কালার ইনসাইড

ঊনপঞ্চাশ বাতাস : আমাদের নগ্ন পশ্চাৎদেশীয় সিনেমা ডিস্ট্রিবিউশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০২০


Thumbnail

আপনার কি মনে আছে শেষ কবে এদেশের প্রায় সব শ্রেনীর দর্শক সিনেমা উন্মাদনায় মেতেছিলো? অথবা শেষ কবে একটা দেশীয় মানসম্পন্ন সিনেমা নিয়ে সিনেমা হলের গলি থেকে রাস্তার ধারের গলির মোড়ের টং দোকানের প্রজন্ম মেতেছিলো সিনেমা আলোচনায়! হয়তো পেয়ে যাবেন দুই তিনটি সিনেমার খুব ছোট একটা নামের লিস্ট।

হ্যা আপনার মাথায় হয়তো চলে আসবে “আয়নাবাজী”, “ঢাকা অ্যাটাক”, “দহন”, “ডুব” কিংবা “দেবী” সিনেমাগুলোর নাম। কিন্তু কখনো কি আপনার ভাবনায় এসেছে এসব আলোচিত সিনেমাগুলোর প্রয়োজক বা লগ্নীকারী কতোটা লাভের মুখ দেখেছিলেন অথবা কেনো বছরের পর পছর পেরিয়ে গেলেও দর্শকের চোখে সফল সিনেমাগুলোর পরিচালকদের পরবর্তী সিনেমা কেন আসছে না।

একটা সময় বাংলা সিনেমার জন্য স্বর্ণযুগ ছিলো। সারাদেশব্যাপী ছিলো প্রায় ১২০০ এর অধিক সিনেমাহল। সারাবছর প্রচুর মানসম্পন্ন সিনেমা নির্মাণের পাশাপাশি সিনেমা হল মালিকেরাও ছিলেন লাভবান। প্রায় দুই তিন দশক আগেও বাংলা সিনেমাতে ছিলোনা বুকিং এজেন্ট নামক টার্মটি। সেই সময়টাতে প্রায় প্রতিটি হল মালিকের সাথে পেশাদার প্রয়োজক, পরিচালক, নায়ক-নায়িকাদের ছিলো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। পরবর্তী সময়ে ওই সকল হল মালিকদের পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিনিধিরা হয়তো সেই সুসম্পর্ক ধরে রাখা বা টেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই উদাসীন ছিলেন। এ সময়টায় অনেক হল মালিক তার হলটি পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন তার কর্মচারী বা তৃতীয় কোনো পক্ষকে। এদের হাত ধরেই জন্ম হয় বাংলা সিনেমার দালাল চক্র বা বুকিং এজেন্ট নানধারী কিছু মুখোশ মানুষের। বুকিং এজেন্ট নামধারী এসব দালাল চক্রের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে বিশেষ বিশেষ নায়ক নায়িকা এবং পরিচালকদের। সুবিধা হিসাবে বুকিং এজেন্টরা ওই তারকা বা পরিচালকের সিনেমা ছাড়া নতুন কোনো মুখ বা পরিচালকের সিনেমাকে হলে প্রদর্শনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ বাঁধা দিতে থাকেন। জিম্মি হয়ে পড়ে এদেশীয় সিনেমা। ফলাফলে একটি ভালো গল্প বা নতুন কোনো অসাধারণ অভিনেতার অভিনীত সিনেমা খেতাব পেতে শুরু করে ফ্লপ কিংবা লোকসান ট্যাগের।

বর্তমান বাংলা চলচ্চিত্রের ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমে ই-টিকেটিং না থাকায় কোনো সিনেমা দর্শক টানলেও সেই সিনেমার প্রযোজক সঠিকভাবে জানেন না মুক্তি পাওয়া হলগুলো থেকে একটি নির্দিষ্ট সিনেমা হলে কোনো একটি শো তে কতজন দর্শক টিকেট কেটে তার সিনেমাটি দেখেছে। ঢাকার বাইরের সিনেমা হলগুলোতে যদি ফিফটি ফিফটি শেয়ারে একজন হল মালিকের কাছে কোনো সিনেমা ভাড়া দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে যে টাকায় ভাড়া দেওয়া হয়েছিলো তার থেকে যদি  সিনেমার টিকেট থেকে আরো বেশি আয় হয় সেটির অর্ধেক পাবার কথা প্রয়োজকের। কিন্তু এই জায়গাটিতে বুকিং এজেন্ট, পরিবেশন সংস্থার ম্যানেজার এবং হল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কারসাজিতে সিনেমাটির সেল অর্ধেক দেখান। প্রয়োজক এখানে থেকে যায় অন্ধকারে, কারণ ই-টিকেটিং না থাকায় এবং টিকেট বিক্রির সঠিক হিসাবের জন্য হল রিপ্রেজেন্টেটিভ এর উপর নির্ভর করায় তিনি তার সিনেমার দর্শকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টাকার সঠিক হিসাব পাচ্ছেন না। যদি একটি সিনেমার একদিনের আয় হয় ৭০ হাজার টাকা হল মালিকের যোগসাজশেই সেটি কমিয়ে জানানো হয় ৩০ হাজার টাকা। এখানে দালাল শ্রেনী মাত্র ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা লাভের আশায় সেল দেখাবেন অর্ধেক। প্রয়োজক খালি চোখে যদিওবা দেখেন তার সিনেমা হাউজফুল কিন্তু হিসাবের খাতায় তিনি শূন্য। অবাক করার বিষয় হচ্ছে সিনেমা হলগুলোর বেশিরভাগেই প্রজেক্টর খরচের টাকাটিও দিতে হয় সিনেমার প্রযোজককে, সেই সাথে যোগ হয় আরো অনেক অজ্ঞাত খরচের হিসাব।

ঢাকার বাইরের জেলা শহরের সিনেমা হলগুলোতে আবার আরো এক ধরণের হিসাবও চলমান আছে। এখানে ১০০ টাকা টিকেটের একটি সিনেমা থেকে লভ্যাংশ থেকে প্রয়োজক পান ১৬ টাকার মতো। উপজেলা পর্যায়ের সিনেমা হলগুলোতে এই সংখ্যা আরো কম (৫০ টাকার টিকেটে অনধিক ৮-৯ টাকা)। এখন দেশীয় সিনেমার বেহাল দশার জন্য যদি ভালো গল্প আর ভালো নির্মানকে দায়ী করে থাকেন তাহলে পকেটের টাকা লগ্নী করে ভালো সিনেমা বানিয়ে লোকসান দেবার মতো দাতা হাতেম নিশ্চয়ই কেউ নন। হিসাব হয়তো এবার কিছুটা মিলছে প্রথমেই করা প্রশ্নগুলোর!

বাংলাদেশে স্মার্ট আর সকল রকমের সুবিধা সম্পন্ন মাল্টিপ্লেক্স আছে স্টার সিনেপ্লেক্স এবং যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার। বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে টিকেট প্রতি প্রয়োজক পেয়ে থাকেন ৯০ টাকার মতো। এসব মাল্টিপ্লেক্স রয়েছে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ই-টিকেটিং ব্যবস্থা এবং দর্শকদের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ।  

করোনা চলাকালীন সময়ে বন্ধ ছিলো দেশের সবগুলো সিনেমা হল। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থেকে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ১৬ অক্টোবর খুলে দেওয়া হয়েছে দেশের সিনেমা হলগুলো। সরকার সিনেমা হলগুলো রক্ষায় প্রণোদনা হিসাবে বরাদ্দ করেছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই বিশাল পরিমাণ বরাদ্দ থেকে আদৌ কি বাংলা সিনেমার কোনো রকমের উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে? সিনেমা হলগুলোর সংস্কার আর বাঁচিয়ে রাখতে দেয়া প্রণোদনার টাকাগুলো হয়তো হল মালিকেরা ঠিকই নেবেন কিন্তু হবেনা সিনেমা হলের কোনো রকমের উন্নতি। হয়তো পরিবর্তিত হবে না মান্ধাতার আমলের টিকেটিং ব্যাবস্থারও। ধীরে ধীরে লোকসানের পড়ে লোকসান গুণতে থাকা প্রযোজকেরা মুখ ফিরিয়ে নেবেন বাংলা সিনেমা থেকে।

এই ১ হাজার কোটি টাকা থেকে কিছু পরিমাণ টাকার বিনিময়ে জেলা শহরগুলোর সরকারী খাস জমিতে যদি করা হয় মাল্টিপ্লেক্স এবং যদি থাকে স্বচ্ছ বিপনন ব্যাবস্থার সাথে সাথে সঠিক ই-টিকেটিং তাহলেই সম্ভব বছরে অনেক অনেক ভালো সিনেমা নির্মাণ এবং তাহলেই হয়তো সম্ভব হবে প্রযোজকের লগ্নী করা টাকা লাভ সহ তার পকেটে পৌঁছে দেওয়া।

নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল দর্শকের কাছে আগে থেকেই সুপরিচিত তার বৈচিত্রময় গল্প এবং স্মার্ট নির্মাণের কারণে। প্রথবারের মতো সিনেমা হলে দর্শক দেখতে চলেছে তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা “ঊনপঞ্চাশ বাতাস”। ২৩ অক্টোবর মুক্তি পেতে যাওয়া মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের সিনেমাটি দর্শক দেখতে পাবে স্টার সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখায়। কারণ নিজের কাছে সৎ থাকা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল হয়তো চাননি তার প্রথম সন্তানটিকে নিয়ে টানা হেচড়া হোক এই নষ্ট ডিস্ট্রিবিউশনের। তিনি হয়তো চাননি তার প্রথম সন্তানের সাফল্যের মুকুট লুকিয়ে ফেলুক বুকিং এজেন্ট,হল রিপ্রেজেন্টেটিভ নামধারী কিছু মুখোশ মানুষ। যার ফলে একদিকে যেমন সারা দেশের দর্শকেরা বঞ্চিত হচ্ছে এবং সুন্দর গল্পের এবং শক্তিশালী নির্মাণ নিজের চোখে নিজের সিনেমা হলে দেখতে, ঠিক তেমনি নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল বঞ্চিত হচ্ছেন তার প্রথম সিনেমাটি সারাদেশের মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া থেকে। 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী

প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড অভিনেত্রী রাগিনি খান্না। তার আরেক পরিচয় তিনি বরেণ্য অভিনেতা গোবিন্দর ভাগনি। কয়েক দিন আগে এ অভিনেত্রী ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে হইচই ফেলে দেন। কিন্তু এ ঘোষণা দেওয়ার একদিন পরই নিজ ধর্মে ফেরার কথা জানান এই অভিনেত্রী।

কয়েক দিন আগে রাগিনি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন। তাতে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি ঘোষণা করছি যে, এখন থেকে খ্রিস্টান ধর্মের ঐতিহ্য, রীতিনীতি অনুসরণ করব।

রাগিনি এ ঘোষণা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্ষমা চান। এতে তিনি বলেন, আমি রাগিনি খান্না। আমার পূর্বের রিলস ভিডিওর জন্য ক্ষমা চাইছি। যাতে আমি খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণের কথা জানিয়েছিলাম। আমি পুনরায় আমার শিকড়ে ফিরে এসেছি। এখন থেকে হিন্দু সনাতন ধর্ম অনুসরণ করব।

রাগিনি খান্না একাধারে মডেল-অভিনেত্রী ও সঞ্চালক। ২০০৮ সালে হিন্দি ভাষার টিভি ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর অনেক সিরিয়ালে কাজ করেছেন।

২০১১ সালে রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার ‘টিন থাই ভাই’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে। পরের বছরই পাঞ্জাবি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন রাগিনি। এরপর আরও বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।

বলিউড   রাগিনি খান্না  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ব্র্যাড পিটকে পেছনে ফেলে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে শাহরুখ খান

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ব্র্যাড পিটকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান। নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও জনপ্রিয়তার শিখরে তিনি।

বলিউড বাদশাহ তখন বার্লিনে, সিনেমার শুটিং চলছে পুরোদমে। সেই সময় শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ইউরোপ থেকে কাতারে কাতারে মানুষ এসেছেন, প্রিয় নায়ককে এক পলক দেখার আশায়। শুটিংয়ের জন্য ১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ব্যারিকেডের বাইরে পোস্টার হাতে অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানান অনুরাগীরা। অভিনেতাও প্রায় এক ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন তাদের। শাহরুখের নজিরবিহীন স্টারডম!

সহ-অভিনেতা আলি খান ছিলেন শুটিং ফ্লোরে। তার কথায়, ‘আমরা বার্লিনে যে হোটেলে ছিলাম, কিছু দিন আগে ব্র্যাড পিট এবং কুয়েন্টিন ট্যারেন্টিনো সেই হোটেলেই ছিলেন। বার্লিনে তাদেরও একটি সিনেমার শুটিং চলছিল সেই সময়। তাদের ইউনিটের সদস্যরাই আমাদের সিনেমাতে ছিলেন। তাদের মুখে শুনলাম, শাহরুখের জন্মদিনে এত মানুষ ঢল, এর আগে কোনও শুটিংয়ে এত ভিড় দেখা যায়নি। এমনকি ব্র্যাড পিট যখন ছিলেন তখনও এত মানুষের দেখা মেলেনি।

‘অ্যা মাইটি হার্ট’ সিনেমাতে অ্যাঞ্জেলিনার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন আলি খান। প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানও ছিলেন সেই সিনেমায়। সেই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন ব্র্যাড পিট। মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়। 

এ প্রসঙ্গে আলি বলেন, ‘সিনেমার সেটের বাইরে অ্যাঞ্জেলিনা একেবারেই সাধারণ মানুষের মতো। আমি, আমার স্ত্রী আর অ্যাঞ্জেলিনা অনেক গল্প করলাম পার্টিতে। বিশেষত আমার স্ত্রীর সঙ্গে সন্তানের পরিচর্যা, তাদের খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় কথা বলেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা।’


ব্র্যাড পিট   জনপ্রিয়তা   শাহরুখ খান   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শাকিব খানের জন্য যে জেলার পাত্রী ঠিক করেছে তার পরিবার

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই সিনেমার কিং খান শাকিবের বিয়ের গুঞ্জন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বুবলী আর অপু বিশ্বাসকে নিয়ে বিরক্ত শাকিব খানের পরিবার। শাকিবকে নিয়ে দুই নায়িকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কথাবার্তা-গল্পগুজব আর নিতে পারছেন না অভিনেতা এবং তার পরিবার। শুধু তাই নয়, শাকিবকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চলছে পাত্রী দেখাও।

অভিনেতার ঘনিষ্ঠজনেরা বলেছেন, ঢাকার পাশের জেলায় পাত্রী দেখছে শাকিবের পরিবার। এবার আর নিজের পছন্দে নয়, পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করবেন অভিনেতা। অতীত ভুলে সংসারী হবেন শাকিব।

আরও পড়ুন:  এবার জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব

আরও পড়ুন: ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান

অর্থাৎ বুবলীর সঙ্গে যদি শাকিবের সত্যি বিয়ে হয়ে থাকে, তাহলে এবার তৃতীয় দফায় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন অভিনেতা। শোনা যাচ্ছে, চিকিৎসক পাত্রী পছন্দ করেছে তাঁর পরিবার।

শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জজেলার একটি মেয়েকে শাকিবের বউ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে তার পরিবার। মেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন। শাকিবেরও ডাক্তার মেয়ে পছন্দ।

একাধিক সূত্রে জানাগেছে, এ পর্যন্ত দুই থেকে তিনজন পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জের চিকিৎসক মেয়েই নাকি এগিয়ে আছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ দিকে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন শাকিব খান। আর এই আয়োজনের পুরো দায়িত্ব নিচ্ছে শাকিবের পরিবার।

শুধু তা–ই নয়, শাকিবকে নিয়ে কেউ কোনো মিথ্যাচার করলেই আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাকিব খানের পরিবার। পাশাপাশি জানা গেছে, শাকিবের বাড়িতে অপু-বুবলীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যদিও জবাবে বুবলী বলেছেন, ছেলে বীরকে একা ছাড়বেন না তিনি। এই কথা প্রসঙ্গে অপুও বলেছেন, ‘তিনি গেলে আমিও যাব।’


শাকিব খান   ঢালিউড   অপু বিশ্বাস   বুবলী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কপিল শর্মার এক পর্বে ৫ কোটি!

প্রকাশ: ১০:৪০ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। 

এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।

শুধু কপিলই নয়, সামনে এসেছে তার সহকর্মী অর্চনা পূরণ সিং এবং সুনীল গ্রোভারের পারিশ্রমিকের কথাও।

ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গ্রোভার প্রতি পর্বের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ও অর্চনা পূরণ সিং নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্রুষ্ণা অভিষেক, কিকু শারদা ও রাজীব ঠাকুর পর্ব প্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ, ৭ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা করে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গত ৩০ মার্চ থেকে নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে এই শোয়ের প্রচার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে মোট পাঁচটি পর্ব।


কপিল শর্মা   নেটফ্লিক্স  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৯:৩৪ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ।

গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।

এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি। বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে খুবই সামান্য টাকা পায়।

এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয় নিয়ে কথা বলব’।

ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব। প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।

চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব দিতে হবে’।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’

এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র আরও এগিয়ে যাবে’।

বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায় না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।

শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।

এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড, গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।

আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন, অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া, আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।

উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়। তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।


‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’   গোলটেবিল বৈঠক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন