশ্যমান দুটি লাভ হচ্ছে।

প্রথমত আপনি আমি চাইলেই আজ বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের যে কোনো বিনোদন উপভোগ করতে পারছি, দ্বিতীয়ত বাজার বড় হওয়ার কারণে বিনিয়োগকারী বাজেট বাড়িয়ে মানসম্পন্ন কন্টেন্ট আমাদের সামনে নিয়ে আসতে পারছেন। সময়ের বিবর্তনে মানুষের রুচি পাল্টেছে, সেই সাথে পাল্টেছে বিনোদনের ধরন ও প্রকৃতি। ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো যেহেতু সম্পূর্ণই দর্শকের প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভর করে তাদের অনুষ্ঠান বানায় তাই আপনি আমি এখানে নিশ্চিত থাকতে পারছি কন্টেন্টের গুণ ও মান নিয়ে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমরা দেশ ও ভাষার গণ্ডী পেরিয়ে অন্যান্য দেশের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি সম্পর্কেও জানতে পারছি।

ওটিটি প্ল্যাটফর্মের আরেকটি দিক হচ্ছে এখানে যেহেতু বড় বড় ইনভেস্ট এর বিষয়টি এখানে জড়িত তাই শতভাগ কর্পোরেট নিয়ন্ত্রিত মাধ্যম হওয়াতে এগ্রেসিভ মার্কেটিং এর গুণে কন্টেন্টটি আমার আপনার কাছে সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে ওটিটি দুনিয়ার সবথেকে জনপ্রিয় ও দর্শকপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম “নেটফ্লিক্স”। নেটফ্লিক্সের এতো জনপ্রিয়তার পেছনে অনেকগুলো কারনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে এর সম্প্রসারিত রুপ।

এখানে আপনি চাইলেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৪০০০ টি সিনেমা, বিভিন্ন দেশে প্রায় ২০০০ টি টিভি শো এর ৪৭ হাজারের বেশি পর্ব এবং তাদের নিজস্ব অরিজিনাল সিরিজ দেখতে পারবেন। যেখানে নেটফ্লিক্স এর নিজস্ব অরিজিনাল সিরিজগুলোও বিভিন্ন দেশে তাদের স্থানীয় অভিনয় শিল্পী দ্বারাই নির্মিত। বর্তমানে শুধুমাত্র ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সের গ্রাহক সংখ্যাই ১৮৩ মিলিয়নের বেশি। বর্তমানে ১৩০ টির অধিক দেশে নেটফ্লিক্স ওটিটি সেবার মাধ্যমে বিনোদনের ব্যবস্থা করেছে। বড় আকারের দর্শক থাকায় দর্শক এবং নেটফ্লিক্স উভয় পক্ষই লাভবান হচ্ছে। এমনকি বাংলাদশি কয়েকটি মানসম্পন্ন কন্টেন্ট এখন দেখা যায় নেটফ্লিক্সে।

আমাদের দেশেও ওটিটি মাধ্যম বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম, হটস্টার, হৈচৈ, জি ফাইভ, বঙ্গবিডি, সিনেস্পট, আইফ্লিক্স, বাংলা ফ্লিক্স, বায়োস্কোপ, বিঞ্জি সহ আরো বেশ কিছু ওটিটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমাদের দেশের দর্শকের কাছে বিশ্ব বিনোদনের নানান রকম কন্টেন্ট পৌঁছে যাচ্ছে। দিন দিন প্রতিযোগিতা বেড়েই চলেছে এসব ওটিটি মাধ্যমগুলোর মধ্যে। যার ফলে একদিকে যেমন বৈশ্বিক বিনোদনের স্বাদ নিতে পারছে দর্শক অন্যদিকে বাড়ছে দেশীয় কন্টেন্ট এ বৈশ্বিক মান বজায় রাখার চাপ।

(চলবে)……



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

নেটিজেনদের মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন স্বস্তিকা

প্রকাশ: ০৯:২১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। জীবনটা নিজের শর্তে উপভোগ করেন এই অভিনেত্রী। ঠোঁটকাটা স্বভাব, সমাজের বাঁকা দৃষ্টিকে পাত্তা না দেওয়ায় বছর জুড়েই আলোচনায় থাকেন। আবার সমকালীন বিষয় নিয়ে কথা বলেও বহুবার সমালোচিত হয়েছেন স্বস্তিকা।

জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। গেল এপ্রিল থেকেই এখানে প্রচণ্ড দাবদাহ দেখা যাচ্ছে। শুধু এপার বাংলা নয়, ওপার বাংলার মানুষও হাঁসফাঁস করছেন তীব্র দাবদাহে।

