নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ২৪ অক্টোবর, ২০২০
“যদি আকাশের গায়ে কান না পাতি, তোমার কথা শুনতে পাবো না”, নির্বাক সিনেমায় অর্ক মুখার্জীর এই গানটায় অদ্ভুত রকমের আচ্ছন্ন করে রাখার মতো একটা ব্যাপার ছিলো। সম্ভবত বাংলাদেশি কোনো সিনেমায় বেজবাবা সুমনের কন্ঠে “প্রথম ঝড়ে পড়া শিউলিটা” কিংবা সৌরিনের কন্ঠে চোখের কোনে জল জমানো “এ শহর জানে আমার সব কিছু” এই গানগুলোর মতো সিনেমা হলে বসে স্ক্রিনপ্লে আর গল্পের উত্তেজনার সাথে পারফেক্ট টাইমিংয়ের গান পায়নি বাংলাদেশের সিনেমাপ্রেমীরা।
হ্যা ! যে গানগুলোর কথা বলছিলাম সেগুলো গত ২৩ অক্টোবর সিনেমা হলে মুক্তি পাওয়া মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের সিনেমা “ঊনপঞ্চাশ বাতাসের”।
আশির দশক আর নব্বইয়ের মাঝামাঝির স্বর্ণযুগ পেছনে ফেলে আসা বাংলা সিনেমার একালে এসে সিনেমা হল বিমুখ দর্শকদের আবার হলে নিয়ে আসার উপলক্ষ হয়েছে খুব কম। এদেশের সিনেমায় শুধুই বিনোদনের নামে বস্তাপচা গল্পে সিনেমা নির্মাণ হয়েছে প্রচুর, পাশাপাশি মাথার উপর দিয়ে যাওয়া বা হাই থট ট্যাগধারী সিনেমাও নির্মিত হয়েছে অনেক।
তবে মাসুদ হাসান উজ্জ্বলকে যারা আগে থেকেই তার কাজের জন্য চিনে থাকেন সেই সকল দর্শক বেশ ভালোভাবেই আশায় বুক বেধেছিলেন তার প্রথম সিনেমা ঊনপঞ্চাশ বাতাস নিয়ে। প্রথম সিনেমার গল্পে তাই বিনোদনের জন্য প্রেম আর সেই প্রেমের ছলেই জীবনবোধের পারফেক্ট মিশ্রণে মাসুদ হাসান উজ্জ্বল বানিয়েছেন “ঊনপঞ্চাশ বাতাস”।
এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অয়ন আর নীরার মোড়কে ছিলেন ইমতিয়াজ বর্ষণ আর শার্লিন ফারজানা।
সত্যিকারের প্রেম করেছেন কখনো ? যদি আপনার এখনও মনে থাকে প্রথম প্রেমের স্মৃতি অথবা খুব ভালোবেসে ফেলা প্রেমিকাকে একদম আপন করে পাবার তীব্র আকুতি যদি কখনো আপনাকে গ্রাস করে থাকে প্রবলভাবে তাহলে আপনার জন্যই “ঊনপঞ্চাশ বাতাস”।
এখনও পর্যন্ত ভালোবাসার সংজ্ঞা কি কেউ দিতে পেরেছে? হয়তো পারেনি, কারণ ভালোবাসার কোনো সংজ্ঞা হয়না, ভালোবাসা ভিন্ন ভিন্ন মানুষের কাছে আলাদা আলাদা অনুভূতি নিয়ে হাজির হয়। ঠিক যেমন নীরার জীবনে প্রেম এসেছিলো কল্পনার ভেলায় চড়ে খুব ভীড়ের মাঝে সদরঘাট, ফার্মগেট বা গুলিস্থানের কোনো এক ব্যস্ত রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে চায়ের কাপে চুমুক দিতে থাকা আয়নকে দেখে। কল্পনায় দেখা সেই ছেলেটাই যখন বাস্তবে এসে ধরা দেয় তখন একজন প্রেমিকার অনুভূতি কেমন হয় সেটি দেখা যাবে অয়ন আর নীরার ভিন্নধর্মী প্রেমের গল্প ঊনপঞ্চাশ বাতাসে।
প্রেম মানেই পাগলামি, আর প্রথম প্রেম হলে সেই পাগলামিটা যে আকাশ ছুঁয়ে ফেলার কথা, ঠিক তেমনটাই হয়েছিলো নীরার জীবনে। নীরার কল্পনার প্রিয়মত মানুষটি বুক পকেটে টোষ্ট বিস্কুট রাখে, হাতের ময়ূরের পাখনার ছোঁয়াতে নীরাকে ছুঁয়ে দেয় আলতো করে। কল্পনাটা বাস্তবে ভর করলে নীরাও ফ্লাস্ক থেকে চা হাতে নিয়ে অয়নের সাথে ভীড় খোঁজে। দস্যি কোনো প্রেমিকার মতো হানা দেয় প্রিয়মতো প্রেমিকের বাড়িতে।
গল্পের নায়ক অয়ন ছেলেটা বেশ মানবিক। অজ্ঞাত বা অপরিচিত কারো জন্য রক্ত সংগ্রহ করতে তার ভালো লাগে। নিজে মেডিকেল সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ হওয়াতে ওষুধের স্যাম্পল তুলে দেয় অসহায় রোগীদের হাতে। সেই অয়নের জীবনে নীরার মতো প্রেমিকা যেন অয়নের জীবনটাই বদলে দেয়। এমন একজন প্রেমিকাই সব ছেলের আরাধ্য থাকে, যে আজকালকার ইন্টারনেট আর অনলাইন নির্ভরতার সময়েও পরিমিত ভালোবাসার সাথে সাথে ইমপ্রেস নামক ইংরেজি টার্মকে সহজ করে অয়নের জীবনে সিনেমা হলের পর্দায় তুলে আনবে অয়নের ছোট্ট বাসার কোনে থাকা বাথরুমটাতে কাপড় ধোবার ছলে।
গল্পকে শুধু গল্পর মতো দেখালে হয়না, ভালো গল্পের সাথে সাথে পরিচালকের দক্ষতার উপরেও চলচ্চিত্রটির সত্যিকারের চলচ্চিত্র হয়ে ওঠা নির্ভর করে। মাসুদ হাসান উজ্জ্বল তার শৈশব থেকে জীবনের প্রতিটি বাকে শিখতে শিখতে বড় হওয়া এবং সিনেমাজ্ঞানে পরিপক্ক হবার এই লম্বা জার্নির পুরোটাই হয়তো ঢেলে দিয়েছিলেন তার নির্মিত ঊনপঞ্চাশ বাতাসে। ছোট ছোট শ্রুতিমধুর ডায়লগেও কিভাবে জীবনবোধ ঢুকিয়ে দেওয়া যায় সেটির একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে “ঊনপঞ্চাশ বাতাস” সিনেমাটি।
সিনেমার শুরুতেই নীরার কন্ঠে একটি ডায়লগ ছিলো “আমি অর্ধেকটা দম নেই বাকীটা একসাথে নেবো বলে”। এই সিনেমার সবচেয়ে মুগ্ধকরা আর সেরা দৃশ্য ছিলো নিঃশ্বাসের বিয়ে দেওয়া। প্রকৃতিকে সাক্ষী নিঃশ্বাসের বিয়ে দিয়ে কয়জন প্রেমিক প্রেমিকাই বাকী জীবনের জন্য একে অন্যকে সপে দিতে পারে। প্রিয়মতো কষ্টে থাকলে প্রেমিকার এমন উতল হয়ে ওঠা কম সিনেমাতেই দেখেছে বাংলা সিনেমার দর্শকেরা, সেটাই নীরা করে দেখিয়েছে অয়নের জন্য।
অন্যের জন্য জীবন উৎসর্গ করা অয়ন সিনেমার শেষভাগেও তার মানবিক আর মূল্যবোধের যায়গা থেকে একচুল সরে দাঁড়াননি। এই কাজটি সম্ভব হয়েছে মাসুদ হাসান উজ্জ্বল পরিচালক হওয়াতেই। কারণ দাস কেবিনের মাসুদ হাসান উজ্জ্বল কিভাবে তার নিজের চরিত্র থেকে সময় আর বাংলা সিনেমার ভাঁড়ামির চাপে বদলে যাবেন বলুন। নিজের জীবন দর্শন ঠিকঠাক তুলে দিয়েছেন নায়ক চরিত্র অয়নের কাঁধে। শান্ত অয়ন অসাধারন অভিনয়ে ছড়িয়ে দিয়েছেন দর্শক হৃদয়ে।
ওহ! অয়নের সাথে সাথে সেই দায়িত্ব নায়িকা নীরার ভাগেও ঠিকঠাক ফেলেছেন পরিচালক। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্রী নীরাকে গল্পের শেষ পর্যন্ত নিজের কাজের প্রতি একাগ্রতা ধরে রাখার কাজটি গল্পের ছলেই টেনে নিয়ে গেছেন। মাসুদ হাসান উজ্জলের যেমন জীবনের সকল সিনেমা সাধনা তার সিনেমায় ঢেলে দিয়েছেন ঠিক তেমনি নায়িকা নীরা তার শিক্ষাজীবনে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ প্রাপ্ত জ্ঞান তার প্রিয় মানুষটিকে পাবার জন্যই সাধনা করে গিয়েছেন পর্দায়। একটা সিনেমায় একসাথে দর্শককে হাসানো, কাঁদানো এবং ভাবানোর কাজটা হয়তো শুধুমাত্র পরিচালকের নামের জায়গাতে মাসুদ হাসান উজ্জ্বল বলেই সম্ভব হয়েছে।
সিনেমার শেষে হয়তো প্রতিটি দর্শক বলতে বাধ্য হবেন যে এমন একটা প্রেমেই হয়তো পড়তে চেয়েছিলেন আপনিও। যেখানে আপনার প্রিয় মানুষটি সারা জীবনের জন্য হয়ে থাকবে আপনার বাকী অর্ধেক দম হিসাবে।
মন্তব্য করুন
ঢাকাই সিনেমার কিং খান শাকিবের বিয়ের
গুঞ্জন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বুবলী আর অপু বিশ্বাসকে নিয়ে বিরক্ত শাকিব খানের পরিবার।
শাকিবকে নিয়ে দুই নায়িকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কথাবার্তা-গল্পগুজব আর নিতে
পারছেন না অভিনেতা এবং তার পরিবার। শুধু তাই নয়, শাকিবকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চলছে পাত্রী
দেখাও।
অভিনেতার ঘনিষ্ঠজনেরা বলেছেন, ঢাকার পাশের জেলায় পাত্রী দেখছে শাকিবের পরিবার। এবার আর নিজের পছন্দে নয়, পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করবেন অভিনেতা। অতীত ভুলে সংসারী হবেন শাকিব।
আরও পড়ুন: এবার জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব
আরও পড়ুন: ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান
অর্থাৎ বুবলীর সঙ্গে যদি শাকিবের সত্যি বিয়ে হয়ে থাকে, তাহলে এবার তৃতীয় দফায় বিয়ের
পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন অভিনেতা। শোনা যাচ্ছে, চিকিৎসক পাত্রী পছন্দ করেছে তাঁর পরিবার।
শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার
পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জজেলার একটি মেয়েকে শাকিবের বউ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত
করেছে তার পরিবার। মেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন।
শাকিবেরও ডাক্তার মেয়ে পছন্দ।
একাধিক সূত্রে জানাগেছে, এ পর্যন্ত
দুই থেকে তিনজন পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জের চিকিৎসক মেয়েই
নাকি এগিয়ে আছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ দিকে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে
বসবেন শাকিব খান। আর এই আয়োজনের পুরো দায়িত্ব নিচ্ছে শাকিবের পরিবার।
শুধু তা–ই নয়, শাকিবকে নিয়ে কেউ কোনো
মিথ্যাচার করলেই আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাকিব খানের পরিবার। পাশাপাশি
জানা গেছে, শাকিবের বাড়িতে অপু-বুবলীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যদিও জবাবে
বুবলী বলেছেন, ছেলে বীরকে একা ছাড়বেন না তিনি। এই কথা প্রসঙ্গে অপুও বলেছেন, ‘তিনি
গেলে আমিও যাব।’
শাকিব খান ঢালিউড অপু বিশ্বাস বুবলী
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন।
এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।
শুধু কপিলই নয়, সামনে এসেছে তার সহকর্মী অর্চনা পূরণ সিং এবং সুনীল গ্রোভারের পারিশ্রমিকের কথাও।
ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গ্রোভার প্রতি পর্বের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ও অর্চনা পূরণ সিং নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্রুষ্ণা অভিষেক, কিকু শারদা ও রাজীব ঠাকুর পর্ব প্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ, ৭ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা করে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গত ৩০ মার্চ থেকে নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে এই শোয়ের প্রচার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে মোট পাঁচটি পর্ব।
মন্তব্য করুন
চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে
সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন
ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি
(বাচসাস)।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার
কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি
ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল
মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক
রিমন মাহফুজ।
গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ
উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।
এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন,
‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা
ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি।
বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে
খুবই সামান্য টাকা পায়।
এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে
জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের
এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে
আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর
অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয়
নিয়ে কথা বলব’।
ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে
আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি
নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন
ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব।
প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।
চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ
খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক
করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব
দিতে হবে’।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন
উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের
সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে
আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প
ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’
এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি
অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র
আরও এগিয়ে যাবে’।
বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান
চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায়
না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে
বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান
বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।
শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র
শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের
চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু
সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ
করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে
গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।
এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর
রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক
জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক
সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ
সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক
এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড,
গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক
সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন,
অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ
ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস,
দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া,
আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।
উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়।
তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও
নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।
‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ গোলটেবিল বৈঠক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।