পরিবেশ বাঁচাতে বিজ্ঞানীরা যেমন গাছ লাগানোর কথা বলছেন, তেমনি তারকাদের মধ্যেও অনেকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু এ প্রসঙ্গে কথা বলে নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন স্বস্তিকা। তবে তিনিও কম যান না। রীতিমতো নেটিজেনদের এক হাত নিলেন তিনি।

বুধবার (১ মে) নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন স্বস্তিকা। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আরও গাছ কাটো/ আরও পুকুর বোজাও/ কংক্রিটের জঙ্গলে বাস করবে মানুষের লাশ।’

আর এতেই খেপে গিয়ে স্বস্তিকার দিকে প্রশ্নের তীর ছোড়া শুরু করেন তারা। সুপ্রিয়া নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনি থাকেন কোথায়? কয়টা গাছ লাগিয়েছেন এই পর্যন্ত? ফ্ল্যাট কেনা নেই তো একটাও?’

প্রশ্নগুলো দেখে থেমে থাকেননি স্বস্তিকাও। সুপ্রিয়ার সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী লেখেন, ‘হ্যাঁ, গাছ লাগিয়েছি। আমাদের বাড়ির গলিতে যত গাছ আছে সবগুলো আমি এবং আমার বাবা দুজনে মিলে লাগিয়েছি। আর আমার ফ্ল্যাট কেনা নেই। আমি আমার বাবার বাড়িতে থাকি। আর মুম্বাইতে থাকি ভাড়া বাসায়।

জবাবে অভিনেত্রী আরও লেখেন, ফেসবুকে এসে কাউকে আক্রমণ করার আগে চেক করে নিবেন আমার কয়টা ফ্ল্যাট আছে। আর গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের দায় আমাদের সবার। আমাকে তীর ছুড়ে প্রকৃতির কোনো সুরাহা হবে না।

অন্যদিকে সায়ন্তন ঘোষ লেখেন, ‘দিদি ভাই কংক্রিটের ফ্ল্যাটে বসে এবং এসিতে বসে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।’ এই মন্তব্যেরও কড়া জবাব দিয়েছেন স্বস্তিকা। তিনি লেখেন, ফুটপাতে বসে স্ট্যাটাস দিতে পারব না দাদা। আমি গত ৪ দিন ধরে রাস্তায় কাজ করছি। পোর্টবেল এসি তো পাওয়া যায় না, পাওয়া গেলে না হয় সঙ্গে নিয়ে আসতাম।

আরেক নেটিজেন লিখেছেন, ‘এসি ঘরে বসে জ্ঞান দিচ্ছেন।’ এর জবাবে স্বস্তিকা লেখেন, ‘কী করে জানলেন আমি এসি ঘরে বসে জ্ঞান দিচ্ছি?’

এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে স্বস্তিকার কমেন্টসবক্সে। আর কেউ কেউ তো আবার স্বস্তিকার বাসার ছবিই চেয়ে বসেছেন। তারা আসলে দেখতে চান স্বস্তিকা এসি ঘরে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন কিনা। মূলত এসব বিষয় নিয়ে জোর চর্চা চলছে নেটদুনিয়ায়।

স্বস্তিকা মুখার্জি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। নিজের অভিনয়গুণে খুব অল্প সময়েই দর্শকদের নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। তবে জানেন কি? অভিনেত্রী নয় সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা।

জানা গেছে, সবসময়ই একজন সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন অনুশকা। কিন্তু ভাগ্যের টানে হয়ে গেলেন অভিনেত্রী। সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করার বদলে নিজেই একজন পেজ থ্রির নিউজে থাকেন। আর অভিনেত্রীর এই সফরটাই তখন শুরু হয় যখন ফ্যাশন ডিজাইনার ভেন্ট্রেল রড্রিকস তাকে একটি শপিং মলে দেখেন।

আনুশকাকে সেখানে দেখার পর একটি ফ্যাশন শোতে হাঁটার জন্য বলেন ভেন্ট্রেল রড্রিকস। সেই থেকে শুরু হলো আনুশকার শোবিজে পথ চলা। প্রথমে মডেলিং, পরে সেখান থেকে বলিউড যাত্রা।

২০০৮ সালে ‘রাব নে বানা দি জোড়ি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় আনুশকার। আর ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমাতেই শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। এরপর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালে ক্রিকেটার বিরাট কোহলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন আনুশকা। তাদের সংসারে রয়েছে দুটি সন্তান। মেয়ে ভামিকা এবং ছেলে অকায়। বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই দিন পার করছেন এই অভিনেত্রী।

বলিউড   আনুশকা শর্মা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সালমান খানের বাড়িতে হামলায় অভিযুক্তদের রহস্যময় মৃত্যু

প্রকাশ: ০১:৪৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায় বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।

সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।

গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।


সালমান খান   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মধ্যরাতে ফেসবুকে তানজিন তিশার রহস্য ঘেরা পোস্ট

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যরাতে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেওয়া বা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোটা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে দেশের বিনোদন অঙ্গনের তারকাদের। এর আগে পরীমণি, মাহিয়া মাহিকে মাঝরাতে এরকম করতে দেখা গেছে। এবার তালিকায় নাম উঠল তানজিন তিশার। দুপুর রাতে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দিলেন কড়া হুঁশিয়ারি। 

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে তিশা নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি চাইলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন অপরাধীর গল্প শেয়ার করতে পারি। সেই সাহস এবং প্রমাণ আমার আছে।’ 

এরপর অভিনেত্রী লেখেন, ‘মনে রেখো আমি তোমার খারাপ কাজের জন্য তোমাকে সবার সামনে রক্ষা করেছি। বিখ্যাত অভিনেতা হওয়ার আগে একজন ভালো ও বিশ্বস্ত মানুষ হওয়া খুব প্রয়োজন।’

তিশার এমন উত্তপ্ত পোস্ট দেখে নড়েচড়ে বসেন নেটিজেনরা। কাকে এমন হুমকি দিলেন নায়িকা এমনটা যখন ভাবছিলেন অনেকে তখন দেখা যায় ওই পোস্টটি আর নেই। নিজের ফেসবুক থেকে মুছে দিয়েছেন তিনি।

এর আগে মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় তুলকালাম বাঁধিয়েছিলেন তিশা। পরে মিটেও যায় তা। অনেকের ধারণা ফের হয়তো তাকে ঘিরেই রাত দুপুরে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে রাতের আঁধারেই পোস্ট মুছে দিয়ে বিরত রইলেন অপরাধীর গল্প বলা থেকে। 

বলে রাখা ভালো, মাঝে এই প্রেমজনিত কারণেই ঢাকা মেডিকেলেও ভর্তি হতে হয়েছিল মধ্যরাতে। জানা গেছে, সেই যাত্রায় তিনি আত্মহননের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তখনও উঠে আসে সহশিল্পী মুশফিক আর ফারহানের নাম।

তানজিন তিশা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ২০১৭ সালে মায়ের ইচ্ছায় অভিনয়ে নাম লেখান। তারপর অংসখ্য নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী।

গত ঈদুল ফিতরে গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তাসনিয়া ফারিণ। ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামের গানটি দ্বৈতভাবে কণ্ঠে তুলেন তাহসান খান ও ফারিণ। গানটি ‘ইত্যাদি’-তে প্রচারের পর গত ১৬ এপ্রিল ইউটিউবে মুক্তি পায়। তারপর গানটি যেন লুফে নেন শ্রোতারা।

এখন পর্যন্ত গানটির মোট ভিউ দাঁড়িয়েছে ৯৫ লাখ ৭২ হাজারের বেশি। দর্শক-শ্রোতারা গানটির ভূয়সী প্রশংসা করছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশ অংশে (মিউজিক) ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছে গানটি।

বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত উপস্থাপক হানিফ সংকেত। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, “প্রিয় দর্শক, ঈদ উপলক্ষে ঈদের বিশেষ ইত্যাদিতে প্রচারিত সবগুলো গানই আপনারা পছন্দ করেছেন জেনে আমরা আনন্দিত। গানটির মধ্যে শিল্পী তাহসান ও তাসনিয়া ফারিণের গাওয়া ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ গানটি আপনাদের বিচারে সেরা গান নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে মিউজিক বিভাগে এক নম্বর স্থানে উঠে আসে, যা এখনো অটুট আছে।”

গায়িকা হিসেবে ফারিণকে দর্শক এখন চিনলেও অনেক আগে থেকেই গানের চর্চা করেন তিনি। এ বিষয়ে ফারিণ বলেন, ‘আমি কিন্তু নায়িকার আগে গায়িকা। যশোর থেকে ঢাকায় এসেও গানের চর্চা করেছি। দিনের পর দিন গান শিখেছি। জাতীয়, বিভাগীয় পর্যায়ে গান করেছি। গান গেয়ে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু অভিনয়ের কারণে গানের প্রতিভা এতদিন কেউ জানতে পারেনি।’

‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামে গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল।

তাসনিয়া ফারিণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন